স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে বিটরুটের জুসের উপকারিতা বিস্তারিত জানুন
স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে বিটরুটের জুসের উপকারিতা বিস্তারিত জানুন
স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে বিটরুটের জুসের উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। তাই এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিটরুটের উপকারিতা, পুষ্টিগুণ, খাওয়ার নিয়ম সহ সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান সহ সকল প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিটরুট সারা বছরই হাতের নাগালে পাওয়া যায় বলে সব ধরনের মানুষই এটা খেতে পারে।
বিটরুটের পুষ্টিগুণ ও উপাদান
- ক্যালোরি - ৪৩
- চর্বি - ০.২ গ্রাম
- সোডিয়াম - ৭৮ মিলিগ্রাম
- পটাশিয়াম - ৩২৫ মিলিগ্রাম
- কার্বোহাইড্রেট - ১০ গ্রাম
- ফাইবার - ২.৮ গ্রাম
- চিনি - ৭ গ্রাম
- প্রোটিন - ১.৬ গ্রাম
- কোলেস্টেরল - ০ মিলিগ্রাম
বিটরুটের জুসের উপকারিতা
স্বাস্থ্যকর সবজির মধ্যে অন্যতম হলো বিটরুট। বিটরুটের রস ভিটামিন, আইরন এবং ফলিক এসিডের একটি ভালো উৎস। এটি লাল রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়ায় এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা এবং কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে। বিটরুটের উপকারিতা নিচে দেওয়া হল-
হাটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেঃ বিটরুট সবজি হাট ভালো রাখতে সাহায্য করে। বিটরুটে থাকা উপাদান কার্ডিওভাসকুলার ভালো রাখতে সহায়তা করে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তনালী প্রবাহে উন্নতি করে। বিটরুট নিয়মিত খাওয়ার ফলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে থাকে।
অ্যাথলেটিক পারফরম্যান্স বাড়ায়ঃ অ্যাথলেটিভ এবং ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়েটে বিটরুট অন্তর্ভুক্ত করা হয়।বিটরুটে থাকা নাইট্রেট যৌগ অক্সিজেন ব্যবহারে বৃদ্ধি করে এবং সহনশীলতা বাড়িয়ে কর্মক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে। অ্যাটলেটিক ইভেন্ট এর আগে বিটরুটের রস স্ট্যামিনা উন্নত করে এবং ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।
মস্তিষ্ককে উন্নত করেঃ বিটরুটের নাইট্রেট গুলি মস্তিষ্কে উন্নতি করতে প্রভাবিত করে এবং এই উপাদান গুলি মস্তিষ্কের রক্তনালী প্রসারণ করতে সাহায্য করে। যার ফলে রক্ত সঞ্চালন এবং অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। এই উন্নতি সঞ্চালন মানসিক কর্ম ক্ষমতা, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বিটরুটের বৈশিষ্ট্য মস্তিষ্কের কোষগুলিকে ফ্রি রেডিক্যাল হতে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
হজমে সহায়তা করেঃ বিটরুটের ফাইবারে পরিমাণ বেশি থাকায় এটি পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করে। একটি নিয়মিত পরিপাকতন্ত্র গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারে। অন্তরের প্রদাহকে ঠিক করে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বিটরুটের রস হজমকারি এনজাইমের উৎপাদন বাড়ায় এবং হজমে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ বিটরুটের পুষ্টি উপাদান বেশি থাকায় শরীরে ইমিউনিটি সিস্টেমকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বিটরুটে নিয়মিত সেবনের ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং সর্দি কাশির মতো সাধারণ অসুস্থ থেকে শরীরকে সুস্থ রাখে।
লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায়ঃ বিটরুটে থাকা বেটালাইন লিভার প্রতিরক্ষামূলক বৈশিষ্ট্য গুলোতে সহায়তা করে এবং লিভারের প্রাকৃতিক এনজাইম গুলোকে উদ্দীপ্ত করতে সাহায্য করে। শরীর থেকে বিষাক্ত টক্সিন বের করে শরীরকে সুস্থ রাখে। বিটরুটের নিয়মিত সেবন লিভারের স্বাস্থ্য কে উন্নত করতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ বিটরুটে কম ক্যালরি এবং উচ্চ ফাইবার থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সংযোজন করে। বিটরুটে থাকা ফাইবার পূর্ণতা এবং তৃপ্তির অনুভূতি বাড়ায়। অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে। বিটরুটের নাইট্রেট গুলি ব্যায়ামের কর্ম ক্ষমতা উন্নতি করতে সাহায্য করে। যা শারীরিক কার্যকলাপের সময় ক্যালরি পোড়াতে সক্ষম করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ বিটরুটে থাকা নাইট্রেট রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের শরীর নাইট্রেট কে নাইটিক অক্সাইডে রূপান্তরিত করে। যা রক্তনালী কে শিথিল ও প্রসারিত করতে সাহায্য করে যার ফলে রক্তচাপ হ্রাস পায়।
