OrdinaryITPostAd

বাংলাদেশের সেরা ১০ টি পর্যটন কেন্দ্র - ঢেলে সাজানো হবে কি পর্যটন কেন্দ্রকে

 বাংলাদেশের সেরা ১০ টি পর্যটন কেন্দ্র - ঢেলে সাজানো হবে কি পর্যটন কেন্দ্রকে

দক্ষিণ এশিয়ার একটি সুন্দর দেশ আমার বাংলাদেশ। বাংলাদেশ প্রাকৃতিকভাবে অনেক সুন্দর একটি দেশ।বাংলাদেশে অনেক সুন্দর সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। যা আমাদের পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। আমাদের দেশের লোকেরা অনেক বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ ও অতিথিপরায়ন। তারা সর্বদা পর্যটকদের স্বাগত জানায় এবং সার্বিকভাবে সহায়তা করার চেষ্টা করে।

বাংলাদেশের অনেক দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্র আছে যেগুলো বাংলাদেশের মানুষ ও বাইরের দেশে মানুষকে অনেক বেশি আকৃষ্ট করে। আর এই পর্যটন কেন্দ্রগুলো র মাধ্যমে আমাদের দেশ বিশ্বের মানুষের কাছে নিজেকে তুলে ধরতে পারে। কিন্তু আমাদের এই পর্যটন শিল্পে অনেকগুলো সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যা গুলোর সমাধান করলে আমাদের পর্যটন শিল্প আরো উন্নত হবে। 

বাংলাদেশের দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্র গুলা সম্পর্কে এবং পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে ঢেলে সাজানো সহ সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানবো আজকে এই পোস্টের মধ্যেমে

বাংলাদেশের পর্যটন কেন্দ্র

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি চির সবুজ আমাদের এই বাংলাদেশ। এখানে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এই সৌন্দর্য দেখতে ছুটে আসে। যা আমাদের দেশকে সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করে। বাংলাদেশের প্রধান প্রধান দর্শনীয় স্থানের নাম বিস্তারিত দেওয়া হলো-

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার

বাংলাদেশের প্রধান পর্যটন আকর্ষণ কেন্দ্র কক্সবাজার। ঘন জঙ্গলে ঢাকা পাহাড়ের মনোরম পটভূমিতে গড়ে ওঠা বঙ্গোপসাগরে নীল জলের কক্সবাজার পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। এর মোট দৈর্ঘ্য ১২০ কিলোমিটার।দেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। বিশ্বের দীর্ঘতম এই সমুদ্র সৈকত।
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন হিরাম কক্সের নাম অনুসারে এর নাম। মাইলের পর সোনালী গোনার দীর্ঘ সৈকত, উচু পাহাড়, সার্ফিং ওয়েভস, আশ্চর্য শঙ্খ সাঁশ, প্যাগোডা, বুদ্ধমন্দির, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় জীবন এবং শ্রীফুডের কেন্দ্রস্থল এই নয়নাভিরাম কক্সবাজার। হাঙ্গরবিহীন সৈকতটি সমুদ্র স্নান, সানবাথ, সাঁতার কাটা এবং সার্চিংয়ের জন্য বিশ্বজুড়ে  রয়েছে।

কক্সবাজারে দেখার জন্য আরো রয়েছে, ইনানী বিচ, লাবনী পয়েন্ট, হিমছড়ি।

বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন

সুন্দরবন হলো বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য হিসাবে স্থান দখল করে নিয়েছে সুন্দরবন। বঙ্গোপসাগরে উপকূল জুড়ে প্রায় ৮০ কিলোমিটার বিস্তৃত এবং ভারতের মূল ভূখণ্ড বিস্তৃত এই বন। দুই দেশের মধ্যেই সুন্দরবনের অবস্থান থাকলেও বাংলাদেশ এর অবস্থান সবচেয়ে বেশি। প্রায় ১০ হাজার ৫০০ কিলোমিটারে এবং ৬২ শতাংশ জায়গা জুড়ে বাংলাদেশর মালিকানা।
ঘন জঙ্গলের বনটির তিনদিকে রয়েছে জনবহুল দুটি দেশ। বনের এই মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে অসংখ্য নদী। আশ্চর্য এই বনটিতে রয়েছে ম্যানগ্রোফরেস্ট এবং মিঠা পানির জলাভূমি। এই বনের প্রধান যে আকর্ষণ রয়েছে তা হলো বনের রাজা রয়েল বেঙ্গল টাইগার।

