জ্বরে আনারস খাওয়ার উপকারিতা - অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম জানুন
জ্বরে আনারস খাওয়ার উপকারিতা - অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম জানুন
জ্বর সর্দি ঠান্ডা জনিত সমস্যায় ভুগছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ আনারসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা জ্বর সর্দি সারাতে খুবই উপকারী। এবং আনারস খুবই সুস্বাদু ও রসালো ফল হিসেবে সকলের কাছে অনেক পছন্দের।
আনারস রসালো ও সুস্বাদু একটি ফল। আনারস ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল যা জ্বর, সর্দি ও ঠান্ডা জনিত সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই জ্বরে আনারস খাওয়ার উপকারিতা, অপকারিতা ও আনারস খাওয়ার নিয়ম সহ সকল বিষয় বিস্তারিত জানতে পারবেন আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে।
আনারসের পুষ্টিগুণ ও উপাদান
আনারস সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি ফল। আনারসে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে। আনারসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এবং জ্বরে আনারস খেলে দ্রুত জ্বর সর্দি কমে। আনারসের পুষ্টিগুণ ও উপাদান দেওয়া হল-
প্রতি ১০০ গ্রাম আনারসের পুষ্টিগুণ ও উপাদান-
- প্রোটিন -০.৬
- ফ্যাট -০.১২ গ্রাম
- খনিজ পদার্থ -০.৫ গ্রাম
- শর্করা -১৩.১২ গ্রাম
- ভিটামিন বি১ -০.১১ গ্রাম
- ভিটামিন বি২ -০.০৪ গ্রাম
- ভিটামিন সি -৪৭.৮ মিলিগ্রাম
- ক্যালসিয়াম -১৮ মিলিগ্রাম
- ফসফরাস -০.০২ গ্রাম
- আঁশ -১.৪ গ্রাম
- লৌহ -১.২ মিলিগ্রাম
আনারস খাওয়ার উপকারিতা
আনারস অধিক রসালো ও সুস্বাদু একটি ফল। আনারস অধিক পরিমাণে ক্যালরি ও আঁশ জাতীয় একটি ফল। আনারসে থাকা এন্টি এক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য কর। এবং জ্বর ঠান্ডা জনিত সমস্যায় আনারস খুবই উপকারী। আনারস খাওয়ার উপকারিতা নিচে দেওয়া হল-
পুষ্টির অভাব পূরণ করতেঃ আনারস প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি জাতীয় ফল। যা খেলে শরীরে প্রচুর পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে থাকে। আনারসে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি সকল পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরকে সুস্থ রাখে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করতেঃ আনারস বা আনারসের রস খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। আবার আনারস পাকস্থলী ভালো রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু আনারস নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত।
ভাইরাস জনিত জ্বর সর্দি প্রতিরোধেঃ আনারসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা ভাইরাস জনিত জ্বর সর্দি বা ঠান্ডা লাগা দূর করতে সাহায্য করে। ভাইরাস জনিত জ্বর সর্দি শরীরের যে পরিমাণ অসুস্থ করে আনারস খেলে তা সুস্থ হয়ে যায়।
দাঁত ও মাড়ি রক্ষায়ঃ আনারসে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁত ও মাড়ি গঠনে সাহায্য করে। এছাড়া আনারস খেলে দাঁতে থাকা জীবাণু ধ্বংস করতে সহায়তা করে। তাই আনারস স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
ওজন কমাতেঃ আনারসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও আঁশ রয়েছে যা শরীরে হজম শক্তি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এবং আনারস খেলে অনেকটা সময় পেট ভরা থাকে। তাই নিয়মিত আনারস বা আনারসের শরবত খেলে শরীর সুস্থ থাকে
ত্বকের যত্নেঃ আনারসে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের যত্নে অনেক উপকারী। এছাড়া আনারসে থাকা ক্যালরি শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। এবং উচ্চমাত্রায় প্রোটিন ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে ও ত্বক কুঁচকে যাওয়া রোধ করে।
চোখের যত্নেঃ আনারসে থাকা বিটা ক্যারোটিন চোখের যত্নে অনেক উপকারী। চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে ধীরে ধীরে চোখ অন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা ম্যাকুলার ডিগ্রেডেশনের হাত থেকে আনারস রক্ষা করে। তাই নিয়মিত আনারস খেলে সুস্থ থাকা যায়।
হাড়ের গঠনেঃ আনারসে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সাহায্য করে। এছাড়া আনারস থাকা ম্যাঙ্গানিজ হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই আনারস স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ আনারসে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় এন্টি এক্সিডেন্ট রয়েছে এবং ক্যালসিয়াম ভিটামিন সি যা শরীরের ফ্রি রেডিক্যাল কোষ গুলোকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মতো অসুখের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
কৃমিনাশক হিসেবেঃ আনারস কৃমিনাশক হিসেবে ভালো কাজ করে। নিয়মিত আনারসের রস খেলে কৃমি ভালো হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আনারস খেলে কৃমির সমস্যা দূর হয়ে যায়।
