OrdinaryITPostAd

ত্বকের যত্নে কমলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন

ত্বকের যত্নে কমলা খুবই উপকারী এবং পরিচিত একটি ফল। কমলাতে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই ত্বকের যত্নে কমলা খাওয়ার উপকারিতা সহ সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে।

অধিক পুষ্টিগুনে ভরপুর এই কমলা। ত্বকের যত্নে কমলা খাওয়া উপকারিতা অনেক। কমলায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। কমলায় রয়েছে ভিটামিন সি যা ত্বকের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

কমলার পুষ্টিগুণ ও উপাদান

কমলা খুবই পুষ্টিকর একটি ফল। কমলা শীতকালে বেশি পাওয়া গেলেও সারা বছরই কমবেশি পাওয়া যায়। কমলা রসালো একটি ফল। কমলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিটা ক্যারোটিন যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।

প্রতি 100 গ্রাম কমলার পুষ্টিগুণ হল-
  • ভিটামিন সি - ০.৮ মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন বি -৪.৯  মিলিগ্রাম
  • ক্যালসিয়াম - ৩৩ মিলিগ্রাম
  • পটাশিয়াম - ৩০০ মিলিগ্রাম
  • ফসফরাস - ২৩ মিলিগ্রাম
প্রতিদিন একজন মানুষের যতটুকু ভিটামিন সি এর প্রয়োজন হয় তার সবটুকুই কমলা লেবুতে আছে।

কমলা খাওয়ার উপকারিতা

কমলা অনেক সুস্বাদু এবং রসালো জাতীয় ফল। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রচুর পরিমাণে কমলার চাষ হয়ে থাকে। কমলা‍য় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ সকল প্রয়োজনীয় উপাদান যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কমলা খাওয়ার উপকারিতা হলো-

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেঃ কমলায় থাকা ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এবং বিভিন্ন অসুখ থেকে শরীরকে সুস্থ রাখে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেঃ কমলাতে আঁশের পরিমাণ বেশি থাকায় কমলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। কমলার রস প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা সারা দিনের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করে এবং এর মধ্যে থাকা আশ পাকস্থলী পরিপাক রাখতে সহায়তা করে।

সর্দি কাশি দূর করতেঃ কমলাতে ভিটামিন সি এর পরিমাণ বেশি থাকায় ঠান্ডা লাগা ও ভাইরাস জনিত সমস্যায় এবং সর্দি কাশি দূর করতে কমলা খুবই উপকারী। শীতকালে কমলা খেলে শরীর উষ্ণ থাকে যা শীতে ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

ত্বকের যত্নেঃ কমলা লেবু এবং কমলার খোসা ত্বকের জন্য প্রধান উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ত্বকের যত্নে অনেকেই কমলার খোসার ফেসপ্যাক বানিয়ে ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্ন নিয়ে থাকে। যা অনেক বেশি উপকারী।

বদহজম দূর করতেঃ কমলার রস খেলে পেটের ফোলা ভাব ও বদ হজম দূর হয়। কমাতে ফাইবার ও ক্যালসিয়াম বেশি থাকায় বদহজম ও বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে।

কিডনির পাথরের সমস্যায়ঃ কমলাতে ভিটামিন সি রয়েছে। আর কমলায় থাকা ভিটামিন সি কিডনির পাথর প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। নিয়মিত কমলা খেলে বিভিন্ন অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এবং শরীর সুস্থ থাকে। 

বাতের ব্যথা দূরীকরণেঃ কমলাতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হাড়ের ও জয়েন্টের ব্যথা দূর করেন সাহায্য করে। ফলে বিভিন্ন হাড়ের ব্যথা ও বাতের ব্যথা দূর করতে ভিটামিন সি খুবই উপকারী। তাই নিয়মিত কমলা খাওয়া উচিত।

চোখের যত্নেঃ চোখের যত্নে কমলা অনেক উপকারী। কারণ কমলায় থাকা বিটা ক্যারোটিন উপাদান শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে। আবার কমলায় থাকা ভিটামিন সি ও এন্টিঅক্সিডেন্ট চোখের যত্নে অনেক বেশি উপকারী।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ কমলাতে শর্করার পরিমাণ না থাকায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কমলা খুবই উপকারী।
আর কমলাতে থাকা ভিটামিন সি যেকোনো রোগের ক্ষেত্রে শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। এবং শরীরে পানি স্বল্পতা পূরণে সাহায্য করে ।

