রোদে পোড়া ত্বকে জেল্লা ফেরাতে কফি ব্যাবহারের উপকারিতা জানুন
রোদে পোড়া ত্বকে জেল্লা ফেরাতে কফি ব্যাবহারের উপকারিতা জানুন
রোদে পোড়া ত্বকে জেল্লা ফেরাতে কফি ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে
অনেকেই জানেন। ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে কফির ব্যবহার
খুবই উপকারী। ত্বকের যত্নে কফির ব্যবহার সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানবো আমরা
এই পোস্টের মাধ্যমে।
কফিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ
করে। কফিতে থাকা উপাদান গুলো রোদের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে
সাহায্য করে। তাই ত্বকের যত্নে নিয়মিত কফি ব্যবহার ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ করে।
ত্বকের যত্নে কফির ব্যবহার
ত্বকের যত্নে কফিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট খুবই উপকারী। এছাড়াও কফিতে থাকা
এসিড ত্বকের লোমকূপ খুলে দেয়। এতে ত্বকে জমে থাকা ধুলো বালি
পরিষ্কার হয়।ফলে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ হয় এবং ত্বককে
টানটান করতে সাহায্য করে। কফি ত্বকের কোষের পুনঃবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ
করে, কোলাজেন টিস্যুর সংখ্যা বলায় এবং ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে। ত্বকের
যত্নে কফির ব্যবহার দেওয়া হল-
- কফিতে থাকা এন্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং চোখের নিচে কালি দাগ দূর করতে সাহায্য করে। চোখের ডার্ক সার্কেল দূর করতে কফি গুড়ার সঙ্গে, মধু, কয়েক ফোটা ভিটামিন-ই তেল মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে হবে। এই প্যাক চোখের চারপাশে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।
- এক চা চামচ কফি পাউডারের সঙ্গে সামান্য পানি ও এক চা চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর মিশ্রণটি ১০ মিনিট ত্বকে রেখে দিতে হবে। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে তাহলে ত্বকে বয়সের ছাপ দূর হবে।
- ১/৪ চামচ কফি সঙ্গে এক টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি খুব ভালো করে মুখ ও গলায় ত্বকে মেসেজ করতে হবে। পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তারপর ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে।
- কুসুম গরম পানির সঙ্গে কফি মিশাতে হবে। সেই মিশ্রনের পানিতে তুলা ভিজিয়ে চোখের আশেপাশে লাগাতে হবে। তাহলে চোখের ফোলা ভাব কমে যাবে।
- পরিমাণ মতো কফি ও নারিকেলের দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। পরিষ্কার ত্বকে মিশ্রণটি ভালো করে লাগাতে হবে। ভালো করে মেসেজ করে লাগাতে হবে। তারপর আধা ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
- ত্বককে টান টান করতে কফি খুবই কার্যকরী। গরম পানিতে কফি মিশিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর মিশ্রণটি আইস ট্রেতে ঢেলে আই কিউব বানাতে হবে। আইস কিউব কাপড়ে ভালো করে ধরে মুখের চারপাশে চেপে চেপে ধরতে হবে। তাহলে ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
- দুই চামচ কফি সঙ্গে মধু ও এক চামচ হলুদ মিশিয়ে একটি প্যাক বানাতে হবে। তারপর প্যাকটি ভালো করে মুখে লাগাতে হবে। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রতিদিন এই প্যাকটি ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। এই প্যাকটি সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী।
- ২ চা চামচ কফি ও দুই চা চামচ দারুচিনি গুড়ার সঙ্গে মধু ও দুধ মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক বানাতে হবে। এই ফেসপ্যাকটি মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তাহলে ত্বক উজ্জ্বল ও টানটান হবে।
- সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এই ফেসপ্যাকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফেসপ্যাকটি ত্বকের মরা চামড়া দূর করে্ ত্বককে উজ্জল ও টানটান করে। এক চা চামচ ওট্মিলের সঙ্গে এক চামচ কফি ও মধু মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। এবং পেস্টটি মুখে ভালো করে মেসেজ করতে হবে। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- কফির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে ১০-১৫ মিনিট ত্বকে রেখে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে ত্বকের রোদে পোড়া ভাব চলে যাবে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে যেসব খাবার খেতে হবে
রোদের প্রখরতায় ঘুরোঘুরি করে ত্বক পুড়ে যায় । ত্বকের এই পোড়া ভাব
দূর করতে খাবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অনেক খাবার আছে যেগুলো
খেলে ত্বকের পোড়া ভাব দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল মসৃণ ও লাবণ্য মন করে তোলে।
এমন কিছু খাবার হল-
আঙ্গুরঃ রোদের হাত থেকে রক্ষা পেতে আঙ্গুর খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার।
আঙ্গুরের কিছু উপাদান আছে যেগুলো ত্বকের উপর প্রলেপ তৈরি করে। বিশেষ করে আঙ্গুরের থাকা পলিফেনালস প্রতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। রোদের হাত থেকে ত্বককে
বাঁচাতে প্রতিদিন ব্রেকফাস্টে আঙ্গুর খেতে হবে। যেদিন বাইরে কাজের পরিমাণ বেশি থাকবে
সেদিন নিয়ম করে আঙ্গুর খেতে হবে।
কফিঃ প্রতিদিন চার কাপ বা তার একটু বেশি কফি খেলে ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার
আশঙ্কা অনেক কমে যায়। কারণ কফিতে কিছু উপাদান থাকে যেগুলো ত্বককে অতিবেগুনি
রশ্মি থেকে বাঁচায়। বেশি সময় রোদে থাকলে নিয়ম করে কফি খেতে হবে। তবে এই কফিতে
দুধ বা চিনি মেশানো যাবে না। তাহলে তেমন একটা লাভ হবে না।
টমেটোঃ টমেটোতে বহু ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। নিয়মিত টমেটো খেলে
ত্বকের জেল্লা ভাব বজায় থাকে। প্রতিদিন পরিমাণ মতো টমেটো খেলে ত্বকের রোদে পোড়া
ভাব দূর হয়ে যায়।
তরমুজঃ তরমুজে লাইসোপেন নামক উপাদান থাকে। যা ত্বককে শুকিয়ে যেতে দেয়
না, আদ্র রাখে। তরমুজে থাকা এই উপাদানটি ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখে। ফলে ত্বক অতি
গরমেও লাবণ্যময় থাকে।
ত্বকের যত্নে চা ও কফির ব্যবহার
সৌন্দর্য চর্চায় কফি ও চায়ের ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকে হয়ে আসছে। সৌন্দর্য
বৃদ্ধিতে কফি ও চায় ভূমিকা অনেক। এক কাপ চা বা কফি কেবল শরীরকে সতেজ বা চাঙ্গা
করে না। রূপচর্চার ক্ষেত্রেও চা ও কফি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কফিতে থাকা
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভিটামিন, অ্যাসিডিক উপাদান ত্বকের যত্নে
খুবই কার্যকরী।
চা পাতা দিয়ে ত্বকের কালো দাগ, ঠোঁট ফাটা ও চোখের ফোলা ভাব দূর করতে পারে। কফি
দিয়ে ত্বকের জন্য অনেক ভালো স্ক্রাব ও মাস্ক তৈরি করা যায়। চুলের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এবং চুল ভালো রাখতে কফি সাহায্য করে। আবার চা খাওয়ার
পরে টি ব্যাগটি ফেলে না দিয়ে রূপচর্চায় ব্যবহার করা যায়।
আবার চোখের নিচে ফোলা ভাব দূর করতে কফি গুড়ার সঙ্গে পরিমাণ মতো পানি
মিশিয়ে লাগিয়ে রাখতে হবে। তাহলে চোখের নিচে ফোলা ভাব দূর হয়ে যাবে।
এছাড়া চা পাতায় থাকা ট্যানিন চোখে ফোলা ভাব দূর করে। একটি টি ব্যাগ
পানিতে ভিজিয়ে চোখের উপরে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে
ফোলা ভাব দূর হয়ে যাবে।
এছাড়া ত্বকের পোড়া ভাব দূর করতে কফির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে হবে।
১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। ত্বকের রোদে পোড়া দাগ দূর করতে টি ব্যাগ
খুবই ভালো কাজ করে। ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে
হবে। চায়ের করা লিকার তোয়ালে ভিজিয়ে কয়েকবার ত্বকে চেপে ধরতে হবে
তাহলে ত্বকে পোড়া ভাব চলে যাবে।
ত্বকের যত্নে আইস কিউবের ব্যবহার
