OrdinaryITPostAd

ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - ডিম খাওয়ার নিয়ম

 ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - ডিম খাওয়ার নিয়ম

ডিম  জন্য অনেক উপকারী একটি খাবার। তবে প্রতিদিন ডিম খেতে অনেকে ভয় পায় কারণ ডিমে যেমন উপকারী দিক আছে এবং কিছু ক্ষেত্রে অপকারিতাও হয়ে থাকে। তবে ডিম খাওয়ার নিয়মের উপর নির্ভর করে উপকারিতা ও অপকারিতা। অনেকে সিদ্ধ করে ডিম খেতে বেশি পছন্দ করে।

ডিম একটি অতি পুষ্টিকর খাবার। ছোট থেকে বড় সকল বয়সী মানুষ ডিম খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে। শরীরের বিভিন্ন সমস্যায় আমরা ডিম খেয়ে থাকি যেমন প্রেসার কম হলে, ওজন কমে গেলে, শক্তি জগতে, শরীর দুর্বল হলে। শিশুদের দৈহিক মেধাবিকাশেও ডিম একটি অপরিহার্য খাদ্য। ডিমের উপকারিতা অপকারিতা ও পুষ্টিগুণ এবং ডিম খাওয়ার নিয়ম সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

ডিম খাওয়ার উপকারিতা 

ডিম খাওয়ার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। ডিম একটি আদর্শ পুষ্টিকর খাবার। ডিম সকল বয়সের মানুষ খুবই পছন্দ করে খায়। এবং বাচ্চারাও ডিম খেতে অনেক ভালোবাসা। তবে অনেকের বয়স ও সমস্যা অনুযায়ী ডিম নিয়ম করে খেতে হবে। সিদ্ধ করা ডিম অনেকে কুসুম ছাড়া খেয়ে থাকে।

 একটি ডিমে যে কি পরিমাণ পুষ্টিগুণ আছে তা জানলে অবাক হবেন। একটি ডিমে আছে অনেক উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। একটি ডিমে এনার্জি আছে ১৪৩ ক্যালোরির মত, কার্বোহাইড্রেট ০.৭২ গ্রাম, ফ্যাট ৯.৫১ গ্রাম, প্রোটিন ১২.৫৬ গ্রাম। ফসফরা আছে ১৯৮ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৩৮ মিলিগ্রাম, জিংক ১.২৯ মিলিগ্রাম। এছাড়াও ভিটামিন এ,ডি,ই,বি ১২, আয়রন, কোলিন, কোলেস্টেরল ইত্যাদি থাকে।

ডিম আমাদের দেহের জন্য অনেক বেশি উপকারী খাদ্য। ডিম আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রকম ভাবে  সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। শরীরে বিভিন্ন অসুখ সারাতে সাহায্য করে। ডিম খাওয়ার উপকারিতা আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

দেহের শক্তি যোগাতেঃ আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায়, কাজকর্মে আমাদের শক্তি প্রয়োজন আছে। ডিমে থাকা পুষ্টিগুণ আমাদের দেহের শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিদিন নিয়মিত একটি বা দুটি করে ডিম খাওয়া প্রয়োজন।

প্রোটিনের চাহিদা যোগাতেঃ আমাদের দেহে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে ডিমের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। ডিমের মধ্যে থাকা প্রোটিন আমাদের দেহে ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করে। আমাদের দেহের হাড় মজবুত করে এছাড়াও দেহের শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।

শরীরের ওজন কমাতেঃ অনেকের ধারণা ডিম খেলে সে ওজন বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে যার মধ্যে কোন প্রকার ফ্যাট থাকে না। আমরা জানি খাদ্যে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকলে ওজন বৃদ্ধি পায়। আবার কিটো ডায়েট এর সময় ডিম খেলে শরীরে এলার্জি ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে ডায়েট করলেও ডিম খেয়ে এনার্জি ঠিক রাখা যায়।