সুন্দরবনে রয়েছে অসংখ্য সুন্দরী গাছ আর এই গাছের নাম অনুসারে সুন্দরবনের নামকরণ করা হয়েছে। সুন্দরবন শব্দের অর্থ একটি সুন্দরবন। এই বনটির প্রধান আকর্ষণ রয়েল বেঙ্গল টাইগার। তবে রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও রয়েছে অসংখ্য ডোরাকাটা হরিণ, নোনতা জলের কুমির এবং বিভিন্ন ধরনের পাখি। এই বিশাল বনটিতে রয়েছে, ৪২ প্রজাতি স্তন্যপায়ী প্রাণী, ২৯০ প্রজাতির পাখি, ১২০ প্রজাতির মাছ, ৫০ প্রজাতির সরিসপ এবং ৪ প্রজাতির উভচর প্রাণী।

প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন

অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশে সর্ব দক্ষিনে অবস্থিত বঙ্গোপসাগর উত্তর-পূর্বক কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলা থেকে নয় কিলোমিটার দক্ষিনে গড়ে উঠেছে একটি ছোট দ্বীপ। এই দ্বীপটিই
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ নামে পরিচিত। মিয়ানমারের উত্তর পশ্চিম উপকূল থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মুখে দ্বীপটি অবস্থিত। স্থানীয়ভাবে এটাকে নারকেল জিনজিরা বলা হয়।

পশ্চিম- উত্তর পশ্চিম দিক জুড়ে রয়েছে ১০-১৫ কিলোমিটার প্রবাল প্রাচীর। ভৌগোলিকভাবে এটি তিন অংশের বিভক্ত। উত্তরাঞ্চলীয় অংশকে বলা হয় নারকেল জিনজিরা বা উত্তরপাড়া। । দ্বীপের অংশ ২ হাজার ১৩৪ মিটার দীর্ঘ এবং ১ হাজার ৪০২ মিটার প্রশস্ত।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপের মূল দ্বীপ ছাড়াও কয়েকটি ১০০ থেকে ৫০০ বর্গমিটারের ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে। যেগুলো স্থানীয়ভাবে ছেড়া দ্বীপ বা সিরাদিয়ে দ্বীপ নামে পরিচিত। যার অর্থ বিচ্ছিন্ন দ্বীপ।

টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপের মধ্য দিয়ে নিয়মিত লঞ্চ ও নৌকা চলাচল করে। ৩ হাজারের বেশি সংখ্যক লোক  বসবাস করে এই দ্বীপে। এরা প্রত্যেকেই মৎস্যজীবী। আর ৫০০ বেশি মৎস্যজীবী পরিবার এখানে বসবাস করে। এখানে 182 প্রজাতির জীবের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। দ্বীপের উত্তরাংশে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পর্যটনকাল। এখানে সবচেয়ে বেশি ঘনবসতিপূর্ণ এই দ্বীপে হল জিনজিরা।

পাহাড় ঘেরা সাজেক ভ্যালি

সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশে রাঙামাটি জেলা অবস্থিত। রাঙ্গামাটি জেলার সর্ব উত্তরে মিজোরাম সীমান্তে সাজেক ভ্যালি অবস্থিত। সাজেক ভ্যালি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ কিলোমিটার উঁচুতে অবস্থিত। রাঙ্গামাটি জেলার সাজেক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন। 
পাহাড়ে ঘেরা আর চারিদিকে সবুজের সমারহ এবং মনোরম পরিবেশে তৈরি সাজেক ভ্যালি। সাজেক ভ্যালি ভ্রমণের উপযুক্ত সময় শীতকাল। সাজেকে সবসময়ই ব্যতিক্রম ধর্মী একটি পরিবেশে সৃষ্টি হয়। যেমন, কখনো খুবই গরম, আবার কখনো দেখা যায় ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। আবার কখনো দেখা যায় চারিদিকে মেঘে ঢেকে গেছে। কিছুক্ষণের মধ্যে চারিদিকে মেঘের উপত্যকা সৃষ্টি হয়ে যায়। এ যেন মেঘের লুকোচুরি খেলা।