ত্বক ভালো রাখার জন্য আমাদের চেষ্টা শেষ নাই। ত্বক ভালো রাখতে নানা রকম
ভাবে চেষ্টা করেও অনেক সময় ত্বক ভালো হয়ে ওঠেনা। ত্বকের যত্নে
প্রাকৃতিক উপাদান সবচেয়ে উপযোগী। সব ধরনের ত্বকেই প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার
করা যায়। তেমনিই আমাদের হাতের কাছে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান আইস কিউব। এই
আইস কিউব ব্যবহারে ত্বক দ্রুত উজ্জ্বল হবে এবং ত্বককে নানা ভাবে
ভালো রাখবে।
আইস কিউব বানাতে প্রথমে পরিষ্কার পানি নিতে হবে। পানিগুলো ভালো করে ফুটিয়ে
আইসট্রেতে জমতে দিতে হবে। এর সঙ্গে গোলাপ জল মেশানো যেতে পারে।
আইসট্রেতে জমানো পানি ফ্রিজে রেখে দিলে সেটা আইস কিউবে পরিণত হবে। এই
কিউব ব্যবহার করার আগে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ফেসওয়াশ
দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে তারপর আইস কিউব ব্যবহার করতে হবে।
প্রতিদিন আমরা নানা কাজে বাইরে বের হই। ফলে আমাদের ত্বকে রোদে পোড়া দাগ
তৈরি হয়। নিয়মিত এই আইস কিউব ব্যবহার করলে রোদে পোড়া ভাব চলে যাবে। রোদে পোড়া
ত্বকে স্বাভাবিক আনতে আইস কিউব সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ত্বকের কালো দাগ
দূর করে।
ত্বকের জ্বালা ভাব দূর করতেও আইস কিউব ব্যবহার করা হয়। আবার ত্বকে বিভিন্ন
রকম দেখা সমস্যা দেখা দিলেও তা নিরাময় আইস কিউব ব্যবহার করা হয়। ত্বকের বিভিন্ন কালচে
দাগ দূর করতে আইস কিউব সাহায্য করে। আইস কিউব ব্যবহারে ত্বকের অনেক উপকার
পাওয়া যায়।
আবার ত্বকের অবাঞ্ছিত ছিদ্র দূর করতে সাহায্য করে। ত্বককে ভিতর থেকে ক্লিনিং করে।
যা মুখে জমে থাকা ময়লা দূর করে। এবং ভেতর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে
সাহায্য করে। ত্বকে যে কোন ক্রিম ব্যবহারের পূর্বে আইস কিউব ব্যবহার করে
নিলে বেশি ভালো হয়।
রোদে পোড়া হাত পায়ের যত্নে কফির ব্যবহার
ত্বকের যত্ন নিয়ে কমবেশি সবাই চিন্তিত থাকে। কিন্তু ত্বকের সাথে সাথে হাত পায়ের
যত্ন নিতে হবে। কারণ মুখের চেয়ে হাতে অনেক বেশি রোদ লাগে। ফলে ত্বকের
সাথে হাত পায়ের রোদে পুড়ে কালচে দাগের সৃষ্টি হয়। রোদে পোড়া হাত পায়ের
যত্নে কফির ব্যবহার দেওয়া হল-
- কফি, চিনি ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে একটি প্যাক বানাতে হবে। তারপর গোসলের আগে হাতে পায়ে প্যাকটি লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে গোসল করে নিতে হবে। তারপর একটি ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন এটা ব্যবহার করতে হবে।
- হাত-পায়ের যত্নে সবসময় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। তাহলে হাত-পায়ে কালো পোড়া দাগ থাকবে না। এবং নিয়মিত মশ্চারাইজার ব্যবহার করলে হাত ও পা নরম থাকে।
- বাইরে রোদের তাপে ত্বকের সাথে সাথে হাত-পা পুড়ে কালচে হয়ে যায়। তাই বাইরে বের হওয়ার আগে সানস্কিন ব্যবহার করতে হবে। এবং বাড়িতে এসে কফির প্যাকটি লাগিয়ে গোসল করতে হবে। তাহলে মুখের ত্বকের সাথে হাত ও পা ভালো থাকবে।
- ত্বকের সাথে হাত ও পায়ের নখও খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ নখের যত্ন না নিলে নখ সুন্দর থাকে না। বিভিন্ন সময় ধুলোবালি ব্যবহারের ফলে নখ নষ্ট হয়ে যায় বা ভেঙ্গে যায়। তাই হাত পায়ের সাথে নখেরও যথেষ্ট যত্ন নিতে হবে।
- হাতের যত্ন কফির, মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে একটি মাস্ক তৈরি করে সেটা নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। মাস্কটি ব্যবহারের ফলে হাত ও পায়ের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
ত্বকের যত্নে দই ও টমেটোর ফেসপ্যাক
ত্বকের যত্নে দই ও টমেটোর ফেসপ্যাক ত্বক কে দ্রুত ত্বকের কালো ভাব
কাটিয়ে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। টমেটোতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায়
এর উপাদান গুলো ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
