OrdinaryITPostAd

সুপারফুড ঘি খাওয়ার উপকারিতা - ঘি খাওয়ার নিয়ম

 সুপারফুড ঘি খাওয়ার উপকারিতা - ঘি খাওয়ার নিয়ম

ঘি একটি  ঐতিহ্যবাহী এবং রাজকীয় খাবার। এবং অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার। কিন্তু অনেকেই ঘিয়ের সঠিক ব্যবহার ও খাওয়ার নিয়ম জানেনা। তাই আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ঘি খাওয়ার উপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম সহ সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করব।

ঘি প্রোটিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার হওয়ায় ঘি কে সুপার ফুড বলা হয়ে থাকে। নিয়মিত ঘি খেলে শরীরকে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে রক্ষা করে। এবং ঘি শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আবার ঘি ত্বকের যত্নেও অনেক উপকারী। 

ঘি এর পুষ্টিগুণ ও বৈশিষ্ট্য 

ঘি অধিক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি খাবার। এবং ঘি খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। নিয়ম মেনে ঘি খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ঘি এর পুষ্টিগুণ ও বৈশিষ্ট্য নিচে দেওয়া হল-
  • ক্যালোরি - ১২০ কিলোক্যালরি
  • চর্বি - ১৪ গ্রাম
  • ফ্যাট - ৯ গ্রাম
  • কোলেস্টেরল - ৩৩ মিলিগ্রাম
  • সোডিয়াম - ০ মিলিগ্রাম
  • কার্বোহাইড্রেট - ০ গ্রাম
  • প্রোটিন - ০ 
  • ভিটামিন এ - ১৫ %
  • ভিটামিন ই - ২ %

ঘি খাওয়ার উপকারিতা 

ঘি খাওয়ার উপকারিতা অনেক। ঘি খেলে শরীর ভালো থাকে এবং শরীরে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ঘি খাওয়ার উপকারিতা দেওয়া হল-

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেঃ ঘিয়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটিতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এবং ঘিয়ে থাকা ওমেগা-৩ শরীরে পুষ্টির চাহিদা করে থাকে।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ ঘি হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ঘি পরিপাকতন্ত্রকে লুব্রিকেট করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ঘি বমি বমি ভাব, পেটফোলাভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এবং পেট পরিষ্কার করতে খুবই সহায়ক।

মেটাবলিজম বৃদ্ধি করেঃ ঘি শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে। এবং শরীর থেকে দ্রুত দূষিত পদার্থ বের করে শরীরকে ভেতর থেকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ ঘি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ঘিয়ে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল ইত্যাদি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। এবং গর্ভাবস্থায় বাচ্চার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে থাকে।

রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ রক্তস্বল্পতা পূরণে ঘি এর ভূমিকা অনেক বেশি। ঘিয়ে থাকা আয়রন সমৃদ্ধ উপাদান শরীরে রক্তস্বল্পতা পূরণ করে। এবং শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে থাকে।

হার্ট ভালো রাখেঃ ঘিয়ে থাকা ভিটামিন হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। ঘিয়ে কোলেস্টেরলের পরিমাণ অনেক কম থাকায় ঘি খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে না ফলে হার্ট ভালো থাকে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ ঘিয়ে থাকা লিনোলিক এসিড ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। এবং কোলন ক্যান্সার দূর করতে সাহায্য করে। 

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেঃ ঘিয়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে ভিতর থেকে ভালো রাখে। ত্বকে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শরীরে থাকা দূষিত টক্সিন দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ ঘিয়ে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে পারে। ঘিয়ের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে। এবং সুস্থ রাখে দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।

ক্ষতস্থান দ্রুত সারাতেঃ ঘি শরীরকে দ্রুত উষ্ণ করতে পারে। হলে দ্রুত ক্ষতস্থান সারাতে সাহায্য করে। এবং বোধ হতে থাকা উপাদান ক্ষতস্থানে জ্বালা ভাব কমায় এবং খারাপ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। তাই মধু ও ঘি পেস্ট করে ক্ষতস্থান লাগালে দ্রুত সেরে যায়।

