OrdinaryITPostAd

মানসিক শক্তি বৃদ্ধির কৌশল - অতিরিক্ত চিন্তা থেকে বাঁচার উপায়

 মানসিক শক্তি বৃদ্ধির কৌশল - অতিরিক্ত চিন্তা থেকে বাঁচার উপায়

অনেকেই মানসিকভাবে নানা সমস্যায় ভুগে কিন্তু সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় খুঁজে পাই না। তাই মানসিক শক্তি বৃদ্ধির কৌশল এবং অতিরিক্ত চিন্তা থেকে বাঁচার উপায় সহ সকল বিষয় বিস্তারিত জানতে পারবে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে।

বর্তমানে জীবনযাত্রা অনেক বেশি জটিল হয়ে গেছে যার ফলে কোন না কোন সমস্যায় পরতে হয়। আর এই সমস্যাগুলোই মানসিকভাবে নানা সমস্যা তৈরি করছে। আর অতিরিক্ত মানসিক সমস্যা হৃদরোগ সহ জটিল রোগের সৃষ্টি করছে। তাই মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে এবং অতিরিক্ত চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে।

মানসিক শক্তি বৃদ্ধির উপায়

জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে মানসিক শক্তি অনেক বড় হাতিয়ার। তাই যেকোন সমস্যায় মানসিক শক্তি ধরে রাখতে হবে। এবং সে অনুযায়ী নিজেকে স্থির রেখে কাজ করতে হবে। মানসিক শক্তি বৃদ্ধি কয়েকটি উপায় দেওয়া হলো-

ভালো চিন্তা-ভাবনা

  • জারিনসব সময় ভালো চিন্তা করার চেষ্টা করা। 
  • খারাপ চিন্তা কখনো মাথায় আসতে না দেওয়া।
  • নিজের এবং চারপাশের সকলের প্রতি সব সময় কৃতজ্ঞ থাকা্ত

ধ্যান

  • নিয়মিত সময় করে ধ্যান করলে মস্তিষ্ক শান্ত থাকে। এবং মনে একপ্রকার শান্তি আসে।
  • ধ্যান বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন, mindfulness medition, transcendental medition, mantra medition ইত্যাদি।
  • তবে ধ্যান একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে নিজেকে বুঝতে হবে কোন ধ্যানটি প্রয়োজন।

ব্যায়াম

  • নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর সুস্থ থাকে এবং মন ও অনেক ভালো থাকে।
  • ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কে endorphins নামক রাসায়নিক নিঃসরণ হয়। যার ফলে মেজাজ শান্ত থাকে এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়।
  • প্রতিদিন কমপক্ষে একজন মানুষকে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে ।

পরিমিত ঘুম

  • একজন মানুষের জন্য ঘুম খুবই প্রয়োজন একটি জিনিস। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মানসিক অশান্তি বেড়ে যায়। ফলে মস্তিষ্ক শান্ত থাকে না।
  • প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো চেষ্টা করতে হবে।
  • ঘুমাতে যাবার আগে কোন প্রকারের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার না করাই ভালো।
স্বাস্থ্যকর খাবার
  • স্বাস্থ্যকর খাবার শরীর ও মনের জন্য খুবই প্রয়োজন।
  • প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ফল এবং শাকসবজি খেতে হবে।
  • প্রতিদিন নিয়ম করে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।
  • অতিরিক্ত চিনি এবং ক্যাফেইন যুক্ত থেকে বিরত থাকতে হবে।
পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক
  • পরিবারে সকলের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় থাকে মন ভালো থাকে। ফলে মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়।
  • সমাজে সকলের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকলে মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়।
  • সমাজে নতুন নতুন মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে মানসিক ভাবে ভালো থাকা যায়।
  • পারিবারিক শান্তির মাধ্যমে মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়।
নিজের প্রতি যত্নবান হওয়া
  • নিজের প্রতি যত্নবান হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  • নিয়মিত গোসল করা, ভালো পোশাক পরিধান করা সব মিলিয়ে নিজেকে সুন্দর করে গুছিয়ে রাখলে মন ভালো থাকে। এবং মানসিক ভাবে প্রশান্তি আসে।
  • প্রতিদিন অন্তত কিছুটা সময় নিজের জন্য ব্যয় করতে হবে।
  • মাঝে মাঝে মন ভালো রাখার জন্য বাইরে ঘুরতে যেতে হবে।

জীবনের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলায় মানসিক শক্তি

মানসিক শক্তি জীবনের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে খুবই বড় একটি হাতিয়ার। জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রেই উত্থান পতন থাকবেই। আর বিপদের সময় মানসিক শক্তি স্থির রেখে সমস্যার মোকাবেলা করা সবচেয়ে বড় কথা। বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলা করার কয়েকটি দিক দেওয়া হল-