হাড়শক্ত ও মজবুত করতেঃ ডিম হাড়কে শক্ত ও মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ডিমের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম হারকে শক্ত মজবুত করে এছাড়াও ডিম খেলে শরীরে সকল শক্তি বজায় থাকে। এছাড়াও শিশুদের ক্ষেত্রে ডিমে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সাহায্য করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষেত্রেঃ ক্যান্সার একটি মরণব্যাধি রোগ। সকলেই শারীরিকভাবে সুস্থ জীবন যাপন করতে চাই। কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন জীবন অভ্যাসের কারণে নানাভাবে আমরাই শরীরে বিভিন্ন অসুখ বাসা বাঁধতে সাহায্য করছি নিজের অজান্তেই। প্রতিদিন নিয়মিত একটি ডিম খাওয়া উচিত। ডিমের মধ্যে থাকা ভিটামিন, লিউটিন নামক উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়াও নতুন কোষ গঠনের ভূমিকা রাখে। ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে ডিম অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার।

হার্ট ভালো রাখতেঃ আমাদের শরীরের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। হার্ট ভালো রাখা আমাদের সকলের জন্য খুবই জরুরী। প্রতিদিন নিয়মিত ডিম খেলে আমাদের শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে ফলে। শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না যা আমাদের হার্টকে ভালো রাখে।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেঃ আমাদের শরীরে ভালো-মন্দ দুই ধরনেরই কোলেস্টেরল আছে। প্রতিদিন নিয়মিত ডিম খেলে ডিমে থাকা উপাদান শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে ভালো  কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

ত্বক ও মস্তিষ্ক ভালো রাখতেঃ ত্বক ও মস্তিষ্ক ভালো রাখতে ডিম বিশেষ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত ডিম খেলে ডিমে থাকা উপাদান মস্তিষ্ক সুস্থ, সবল  ও ভালো রাখতে সাহায্য করে। আবার ডিমে থাকা পুষ্টিগুণ ত্বক ভালো রাখে ও ত্বককে মসৃণ করে। তাই প্রতিদিন ডিম খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

গর্ভাবস্থায় ডিমের ভূমিকাঃ গর্ভাবস্থায় মহিলাদের অতিরিক্ত পুষ্টির প্রয়োজন হয় তাই এ সময় প্রতিদিন নিয়ম করে ডিম খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। তাই গর্ভবতী মহিলার অতিরিক্ত পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে ডিমের গুরুত্ব অপরিহার্য। গর্ভকালীন এবং গর্ভ পরবর্তী পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে ডিম।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেঃ দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত ডিম খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। সকল বয়সী মানুষের জন্য ডিম অত্যন্ত জরুরী একটা খাবার সকল চাহিদা পূরণ করে শরীরকে সুস্থ রাখে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। শিশুদের ক্ষেত্রে ডিম অবশ্যই নিয়ম করে প্রতিদিন খাওয়াতে হবে। তাহলে শিশু শক্তিতে ও দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।

 দৃষ্টিশক্তি  ভালো রাখতেঃ ডিমে থাকে ভিটামিন এ। যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। তাছাড়া ডিমে থাকে কেন কারনটিনয়েড আর লুটেন যা বয়স হয়ে গেলে চোখের বড় সমস্যা মেকুলার ডিজাইনারেশন হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।

নখের সমস্যা দূর করতেঃ নখ ভেঙে যাওয়ার সমস্যা অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। নখ মজবুত করে সালফার। কিন্তু ডিমে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে। এই সালফার নখ কে সুন্দর ও মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই নখ ভেঙে যাওয়া রোধ করতে ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে নিশ্চিন্তে ডিম খান।

অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দূর করতেঃ নারী ও শিশুরা রক্তস্বল্পতায় বা অ্যানিমিয়ায় ভোগে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন থাকলে অ্যানিমিয়া হয় না। আর ডিমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে তাই রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া রোধ করতে নিয়মিত ডিম খাওয়া উচিত।