জ্বরে আনারস খাওয়ার উপকারিতা
আনারস জ্বরের জন্য খুব উপকারী একটি ফল। শরীরে হালকা জ্বর থাকলে বা জ্বর সর্দি হলে ঘরোয়া ভাবে আনারস জ্বর সর্দি ও গায়ের ব্যথা দূর করে থাকে। আনারসে ব্যথা-নাশক উপাদান থাকায় হালকা জ্বর সর্দি সারাতে সাহায্য করে।
এছাড়া আনারসে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থাকায় শরীরে শক্তি জগতে সাহায্য করে। জ্বর বা সর্দি কাশিতে আনারস খেলে শরীরে শক্তি আসে এবং অসুস্থতার কারণে শরীরে যে দুর্বলতা অনুভব হয় তা
সহজেই কাটিয়ে উঠতে পারে।
খালি পেটে আনারস খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে আনারস খেলে উপকারিতা রয়েছে এবং এর কিছু অপকারিতা ও রয়েছে। খালি পেটে আনারস খাওয়ার উপকারিতা নিচে দেওয়া হল-
- সকালে খালি পেটে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস আনারসের জুস বা শরবত শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী।
- সকালে খালি পেটে আনারসের জুস বা শরবত খেলে অন্ত্র ও লিভার ভাল থাকে।
- যাদের কৃমির সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য সকালে খালি পেটে আনারসের শরবত খুবই উপকারী।
- আনারসের থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এবং সারাদিন শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ইফতারে আনারস খাওয়ার উপকারিতা
সারাদিনের রোজা শেষে ইফতারিতে পুষ্টিকর ইফতারি খুবই প্রয়োজন। তাই ইফতারিতে আনারস পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করবে। এবং আনারস সারাদিনের পানির চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও জ্বরে আনারস খুবই উপকারী। ইফতারিতে আনারস খাওয়ার উপকারিতা হলো-
ক্লান্তি দূর করতেঃ সারাদিন রোজা থেকে শরীর অনেক ক্লান্ত হয়ে যায় আর এই ক্লান্তি দূর করতে ইফতারিতে বৃষ্টির ঘর আনারস বা আনারসে শরবত সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করবে। এবং শরীরকে সতেজ করতে সহায়তা করে।
পানি শূন্যতা পূরণেঃ পানি শূন্যতা পূরণে আনারস খুবই উপকারী। সারাদিন রোজা রাখার পর পুষ্টিকর আনারস খেলে পানির চাহিদা পূরণ হয়। এবং পানির ঘাটতি পূরণ করতে ইফতারিতে এক গ্লাস আনারসের শরবত সারাদিনের পানির চাহিদা পূরণ করে দেয়।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করতেঃ রোজা থাকার পর হজম শক্তি অনেক সমস্যা দেখা দেয়। সারাদিন রোজা থেকে গ্যাস্টিকের সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। আবার ইফতারিতে নানা রকমের ভাজাপোড়া খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। তাই হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে ইফতারিতে আনারস খাওয়া উচিত।
শক্তি যোগাতেঃ শরীরে ক্লান্তি ও শক্তি যোগাতে আনারস খুবই উপকারী। সারাদিন রোজা থাকার পর শরীরে যে পরিমাণ শক্তি প্রয়োজন হয়। ইফতারিতে আনারস খেলে তা পূরণ হয়ে যায়।
আনারস খাওয়ার সঠিক সময়
আনারস খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি ফল। আনারস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। আনারস একটি ফল এবং সারা বছরই এই ফল পাওয়া যায়। তাই যেকোনো সময় এই ফল খাওয়া যায়।
সকালে বা বিকেলে এই যে সময় আনারস খাওয়া বেশি উপকার।
সকালে খালি পেটে আনারস খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন যাদের বেশি পরিমাণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সকালে খালি পেটে আনারস খেলে গ্যাস্টিকের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে এবং অম্বল বা বদহজম হতে পারে।
আবার খাওয়ার পরেও আনারস খেলে গ্যাস্টিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই ক্ষেত্রে বিকেলে আনারস খাওয়া ভালো। আবার এলার্জির সমস্যা থাকলে আনারস সাবধানে খেতে হবে। যদি অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আনারস কেটে লবণ মিশিয়ে খেলে সমস্যা না হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
আনারস খুবই স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু একটি ফল। কিন্তু গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়ার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো নিচে দেওয়া হল-
গর্ভপাতঃ আনারসে ব্রোমেলিন নামক উপাদান রয়েছে যা গর্ভপাত ঘটানোর সম্ভাবনা থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় আনারস স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া বিভিন্ন র্যাস বা বমি হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় আনারস এড়িয়ে চলায় ভালো।
এসিডিটির সমস্যাঃ গর্ভাবস্থায় আনারস খেলে এসিডিটি বেড়ে যায়। এ সময় এমনিতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেক গুন বেড়ে যায়। আর এ ধরনের খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আরো বেশি বৃদ্ধি পায়।
সুগার বেড়ে যাওয়াঃ গর্ভাবস্থায় যাদের ডায়াবেটিস থাকে তাদের ক্ষেত্রেও আনারস খেলে সুগার পরিমাণ বেড়ে যায় তাই গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