ধৈর্য ধারণ করাঃ বিপদে ধৈর্য ধারণ করা একজন মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। কোন সমস্যা ধৈর্য ধরে নিজেকে স্থির রাখা এবং সমস্যা মোকাবেলা করা একজন বুদ্ধিমানের কাজ। ধৈর্যশীল ব্যক্তিরা হতাশায় পড়ে না এবং তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে পারে।

আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখাঃ নিজের আবেগ ও প্রক্রিয়াগুলোকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। এবং যেকোনো খারাপ পরিস্থিতিতে যেন সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। বিভিন্ন সমস্যায় আবেগকে আমাদের উপর নিয়ন্ত্রণ করতে না দিয়ে। নিজেরাই যাতে আবেগকে নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে কাজে লাগাতে পারি সেই চেষ্টায় করতে হবে।

মানসিকভাবে স্থিতিশীল থাকাঃ জীবনের বিভিন্ন সমস্যা মধ্যেও নিজেকে স্থির রাখা এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকা। মানসিকভাবে স্থিতিশীল ব্যক্তিরা বিভিন্ন চাপের মুখে ভেঙে পড়ে না। বরং পরিস্থিতি সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে কিভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে সেই বিষয়ে সচেষ্ট থাকে।

অধ্যাবসায়ঃ অধ্যবসায়ী ব্যক্তিরা কখনো লক্ষ্য থেকে পিছু হটে না। তারা তাদের জীবনের সব রকম পরিস্থিতিতে নিজেকে সামলিয়ে দিতে পারে। এবং নিজের লক্ষ্যে স্থির থেকে লক্ষ্য পূরণের জন্য সর্বদা চেষ্টা করতে থাকে। একসময় তারা ঠিকই জয় লাভ করে।

আত্মবিশ্বাসঃ নিজের সামর্থ এবং ক্ষমতার উপর বিশ্বাস রাখা উচিত। আমি কতটা করতে পারি সে বিষয়ে নিজের বিশ্বাস থাকতে হবে। এবং সেই বিশ্বাসকে কাজে লাগবে নিজের লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ় মনোবল নিয়ে কাজ করতে হবে তাহলে সে একদিন অবশ্যই জয় লাভ করবে।

সফলতার জন্য মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করা

জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে সবাই চায়। কিন্তু সফলতা অর্জন করতে হলে নিজেকে মানসিকভাবে তৈরি করতে হবে। সফলতা অর্জনের পেছনে মানসিক শক্তি সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। জীবনের বড় বড় সফলতা পেছনে ছোট ছোট সফলতাকে গুরুত্ব দিতে হবে।

প্রতিদিনই কোন না কোন কিছু করতে চেয়েও কিন্তু করা হয় না তাহলে তো জীবনে সফলতা আসবে না। সফলতা আসার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং নিজেকে অধ্যবসই হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আমি ভালো রেজাল্ট করতে চাইছি কিন্তু ভালো রেজাল্ট করার জন্য পড়াশোনা করছি না তাহলে তো সফলতা আসবে না। তাই জীবনে সফলতা আসার জন্য পরিশ্রমে হতে হবে।

এরপর পড়াশোনা শেষ করে ভালো চাকরি করতে চাই। কিন্তু চাকরি করার জন্য ভালো একটা তুই পড়াশুনার প্রয়োজন হয়। কিন্তু চাকরির জন্য প্রিপারেশন না নিয়েই শুধু করতে চায় বললে সফলতা আসবেনা। এজন্য নিজেকে মানসিকভাবে শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে।

আর মানসিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার জন্য অবশ্যই জীবনে প্রতিটা ক্ষেত্রে সফল হতে হবে। সফলতা মানুষকে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। ফলে সে সবসময়ই ভাবে যে আমি পারবো। তাই না পারা কাজগুলো ক্ষেত্রে সে অনেক করে নিজেকে তৈরি করে নেয়। তাই মানসিক শক্তি এবং সফলতা একে অপরের পরিপূরক।

খারাপ চিন্তা গুলো থেকে বেরিয়ে আসে

অনেকে সর্বদা সবকিছুকে নিয়ে খারাপ চিন্তা করে। কিন্তু এই খারাপ চিন্তা গুলো থেকে নিজেকে বের করে নিয়ে আসতে হবে। কারণ খারাপ চিন্তা থেকেই সবকিছু খারাপ মনে হয় ফলে সে সর্বদা হতাশায় ভুক্ত থাকে এবং নিজেকে এগুলো থেকে বের করে নিয়ে আসতে পারে না।

নিজের মানসিক শক্তি বাড়ানোর জন্য খারাপ চিন্তা গুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এবং যে ধরনের মানুষ সর্বদা নেগেটিভ কথা বলে এবং নেগেটিভ চিন্তা করে তাদের থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। নিজেকে মানসিক শক্তি বাড়াতে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে।

