গর্ভাবস্থায় পাকা আম খাওয়ার উপকারিতা - আম খেলে কি গ্যাস হয়
jarinonline
৮ মে, ২০২৪
গর্ভাবস্থায় পাকা আম খাওয়ার উপকারিতা - আম খেলে কি গ্যাস হয়
গর্ভাবস্থায় পাকা আম খাওয়ার উপকারিতা অনেক। অনেকে কাঁচা আম খেতেও
পছন্দ করে। তবে গর্ভাবস্থায় আম খাওয়ার উপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম
ও আম খেলে গ্যাস হয় সকল বিষয় বিস্তারিত জানতে পারবো এই পোস্টের মাধ্যমে।
আম গ্রীষ্মকালীন একটি ফল। এবং হাতের নাগালে সকলের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই
পাওয়া যায়। তাই সব শ্রেণীর মানুষই আম খেতে পারে। পাকা আম স্বাস্থ্যের
জন্য যেমন উপকার, কাঁচা আমেও অনেক উপকার আছে।
আমের পুষ্টিগুণ ও উপাদান
আমে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি
ফল। আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ আছে। আরো আছে প্রি বায়োটিক ফাইবার এবং
বিটা-ক্যারোটিন, আলফা এর মত আরো অনেক উপাদান। প্রতি ১০০ গ্রাম আমের পুষ্টি উপাদান
গুলোর তালিকা দেওয়া হল-
পটাশিয়াম - ১৫৬ মিলিগ্রাম
কপার - ০.১১০ মিলিগ্রাম
প্রোটিন - ০.৫ গ্রাম
ক্যালসিয়াম - ১০ গ্রাম
শক্তি - ৭০ ক্যালরি
আয়রন - ০.১৩ মিলিগ্রাম
ম্যাঙ্গানিজ - ০.০০২৭ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম - 2 মিলিগ্রাম
ভিটামিন এ - ৭৬৫IU
ভিটামিন সি - ২৭.৭ মিলিগ্রাম
ভিটামিন ই - ১.১২ মিলিগ্রাম
ডায়েটরি ফাইবার - ১.৮০ গ্রাম
মোট ফ্যাট - ০.২৭ গ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম - ৯ মিলিগ্রাম
কার্বোহাইড্রেট - ১৭ গ্রাম
পাকা আমের উপকারিতা
পাকা আম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আম যেহেতু সারা বছর পাওয়া যায়
না। সে ক্ষেত্রে আমের পুষ্টি আমরা খুব অল্প সময়ের জন্য পেয়ে থাকি।
তাই পরিমাণ মতো পাকা আম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এবং শরীরে বিভিন্ন রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে।
ত্বকের যত্নেঃ পাকা আমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা ত্বককে ভেতর
থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও লাবণ্যময় করে তোলে।
চোখের যত্নেঃ আমরা সকলেই জানি ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই উপকারী। আর আম ভিটামিন এ এর একটি ভালো উৎস। তাই আম খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।
এবং চোখে ছানি পড়া রোধে সাহায্য করে।
হজমের সাহায্য করেঃ পাকা আম একটি আঁশযুক্ত খাবার যা হজমে সাহায্য করে।
এছাড়াও পাকা আম ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য
করে। নিয়ম করে পাকা আম খেলে পেট পরিষ্কার করে এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
হিট-স্ট্রোক প্রতিরোধেঃ আম খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। আম শরীরের অতিরিক্ত গরম
কে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ফলে আম খেলে হিট-স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কম
থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেঃ আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। আমে অনেক
উপাদান রয়েছে যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ফলে শরীর সুস্থ
থাকে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতেঃ আমে থাকা ভিটামিন মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে।
পাকা আম মেমোরি বুস্টার হিসেবে কাজ করে।
বডিস্ক্যাব তৈরিতেঃ আম শুধু খাওয়ার কাজে নয় রূপচর্চায় অনেক কাজে লাগে।