রাতে ঘুমানোর আগে ডিম খাওয়ার উপকারিতা

রাতে ডিম খাওয়ার উপকারিতা অনেক। এটি কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে এবং শরীরকে ঘুমাতে যাওয়ার সংকেত দেয়। । মেলোটনিন হল এমন এক হরমোন যার শরীরের ঘড়ি সেট করে এবং ঘুম ভালো হতে ভূমিকা রাখে। স্বাস্থ্য বিষয়ক বার্তা থেকে জানা যায় যে, রাতে ডিম খেলে কোন সমস্যা নাই রাতে ডিম খাওয়ার উপকারিতা বেশি।

সারাদিন কাজ করার পর শরীরে যে পরিমাণ এনার্জি ঘাটতি হয়। কিন্তু রাতের একটা ডিম তার থেকে অনেক বেশি পরিমাণে এনার্জি ফিরিয়ে দেয়। আর ঘুমের মধ্যে যেকোনো ভাবে মানুষ আরামদায়ক অবস্থায় থাকে ফলে শরীরে যে কোন খাবার সহজেই অনেক বেশি কাজ করে।

সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা

কোন জিনিস অধিক তাপে রান্না করলে তাতে ভিটামিনের পরিমাণ অনেকটা নষ্ট হয়ে যায়। তেমনি ডিম অধিক তাপে রান্না করলে তাতে প্রোটিনের পরিমাণ অনেকটা কমে যায়। অনেকটা মাইক্রো নিউটন চলে যায়। অনেকে প্রতিদিন অনেক রকম ভাবে ডিম খেয়ে থাকে কিন্তু তারা খেয়াল করে না আসলে ডিমটা খেয়ে তার পুষ্টিগুণ ঠিক থাকছে কি না।

ডিমে এত পরিমাণ প্রোটিন থাকে যে অন্য কোন প্রোটিন খাবার না খেলেও প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে। এবং যেকোনো জায়গায় গিয়ে আমরা এই ডিমের মাধ্যমে আমাদের পরিণত চাহিদা পূরণ করতে পারে কারণ বিশ্বের যে কোন জায়গায় ডিম আমরা সহজে পেয়ে থাকি যাতে করে অন্য খাবার না খেতে পারলেও ডিম খেয়ে নিজেকে সুস্থ রাখতে পারি। তাই ডিম হল ওয়ার্ল্ড বেস্ট সুপার ফুড।

ডিমের মতো একটি খাবার যখন  খাদ্য তালিকায় থাকে তখন অন্য কোন খাবার নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। কারণ আমরা একই খাবারের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যামাইনো  অ্যাসিড ও প্রচুর পরিমানে নিউট্র ন ও মাইক্রোনিউটন পেয়ে যাচ্ছি। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আমাদের এই খাবারটি রাখতেই হবে।

প্রতিদিন দুইটা করে ডিম খাওয়ার উপকারিতা

প্রতিদিন দুইটা করে ডিম খেলে হৃদ রোগের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়। টানা ছয় সপ্তাহ দুটো করে ডিম খেলে তবেই উপকার পাওয়া যাবে। প্রতিদিন দুইটা করে ডিম খেলে সাথে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, বায়োটিন, থায়ামিন এবং আরো অনেক উপকারী উপাদান আমাদের ত্বক চুল ও নখের যত্নে সহায়তা করে। ত্বকে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে দেয় না।


এছাড়াও যারা কিটো ডায়েট করে তারা অন্যান্য খাবারের চাহিদা পূরণ করার জন্য দুইটা বা তার বেশি ডিম একদিনে হয়। যা তাদের শরীরে অন্যান্য প্রোটিনের চাহিদা পূরনে সহায়তা করে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে একের অধিক ডিম খেতে পারে।

