OrdinaryITPostAd

ঔষধ নয় ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভেষজ পাতার গুনাগুন বিস্তারিত জানুন

 ঔষধ নয় ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভেষজ পাতার গুনাগুন বিস্তারিত জানুন

বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু ওষুধ খাওয়ার পরও সুস্থ থাকতে পারছেন না। তাই আর ওষুধ নয় ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভেষজ পাতার গুনাগুন সহ সকল বিষয় বিস্তারিত জানুন এই পোস্টটির মাধ্যমে।

ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভেষজ উপাদান খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তাই ঘরোয়া ভেষজ উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে সুস্থ থাকা যায়। বিভিন্ন ভেষজ উপাদান আছে যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং এসব উপাদানে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে না।

ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ঘরোয়া উপায়

বর্তমান প্রায় বেশিরভাগ মানুষ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা এবং ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে অনেকাংশেই মানুষ এসব রোগে ভুগছেন। রক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যাভ্যাসের উপর জোর দিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ঘরোয়া উপায় অনেক সমাধান পাওয়া যায়। যেমন-

মেথিঃ মেথির স্বাদ তিতা হল এর সাধারণ কারণে স্থুলতা এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। মেথি শরীরে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে গ্লুকোজের মাত্র নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

দারুচিনিঃ দারুচিনি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই কার্যকারী একটি উপাদান। এটি খাবারের পর রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া শরীরের অতিরিক্ত চর্বিত গলাতে এবং মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।।

আদাঃ আদার মধ্যে এন্টি ডায়াবেটিক এবং এন্টিঅক্সিটিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ আদা বিপাক ক্রিয়া বাড়াতে এবং শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমিত পরিমাণে ভেষজ খেতে হবে।

গোলমরিচঃ গোলমরিচ রক্তের শর্করা পরিমাণ কমাতে খুবই উপকারী। গোলমরিচে পাই পারিনি উপাদান রয়েছে যা শরীরে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখে।

গুলঞ্চঃ এই গাছের পাতা শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কারিপাতার গুনাগুন

কারি পাতা শুধু খাবারের শাদি বাড়ায় না নানা ঔষধি গুনাগুন আছে এই ভেষজ পাতার মধ্যে। যা ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মত অসুখ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কারি পাতা কে মিষ্টি নিম পাতাও বলা হয়ে থাকে। এই কারিপাতা বিভিন্নভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

কারি পাতা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চার পাঁচটা ভালো করে ধুয়ে চিবিয়ে খেলে শরীরে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এবং শরীরে শর্করার পরিমাণ বাড়তে দেয় না ফলে ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এই কারি পাতা। এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে তুলসী পাতার গুনাগুন

তুলসী কে ভেষজ রানী বলা হয়। তুলসী পাতা অনেক রোগে মহা ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য। তুলসী পাতা খুবই উপকারী। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

সকালে তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। আবার অনেক সময় মিক্সিং যারে ব্লেন্ড করেও তুলসী পাতা খাওয়া যায়। তবে মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত তুলসী পাতা খাওয়া উচিত নয়।

ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সজনে পাতা গুনাগুন

ডায়াবেটিসে প্রধান সমস্যা রক্তে অতিরিক্ত মাত্রায় সুগারের পরিমাণ থাকা। ফলে শরীরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন চোখ, হার্ট, কিডনি ও স্নায়ুতন্ত্র ইত্যাদি ধীরে ধীরে কর্মকম হারিয়ে ফেলে। সজনে পাতা গুড়া করে নিয়মিত খাওয়ার ফলে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। সজনে পাতা মধ্যে   isothiocyanates নামক একটি বিশেষ উপাদান রয়েছে যা রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক রাখতে ভূমিকা রাখে।

কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের ঔষধ বাদ দিয়ে শুধু সজনে পাতা খেলে হবে না। তবে ওষুধের পাশাপাশি উপাদান সজনে পাতা খেলে শরীর স্বাভাবিক মাত্রায় ঠিক থাকে। তাই ওষুধের পাশাপাশি সজনে পাতা খেলে শরীর সুস্থ থাকবে।

সজনে পাতা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। সজনে পাতা মধ্যে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এবং হার্ট অ্যাটাক ইত্যাদি কমিয়ে ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।

ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ  নিয়ন্ত্রণের আয়ুর্বেদিক ভেষজ

ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের কারণে শরীরে বিভিন্ন ধরনের অসুখের বাসা বাঁধে। যা শরীরকে আস্তে আস্তে অকেজো করে দেয়। এবং সর্বদা অসুস্থ বোধ করে। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আয়ুর্বেদিক ভেষজ গুলো হল-
 
অশ্বগন্ধাঃ শরীরের ডায়াবেটিসের মাত্রা বেশি থাকলে নানা হবে সমস্যা দেখা দেয়। আবার স্ট্রেস বেশি থাকলে ডায়াবেটিস বেড়ে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ অশ্বগন্ধা খুবই উপকারী।

তুলসীঃ রক্তচাপ ঠান্ডা লাগা সহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দূর করতে পারে তুলসী পাতা। এতে রয়েছে ইউজেনল নামক উপাদান যা রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে চেষ্টা করে। তুলসী পাতা চিবিয়ে এবং চা বানিয়েও খাওয়া যায়।

থানকুনি পাতাঃ অনেক ওষুধ তৈরি করতে থানকুনি পাতার রস প্রয়োজন হয়। অল্প পরিমাণে থানকুনি পাতা নিয়মিত খেতে পারলে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

অর্জুনঃ অর্জুন গাছের ছালে রয়েছে আন্টি হাইপারটেনসিভ উপাদান। যা হাইপার টেনশন দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া ভেষজ বিভিন্ন উপাদান শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

নিয়ন্ত্রিত জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে সুস্থ থাকার উপায়

অনিয়ন্তিত জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাসের কারণে নানাভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মত অসুখগুলো আরো বিভিন্ন অসুখের সৃষ্টি করছে। নিয়মিত খাদ্যাভাস ও জীবনধারার উপায় দেওয়া হলো-

বর্তমানে আধুনিক সমাজে। রান্নার সময় না পাওয়া য় বেশিরভাগ সময় বাইরে থেকে খাবার অর্ডার করে খাওয়া হয়। যা স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। বাড়িতে তৈরি রান্না করা খাবার খেলে অনেকটা সুস্থ থাকা যায়।

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পটাশিয়াম যুক্ত খাবার খেতে হবে। যেমন আলু, মিষ্টি্আ‌লু, কলা, মটরশুটি, কিসমিস, টমেটো ইত্যাদি খাবারে অধিক পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে। তাই সুস্থ থাকতে এই খাবারগুলো খেতে হবে।

চকলেট খেতে হলে চকলেটে কোকুল পরিমাণ কতটুকু আছে তা দেখে খেতে হবে। তবে দুটোর বেশি চকলেট খাওয়া যাবে না।

দৈনিক নিয়মিত দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করলে উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস সহ সকল রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এবং শরীরকে সুস্থ থাকবে সাহায্য করে।

মানসিক চাপ বা স্ট্রেস বেশি থাকলে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায়। এবং ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেও মানসিক চাপ বেশি থাকলে ডায়াবেটিস বেড়ে যায়। তাই সব সময় স্টেস ফ্রি থাকার চেষ্টা করতে হবে।

ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যায়াম

ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যায়াম করার উপকারিতা অনেক বেশি। নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীর চর্চা করলে শরীর সুস্থ থাকে। এবং বিভিন্ন অসুখ থেকে শরীরকে সুস্থ রাখা যায়। নিয়মিত প্রতিদিন ব্যায়াম করা ও দৈনিক ১ ঘন্টা নিয়ম করে হাঁটলে ডায়াবেটিস অনেকাংশে নিয়ন্ত্রিত থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে দৌড় বা সাইকেল চালানোর মতো কার্ডিও ব্যায়াম  করা হয়ে থাকে। এ ধরনের ব্যায়াম ফলপ্রুস হলেও এগুলো অনেক পুরনো ব্যায়াম। প্রতিদিন নিয়মিত হাটাহাটি করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করতে হবে।

পরিশেষে

ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভেষজ উপাদান এবং আয়ুর্বেদিক উপাদান সহ সকল বিষয় কার্যকর ভূমিকা রাখে। এগুলোর সাথে নিজেকে সর্বদা নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস ও জীবনধারা এগুলোর মাধ্যমে সুস্থ থাকার চেষ্টা করতে হবে। এবং প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করতে হবে।

আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের নিয়ন্ত্রণে ভেষজ উপাদানের সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। নিয়মিত তথ্য হলো বিভিন্ন পোস্ট পেতে www.jarinonline.com ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url