ডায়রিয়ার সমস্যাঃ আনারসে ব্রোমেলিন নামক উপাদান ডায়রিয়া জনিত সমস্যা তৈরি করে। আর গর্ভাবস্থায় ডায়রিয়ার সমস্যা হলে গর্ভবতী অনেক অসুস্থ হয়ে যায়।
ওজন বৃদ্ধি পায়ঃ আনারসে উচ্চ ক্যালোরি থাকায় দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায়। আর গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধি পাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই গর্ভাবস্থায় আনারস এড়িয়ে চলা উচিত।
দুধ ও আনারস খেলে কি হয়
দুধও আনারস একসাথে খেলে বিষক্রিয়া হয়ে মানুষ মারা যায় এই কথাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আনারস ও দুধ একসাথে খেলে এসিডিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই থেকে পেটে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। কিন্তু সাবধানতা ও নিয়ম মেনে খেলে কোন সমস্যা হয় না।
দুধ উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার এবং দুধ খেলে একজন মানুষের সকল পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। তাই দুধ খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকার। আবার আনারস ও অধিক পরিমাণে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার তাই আনারস এবং দুধ দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী কিন্তু দুটো খাওয়ার আগে সময়ের পার্থক্য বিবেচনা করে খেতে হবে।
দুধ বা আনারস খাবার মাঝে ২-৩ ঘন্টা বিরতি রেখে খেলে কোন সমস্যা হবে না। দুধের সাথে যেকোন মিষ্টি জাতীয় ফল খেলে গ্যাস্ট্রিকের তেমন কোন সমস্যা হয় না কিন্তু টক জাতীয় ফলের সাথে দুধ খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে এমনকি পেট ফুলে বা ফেপে যেতে পারে।
এই কারণেই আনারস ও দুধ একসাথে খাওয়া ঠিক না। কিন্তু আনারস ওষুধ একসাথে খেলে অনেক মারা যাবে এই কথা সম্পন্ন ঠিক না। এটি লোকোমুখো প্রচলিত কথা হয়ে গেছে। তাই আনারস ও দুধ খাওয়া নিয়ে চিন্তা করার তেমন কিছু নাই।
আনারস খাওয়ার অপকারিতা
আনারস আমাদের দেশের জনপ্রিয় একটি ফল। পুষ্টিগুনে ভরা এই ফলটি খেতে অনেকেই পছন্দ করে। এবং সারা বছরই আমরা এই ফল পেয়ে থাকি। এছাড়া জ্বর সর্দিতে আনারস খাওয়ার উপকারিতা অনেক। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে আনারস খাওয়ার অপকারিতা রয়েছে। যেমন-
এলার্জির সমস্যায়ঃ আনারস খাওয়ার ফলে অনেকেরই এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে। আনারস খাওয়ার পড়ে এলার্জির সমস্যা দেখা দিলে ঠোঁট ফুলে যাওয়া বা গলায় খুসখুসি বোধ করা ইত্যাদি। তাই আনারস খাওয়ার আগে লবণ দিয়ে মাখিয়ে খেলে অনেক সময় সমস্যা নাও হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় গর্ভপাতের ঝুঁকিঃ গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়ার ফলে গর্ভপাত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় নারীদের আনারস থেকে বারণ করা হয়ে থাকে। তাছাড়া গর্ভাবস্থার পরে আনারস খেলে কোন সমস্যা হয় না।
বাতের ব্যথা হওয়ার ঝুকিঃ আনারস খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল নালীর কাছে পৌঁছানোর পর এটি অ্যালকোহলে পরিণত হয়। এই কারণে যাদের বাতে ব্যথা সমস্যা থাকে তাদের বাতের ব্যথা শুরু হয়ে যায়। তাই যাদের বাতের ব্যথা রয়েছে তাদের আনারস না খাওয়াই ভালো।
রক্তে সুগারের পরিমাণ বেড়ে যায়ঃ আনারসে বেশি পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে যার ফলে আনারস খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যায়। কারণ আনারসে দুইটি উপাদান সুক্রোজ ও ফ্রুপটোজ আছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর।
ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ আনারসে রয়েছে ব্রমিলেইন যা দিয়ে ওষুধ বানানো হয়। কোন রোগের ক্ষেত্রে যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ডাক্তার তা খেতে বলে। এবং যদি কোন কারণে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া হয় সেক্ষেত্রে আনারস খাওয়া যাবে না। কারণ আনারসে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
পরিশেষে
আনারস অধিক পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি খাবার যা খেলে শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। এবং আনারসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও জ্বর, সর্দি সারাতে আনারস খুবই উপকারী একটি ফল। আনারস খেলে অতিরিক্ত ক্যালরি চাহিদা পূরণ হয়।
আনারসের থাকা উপাদানগুলো শরীরে পুষ্টি চাহিদা পূরণ করেন। তাই আজকের এই আটিকেলের মাধ্যমে আনারস খাওয়া উপকারিতা, অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম সহ জ্বর হলে আনারসের উপকারিতা সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। নিয়মিত তথ্যমূলক আরো পোস্ট পেতে www.jarinonline.com ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url