চোখ ভালো রাখতেঃ বিটরুটে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ও বিটাকারোক্তি এবং লুটিন দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বয়স সম্পর্কিত ম্যাকুলার অবক্ষয় এবং ছানি পড়া থেকে রক্ষা করে। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চোখের ক্ষতিকারক ফ্রী রেডিক্যাল দূর করতে সাহায্য করে।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেঃ বিটরুটে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ত্বকের সৌন্দর্য সাহায্য করে। নিয়মিত বিটরুট খাওয়ার ফলে ত্বকের বলি রেখা দূর হয়। এবং ত্বকে বয়সের ছাপ পরা থেকে রক্ষা করে। এবং ত্বকে ভেতর থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেঃ বিটরুটে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান, ভিটামিন সি, আয়রন, চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে এবং রক্ষণাবেক্ষণে ভূমিকা রাখে। এই পুষ্টিগুলো কোলাজেন প্রোটিন ব্রাজিলের ফলিক গুলোকে শক্তিশালী করে এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। বিটরুটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মাথার ত্বক এবং চুলকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
বিটরুট ও গাজরের জুস
বিটরুট ও গাজরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফলে এসব খাবার হজম হতে বেশি সময় লাগে তাই বারবার খেতে ইচ্ছে হয় না। তাই ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত বিটরুট ও গাজরের জুস বানিয়ে পান করতে হবে। বিটরুট ও গাজরের জুস নিয়মিত খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। বিটরুট ও গাজরের জুস বানানোর নিয়ম দেওয়া হলো-
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- ২ কাপ গাজর
- ২ কাপ বিটরুট
- ১/২ কাপ পানি
- লেবুর রস ৫ টেবিল চামচ
- পুদিনা পাতা পরিমাণমতো
- লবণ পরিমাণমতো
কার্যপ্রণালীঃ
প্রথমে বিটরুট, গাজর ও পুদিনা পাতা একসাথে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। তারপর পানি, স্বাদমতো লবণ ও লেবুর রস মিশিয়ে ভাল করে নেড়ে নিতে হবে। তারপর স্বাদমতো খেতে হবে।
আপেল ও বিটরুটের জুস
আপেলে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। তাই বিটরুটের সাথে আপেল মিশিয়ে জুস করলে খেতে চাঁদের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং পুষ্টিগুনো অনেক বেশি থাকে। আপেল ও বিটরুটের জুস তৈরীর উপকরণ নিচে দেওয়া হল-
- এক কাপ আপেল
- এক কাপ বিটরুট
- দারুচিনি গুড়া
- লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া
সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এবং চামচ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে
খেতে হবে।
ডালিম ও বিটরুটের জুস
- এক কাপ বিটরুট
- এক কাপ ডালিমের বীজ
- তিন টেবিল চামচ লেবুর রস
- বিটলবণ
টমেটো ও বিটরুটের জুস
টমেটোতেও ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। কিন্তু পানির পরিমাণ বেশি থাকে তাই বিটরুটের সাথে টমেটো খাওয়া উপকার। টমেটো ও বিটরুটের জুসের উপকরণ দেওয়া হল-
- দুই কাপ বিটরুট
- দুই কাপ টমেটো
- তিন টেবিল চামচ লেবুর রস
- পুদিনা পাতা
- বিট লবণ
বিটরুট, টমেটো ও পুদিনা পাতা একসাথে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। তারপর লেবুর রস ও বিট লবণ একসাথে মিশিয়ে খেতে হবে।
শিশুদের ক্ষেত্রে বিটরুটের উপকারিতা
শিশুদের ক্ষেত্রে বিটরুট খুবই উপকারী একটি সবজি। বিটরুটে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এবং বিটরুটে ভিটামিন এ, বি, সি, কে এবং ই, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, লৌহ, খনিজ সহ সকল উপাদান আছে। যা বাচ্চাদের জন্য একটি আদর্শ খাবার। বাচ্চাদের নিয়মিত বিটরুট খাওয়ালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
