OrdinaryITPostAd

ঘরোয়া উপায়ে জন্ডিস নিরাময়ের উপায় - জন্ডিস নিরাময়ে আখের রসের উপকারিতা

 ঘরোয়া উপায়ে জন্ডিস নিরাময়ের উপায় - জন্ডিস নিরাময়ে আখের রসের উপকারিতা

ঘরোয়া উপায়ে জন্ডিস নিরাময়ের বিষয়ে অনেকেই জানতে চায়। কারণ জন্ডিস ওষুধ সেবনের থেকে ঘরোয়া চিকিৎসায় ভালো হয়। তাই ঘরোয়া উপায়ে জন্ডিস নিরাময়ের উপায় এবং জন্ডিস নিরাময়ে আখের রসের উপকারিতাসহ আরোও বিস্তারিত জানতে পারবেন এই পোষ্টের মাধ্যমে।

জন্ডিস লিভারের একটি মারাত্মক অসুখ। জন্ডিস হলে লিভার তার কর্ম ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ফলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। যা একজন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে। এবং জন্ডিসের খাবার শক্তি হারিয়ে যায় ফলে রোগী দ্রুত অসুস্থ হয়ে যায়।

জন্ডিস কি

লিভার শরীরে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। শরীরের সার্বিক শক্তি যোগাতে লিভার সাহায্যে করে থাকে। কিন্তু লিভারে কোন জটিল সমস্যা দেখা দিলে লিভার আর কাজ করতে পারে না। লিভার শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয়। কিন্তু লিভার যখন ক্ষতিকারক পদার্থ বের করতে পারে না। তখন লিভারে এগুলো জমা হয়ে বিলিরুবিন তৈরি করে। ফলে তার থেকেই জন্ডিসের সৃষ্টি হয়। একেই বলে জন্ডিস। জন্ডিস লিভারের একটি অসুখ। লিভার থেকেই জন্ডিসের সূত্রপাত হয়। 

শরীরে লোহিত রক্তকণিকা ভেঙে বিলুরুবিন তৈরি হয়। বিলুরুবিন হলুদ কালারের হয়ে থাকে।বিলুরুবিন সব মানুষে শরীরেই থাকে। খাদ্য হজম প্রক্রিয়া চলার সময় বিলুরুবিন শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু বিলুরুবিন কোন কারনে শরীর থেকে বের না হয়ে রক্তে জমা হতে থাকলে। সেই থেকে জন্ডিসের সৃষ্টি হয়। হেপাটাইটিস ভাইরাসের কারণে জন্ডিস হয়।

জন্ডিস হওয়ার কারণ

রক্তে বিলুরুবিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে জন্ডিস হয়। তবে বেশ কয়েকটি কারণে রক্তে বিলুরুবিনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। রক্তে বিলুরুবিন মাত্রা বেড়ে যাওয়াকে  হাইপারবিলুরুবিনেমিয়া  বলে। রক্তে বিলুরুবিন বেড়ে জন্ডিস হওয়ার কয়েকটি কারণ দেওয়া হলো-
  • বিভিন্ন বাইরের জনিত আক্রমণের ফলে জন্ডিস হতে পারে। যেমন হেপাটাইটিস এ, হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি।
  • অতিরিক্ত অ্যালকোহল বা মাদক সেবনের ফলে জন্ডিস হয়।
  • অটোইমিউন ডিসঅর্ডার বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিজের শরীরের বিরুদ্ধে কাজ করলে।
  • বিরল জেনেটিক রোগের মাধ্যমে।
  • কিছু ওষুধের কারণে জন্ডিস হয়। যেমনঃ এসিটামিনফেন, পেনিসিলিন, অরাল কন্ট্রাসেপটিভ, ইস্টজেনিক বা অ্যানাবলিক স্টেরয়েড ইত্যাদি।
  • পিত্তথলিতে পাথর হলে।
  • অগ্ন্যাশয়ে টিউমার হলে।
  • লিভার সিরোসিস রোগ হলে।
  • হিমলাইটিক অ্যানিমিয়া রোগ হলে।

