ঔষধ নয় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে ত্রিফলার রসের উপকারিতা জানুন
jarinonline
৪ মে, ২০২৪
ঔষধ নয় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে ত্রিফলার রসের উপকারিতা জানুন
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ত্রিফলার রস ঘরোয়া উপায়ে প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ ব্যবহার করে আসছে। ফলে ওষুধ ছাড়াই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে ত্রিফলার রসের উপকারিতা অনস্বীকার্য। ত্রিফলার আরো গুনাগুন বিস্তারিত জানুন এই পোস্টে।
ত্রিফলার রস পেটের সমস্যা সমাধানে অনেক উপকারী ভেষজ ঔষধ। এবং ত্রিফলার রস শরীরের আরো অনেক রোগের সমস্যা সমাধান দিতে পারে। ত্রিফলা রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ত্রিফলার বৈশিষ্ট্য ও পুষ্টিগুণ
ত্রিফলা যে তিনটি ফলের সমন্বয় গঠিত তাদের প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য ও গুনাগুন রয়েছে। আমলকি খেতে টক স্বাদের ফল এবং এটি ভিটামিন সি ও এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। হরিতকি একটি তিক্ত ফল যা শরীরকে পরিষ্কার করে এবং ডিটক্সিফাই করে। বিভিটাকি মিষ্টি স্বাদের ফল এবং শ্বাসকষ্টের চিকিৎসায় এটি ব্যবহৃত হয়।
ত্রিফলা একটি নিরাপদ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত ভেষজ ঔষধি গুণ। যা প্রতিদিন খেলে পরিপাকতন্ত্র ভালো থাকে এবং শরীরে ডিটক্সিফিকেশন করে। ত্রিফলার তিনটি ফলেই ট্যানিন, গ্যালিক অ্যাসিড, ইলাজিক অ্যাসিড, চেবুলিনিক অ্যাসিড এবং বেশ কয়েটি রয়েছে।
ত্রিফলার মিশ্রিত উপাদান তিনটি ঔষধি গাছ
ত্রিফলা তিনটি প্রধান ঔষধি উপাদানের মিশ্রণে তৈরি। ত্রি অর্থ তিন আর ফলা অর্থ ফল। অর্থাৎ তিন ফলের মিশ্রণে তৈরি ত্রিফলা। ত্রিফলার তিনটি উপাদান হলো-
হরিতকিঃ হরিতকি টার্মিনালিয়া চেবুলা নামেও পরিচিত। এই গাছের সবুজ ফল ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ত্রিফলার প্রধান ওষুধ হিসাবে এই গাছের ফলই বেশি কাজে লাগে। অনেক রোগের ওষুধ হিসাবে এই ফল ব্যবহার করা হয়। যেমন, হৃদরোগে, পেটের বিভিন্ন অসুখ সারাতে কাজে লাগে। এই ফলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য।
বিভিটাকিঃ বিভিটাকি টার্মিনালিয়া বেলিরিকা নামেও পরিচিত। বিভিটাকি মূলত একটি গাছ এটি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় জন্মে। এই গাছ মূলত ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধক হিসেবে হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি প্রদাহ বিরোধী ঔষধ হিসেবেও পরিচিত। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং ঔষধি গুনাগুন।
এতে আরো রয়েছে গ্যালিক অ্যাসিড ও এলিজিক অ্যাসিড যা ডায়াবেটিস এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। এই গাছ ট্যানিন, Lignes, Flavones ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হয়।
আমলাঃ আমলা সাধারণত ভারতীয় গুজবেরি নামে পরিচিত। এটি প্রাচীনকাল থেকে একটি খাবার ফল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, মিনারেল এবং এমাইনো অ্যাসিড রয়েছে। আমলা প্রাচীনকাল থেকে কোষ্ঠকাঠিন্যের ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এবং এটি ক্যান্সার প্রতিরোধ ব্যবহৃত হয় আমলাতে এমন উপাদান আছে যা ডিম্বাশয় বা সার্ভিকাল ক্যান্সারের কোষ রোধ বা বন্ধ করতে পারে।
ত্রিফলা রসের উপকারিতা