ত্বকের যত্নে ঘি এর উপকারিতা

ত্বকের যত্নে ঘি খুবই উপকারী একটি খাবার। বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীর ও ত্বক তার সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলতে শুরু করে। কিন্তু নিয়মিত ঘি খেলে ত্বক ভালো থাকে। এবং ঘিয়ে থাকা ভিটামিন যেমন, এ, ডি, ই এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের যত্নে ঘি এর উপকারিতা হল-

ত্বককে ময়েশ্চারাইজার করেঃ ঘিতে ভিটামিন এ এবং ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা ত্বকের মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বককে দীর্ঘস্থায়ী হাইড্রেশন প্রদান করে এবং ত্বককে মসৃণ করতে সাহায্য করে গোসলের আগে ত্বকে হালকা করে ঘি ঘষলে ত্বক নরম এবং কোমল হয়।

ঠোঁটের শুষ্কতা ও ফাটা দূর করেঃ অল্প পরিমাণ ঘি নিয়ে সেটা ঠোঁটে লাগালে ঠোঁটের শুষ্কতা ও ফাটা দূর হয়। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ঠোঁটের ফাটা ও শুষ্কতা দূর হয়।

দূষিত টক্সিন বের করে দেয়ঃ ঘিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ভেতর থেকে দূষিত টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক ভিতর থেকে উজ্জ্বল ও মসৃন হয়। এবং ঘিয়ে থাকা ফ্যাটি এসিড হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

চোখের নিচের কালো দাগ দূর করেঃ চোখের নিচে কালো দাগ পড়লে রাতে ঘুমানোর আগে চোখের নিচে ঘি দিয়ে রাখতে হবে। সকালে উঠে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত এভাবে ঘি ব্যবহার করলে চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখেঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে প্রতিদিন নিয়মিত খাদ্য তালিকায় ঘি রাখতে হবে। তাহলে ঘিয়ে থাকা ভিটামিন ত্বককে উজ্জল ও মসৃন করতে সাহায্য করে। ঘিয়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ত্বকের বলিরেখা ও বার্ধক্য দূর করতে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় ঘি খাওয়ার উপকারিতা

ঘি এর অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। এবং এর অনেক ঔষধি গুনাগুনও রয়েছে। যা গর্ভবতী এবং শিশুর জন্য অনেক বেশি উপকারী। এক টেবিল চামচ ঘি গরম দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে প্লাসেন্টা নাভির কর্ড ঠিক থাকে। ভাত এবং এর সাথে ঘি মিশিয়ে খেলে বাচ্চার হৃদপিণ্ড ভালো থাকে।

এছাড়াও ৫-৬ মাসের সময়গুলোতে ভাতের সঙ্গে গরুর ঘি খেলে বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে। গরুর ঘিতে দুধও চিনি মিশিয়ে খেলে গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতা ও দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে। এবং দিতে প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় ঘি খেলে বাচ্চার হাড় ও পেশি শক্তি দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

চিকিৎসকের মতে, ঘি চর্বি ও ভিটামিন এর একটি ভালো উৎস। ঘিতে থাকা ভিটামিন ডি যা থাইরয়েড গ্রন্থি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এবং গর্ভাবস্থায় ঘি খাওয়া খুবই উপকারী। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় পরও ঘি খেলে অনেক উপকার হয়। এবং ঘি যেকোনো ধরনের ঘা বা কাটা জায়গা দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।

সকালে খালি পেটে ঘি খাওয়ার উপকারিতা

ঘি-স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটি খাবার। অনেকেই মনে করে ঘি খেলে ওজন বাড়তে পারে। কিন্তু যে কোন খবরই পরিমিত খেলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। নিয়মিত ঘি খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।  সকালে খালি পেটে ঘি খাওয়ার উপকারিতা দেওয়া হলো-