জন্ডিসের লক্ষণ

জন্ডিস  লিভারের খুবই ক্ষতিকারক একটি আসুখ। লিভারে জন্ডিসের ফলে শরীরে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় জন্ডিসের প্রভাবে খাবার খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। শরীরে জন্ডিস হলে কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। জন্ডিসের কিছু লক্ষণসমূহ দেওয়া হলো-

  • শরীরের ত্বক এবং চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া ও চেহারা দেখতে ফ্যাকাশে লাগা। এই উপসর্গ গুলো জন্ডিসের প্রধান লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়।
  • প্রসবের সময় অতিরিক্ত বিলুরুবিন যাওয়ার ফলে প্রসবের রং গারো হলুদ বা কমলা রঙের মতো হয়ে যায়।
  • জন্ডিস হলে শরীর খুব ক্লান্ত লাগে। কাজ করা শক্তি থাকে না।
  • জন্ডিস হলে পেটে ব্যথা হয়। তবে তলপেটে ব্যথা শুরু হয়। তলপেটে ব্যথা জন্ডিস রোগীর খুবই মারাত্মক লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। এরকম লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে হবে।
  • জন্ডিস হলে খাবারে কোন রুচি থাকে না। ক্ষুধা মন্দা দেখা যায় হলে পিত্তরস উৎপাদন কমে যায় এবং খাবার হজম করতে পারে না। ফলে শরীরের ওজন দ্রুত কমে যায়।
  • জন্ডিসের কারণে খাবার হজমে ব্যাঘাত ঘটায় বমি হয়। লিভার সঠিকভাবে কাজ করতে না পারায় বমি হয়।
  • শরীরে জ্বর আসা জন্ডিসের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। এ সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে শরীর ঠিকঠাক কাজ করতে পারে না। ফলে অতিরিক্ত জ্বর আসে।
  • অনেক সময় জন্ডিস হলে শরীরে চুলকানি হয়। এটি জন্ডিসের অন্যতম লক্ষণ।
  • জন্ডিসে পিত্তথলি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। হলে পিত্ত রস তৈরি করতে পারে না বলে ক্ষুদা মন্দা দেখা দেয়।
  • মলের রং ফ্যাকাসে হয়ে যায়। কারণ জন্ডিস হলে লিভার স্বাভাবিক কাজ করতে পারে না হলে বিলিরুবিন উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে। তাই এ সময় মলের রং ফ্যাকাশে হয়।

জন্ডিস হলে যা যা করতে হবে

জন্ডিস খুবই মারাত্মক একটি রোগ। তবে সময়মতো  নিয়ম নীতি মেনে ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চললে জন্ডিস ভালো হয়ে যায়। জন্ডিসের করণীয় কিছু নিয়ম দেওয়া হল-
  • বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।
  • জন্ডিস হলে পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে।
  • প্রচুর তরল পানীয় পান করতে হবে
  • নরম ও পাতলা জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে।
  • বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে কারণ পানির মাধ্যমে হেপাটাইটিস এ ও ই ছড়ায়।
  • জন্ডিস আক্রান্ত রোগীকে বাইরের খাবার খাওয়া যাবেনা।
  • অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • শরীরে রক্ত নেওয়ার প্রয়োজন পড়লে নতুন সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে।
  • নিয়মিত চিকিৎসকের চেকআপে থাকতে হবে।
  • নিয়মিত বিলুরুবিন লিরুবি পরীক্ষা করতে হবে।

ঘরোয়া উপায়ে জন্ডিসের চিকিৎসা

 জন্ডিস ঘরোয়া চিকিৎসাতে বেশি ভালো হয়। জন্ডিসের ওষুধ কম খাওয়ায় ভালো।। সেই ক্ষেত্রে ঘরোয়া চিকিৎসা গুলো বৈজ্ঞানিক সম্মত হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জন্ডিসের চিকিৎসায় ঘরোয়া উপায় গুলো দেওয়া হল-

আখের রসঃ দিনে কয়েকবার আখের রস খেতে হবে। এটি আমরা দেশের বেশ সহজলভ্য একটি খাবার। এবং জন্ডিসের চিকিৎসায় খুবই কার্যকরী একটি খাবার। তবে বাড়িতে আখের রস বানিয়ে খাওয়া ভালো।