লিভারের সুরক্ষায়ঃ ত্রিফলা লিভারের সুরক্ষায় খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে। লিভারকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। লিভারের অতিরিক্ত বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করে। ত্রিফলা একটি শক্তিশালী লিভার টনিক যা লিভারকে পরিষ্কার করে এবং ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। ত্রিফলা লিভারের রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করে এবং লিভারের নতুন কোষ উৎপাদনে সহায়তা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেঃ ত্রিফলা ভিটামিন সি এর একটি প্রধান উৎস। এই ভিটামিন শরীরের শ্বেত রক্তকণিকা গঠন করতে সাহায্য করে। এবং শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম উন্নত করতে সহায়তা করে। ত্রিফলা একটি প্রাকৃতিক এন্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেঃ কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে ত্রিফলার উপর আর কিছু নাই। ত্রিফলা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় প্রাচীনকাল থেকেই ঘরোয়া চিকিৎসা হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।। যেকোনো খাবারের হজমের সমস্যা ত্রিফলা কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়াও অন্যান্য সমস্যা যেমন, পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথা এবং নিয়মিত মল ত্যাগে সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ পলিফেনাল এবং গলিক অ্যাসিড এই দুটি ত্রিফলার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ত্রিফলা যে সকল ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। যেমন-
পেটের ক্যান্সার
অগ্নাশয়ের ক্যান্সার
মূত্রথলির ক্যান্সার
মলাশয়ের ক্যান্সার
দাঁত ও মুখের সুরক্ষায়ঃ ত্রিফলা একটি ভেষজ ঔষধি গুণ। যা দাঁত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং মুখের ভেতর মাড়ি, জিভা, ও গলার ভিতরে বিভিন্ন সমস্যা দূর করে থাকে। ত্রিফলা একটি প্রাকৃতিক ভেষজ মাউথ ওয়াশ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। যা মুখের দুর্গন্ধ থেকেও রক্ষা করে। এবং ত্রিফলা মুখের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে মুখের ভেতরে পরিষ্কার রাখে।
ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ ত্রিফলা ভেষজ আয়ুর্বেদিক উপাদান যা বিভিন্ন ভাবে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা যায় যে, প্রতি ১০ গ্রাম ত্রিফলার পাউডার ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং খাবারের হজমের পরিধি বজায় রাখে।
টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেঃ টাইপ টু ডায়াবেটিস এগুলো মানুষের শরীরে দীর্ঘস্থায়ী একটি অসুখ। যা কখনো পুরোপুরি নির্মূল হয়ে যাবে না তবে বিভিন্ন উপায়ে ভালো থাকা যায়। ত্রিফলার আমলা এবং বিভটকি এই দুটি উপাদান টা একটু ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুবই জরুরী । এই উপাদানগুলো শরীরের রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসের ফলে নার্ভের সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ ত্রিফলা রক্তনালীর চাপ কমাতে সাহায্য করে। বিভিন্ন মানসিক চাপ, স্ট্রেস সহ বিভিন্ন সমস্যায় ত্রিফলার রস শান্ত রাখতে সাহায্য করে। ত্রিফলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যা একজন রোগীকে শরীরের সার্বিক নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে।
