OrdinaryITPostAd

পানিশূন্যতা পূরণে বাঙ্গি খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম জেনে নিই

গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে বাঙ্গি একটি ফল। এই ফলটি অনেক বেশি সুস্বাদু না তাই অনেকেই এই ফলটি খেতে পছন্দ করে না। কিন্তু পানি শূন্যতা পূরণে বাঙ্গি খুবই উপকারী একটি ফল। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে পানিশূন্যতা পূরণে বাঙ্গি খাওয়ার উপকারিতা বিস্তারিত আলোচনা করব।

বাঙ্গি গ্রীষ্মকালীন একটি ফল। অতিরিক্ত গরমে পানি শূন্যতা পূরণ করতে এই ফলটি অনেক বেশি উপকারী। এবং খুবই হাতের নাগালে পাওয়া যায় এই ফলটি। বাঙ্গিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিটা ক্যারোটিন রয়েছে যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

বাঙ্গির পুষ্টিগুণ ও উপাদন

বাঙ্গি একটি দেশি জাতীয় ফল। এই ফলটি দেখতে অনেক সুন্দর কিন্তু খেতে তেমন সুস্বাদু নয়। এজন্য বাঙ্গি খাওয়ার সময় অনেকেই বাঙ্গির সাথে চিনি মিশিয়ে খান তবে চিনি মিশিয়ে খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর কারণ চিনিতে অনেক সুগার থাকে।

বাঙ্গি মূলত দুইটি জাতের হয়। এর মধ্যে একটি হল বেলে এবং অন্যটি হলো এটেল। দুটি জাতের ফল দেখতে একই রকম কিন্তু শুধুমাত্র ভেতরে পার্থক্য রয়েছে। বেলে বাঙ্গির শ্বাস অনেক আঠাল হয়। অনেক পুষ্টিবিদ মনে করেন বাঙ্গি ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ একটি পুষ্টিকর ফল।

বাঙ্গিতে মূলত ৯০% জলীয় অংশ থাকে। এর মধ্যে পুষ্টি উপাদান হিসেবে ভিটামিন এ, বি , সি, ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ও বিটা ক্যারোটিন থাকে। বাঙ্গি খাওয়া ভালো কারণ এটি আমাদের দেহের জন্য উপকারী। 

অনেকেই এই ফল খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু এটি রসালো ফল। তাই এ ফল গরমে খেতে হবে। কারণ গরমে আমাদের শরীর থেকে অনেক পানি বের হয়ে যায় এবং ক্লান্ত হয়ে থাকে তাই বিশেষ করে এই সময় শরীরে সতেজ রাখার জন্য বাঙ্গি খাওয়া দরকার।

বাঙ্গি খাওয়ার উপকারিতা

সাধারণত সব ফলেই কোন না কোন পুষ্টিগুণ আছে এবং এক একটি ফল এ এক এক ধরনের পুষ্টি থাকে যেমন ভাঙ্গিতে ভিটামিন এ এবং ক্যালসিয়াম থাকে তেমনি লেবুতে ভিটামিন সি থাকে। তবে যেহেতু বাঙ্গি রসালো জাতীয় ফল তাই বাঙ্গি খাওয়ার উপকারিতা অনেক। এর উপকারিতা হলোঃ
  • এটি ডায়াবেটিস উচ্চ রক্তচাপ এসিডিটি আলসার ইত্যাদি সহ এমন অনেক রোগ রয়েছে যেগুলো নিবারণ করতে সাহায্য করে।
  • এটি আমাদের দেহের ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যাদের ওজন অনেক বেশি তাদের ওজন কমানোর জন্য বাঙ্গি খাওয়া দরকার।
  • ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ মেস্তা এগুলো দাগ দূরীকরণে সাহায্য করে।
  • বাঙ্গিতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যা আমাদের শরীরকে সতেজ রাখতে পারে।
  • আমাদের শরীরে অনেক রোগ থাকে। যা দূর করার জন্য অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর প্রয়োজন হয় এজন্য বাঙ্গি খাওয়া জরুরি।
  • এতে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন সি থাকে যা দেহের ক্ষয় পূরণ করে থাকে।
  • এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমে জন্য দরকার।
  • বাঙ্গিতে সুগারের পরিমাণ কম থাকে। এর ফলে যারা ডায়াবেটিসের রোগী তাদের জন্য সুবিধা হয়। খাদ্য তালিকার মধ্যে এই ফল ৯০ থেকে ১০০ মিলিগ্রাম থাকতে হবে।
  • বাঙ্গিতে বেশি পরিমাণে ফলিক এসিড থাকে। যা এসিড তৈরি সাহায্য করে। যে সকল নারীদের দেহে রক্ত কম তাদের বাঙ্গি খাওয়া জরুরী।
  • বাঙ্গিতে রয়েছে ভিটামিন সি চুল গজাতে সহায়তা করে এবং চুলকে মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই বেশি বেশি করে বাঙ্গি খেলে চুল মজবুত মসৃণ ও উজ্জ্বল হবে।