সাজেক ভ্যালিতে দেখার মত রয়েছে, কংলোক পাহাড়, রুইলুই পাড়া, কমলক ঝরনা, হাজাছড়া ঝর্ণা, দিঘীনালা ঝুলন্ত ব্রিজ এবং দিঘীনালা বনবিহার।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত

পটুয়াখালী জেলা কলাপাড়া থানার চাপাতলী ইউনিয়নে কুয়াকাটা অবস্থিত। কুয়াকাটা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সমুদ্র সৈকত। কুয়াকাটা ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সমুদ্র সৈকত। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের সড়ক পথে দৈর্ঘ্য ৩৮০ কিলোমিটার।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এমন একটি জায়গা যেখানে একই স্থানে দাঁড়িয়েই সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখা যাবে। পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটা সাগরকন্যা নামে পরিচিত। প্রতিবছর শীতকালে এখানে প্রচুর অতিথি পাখির আগমন ঘটে। সমুদ্র সৈকতের পূর্ব দিকে রয়েছে গঙ্গামতি নদী। এই সমুদ্র সৈকতটি দেখতে অনেক সুন্দর যা প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষকে আকৃষ্ট করে।

রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ

রাঙ্গামাটি জেলা ভ্রমণের প্রধান আকর্ষণ হল রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ। ঝুলন্ত ব্রিজটি কাপ্তাই লেকের উপর নির্মিত। ঝুলন্ত ব্রিজটি প্রায় ৩৩০ ফুট লম্বা। রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজটির আরেকটি নাম রয়েছে তা হলো সিম্বল অফ রাঙ্গামাটি। ঝুলন্ত ব্রিজটি বানানোর প্রধান কারণ হচ্ছে দুইটি পাহাড়কে সংযুক্ত করো।। এই ব্রিজ দিয়ে এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে অনায়াসে যাওয়া যায়। এই ব্রিজটি দুই পাহাড়ের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করে দিয়েছে।
এখানে আরো রয়েছে, শুভলং ঝর্ণা, কাপ্তাই লেক, শেখ রাসেল আভিয়ারী এন্ড ইকোপার্ক, উপজাতীয় জাদুঘর, ঝুম রেস্তোরা্, টুকটুক ইকো ভিলেজ, রাইখেন কুকুর নির্বাণ পুর বন ভাবনা কেন্দ্র, ফুরমন পাহাড়, রাজস্থলী ঝুলন্ত সেতু রাজবন বিহার, ঐতিহ্যবাহী চাকমা রাজবাড়ি, পেদা টিং টিং, নৌবাহিনীর পিকনিক স্পট, বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র এবং কাট্টলী বিল ইত্যাদি।

জাফলং এর ঝুলন্ত সেতু

জাফলং ভারতে মেঘালয় সীমান্ত ঘেষে খাসিয়া জেন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। এটা খুবই সুন্দর ও মনোরম একটি জায়গা যা পর্যটকদের খুবই আকর্ষণ করে। বাংলাদেশে সিলেটে গোয়াইনঘাট উপজেলায় এই জাফলং অবস্থিত। ঢাকা থেকে জাফলং এর দূরত্ব ২৯৭ কিলোমিটার সিলেট থেকে ৬২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