পাকা আম দিয়ে বডিতে ও ত্বকে স্ক্যাব হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
ওজন কমাতেঃ আম খুবই পুষ্টিকর খাবার হিসেবে পরিচিত। তাই আম খেলে অন্য
কোন খাবারের প্রয়োজন হয় না। সে ক্ষেত্রে আম খেয়ে পুষ্টির চাহিদা পুরন করা
যাই বলে। অন্যান্য খাবার যেমন, স্যান্ডউইচ, বার্গার জাতীয় রিচ খাবার
এড়িয়ে চলা যায়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
কাঁচা আমের উপকারিতা
আম খুবই উপকারী একটি ফল। পাকা ও কাঁচা দুই ভাবেই আমের উপকারিতা অনেক বেশি।
কাঁচা আম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। শরীরের কর্মদক্ষতা ফেরাতে কাঁচা আম
সাহায্য করে। কাঁচা আমের আরও উপকারিতা দেওয়া হল-
কাঁচা আমে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ফোলেট, ফাইবার
থাকে। কাঁচা আমের উপাদানগুলো শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। শরীরে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
কাঁচা আম খেতে খুবই সুস্বাদু একটি ফল। কাঁচা আম খেলে শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য
করে।
কাঁচা আমে অনেক উপাদান থাকে যেগুলোতে ঔষধি গুনাগুন থাকাই শরীরকে অনেক
রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
কাঁচা আমের ভিটামিন, আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকায় কাঁচা আম শরীরকে নানাভাবে সুস্থ
রাখতে সাহায্য করে।
কাঁচা আম শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই অতিরিক্ত গরমে কাঁচা আম খেলে
শরীরে স্বস্তি আসে।
আম খাওয়ার নিয়ম
আম খুবই পরিচিত একটি ফল। গ্রীষ্মকালে আম পাওয়া যায়। এ সময় অতিরিক্ত গরম থাকে
এবং এ সময় আম পাকে বা খাওয়ার উপযোগী হয়। এ সময় অতিরিক্ত আম খেলে বা
সময় মত না খেলে শরীরে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই নিয়ম করে আম খেতে
হয়। আম সকালে নাস্তার পরে ও দুপুরে খাবার পরে খাওয়া ভালো।
সাধারণত আম কখনো দইয়ের সাথে খাওয়া উচিত না। কিন্তু অনেকেই দইয়ের সাথে
আম খেতে পছন্দ করে। আবার বাজার থেকে আম কিনে আনার পর সেটা অনেক ভালো করে
ধুয়ে নিতে হবে। এখন বাজারে আম পাকানোর জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে
আম পাকায়।
তাই আম কিনে আনার পর অবশ্যই হালকা গরম পানিতে আম ধুয়ে নিতে হবে। তাহলে আম
কিছুটা হলেও রাসায়নিক মুক্ত হবে। আবার আম খাওয়ার পর পানি খাওয়া
যাবে না। কিছুটা সময় পরে বা অন্য কোন খাবার খাওয়ার পরে পানি খেতে হবে।
গর্ভাবস্থায় পাকা আম খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় আম খাওয়া শরীরের জন্য অনেক উপকার। কারণ গর্ভাবস্থায় শরীরে
অতিরিক্ত পুষ্টির প্রয়োজন হয়। তাই এ সময় অনেক খাবার খাওয়া গেলেও সব খবরই
পরিমিত খেতে হবে এবং সাবধানতা অবলম্বন করে খেতে হবে। আম খুবই পুষ্টিকর
একটি ফল। গর্ভাবস্থায় আম খাওয়া ভালো। কিন্তু সাবধানতা অবলম্বন করে
খেতে হবে।
গর্ভাবস্থায় আম খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। গর্ভাবস্থায় আম খেলে পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। এবং আম শরীরে আয়রনের চাহিদা পূরণ
করতে সাহায্য করে। আম খেলে গর্ভের বাচ্চা গঠন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। আম বাচ্চার
মেধাবিকাশে সাহায্য করে।
আমে থাকা ফলিক এসিড বাচ্চা ও মায়ের দুজনেরই অনেক উপকার করে। বাচ্চার গঠন
প্রণালী বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আমে থাকা ভিটামিন