কাঁচা ডিম খাওয়ার উপকারিতা

রান্না করে ডিম খেলে ডিমের মধ্যে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান কিছুটা নষ্ট হয় কাঁচা ডিমের ভিটামিন বি ৬ এবং হলুদ ভিটামিন নিয়ে ফোনের পুষ্টি উপাদান চলিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট একটু বেশি থাকে। কিন্তু প্রোটিনের বেলায় রান্না করা ডিমে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

একটি কাঁচা ডিমের দেহের মাত্রা তিন গ্রাম হজম প্রোটিন পাওয়া যায় অন্যদিকে একটি রান্না করা ডিম পাওয়া যায় 6 গ্রাম। কাঁচা ডিমের ভিটামিন বি ৬ পাবেন .০৮৫ মাইক্রগ্রাম, পাবেন ১৪৬.৯ মিলিগ্রাম, অন্যদিকে রান্না করা ডিমে ভিটামিন বি ০.৭২ মাইক্রগ্রাম, থাকে১১৭ মিলিগ্রাম।

দুধ ও ডিমের উপকারিতা

ডিমে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট, অ্যামাইনো এসিড এবং প্রোটিন। অন্যদিকে দুধে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন। শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে দুধ এবং ডিম একসঙ্গে খেলে অনেক বেশি উপকার হয়। দুধ ও ডিম দেহের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। মানবদেহের মস্তিষ্কে ভারসাম্য রক্ষা করতে ও কর্মদক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করে।

প্রতিদিন ডিম খাওয়ার নিয়ম

শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ডিম খেতে হবে। ডিম যে কোন প্রকার ভাবে খাওয়া যায়। তবে গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডিম ভাজা বা কাঁচা খাওয়া থেকে সিদ্ধ খাওয়া সব থেকে ভালো। দ্রুত ওজন কমাতে হলে সিদ্ধ ডিম খাওয়া ভালো। কারণ সিদ্ধ ডিমের পরিমাণ কম থাকে। আরো নানাভাবে আমরা ডিম খেতে পারি ।যেমন-

ব্রেড বা বাটারের সাথেঃ অনেকে আছে ডিম খেতে পারেনা, সে ক্ষেত্রে একটু বাটার বা ব্রেডের সাথে ডিমটা খাওয়া যায়। আবার অনেক সময় সিদ্ধ ডিম না খেয়ে একটু বাটার দিয়ে পোচ করে খাওয়া যায়। তাতে করে ক্যালরি পরিমাণ ও প্রোটিন দুই চাহিদায় পূরণ হয়ে যায়।

ওমলেট হিসেবেঃ অনেকে আবার সিদ্ধ বা পোচ কোনটাই খায় না বা একইভাবে খেতে ভালো লাগে না। সে ক্ষেত্রে অমলেট হিসাবে খাওয়া যায় যেমন পেঁয়াজ,কাঁচ মরিচ, লবণ ইত্যাদি দিয়ে তার সাথে তেল বা বাটার মিশিয়ে ফ্রাই পানে ভেজে নিলে সেটা অমলেট হিসেবে খাওয়া যায়। কিন্তু এটা খেতে মুখরাচোখ হলেও পুষ্টিগণের দিক থেকে চিন্তা করলে এটা এভাবে খেলে পুষ্টিগুণের পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে। কারণ এটাতে অনেক উপাদান যোগ করা হয়। আবার বেশি সময় ধরে রান্না করা হয় বলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।

ওয়াটার পোচঃ যেহেতু আমরা ডিমটা খাই প্রোটিন সহ সকল উপাদান সঠিকভাবে পাওয়ার জন্য সে ক্ষেত্রে কোন প্রক্রিয়ায় খেলে সেটা সঠিকভাবে পাওয়া যাবে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাই সিদ্ধ ডিমের পর চিন্তা করতে পোস্ট করে খাওয়া ভালো।