জাফলং এ রয়েছে ভারতের ডাউকি বন্দরের ঝুলন্ত সেতু। সাথে রয়েছে পাহাড়ি ঝর্ণা, পাথর ও ঝর্ণার সচ্ছ পানি। জাফলং এ আরো দেখার মত রয়েছে ভারতের ডাউকি বন্দরের ঝুলন্ত সেতু, পাহাড়ি ঝর্ণা, পাথর ও ঝর্ণার স্বচ্ছ পানি। এছাড়াও রয়েছে লালাখাল, তামাবিল, জৈন্তাপু্‌র ও সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা।

চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল

শ্রীমঙ্গলকে চায়ের রাজধানী বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের উত্তর পূর্ব প্রান্তে শ্রীমঙ্গল অবস্থিত এর আয়তন ৪২৫. ১৫ বর্গ কিলোমিটার। শ্রীমঙ্গলে মোট চা বাগানের সংখ্যা ৪০ টি। ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গলের দূরত্ব প্রায় ১৭৬ কিলোমিটার। সিলেট থেকে শ্রীমঙ্গলের দূরত্ব ৮৩ কিলোমিটার।

শ্রীমঙ্গলে আরো দেখার মত রয়েছে, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ চা বোর্ড প্রকল্প বাস্তবায়ন ইউনিট, ৪০টি চা বাগান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, নির্মাইশির বাড়ি, বিভিন্ন খাসিয়া পঞ্জি, শীতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা কাছারি বাড়ি ইত্যাদি।

আরো রয়েছে, মসজিদুল আউলিয়া, রমেশ রাম গৌড় এর ৭ কালারের চা, শ্যামলী পর্যটন, মাধবপুর লেক, রাবার বাগান, আনারস বাগান, লেবু বাগান, ভাড়াউড়া লেক, রাজঘাট লেক, মাগুরছড়া গ্যাস কূপ, পানপুঞ্জি, বার্নিস টিলার আকাশছোঁয়া সবুজ মেলা, শ্রীমঙ্গলা একমাত্র ঝর্ণা যজ্ঞ কুন্ডের ধারা, শতবর্ষের স্মৃতি বিজড়িত শ্রীমঙ্গলের ডিনস্টন সিমেট্রি, টি রিসোর্ট, আরোগ্য কুঞ্জ, হরিণ ছড়া গলফ কোট, ডলু বাড়ি, টিপরা পল্লী, উঁচু নিচু পাহাড়।

মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত

সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা কাঠালতলীতে অবস্থিত একটি ইকোপার্ক যার নাম মাধবকুণ্ডা জলপ্রপাত বা মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক। মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত প্রায় ১৬২। মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ঢাকা থেকে ২৫৮ কিলোমিটার। সিলেট শহর থেকে দূরত্ব ৭২ কিলোমিটার থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

মাধবকুণ্ড এর আশেপাশের দর্শনীয় স্থানসমূহ হল পরিকুন্ড ঝর্ণা, চা বাগান, খাসিয়া পল্লী, কমলা, লেবু, সুপারি ও পানের বাগান, হামহাম ঝর্ণা, মনিপুরী পল্লী, মাধবপুর চা বাগান ও মাধবপুর লেক, নবাব বাড়ি, হাকালুকি হাওয়া।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক

বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলাধীন মাওলা ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক অবস্থিত। ঢাকা থেকে সাফারি পার্ক এর দূরত্ব ৪৪ কিলোমিটার। এই পার্কে বাচ্চা থেকে বড় সকল বয়সে মানুষের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কটি পাঁচটি অংশ বিভক্ত। যেমন বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, সাফারি কিংডম, কোর সাফারি পার্ক, বায়োডাইভার্সিটি পার্ক ও এক্সটেনসিড এশিয়ান সাফারি পার্ক।

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক ৩৬৯০ একর জমির উপর বিস্তৃত। এখানে রয়েছে চিত্রা হরিণ, হনুমা, ভাল্লুক, গয়াল, বাঘ, সিংহ, হাতি, হাম্বার, মায়া হরিণ, বানর, কুমির ও বিচিত্র পাখি।