টমেটো রসঃ শীতকালে টমেটো আমাদের দেশে খুবই সহজে পাওয়া যায়। টমেটো রসে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপেন থাকায়। এটি রক্ত বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে।

ঘোলঃ জন্ডিস রোগীর জন্য ঘোল খুবই উপকারী একটি পানীয়। ঘোলের সাথে সামান্য পরিমাণ গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে বেশি ভালো কাজ করে।

পেপে পাতাঃ পেপে পাতায় পাপাইন নামক এনজাইম থাকায় এটি জন্ডিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। পেপে পাতা ভালো করে ধুয়ে ছেচে নিতে হবে। তারপর মধু মিশিয়ে পেস্ট করে খেতে হবে।

কালোজিরাঃ কালোজিরা এমন একটি উপাদান যাকে সর্ব রোগের ওষুধ বলা হয়ে থাকে। কালোজিরায় থাকা উপাদান জন্ডিস নিরাময় সাহায্য করে।

পুদিনা পাতাঃ পুদিনা চা জন্ডি স রোগীর জন্য খুবই উপকারী। প্রাচীনকাল থেকেই জন্ডিস নিরাময় পুদিনা চা ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও পুদিনা পাতার রস মধু দিয়ে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।

মুলার জুসঃ মূলা এবং মুলার পাতার জুস জন্ডিসের জন্য খুবই উপকারী।মুলা এবং মুলার পাতা ভালো করে ছেচে রস বের করে খেলে জন্ডিস রোগ ভালো হয়ে যায়। এছাড়াও মূলা ও মুলার পাতা রস পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে

ছাগলের দুধঃ ছাগলের দুধ প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি প্রধান আছে।। ছাগলের দুধে থাকা অ্যান্টিবডি জন্ডিস  নিরাময়ে সাহায্য করে। এক কাপ ছাগলের দুধ জন্ডিস রোগীর জন্য খুবই উপকারী।

লেবুর শরবতঃ লেবুর রসে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা লিভার কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন তিন থেকে চার গ্লাস লেবুর শরবতের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে জন্ডিস অনেকটা ভালো হয়ে যায়।

দইঃ প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ দই রক্তে বিলিরুবিন কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অল্প করে জন্ডিস রোগের জন্য ওষুধের মত কাজ করে।

জন্ডিস রোগীর খাবার তালিকা

জন্ডিস রোগী সব ধরনের খাবারই খেতে পারবে। তবে কিছু কিছু খাবার এড়িয়ে চলায় ভালো। খাবার ও সঠিকভাবে চলাফেরা নিয়ন্ত্রণে থাকলে জন্ডিস দ্রুত ভালো হয়ে যায়। তেলজাতীয় বাইরের ভাজাপোড়া, গরুর মাংস, খাসির মাংস, বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড, চর্বি জাতীয় খাবার ইত্যাদি না খাওয়াই ভালো। এগুলো এড়িয়ে চললে তাড়াতাড়ি সুস্থ থাকা যাবে।

জন্ডিস রোগীর সবথেকে ভালো খাবার তরল জাতীয় খাবার। বিভিন্ন প্রকার তরল জাতীয় খাবার যেমন বিভিন্ন ফলের শরবত, নরম খাবার, পানি, মাছ, মুরগি বিভিন্ন শাকসবজি ইত্যাদি খাবার জন্ডিস রোগীর জন্য খাওয়া খুবই ভালো। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

এছাড়াও জন্ডিস রোগীর প্রধান ওষুধের মত কাজ করে সেটা হল অধিক সময় বিশ্রাম নেওয়া। এবং রোদে বাইরে বের না হওয়া। সব সময় ছায়াযুক্ত এখানে থাকতে হবে। নিয়মিত গোসল করতে হবে। আর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে থাকতে হবে।

জন্ডিস নিরাময়ে আখের রসের উপকারিতা

জন্ডিস নিরাময় আখের রস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। জন্ডিস রোগীকে  নিয়মিত আখের রস খাওয়ালে জন্ডিস অনেকাংশে ভালো হয়ে যায়। আখের রসের প্রচুর পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট আছে। যা শরীরের ভেতর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