স্ট্রেস কমাতেঃ ত্রিফলা মানসিক চাপ কমাতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ইঁদুরের উপরে এক গবেষণায় দেখা গেছে যে ত্রিফলা এটি ইঁদুরের মানসিক চাপ উল্লেখযোগ্য ভাবে কম করেছে। আরেক গবেষণায় দেখা গেছে যে এটি মনকে খুবই শান্ত করতে সাহায্য করে এবং ঘুমের প্রশান্তি এনে দেয়।
অন্ত্রের প্রদাহ কমাতেঃ প্রাকৃতিকভাবে প্রদাহ কমাতে চাইলে ত্রিফলা খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে। ত্রিফলা তিনটি ফলের মিশ্রণে তৈরি হয় বলে খুবই ভালো কাজ করে। ত্রিফলাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে বলে অন্ত্রের যেকোনো প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
চুলের যত্নে ত্রিফলার ব্যবহার
ত্রিফলা প্রাকৃতিক উপাদান চুল পড়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ত্রিফলা নিয়মিত ব্যবহার করলে পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই চুল পড়া বন্ধ করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এক সমীক্ষায় আরো দেখা গেছে যে, কেউ যদি তিন মাস ধরে প্রতিদিন দুইবার ত্রিফলার পাউডার গ্রহণ করা যায় তাহলে উল্লেখযোগ্য ভাবে চুলের বৃদ্ধি পাবে।
আবার কেউ যদি নিয়মিত আট সপ্তাহ ধরে ত্রিফলার গুঁড়ো খাই তবে তার মাথার খুশকি অনেক আছে কমে যাবে। বেশিরভাগ স্বাস্থ্যকর খাবারের দোকানগুলোতে ত্রিফলার পাউডার পাওয়া যাবে। এটি সাধারণত সকালে ও সন্ধ্যায় দুই বেলা খাওয়া উচিত।
ত্বকের যত্নে ত্রিফলার ব্যবহার
ত্রিফলার পাউডার ত্বকের ব্যবহারে খুবই উপকারী একটি উপাদান। ত্রিফলার পাউডার ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক ঘরোয়া সমাধান দিতে পারে। নিয়মিত ত্রিফলার ব্যবহারের ফলে ত্বকের বলিরেখা দূর হয়। এছাড়াও ত্বকের ব্রণ, অ্যাকজিমা সহ বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
ত্রিফলা ত্বকের ডিটক্সিফাই করার ক্ষমতা রাখে। ত্রিফলার পাউডার ত্বক থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক লাবণ্যময়, উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে ঘরোয়া উপায় হিসেবে ত্রিফলার পাউডার খুবই কার্যকরী। তাই নিয়মিত ত্রিফলা ব্যবহার করলে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বক হয়ে উঠবে লাবণ্যময় উজ্জ্বল।
ত্রিফলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম
পরিমিত পরিমানে খেলেই ত্রিফলা রসে সঠিক উপকারিতা পাওয়া যায়। ত্রিফলা রস খাওয়ার নিয়ম নির্ভর করে কি সমস্যা জন্য খাওয়া হচ্ছে তার উপর। বিভিন্ন সমস্যা জন্য ত্রিফলা রস বিভিন্নভাবে খাওয়া হয়ে থাকে। ত্রিফলার রস খাওয়ার সঠিক নিয়ম দেওয়া হল-
লেবুর সাথে ত্রিফলাঃ ত্রিফলার গুড়া পানির সাথে মিশিয়ে খেতে হবে। তবে অনেকে পানির সাথে মিশিয়ে খেতে যদি সমস্যা হয়। তাহলে পানির সাথে ত্রিফলার গুড়া মিশিয়ে এবং তার সাথে লেবু ও মধু মিশিয়ে খেলে স্বাদ পাওয়া যাবে। তবে এগুলো পরিমাণ খুবই কম ব্যবহার করতে হবে যাতে ত্রিফলার গুনাগুন ঠিক থাকে। এটি রাতে ঘুমানোর আগে খাওয়া যেতে পারে।
ত্রিফলার চাঃ ত্রিফলার গুড়া চা হিসাবে ব্যবহার করা যায়। ত্রিফলার গুড়া গরম পানিতে দিয়ে ফুটিয়ে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়া যায়। এটি সকালে এবং সন্ধ্যায় নিয়মিত চায়ের পরিবর্তে খাওয়া যায়।