ঢেলে সাজানো হচ্ছে দেশের পর্যটন শিল্পকে

২০৪০ সালের মধ্যে এক কোটি বিদেশী পর্যটক আনতে চাই সরকার। সেই লক্ষ্য নিয়ে পর্যটনের উন্নয়নে ডিসেম্বরে চূড়ান্ত মাস্টার প্ল্যান করবে সরকার। এই পরিকল্পনার আওতায় এক হাজার ৫১ টি পর্যটন স্পট চিহ্নিত করে সেগুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নতি করার লক্ষ্যে চূড়ান্ত সুপারিশ করবে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইপিই গ্লোবাল। তাদের পরামর্শে ঢেলে সাজানো হবে সকল পর্যটন কেন্দ্রকে।
বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সুন্দরবন ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। এই স্থানগুলোকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করার জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। পাহাড় হাওর বা বন অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। অক্ষুন্ন রেখে কি করে সব স্থাপনা করা যায় সে বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত পরামর্শক দল।

বিশ্বের ৬০ টির বেশি দেশে পর্যটনের মাস্টার প্ল্যান তৈরির অভিজ্ঞতায় স্কটল্যান্ডের গবেষক, মাস্টার প্লান্ট প্রস্তুতি কমিটির টিম লিডার বেঞ্জামিন ক্যারি এ প্রসঙ্গে বলেন, পরিকল্পনা মাফিক বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশের পর্যটনেও আমূল পরিবর্তন সম্ভব। ৮ টি জোন  বিভক্ত করে মাস্টার প্ল্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে।

ভ্রমণে যে ইলেকট্রনিক্স এক্সেসরিজ গুলো সাথে থাকা প্রয়োজন

বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি যে সৌন্দর্য বারবার আমাদের হাতছানি দিয়ে ডাকে। তাই আমরা ভ্রমণ পিপাসু মানুষ সর্বদা প্রকৃতির কাছে ছুটে যায়। আর ভ্রমণে যাবার সময় আমাদের অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিনিস সাথে রাখা প্রয়োজন। বিশেষ প্রয়োজনে জিনিসগুলো  হলো-

মোবাইল ফোনঃ ভ্রমনে মোবাইল ফোন খুবই জরুরী একটি জিনিস। একাকী ভ্রমণের সময় মোবাইল ফোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। যেটা পরিবার বা আত্মীয়-স্বজনের সাথে কথা বলার জন্য ঘুমানোর সময় সকল বিষয়ের দিকনির্দেশনা মোবাইল থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে পাওয়া যায়।

আবার ভ্রমণের সময় যেকোনো সমস্যায় পরলে বা নিরাপত্তা লাভের জন্য জরুরি নাম্বারে কল দিতে মোবাইল প্রয়োজন হয়। এছাড়া ভ্রমণের সময় সাথে একটি স্মার্ট ফোন থাকলে ভ্রমণের আনন্দ আরো অনেক গুণ বেড়ে যায় কারণ মোবাইলের মাধ্যমে ছবি তোলা ভিডিও করা ও আরো অন্যান্য কাজ করা যায়। তাই ভ্রমনে মোবাইল একটি অপরিহার্য এক্সেসরিজ।

ক্যামেরাঃ ভ্রমণের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল ক্যামেরা। ক্যামেরা ছাড়া ভ্রমণ অসম্পূর্ণ। সেটা ডিজিটাল ক্যামেরা বা ডিএসএলআর যেকোনো হতে পারে। ভ্রমণ মানে নতুন নতুন জায়গা দেখা এবং সে জায়গা গুলো সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নেওয়া। নতুন পরিবেশের সাথে নিজেকে পরিচয় করা।