বিটরুটে থাকা এসব উপাদান শিশুর ডায়রিয়া, রাতকানা, বেরিবেরি, রিকেটস, কৌণিক স্টোমাটাইটিস ইত্যাদি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়া বিটরুট শিশুর রক্তস্বল্পতা পূরণে সহায়তা করে। এবং শিশুর হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
তবে শিশুর বয়স এক বছর পার হলে শিশুকে বিটরুট খাওয়ানো যাবে। শিশুর বয়স এক বছর পার হলে শিশুকে নিয়মিত দুই চামচ করে বিটরুট খাওয়ানো যাবে। শিশুকে বিটরুট খাওয়ানোর চার দিনের মধ্যে যদি কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে শিশুকে বিটরুট খাওয়ানো যাবে না। শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াতে হবে।
ত্বকের যত্নে বিটরুটের উপকারিতা
ত্বকের যত্নে বিটরুটের উপকারিতা অনেক। বিটরুটের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি জিংক যা ত্বকের ভেতর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। এবং ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে তুলে। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।
ত্বকের বিভিন্ন বলি রেখা ও বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের ব্রণ, ফুসকুড়ি ও মেছতা সহ বিভিন্ন এলার্জি দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত বিটরুট খাওয়ার ফলে ত্বকের ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা ও লাবণ্যময় করে তুলতে ভূমিকা রাখে।
এছাড়াও বিটরুটে থাকা পুষ্টি উপাদান বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে। ফলে থেকে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে। নিয়মিত প্রতিদিন বিটরুটে জুস বা বিটরুটের পাউডার মিশিয়ে খেলে ভেতর থেকে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
বিটরুট খাওয়ার নিয়ম
বিটরুট প্রধানত শীতকালীন সবজি। তবে বর্তমানে বিটরুট সারা বছরই পাওয়া যায়। বিটরুটে প্রচুর পরিমানে পুষ্টি উপাদান থাকায় এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার। বিটরুট আমরা সারা বছরই যেকোনো হবে বিটরুট খেতে পারি।
তবে বিটরুট সালাদ হিসাবে খাওয়া সবচেয়ে ভালো। অনেকে সব্জির সাথে মিশয়ে রান্না করে বিটরুট খেয়ে থাকে। আবার বিভিন্ন ভাবে জুস বানিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তবে বিটরুটের পাউডার মিশিয়ে খেলে আরো বেশি উপকার পাওয়া যায়।
বিটরুট খাওয়ার অপকারিতা
স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে বিটরুটের জুসের উপকারিতা যেমন অনেক। তেমনই আবার অতিরিক্ত বিটরুট খাওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বিটরুটের অপকারিতা নিচে দেওয়া হল-
- বিটরুট শরীরের জন্য উপকারী হলেও নিয়মিত একটানা খেলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে বিটরুট খাওয়া ক্ষতিকর। কারণ এটি রক্তচাপ আরো কমিয়ে দেয়।
- যাদের অ্যালার্জি সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে বিটরুট খাওয়া উচিত নয়। বিটরুট খেলে ফুসকুরি, চুলকানি, জ্বালাপোড়া সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
- যারা কিডনিতে পাথরের সমস্যায় ভুগছে তাদের করতে বিটরুট খাওয়া যাবে না।
- বিটরুট রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই ডায়াবেটিস থাকলে বিটরুট খাওয়া যাবে না।
- এছাড়াও যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তাদের ক্ষেত্রে বিটরুট খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।
পরিশেষে
বিটরুট পুষ্টিগণে সমৃদ্ধ একটি খাবার। যা যেকোনো কিভাবে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এমনকি শরীরে স্টোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বর্তমানে বিটরুট সারা বছরই পাওয়া যায়। বিটরুট শরীরকে বিভিন্নভাবে রোগমুক্ত করতে সাহায্য করে।
তাই বিটরুটকে সুপারফুড ও বলা হয়ে থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রেও বিটরুট খাওয়া অনেক উপকার। বিটরুটের উপকারিতা খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। নিয়মিত বিভিন্ন তথ্যমূলক আরো পোস্ট পেতে www.jarinonline.com ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url