টমেটো রস বের করে দইয়ের সাথে মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক বানাতে হবে। তারপর
প্যাকটি লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট শুকিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
তাহলে ত্বকের বিভিন্ন কালো দাগ, কালচে দাগ দূর হবে। এবং ত্বক উজ্জ্বল
ও মসৃণ হবে।
ত্বকের যত্নে সিরাম এর ব্যবহার
ত্বকে রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার না করে আমরা ঘরে তৈরি করতে পারি
প্রাকৃতিক সিরাম। ঘরে তৈরি প্রাকৃতিক শসার সিরাম ব্যবহার করলে ত্বকের
জ্বালাপোড়া কমে যাবে। এবং রোদে পোড়া ভাব দূর হয়ে যাবে। শসার
সিরাম ত্বকে শীতল রাখতে সাহায্য করে। সিরাম ত্বকের পি এইচ এর মাত্রা
ঠিক রাখে। এবং ত্বককে জ্বালাপোড়া ভাব থেকে রক্ষা করে।
সিরাম বানাতে লাগবে একটি শসা, এলোভেরা জেল, গ্লিসারিন ও আলমন্ড
অয়েল। একটি শসা ছোট করে কেটে পাতলা কাপড়ে করে ছেকে রস বের করে নিতে হবে।
তারপর এর সঙ্গে এক চামচ গ্লিসারিন, এক চামচ এলোভেরা জেল ছেকে ৩-৪ চামচ
আলমন্ড অয়েল দিয়ে ভালো করে মিক্সড করে
নিতে হবে। তারপর একটি কাঁচের বোতলে করে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে।
প্রতি রাতে এই সিরাম ব্যবহার করা যাবে। তবে ব্যবহারের পূর্বে ক্লিনজার দিয়ে
মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর একটি ড্রপারের সাহায্যে মুখে লাগিয়ে হাত
দিয়ে আলতো করে মাসাজ করতে হবে। এভাবে সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করা যাবে। তবে
ব্যবহারের পূর্বে পরীক্ষা করে নিতে হবে যে ত্বকে কোন ধরনের সমস্যা তৈরি
হচ্ছে কিনা।
লেবুর রস, শসা ও গোলাপজলের ফেসপ্যাক
এক চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ শসার রস ও গোলাপজল মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক বানাতে হবে। তারপর মুখে লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। মুখে প্যাকটি শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত প্যাকটি ব্যবহারের ফলে ত্বকে পোড়া ভাব দূর হয়ে যাবে। এবং ত্বক উজ্জ্বল, মসৃণ ও লাবণ্যময় হবে।
তবে লেবুর রস শুধু ব্যবহার করলে ত্বকে জালা ভাব দেখা দিতে পারে। কিন্তু এই ফেসপ্যাকে শসা রস ও গোলাপজল থাকায় এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করলে জ্বালা ভাব থাকবে না। ফেসপ্যাকটি সব ধরনের ত্বকের জন্যই ব্যবহার উপযোগী।
ত্বকের যত্নে সতর্কতা
ত্বকের যত্নে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ ত্বক খুবই সংবেদনশীল ফলে যেকোনো কারণে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই যেকোন উপাদান ব্যবহারের পূর্বে সেটা হাতে বা ঘাড়ে অল্প করে ব্যবহার করে দেখতে হবে। যদি কোন সমস্যা সৃষ্টি না হয় বা ত্বকে কোন এলার্জি বা ফুসকুড়ি না হয়। তাহলে নিরাপদে ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে।
পরিশেষে
ত্বকের যত্নে প্রতিনিয়ত সবাই প্রাকৃতিক উপাদান কেই বেশি পছন্দ করে। কারণ
প্রাকৃতিক উপাদানে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কম থাকে। আর কফি প্রাকৃতিক
উপাদান হওয়ায় ত্বকের জেল্লা ফেরাতে কফি ব্যবহার খুবই প্রচলিত। কফি শুধু
আমাদের শরীরকে সতেজ করেনা। কফি আমাদের ত্বককেও উজ্জ্বল ও লাবণ্যময় করে
তোলে।
কফি ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করতে সাহায্য করে। এবং ত্বককে উজ্জ্বল মসৃণ করে তোলে ভেতর থেকে। কারণ কফিতে থাকা অ্যান্টি-কিছু অক্সিডেন্ট ত্বকের ভেতর থেকে
বিষাক্ত টক্সিন বের করে দেয় যা ত্বকে সুন্দর করতে সাহায্য করে।
আমি তো ত্বকের যত্নে নিয়মিত ঘরোয়া উপায়ে কফির বানানো ফেসপ্যাক ব্যবহার
করি। এই পোস্টের মাধ্যমে কফির ব্যবহার সহ বিস্তারিত সকল বিষয় জেনে রূপচর্চায়
কফি ব্যবহার করতে পারবেন। নিয়মিত এই ধরনের আরো পোস্ট পেতে
www.jarinonline.com ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url