ভ্রমণের সময় গুলোকে পরিবার আত্মীয়-স্বজন বা সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে চাইলে ও ভ্রমণের সময়টুকু স্মরণীয় করে রাখতে চাইলে ডিজিটাল ক্যামেরা বা ডিএসএলআর ক্যামেরা থাকা প্রয়োজন।
প্রকৃতির নতুন নতুন দৃশ্য ক্যামেরায় বন্দী করে রাখা যায়।
অনেকে আবার ট্রাভেল ফটোগ্রাফি করে তাদের জন্য ডিএসএলআর বা ভালো মানের ক্যামেরা থাকাটা অত্যাবশকীয়। ভ্রমণের সময়টা মানুষের খুবই আনন্দের করে। আর এই আনন্দের সময়ট টুকু সকলেই ক্যামেরাবন্দি করে রাখতে চাই।

পাওয়ার ব্যাংক বা অতিরিক্ত ব্যাটারিঃ কোথাও ভ্রমনে গিয়ে যদি মোবাইল বা ক্যামেরার ব্যাটারি চার্জ শেষ হয়ে যায়। তাহলে তো অনেক বড় সমস্যা হতে হবে। সে ক্ষেত্রে পাওয়ার ব্যাংক বা অতিরিক্ত ব্যাটারি বড় সমস্যা হাত থেকে রক্ষা করবে।

সেই ক্ষেত্রে ব্যাটারিতে চার্জ দিয়ে মোবাইলে কথা বলতে পারি আবার ক্যামেরাতে ছবি তোলা যাবে। তাই ভ্রমনে নিরাপত্তার জন্য এবং ভ্রমণের স্মৃতিগুলো ক্যামেরায় বন্দি করে রাখার জন্য পাওয়ার ব্যাংক বা অতিরিক্ত ব্যাটারি সঙ্গে রাখা অতি প্রয়োজন।

হেডফোন বা ইয়ারফোনঃ দূরে কোথাও ভ্রমনে গেলে বাস অথবা ট্রেন কিংবা প্লেনে করে যেতে হয়। অনেকটা সময় জার্নি করতে গিয়ে এত দীর্ঘ সময় কোন কাজ ছাড়া বসে থাকা খুবই কষ্টকর। তাই এ সময় যদি হেডফোন বা ইয়ারফোন সাথে থাকে। তাহলে মোবাইল বা ট্যাবের সাথে কানেক্ট করে চমৎকার কিছু গান শুনতে শুনতে জার্নির সময়টা অনেক সুন্দর পার হয়ে যায়।

চার্জারঃ ভবনের সময় চার্জার মনে করে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ চার্জার ছাড়া মোবাইল ক্যামেরা কোন কিছুই সময়মতো কাজে লাগবে না। তাই ভ্রমণকে আনন্দিত করতে হলে এই জিনিসগুলো মনে করে সাথে নিতে হবে।

পরিশেষে 

ভ্রমণ মানুষকে আনন্দ দেয় এমন মানুষকে সকল ক্লান্তি অবসরকে মুছে দিতে সাহায্য করে। তাই আমরা সব সময় চেষ্টা করব আমাদের ব্যস্ততা ও কাজের ফাঁকে একটু হলেও সময় বের করে ভ্রমন করা। ভ্রমন মানুষকে স্বচ্ছতা দান করে।। আমি তো ভ্রমন মানুষ কাজের ফাঁকে হলেও ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর।

বাংলাদেশের প্রকৃতি এত সুন্দর মনোরম যে একবার আমরা যেখানে যাই বারবার যেতে ইচ্ছে করে। বাংলাদেশ আমার দেশ যেখানে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোতে বিদেশী পর্যটক যত বেশি আসবে আমার দেশের মর্যাদা ততো বেশি বৃদ্ধি পাবে। তাই আমরা সর্বদা চেষ্টা করব পর্যটকদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করতে যাতে তারা আমাদের নাম করে ও বারবার আমাদের দেশে আসতে চায়।

 এই পোষ্টের মাধ্যমে অল্প কিছু দর্শনীয় স্থানের নাম দেওয়ার চেষ্টা করলাম আশা করছি সবার উপকার হবে। আগে নিজের দেশকে ভালবাসতে হবে নিজের দেশে ক্ষুদ্র কণাগুলো হলেও দেখার চেষ্টা করতে হবে। তাই আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রক্ষণাবেক্ষণ করার চেষ্টা করব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url