ত্রিফলার ক্যাপসুল বা ট্যাবলেটঃ ত্রিফলা গুড়া হিসাবে পানির সাথে মিশিয়ে খেতে অনেকেই অপছন্দ করে। কিন্তু ত্রিফলার উপকারিতা বেশি থাকার ফলে অনেকে এটি ব্যবহার করতে চাই। সে ক্ষেত্রে ত্রিফলার ক্যাপসুল বা ট্যাবলেট হিসেবে খেতে পারবে।
ত্রিফলা ব্যবহারের নিয়ম
হরিতকি, বহেড়া ও আমলকি কাঁচা ফল নিয়ে ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে। বীজগুলো ফেলে দিয়ে তিনটা ফলের সমান করে মিশিয়ে গুড়া করে নিতে হবে। ভালো করে শুকিয়ে গুড়ো করলে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়।
প্রতিদিন সকালে এক চা চামচ ত্রিফলার গুড়া এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে রাতে থেকে পানিটা পান করতে হবে। এভাবে প্রতিদিন রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে পান করলে সকালে সঠিকভাবে পেট পরিষ্কার হয়ে যায়। এবং সারাদিন শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্য খুবই বড় একটি সমস্যা। যারা প্রতিনিয়ত কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভোগে তারা নিয়মিত ত্রিফলার রস খেলে এই সমস্যা দূর হবে। এছাড়াও খাবার নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় দেওয়া হলো-
একটি খাবারে দুইটি প্রোটিন একসাথে করা যাবে না।
হালকা খাবার খেতে হবে এবং নিয়ম করে খাবার খেতে হবে।
পরপর খাবার খাওয়া যাবেনা। কোন কিছু খাবার খাওয়ার অন্তত ৪ ঘন্টা পর আবার খেতে হবে।
প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।
ডায়েট চলাকালীন সময়ে পর্যাপ্ত ফাইবার এবং রাফেজ যুক্ত খাবার আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে।
প্রতিদিনের খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল ও শাকসবজি খেতে হবে।
পাঁচক ভেষজ ব্যবহার করতে হবে। যেমন জিরা, মৌরি, গোলমরিচ ইত্যাদি।
ত্রিফলার অপকারিতা
ত্রিফলার উপকারিতা অনেক বেশি হলেও কিছু ক্ষেত্রে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা মেনে ত্রিফলা খেতে হবে। ত্রিফলার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেওয়া হল-
ত্রিফলা লিভার কোষে থাকা এনজাইমের কার্যকলাপকে বাধা দিতে পারে। এই এনজাইমটি বিভিন্ন ওষুধের বিপাক হিসাবে কাজ করে। তাই ত্রিফলার রসের সাথে অন্য ওষুধ খেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।
ত্রিফলার ভেষজ ঔষধ গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত না
ত্রিফলার রস ডায়াবেটিস রোগীর জন্য যেমন উপকারী। সেক্ষেত্রে যাদের শরীরে সুগারের মাত্রা কম থাকে তাদের জন্য ত্রিফলার রস খাওয়া ক্ষতিকর।
ত্রিফলার রস খাওয়ার পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে অনেক সময় ডায়রিয়া হতে পারে।
পরিশেষে
ত্রিফলা খুবই উপকারী একটি ঔষধ। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে ত্রিফলার রস খুবই উপকারী একটি উপাদান। যারা প্রতিনিয়ত ওষুধ খেয়েও ভালো কোন ফল পাই না। সে ক্ষেত্রে ত্রিফলার রস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই পোস্টের মাধ্যমে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ত্রিফলার রসের উপকারিতা ও কিভাবে খেতে হবে সহ সকল বিষয় জানানোর চেষ্টা করলাম। ত্রিফলার রসে যে ঔষধি গুনাগুন আছে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। নিয়মিত তথ্যমূলক আরো পোস্ট পেতে www.jarinonline.comওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url