  • প্রতিদিন খালি পেটে এক চামচ ঘি খেলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। শরীরের বিভিন্ন সমস্যা কারণে প্রতিনিয়ত সেবন না করে প্রাকৃতিক উপায়ও সুস্থ থাকা যায়। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত এক চামচ ঘি শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
  • ঘি খেলে পরিপাকতন্ত্র ভালো থাকে। হজমের সমস্যা দূর হয়ে যায়। স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ঘি অনেক উপকারী।
  • ঘি খেলে অনেক বেশি সময় ভরে থাকে। যা অতিরিক্ত খাবার থেকে বিরত রাখে। এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
  • সকালে খালি পেটে এক চামচ ঘি খেলে সারাদিনের কাজ করার শক্তি বজায় থাকে। এবং শরীরকে সক্রিয় রাখতে সহায়তা করে।

ঘি খাওয়ার নিয়ম

ঘি স্বাস্থ্যের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি খাবার। তবে প্রতিটি জিনিসই নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত। এবং কোন খাবার কিভাবে বা কোন খাবারের সাথে খেতে হবে তা জেনে খাওয়া উচিত। তবে ঘি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। ঘি খাওয়ার  নিয়ম  নিচে দেওয়া হল- 

  • এক চামচ খাটি ঘি, এক চামচ চিনি, এক চামচ কালো গোলমরিচ সকালে খালি পেটে বা ঘুমানোর সময় হালকা গরম মিষ্টি দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
  • ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধের সাথে এক চামচ ঘি মিশিয়ে খেলে শরীরের দুর্বলতা দূর হয়। এবং ঘুম ভালো হয়। হাড় মজবুত করে। এছাড়াও সকালে সহজেই পেট পরিষ্কার থাকে।
  • গরম ভাতের সাথে ঘি মিশিয়ে খেলে শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। এবং শীতকালে শরীরকে ঠান্ডা মুক্ত রাখতে সহায়তা করে থাকে।
  • ঘি, কালো ছোলা এবং গুঁড়ো চিনি মিশিয়ে লাড্ডু বানিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে অনেক উপকার হয়। এবং শরীরে অনেক শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • এছাড়াও বিভিন্ন তরকারি, পোলাও, মাংস, বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় খাবারের সাথে এক চামচ ঘি খাবারের স্বাদ অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। এবং এই খাবার শরীরের অধিক মাত্রায় প্রোটিন, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে।

 ঘি বানানোর নিয়ম 

বাজারে বিভিন্ন রকমের পাওয়া যায়। কিন্তু এতগুলোর মধ্যে খাঁটি ঘি পাওয়া মুশকিল। তাই খাটি ঘি পেতে চাইলে বাড়িতে নিজেই খাঁটি ঘি বানিয়ে নেওয়া যায়। খাঁটি ঘি বানানোর নিয়ম দেওয়া হল-

  • প্রথমে দশ দিন ধরে অল্প অল্প করে কমপক্ষে ৫০০ গ্রাম দুধ থেকে অল্প অল্প করে দুধের উপরের ক্রিম সংগ্রহ করতে হবে।
  • তারপর ক্রিমটি একটি ব্লেন্ডারে পাঁচ মিনিট ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
  • ব্লেন্ড করার পর রেখে দিলে মাখন এবং তরল দুটোই আলাদা হয়ে গেছে।
  • এবার দুইটি পাত্রে মাখন এবং তরল আলাদা করে দিতে হবে।
  • একটি পাত্রে মাখন নিয়ে জ্বাল দিতে হবে।
  • এরপর মাখন আস্তে আস্তে গলতে শুরু করবে। মাখন গলতে শুরু করলে চুলার আঁচ কমিয়ে দিতে হবে।
  • কিছুক্ষণের মধ্যেই ওপরে ঘি ভেসে উঠ বে এবং নিচে কিছু কোরো অংশ দেখা যাবে।
  • ঠান্ডা হয়ে গেলে ফিল্টার করে ঘি ছেঁকে নিতে হবে।
  • এভাবেই ঘরে খাঁটি ঘি তৈরি করা যাবে।