এ, পটাশিয়াম, আয়রন সকল উপাদান গর্ভের বাচ্চা ও
মায়ের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
তবে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত আম খাওয়া থেকে সাবধান থাকতে হবে। অনেকের
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে আম খাওয়া যাবে না। আবার অতিরিক্ত আম
খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার অতিরিক্ত আম খেলে শরীরে অস্বস্তি
ভাব দেখা দিতে পারে। ফলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। গর্ভবতী মা অস্থির বোধ করে।
গর্ভাবস্থায় যে সকল ফল উপকারি
গর্ভাবস্থায় সব ধরনের ফল খাওয়া যায়। এ সময় কোন রকমের ডায়েট চিন্তা থাকে
না। ফলে যা ইচ্ছা এই সময় সবই খাওয়া যায়। গর্ভাবস্থায় সকল নারীর
জন্য একটি সেরা সময়। এই সময় জীবনের অনেক ভালো-মন্দ অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে।
গর্ভাবস্থায় সকল আশেপাশের মানুষ যেন অনেক আপন হয়ে যায়। ছোট ছোট
অনুভূতিগুলো কাজ করে। তবে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পুষ্টি
চাহিদা পূরণের জন্য ফল সবচেয়ে উপকারী মাধ্যম। কিছু উপকারী ফলের নাম
দেওয়া হলো-
পেয়ারাঃ দেশি ফলের মধ্যে পেয়ারা খুবই উপকারী একটি ফল। যা সারা
বছর হাতের নাগালে পাওয়া যায়। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা
চারটি আপেল বা চারটি কমলা একসাথে খেলেও এর সমপরিমাণ ভিটামিন হবে না। তাই
গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়া খুবই উপকারী। তবে সকালের দিকে রোদ থাকা
অবস্থায় পেয়ারা খাওয়া ভালো।
কলাঃ গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। কলাতে
প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম আয়রন থাকে। তাছাড়া কলাতে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। যা
গর্ভাবস্থায় পানির ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। প্রতিদিন নিয়মিত একটি করে হল কলা
খেতে হবে। যা গর্ভে বাচ্চা ও মা দুজনকেই সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
আর এই ফল ফল সারা বছরই হাতের নাগালে পাওয়া যায়।
কমলাঃ কমলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি ও ফলিক এসিড। যা ভ্রুনের
মস্তিষ্ক ও মেরুদন্ড গঠনে সাহায্য করে থাকে। কমলা খেলে গর্ভবতী মা ও বাচ্চা
দুজনেরই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
আপেলঃ গর্ভাবস্থায় আপেল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। গর্ব
অবস্থায় আপেল খেলে বাচ্চা এজমা ও এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তাছাড়া
আপেলে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। যা গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের অভাব দূর
করে।
কিউঃ এ ফলে ভিটামিন এ ও ই, ফাইবার, ফলিক এসিড, এবং
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কিউ
ফল খেলে গর্ভাবস্থায় হার্টের জন্য ভালো কাজ করে। রক্তে কোলেস্টেরলের
মাত্রা ঠিক রাখে। এবং ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
রাতে আম খাওয়ার অপকারিতা
রাতে আম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। রাতে আম খেলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা
দেখা দিতে পারে। পুষ্টিবিদের মতে, রাতে আম খাওয়া মোটেও উচিত
না। রাতে আম খেলে শরীরে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে ডায়াবেটিস
রোগীদের ক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। আবার রাতে আম খেলে হজম শক্তিতে
সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে সে ক্ষেত্রে রাতে আম খেলে
সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আম খেলে কি গ্যাস হয়
বেশি আম খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা হয়। অতিরিক্ত বা অনিয়ম করে আম খেলে পেটে
নানা রকম সমস্যা হতে পারে। যাদের গ্যাসের বা এসিডিটির সমস্যায় বেশি ভোগে তাদের
জন্য আম খেলে বেশি সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে তারা আম থেকে দূরে থাকলে
সুস্থ থাকবে।
কারণ আমে সুক্রজ, ল্যাকটোজ ইত্যাদির পরিমাণ বেশি থাকে। সে
ক্ষেত্রে ৩-৪ টি আম খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। তাই আমের সময় হলেই
যে প্রচুর আম খেতে হবে তা ঠিক নয়। শরীর সুস্থ কথা চিন্তা করেই আম খেতে
হবে।
পেট ভালো রাখতে চাইলে নিয়ম মেনে আম খেতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী
আম খেতে হবে। খালি পেটে আম খাওয়া ঠিক না। সব সময় ভরা পেটে আম খাওয়ার চেষ্টা
করতে হবে। আম খাওয়ার পূর্বে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এবং মনে রাখতে হবে, দুধ
কিংবা দইয়ের সাথে আম খাওয়া যাবে না।
আম খাওয়ার অপকারিতা
আম খাওয়ার কিছু অপকারিতও রয়েছে। কোন খবরই অতিরিক্ত খাওয়া বা
অসময়ে খেলে তার ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দেয়। তেমন আম খেলোও
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আম খাওয়ার কিছু অপকারিতা দেওয়া হল-
কিডনি রোগীদের জন্য আম খাওয়া ক্ষতিকর। কিডনি রোগী আম খেলে শরীরে বিভিন্ন
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এজন্য এই রোগীকে আম খাওয়া থেকে
সতর্ক থাকতে হবে।
আম গ্রীষ্মকালীন একটি ফল। তাই আম যখন পাকে সে সময় প্রচুর গরম থাকে। এই কারণে
অতিরিক্ত পরিমাণে আম খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যাদের অ্যাজমা বা হাঁপানীর সমস্যা আছে। তাদের ক্ষেত্রে আম খেলে হাঁপানি
সমস্যা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আম খেলে শরীরে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের
আম খেলে ডায়াবেটিসের পরিমাণ বেড়ে যাবে।
অতিরিক্ত আম খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমে শর্করার
পরিমাণ অনেক বেশি থাকায় আম খেলে ওজন বেড়ে । আর পাকা আম বেশি পরিমাণে
খেলে একটু বেশি ঘুমের বেশি হয়। বলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
পরিশেষে
গর্ভাবস্থায় আম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকার। গর্ভাবস্থায় সকল ফল খাওয়ায়
ভালো। কিন্তু সবকিছু ই পরিমাণ মতো খেতে হবে। পরিমাণের অতিরিক্ত হলে
সেটা হিতে বিপরীত হয়ে যায়। তাই গর্ভাবস্থায় আম বা অন্য যেকোন
ফল খাওয়ার পূর্বে সতর্কতা অবলম্বন করে খেতে হবে। এবং খাওয়ার পূর্বে ফল
ভালো করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
সব বয়সের মানুষই আম খেতে পারে। শিশুদের জন্য আম খুবই উপকারী একটি ফল।
নিয়ম করে খাওয়ালে শিশুদের শারীরিক গঠন ও বৃদ্ধি ভালো হয়। এবং মেধার বিকাশে
আম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আম খাওয়ার উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় আম
খাওয়ার উপকারিতা সহ সকল বিষয় বিস্তারিত এই পোস্টের মাধ্যমে
জানানোর চেষ্টা করলাম। বিভিন্ন রকম তথ্যমূলক পোস্ট পেতে নিয়মিত
www.jarinonline.com ওয়েবসাইটটি
ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url