যেসব খাবার মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে

শারীরিক সুস্থতা পাশাপাশি মানসিক সুস্থ থাকাটা খুবই জরুরী। মানসিক চাপ, উদ্বেগ, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া ইত্যাদি কারণে মস্তিষ্কের কার্যকলাপ ক্ষতি হয়। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এমন খাবার যোগ করা উচিত যেগুলোর মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে। এমন কিছু খাবারের নাম দেওয়া হল-

ডালিমের রসঃ ডালিমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা মস্তিষ্কের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়া ডালিম খেলে ব্লাড সার্কুলেশন স্বাভাবিক থাকে। অক্সিজেন সরবরাহ করে। দুপুরে খাবারের আগে ও পরে ডালিম খেলে মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

জামের রস ঃ গ্রামের রস দুধের সাথে মিশিয়ে মিল্ক শেক বানিয়ে খেলে অনেক উপকার হয়। দুধ যেহেতু অনেক উপকারী একটি খাবার সেক্ষেত্রে জাম এবং দুধ একসাথে মিশিয়ে খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

ডার্ক চকলেটঃ ডার্ক চকলেটে ৭০ শতাংশ কোকো পাউডার থাকে যা মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে।

গ্রিন টিঃ গ্রিন টি শুধু ওজন কমাতে সাহায্য করে তা নয়। গ্রিন টি নিয়মিত খেলে স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পায়। গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত খিটখিটে মেজাজ দূর করে। এবং মানসিক শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

তৈলাক্ত মাছঃ মানুষের শরীরের খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান ফ্যাটি অ্যাসিড । যা মানব শরীরে উৎপন্ন হতে পারে না। তাই খাবারের মাধ্যমে এর চাহিদা পূরণ করতে হয় তবে স্যামন, সারডিন সহ মিঠাপানি ও সামাজিক মাসে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি এসিড থাকে। তাই এসব মাছ খাবারের মাধ্যমে ফ্যাটি অ্যাসিডের চাহিদা মেটানো যায়। যা মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

কফিঃ কফিতে থাকা ক্যাফেইন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া ক্যাফেইন মনোযোগ বৃদ্ধি, মন ভালো ও কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

বাদামঃ বাদাম একটি ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার। ফলে বাদাম স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কাঠবাদাম আখরোট ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে। তাই প্রতিদিনের বিকেলের নাস্তা একটি অংশ হিসেবে বাদাম খাওয়া উচিত।

ব্রকলিঃ ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে থাকে। যা নিউরোট্রান্সমিটার ভেঙে শক্তি জগতে সাহায্য করে। যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র সঠিক কার্যকারিতা পরিচালনা করতে ও আমাদের স্মৃতি তীক্ষ্ণ রাখতে সাহায্য করে।

টমেটোঃ টমেটোতে লাইক ওবেন নামুক এন্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা কোষের রেডিকল ক্ষয়ের বিরুদ্ধে কাজ করে। ফলে স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া থেকে রক্ষা করে। তাই প্রতিদিনের খাবারে টমেটো সালাদ রাখা উচত।

পালং শাকঃ পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে। যা মস্তিষ্কের বয়সের প্রভাব ও স্মৃতির ধ্বংস কমাতে সাহায্য করে। এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

ডিমঃ ডিমের কুসুমে কলিন নামের একটি পুষ্টি উপাদান থাকে যা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ডিম খেলে মানুসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়।

কুমড়ার বীজঃ একমুঠো কুমড়ার বীজ শরীরে জিংক স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এছাড়া ভিটামিন বি পাওয়া যায়।

মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে বাইরের জগত সম্পর্কে জানা

নিজেকে গণ্ডির মধ্যে না রেখে বাইরের জগতকে জানা এবং নিজেকে মেলে ধরা। মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করতে নানাভাবে নিজেকে সচেষ্টা থাকতে হবে। কোন মানুষই সবকিছু জানে না। বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্রে মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় মানুষ জানতে ও বুঝতে পারে।

সময়ের সাথে সাথে মানুষের কর্ম ক্ষমতা ও মানসিক ক্ষমতা অনেক সময় হারিয়ে যায় ফলে মানুষ কর্ম ক্ষম হীন হয়ে পড়ে। মানুষকে কর্মক্ষম ও মানসিক শক্তি ফিরিয়ে আনতে অনেক সময় বাইরের জগত সম্পর্কে জানতে হবে এবং ঘুরে দেখতে হবে।

দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায়

দুশ্চিন্তা মানুষের জীবনে সবচেয়ে খারাপ জিনিস। যা মানুষকে আস্তে আস্তে মানসিক শক্তি হারিয়ে যেতে সাহায্য করে। ফলে মানুষ একসময় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং সে থেকে মানুষের অবক্ষয় সৃষ্টি হয়। তাই দুশ্চিন্তা কে আসতে দেওয়া যাবে না। দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় দেওয়া হলো-

মেডিটেশনঃ মানসিক অশান্তি দূর করে মনকে শান্ত করার একমাত্র কার্যকরী উপায় মেডিটেশন  গবেষণায় দেখা গেছে যে, ২৫ মিনিট করে একটানা তিন দিন মেডিটেশন করলে হতাশা এবং দুশ্চিন্তা অনেকখানি দূর হয়ে যায়। ইয়োগা শরীরে দুশ্চিন্তা সৃষ্টিকারী হরমোন কে কমিয়ে ফেলে এবং দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

সবসময় ব্যস্ত থাকাঃ দুশ্চিন্তাকে মাথা রেখে দূরে রাখতে হলে নিজেকে সবসময় ব্যস্ত থাকতে হবে। মাথা এবং হাত ব্যস্ত থাকলে কোন কাজ করলে দুশ্চিন্তা আসার সময় পাই না। কথায় আছে, অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। তাই মস্তিষ্ককে সব সময় ব্যস্ত রাখলে দুশ্চিন্তা কখনো ঘিরে ধরবে না। তাই সব সময় কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে।

রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখাঃ মনের মধ্যে রাগ বা ক্ষোভ জমা রাখা অভ্যাস কখনো ভালো না। রাগ বা ক্ষোভ হৃদরোগের সৃষ্টি করে। ক্ষোভ জমা করে রাখলে মানসিক চাপ বেড়ে যায়। তাহলে রাগ থেকে  বিভিন্ন দুশ্চিন্তার সৃষ্টি হয়।

বাস্তবমুখী হওয়াঃ অনেকে ভবিষ্যতের চিন্তায় নিজেকে সর্বদা উৎকণ্ঠিত রাখে। ফলে বিভিন্ন মানসিক চিন্তা চারদিক থেকে ঘিরে ধরে। যা মানসিকভাবে অশান্তি সৃষ্টি হয়। কিন্তু ভবিষ্যতের চিন্তায় অস্থির না থেকে বাস্তবে কি হচ্ছে সেই চিন্তা করতে হবে।

নির্ভুল হওয়ার চিন্তাঃ যারা সাধারণত সব সময় শুদ্ধ চরিত্রের অধিকারী হতে চাই তারাই হৃদরোগে ভোগে। কারণ তারা সর্বদা নিজেকে নিয়ে অনেক বেশি চিন্তা করে।

ক্যাফিইন কম খাওয়াঃ ক্যাফেইন খুব দ্রুত ইন্দ্রিয় কে সজাগ করে তুলতে পারে এবং মানসিক চাপ বর্ধক হরমোনকে বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ঘনঘন চা কফি খাওয়া উচিত না। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফাইন থাকে।

বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোঃ সব সময় একাকী না থেকে মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি হৃদরোগের ক্ষতি কমাতে বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে একটু সময় কাটাতে হবে। নিজেকে একাকী মনে হলে একটু ঘোরাঘুরি করে মন ভালো করতে হবে।

প্রাণ খুলে হাসাঃ সব সময় গম্ভীর না থেকে প্রাণ খুলে হাসলে মন ভালো থাকে। নিয়মিত হাসি আনন্দ মধ্যে থাকলে মন ভালো থাকে। এবং সব সময় সকল বিষয় চিন্তা থেকে দূরে থাকা যায়।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোঃ বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ পরিমাণে কম ঘুমায় ফলে মানুষের মধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগে সৃষ্টি হচ্ছে। একজন সুস্থ মানুষকে দৈনিক অন্তত ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হয়। তাহলে শরীর এবং মন দুটোই ভালো থাকবে। মন থেকে অনেক দুশ্চিন্তা কেটে যাবে।

পরিশেষে

মানসিক শক্তি বৃদ্ধি বিভিন্ন পরিস্থিতির মাধ্যমে হয়ে থাকে। এবং অতিরিক্ত চিন্তা থেকে বাঁচার জন্য নিজেকে সর্বদা ব্যস্ত রাখতে হবে। মানুষ সর্বদা কাজের মধ্যে থাকলে কোন খারাপ চিন্তা আসার সময় পায়না । তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে বিভিন্ন কাজকর্ম এবং নিজের জন্য সময় বের করতে হবে। 

মানসিক শক্তি বৃদ্ধির কৌশল এবং অতিরিক্ত চিন্তা থেকে বাঁচার উপায় সহ সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হলো এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। নিয়মিত বিভিন্ন তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে www.jarinonline.com ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url