বাঙ্গি খাওয়ার সময়

বাঙ্গি এক রকমের শসা জাতীয় ফল। দেখতে শসার মত নয় কিন্তু শশা জাতীয় ফল। দেশের প্রায় বেশিরভাগ অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে চাষ করা হয়। পানি শূন্যতা পূরণে বাঙ্গি খাওয়ার উপকারিতা অনেক।

বাঙ্গি চাষে খরচ কম হলেও আয় হয় তুলনামূলকভাবে বেশি। তাই চাষিরা বাঙ্গি চাষে অনেক আগ্রহি। বাঙ্গি যখন কাঁচা থাকে তখন অনেক হালকা হয় এবং যখন পেকে যায় তখন ভারী হয়ে যায়। বাঙ্গির অন্য নাম কাকুর ফুটি বা বানি। 

বাঙ্গি খাওয়ার উপযুক্ত সময় হল সকালবেলা। কারণ সকালবেলা পেট খালি থাকে তাই এ সময় ফল খেলে সকল পুষ্টি শরীরে লাগে। তাই আমাদের উচিত সকাল বেলা করে ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।

তবে বাঙ্গি খাওয়ার আরো অনেক সময় আছে। সকাল বেলা ছাড়াও দুপুর হওয়ার একটু আগে কিংবা বিকাল বেলাতেও খাওয়া যাবে সকালে খাওয়া সবচেয়ে বেশি জরুরী। তবে যাদের আলসার এর সমস্যা আছে তাদের সকালে না খাওয়াই ভালো।

গ্রীষ্মকালের আমাদের শরীল অনেক ঘেমে যায় এবং শরীর থেকে অনেক পানি বের হয়ে যায় যার কারণে আমাদের অস্বস্তি লাগে। শরীরে পানি আনার জন্য এবং সতেজ আনার জন্য আমাদের বাঙ্গি খেতে হবে। যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারি। 

বাঙ্গির জুস বানানোর নিয়ম

পানি শুনা দা পূরণে বাঙ্গি খাওয়ার উপকারিতা অনেক। বাঙ্গির জুস বানানো অনেক সহজ। অনেকেই বাঙ্গি খেতে অস্বস্তি বোধ করেন যার কারণে বাঙ্গির জুস বানিয়ে খান। বাঙ্গির জুস বানানোর জন্য যেগুলো উপাদান প্রয়োজন এবং যেভাবে তৈরি করতে হবে তা নিম্নরূপ

বাঙ্গির জুস বানানোর প্রয়োজনীয় উপাদান-
  • বাঙ্গিরএকটু অংশ বা ১ টি ফালা। 
  • অল্প পরিমান চিনি। 
  • মিষ্টি দই। 
  • পরিমানমত পানি। 
  • বিট লবন।
  • বরফ কুচি। 
  • ছাকনি। 
বাঙ্গির জুস বানানোর নিয়ম হলোঃ
  • জুস বানানোর জন্য যে অল্প পরিমাণ বাঙ্গি নিব তা ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
  • এরপর পরিমাণ মতো পানি দিতে হবে এবং দই ও বিট লবণ মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
  • ব্লেন্ড করার পর একটি পাত্রে ঢেলে নিতে হবে।
  • তারপর পাত্রটি কে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করতে হবে।
  • এরপর ফ্রিজ থেকে বের করে চাইলে ফুড কালার মেশানো যাবে।
  • কালার মিশালে জুস দেখতে আরো রঙিন হবে।
  • এরপর খাওয়ার সময় ওপরে বরফ কুচি গুলো ছিটিয়ে নিতে হবে।

পানি শূন্যতা পূরণে বাঙ্গি খাওয়ার উপকারিতা

বাঙ্গি গ্রীষ্মকালীন একটি ফল। অতিরিক্ত গরমে পানি শূন্যতা পূরণ করতে এই ফলটি অনেক বেশি উপকারী। এবং খুবই হাতের নাগালে পাওয়া যায় এই ফলটি। বাঙ্গিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিটা ক্যারোটিন রয়েছে যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।











এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url