শরীরের অত্যাধিক তাপমাত্রা বের করতেও আখের রস খুবই উপকারী। আখের রস খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। আখের রস মিষ্টি জাতীয় হলেও আখের রসে সুগারের পরিমাণ কম থাকে। ফলে ডায়াবেটিস রোগীরাও পরিমান মত আখের রস খেতে পারে।

আখের রসের সাথে লেবু এবং এক চিমটি লবণ মিস করে দিলে শরবতের স্বাদ অনেকটা বেড়ে যায়। ফলে রোগীরা অনেক সময় খেতে না চাইলেও খেতে ভালো লাগবে। আখের রস জন্ডিসের জন্য অনেক উপকার এবং হজমে সহায়তা করে।

জন্ডিসে কি কি জটিলতা দেখা দিতে পারে

জন্ডিসকে  হালকা করে দেখার কিছু নাই। জন্ডিস একটি জটিল সমস্যার আকার ধারণ করতে পারে। জন্ডিসের জটিলতা বয়স, নারী-পুরুষ ইত্যাদি ভেদে নির্ভর করে। সঠিক সময়ে জন্ডিসের সঠিক চিকিৎসা না হলে পরবর্তীতে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। জন্ডিসে যে যে সমস্যা হতে পারে তা দেওয়া হলো-

প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেঃ
  • রক্তক্ষরণ হতে পারে।
  • লিভার বা যকৃত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
  • কিডনি ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে।
  • ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
  • পেট ফুলে যেতে পারে।
  • পেটে তীব্র ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
শিশুদের ক্ষেত্রেঃ
  • মস্তিষ্ক বিকল্প হয়ে যেতে পারে।
  • জ্বর ও বমি হতে পারে।
  • ঘাড়ের পিছনে ও পিঠে ব্যথা হতে পারে।
  • হাঁটাচলা করতে কষ্টকর হয়ে পড়ে।
  • খুব জোরে চিৎকার করে কান্নাকাটি করতে থাকে।

নবজাতক শিশুদের ক্ষেত্রে জন্ডিসের হার

জন্মের পর নবজাতকের সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও প্রায় ৭০ থেকে ৮০ভাগ নবজাতকের জন্ডিস হয়। এটাকে নবজাতকের ফিজিওক্যাল জন্ডিস বলা হয়ে থাকে। কারণ নবজাতকের জন্মের দুই সপ্তাহের মধ্যে এমনিতেই সেরে যায়। আর ৫০ শতাংশ নবজাতকেরই এই জন্ডিস হয়।
কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে দু সপ্তাহের বেশি নবজাতকের জন্ডিস ভালো হয়না। সেই ক্ষেত্রে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ নবজাতকের জন্ডিস হলে সেটা মস্তিষ্কের ক্ষতি করে থাকে। যা নবজাতকের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হতে পারে। এজন্য সাবধানে খেয়াল রাখতে হবে।

পরিশেষে

জন্ডিস  একটি মারাত্মক লিভারের সমস্যা জনিত অসুখ। ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসার ফলে জন্ডিস ভালো হয়ে যায়। জন্ডিস শরীরে বিলুরুবিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ফলে জন্ডিস রোগীর শরীর হলদেটে ভাব হয়ে যায়। প্রতিটা মানুষের শরীরে বিলেরুবিন থাকে কিন্তু এর মাত্রা যখন বেশি হয়ে যায় তখনই জন্ডিস হয়।

জন্ডিসের ফলে লিভারের কার্যক্ষমতা কম হয়ে যায়। লিভার সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। আবার পিত্তরসে সমস্যা হয় বলে সঠিকভাবে হজম প্রক্রিয়া ঠিক থাকে না। যা জন্ডিস রোগীর মারাত্মক ক্ষতিকর। জন্মের পর নবজাতকের ফ্রিজিওকাল জন্ডিস হয়ে থাকে। যা দু সপ্তাহে মধ্যে ভালো হয়ে যায়।

নবজাতকের জন্মের পর প্রতিদিন সূর্য ওঠার সময় যে রোদ হয় সেটা বাচ্চার গায়ে ধরলে আস্তে আস্তে জন্ডিসের সেই প্রকোপটা সেরে যায়। বিভিন্ন তথ্য মূলক পোস্ট পেত www.jarinonline.com ওয়েবসাইটটি  ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url