আবার হার্টের রোগী ক্ষেত্রে বা যাদের শরীরে কোলেস্টেরল পরিমাণ অনেক বেশি তারা সামান্য গরম পানিতে ডিমটা ছেড়ে দিলে সেটা ওয়াটার পোচ হিসেবে খাওয়া যাবে। এটা শরীরের জন্য উপযোগী এবং সহজে হজম করে।

ডেজার্ট হিসাবেঃ ডিমের তৈরি বিভিন্ন ডেজার্ট আমরা খেতে পারি। যেমন ডিমের পুডিং সেখানে ডিম ও দুধ যোগ করা হয় এবং সেটা ভাপে বা মাইক্রোওয়েভে করা হয়। এভাবেও পুষ্টিগুণ ঠিক থাকে। এভাবে বিভিন্ন উপায়ে ডিম খেলে যেমন পুষ্টিগুণ ঠিক থাকে এবং শরীরে প্রোটিনের চাহিদা সঠিকভাবে পূরণ হয়।

ডিম খাওয়ার অপকারিতা

প্রতিটা খাবারেরই উপকার এবং অপকারি দিক আছে। তবে অতিরিক্ত ডিম খেলে ক্ষতি হতে পারে। যেমন অতিরিক্ত ডিম খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। আবার শরীরে কোলেস্টরের মাত্রা অনেক বেশি হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডিমের সাদা অংশ উপকার হলেও ডিমের কুসুমের অংশটা খেলে ক্ষতি হয়। অনেক সময় আবার অত্যাধিক গরমে ডিম খাওয়ার পরিমাণ বেশি হলে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।

সার্বিক দিক বিবেচনা করে দেখা যায় যে ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে ডিমের অপকারিতার চেয়ে উপকারের সংখ্যা অনেক বেশি। নিয়ম মেনে বা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডিম খেলে কোন সমস্যা হয় না। তাই নিয়মিত নিয়ম মেনে ডিম খেতে হবে।

বিশ্ব ডিম দিবসের উপকারিতা

৮  অক্টোবর বিশ্ব ডিম দিবস। এবারের ডিম দিবসের প্রতিপাদ্য-'ডিমে পুষ্টি ডিমে শক্তি, ডিমে আছে রোগ মুক্তি'। ১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় আন্তর্জাতিক এগ কমিশনের কনফারেন্সে প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্ব ডিম দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এই ডিম দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল ডিমের পুষ্টিগুণ উপাদান সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা এবং স্বাস্থ্যসম্মত ডিম উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও দৈনন্দিন ভোক্তার খাদ্য তালিকায় ডিমের অন্তর্ভুক্তি করা। ডিমের চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করা ।

পরিশেষে 

ডিম খাওয়ার উপকারিতা এত বেশি যে একজন মানুষ নিয়মিত ও নিয়ম মেনে ডিম খেলে তার শরীরের সার্বিকভাবে ডিমের সকল উপাদান সঠিকভাবে পাবে। এবং শরীরকে সর্বদা সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। যেকোনো বয়সের মানুষ ডিম খেতে পারে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকল বয়সের মানুষের জন্য ডিম খুবই অপরিহার্য একটি খাদ্য। বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে কিছু কিছু নিয়ম মেনে খেলে শারীরিকভাবে কোন সমস্যা হবে না বা প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।

প্রিয় পাঠক, আমি তো ডিম খেতে অনেক পছন্দ করি। এবং নিয়মিত ডিম খেয়ে শারীরিকভাবে আমি অনেকটা সুস্থ বোধ করি। সে ক্ষেত্রে আপনাদের কেউ বলতে পারি যে নিয়মিতভাবে একটি করে হলও ডিম খাবেন। তবে সিদ্ধ করে বা ওয়াটার পোচ এই দুই প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করে ডিম খাবেন। পুরো পোষ্ট জুড়ে ডিম খাওয়ার উপকারিতা, ডিম খাওয়ার নিয়ম সহ সকল বিষয় আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। যা আপনাদের উপকারে আসবে, পরবর্তী আরো নতুন নতুন পোস্ট পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url