ঘি এর সংরক্ষণ পদ্ধতি

দোকানেও অনেক সময় হোমমেড ঘি পাওয়া যায়। এগুলো খোলা জারের ঘি হয়ে থাকে। এটির সংরক্ষণ পদ্ধতি নির্ভর করে পরিমাণের ওপর। যদি কিনে আনা ঘি এর পরিমাণ অল্প হয় বা এটি যদি অল্প সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যায় তাহলে বাইরে রাখলো কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু ঘি এর পরিমাণ যদি বেশি হয়ে থাকে তাহলে ফ্রিজে রেখে খাওয়া বেশি ভালো।

তবে মাঝেমধ্যে দেখতে হবে যে এর গন্ধ এবং স্বাদ ঠিক আছে কিনা। যেকোন ধরনের ঘি এক বছরের মধ্যে শেষ করায় ভালো। দীর্ঘ সময় ঘি রেখে দিলে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ঘি সব সময় এয়ারটাইট জারে করে রাখা ভালো। এটি রান্না ঘরের ঠান্ডা জায়গায় রাখতে হবে। এবং এয়ার টাইট জারে করে ফ্রিজে রাখলে দীর্ঘ সময় পর্যন্তঘি ভালো থাকে।

তবে এয়ারটাইট জারের ঘি কিনে থাকলে জার খুলে ব্যবহার করার এক বছরের মধ্যে ঘি ভালো থাকে। তবে এসব জানে ভালো থাকার সময়সীমা দেওয়া থাকে। এবং জার খোলার পরও ওই সময়ের মধ্যে ঘি ব্যবহার করা যায়। যা জারের গায়ে ব্যবহার করার মেয়াদ লেখা থাকে।

বাজার থেকে প্লাস্টিকের জারে ঘি কিনে আনার পর তা তা প্লাস্টিকের জার থেকে ঢেলে স্টিলের জারে ঢেলে রাখতে হবে এবং জারের মুখ ভালো করে বন্ধ করে রাখতে হবে। তাহলে ফ্রিজে না রেখেও দীর্ঘ সময় ঘি ভালো থাকবে। এবং স্বাদ ও গন্ধ ঠিক থাকবে।

ঘি খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ঘি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটি খাবার। কিন্তু এটি স্বাস্থ্যকর উপায় না হওয়ায় বা পরিমিত না খেলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। ঘি খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো নিচে দেওয়া হল-

  • হার্টের রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা যারা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছে তাদের ক্ষেত্রে ঘি খাওয়া উচিত নয়।
  • আবার অতিরিক্ত পরিমাণে ঘি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। যেকোন স্বাস্থ্যকর জিনিসও পরিমিত না খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুকি হয়ে যায়। এবং শরীরের অবনতি ঘটে।
  • চিকিৎসকের মতে শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন অন্তত দুই চামচের বেশি ঘি খাওয়া উচিত নয়।
  • আবার ঘি বা ঘিযুক্ত কোন খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানি খাওয়া যাবে না। এতে সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা লাগার ও সর্দি কাশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা ঘি সঙ্গে সঙ্গে বের করে খাওয়া যাবে না। ফ্রিজ থেকে বের করে নরমাল হলে ঘি খেতে হবে। তাহলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হবে না।

পরিশেষে

ঘি এর মধ্যে রয়েছে অত্যন্ত পুষ্টিকর উপাদান। এবং ঘি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এছাড়াও ঘি বিভিন্নভাবে খাওয়া হয়ে থাকে। ঘিয়ে ভিটামিন এ, বি, ডি, কে সহ সকল উপাদান রয়েছে। এবং ঘি যেহেতু দুধ থেকে তৈরি তাই ঘিতে প্রোটিনের চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে।

ঘি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার হওয়ার কারণে ঘিকে সুপারফুড বলা হয়ে থাকে। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। ঘিয়ের উপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম, ঘি এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, ঘি কিভাবে বানাতে হয় এবং ঘি এর সংরক্ষণ পদ্ধতি সহ সকল বিষয় জানানোর চেষ্টা করলাম। নিয়মিত তথ্যমূলক আরো পোস্ট পেতে ভিজিট করুন www.jarinonline.com ওয়েবসাইটটি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url