ওজন কমাতেঃ কমলায় কম পরিমাণে ফাইবার ও আঁশ থাকে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এবং শরীরকে ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে শরীরকে সুস্থ রাখে।

ত্বকের যত্নে কমলা খাওয়ার উপকারিতা

ত্বকের যত্নে কমলার খোসার উপকারিতা অনেক কমলার খোসা ত্বকের লাবণ্য ও উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করে। এবং কমলায় থাকা ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে তোলে। তাই ত্বকের যত্নে কমলা অনেক বেশি উপকারী। ত্বকের যত্নে কমলার উপকারিতা অনেক।

কমলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এন্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং এন্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এবং কমলার খোসা এক কাপ গরম পানিতে ভিজিয়ে ঠান্ডা করে মুখে ব্যবহার করলে ত্বক অনেক উজ্জ্বল হয় এবং ত্বকে ব্রনের সমস্যা দূর হয়।

ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করতে কমলার খোসার ফেসপ্যাক অনেক বেশি উপকারী। কমলার খোসা ত্বকের যত্নে সরাসরি ব্যবহার না করে। কমলার খোসাকে ভেজে গুঁড়ো করে মসুরের ডালের সাথে প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করলে মুখের দাগ দূর হয় ও উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।

ত্বকের রোদে পোড়া ট্যান দূর করতে কমলালেবুর খোসা দিয়ে প্যাক বানালে রোদে পোড়া ভাব দূর হয়ে যায়। এবং ত্বকের ট্যান ও বলি রেখা দূর করে থাকে। কমলার খোসা গুঁড়ো করে এক চামচ এবং এক চামচ চন্দনের গুড়া ও এক চামচ লেবুর রস একসাথে ফেসপ্যাক বানিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক সুন্দর হয়ে ওঠে।

কমলার খোসার ঔষধি গুনাগুন

কমলা অতি সুস্বাদু এবং ভিটামিন সি যুক্ত একটি খাবার। যা খেলে অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কমলা ছাড়াও কমলার খোসাতেও প্রচুর ঔষধি গুনাগুন রয়েছে। যেমন-

অনিদ্রা দূর করতেঃ যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে এবং নিয়মিত ঘুম হয় না তারা কমলার খোসা মিশ্রিত পানি দিয়ে গোসল করলে এই সমস্যা দূর হবে। এছাড়াও কুসুম গরম পানিতে কমলার খোসা ফেলে গোসল করলে অনিদ্রা দূর হয়। এবং কমলার খোসার তেল ব্যবহার করলে অনিদ্রা দূর হয়।

কফ ও পিত্তের সমস্যা দূর করতেঃ কমলার খোসা কফ ও পিত্তের সমস্যা দূর করতে খুবই উপকারী।কমলার খোসা গ্রেটারে কুচি কুচি করে পাতলা করে নিতে হবে। তারপর চায়ের সঙ্গে কমলার খোসা কুচি দিয়ে দিতে হবে। তার সাথে আদা কুচি মিশ্রিত করলে আরো ভালো হয়। এই চা খেলে কফ দূর হবে এবং পিত্তের সমস্যা দূর হবে। এবং মধু এর সঙ্গে মিশ্রিত করলেন আরো ভালো ফল পাওয়া যায়।

ওজন কমাতেঃ কমলার খোসা ওজন কমাতে অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখে। কারণ কমলার খোসাতে ট্রাইগ্লিসারাইড উপাদান থাকায় এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।

পেটের সমস্যা দূর করতেঃ পেটের সমস্যা দূর করতে কমলার খোসা কুচি কুচি করে চায়ের সঙ্গে মিশ্রিত করে খেলে পেট ভালো থাকে। এবংবমি বমি ভাব দূর হয় বদহজম ও পেট ফোলা ভালো হয়। তাই প্রতিদিন সকালে চায়ের সাথে কমলার খোসা কুচি করে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

অ্যাজমা ও কাশি নিরাময়ঃ অ্যাজমা ও কাশি নিরাময়ে কমলার খোসা ভালো কাজ করে। কমলার  খোসা কুচি করে চায়ের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে অ্যাজমা কাশি বা শ্বাসকষ্ট কম হয়। এছাড়াও গরম পানির সাথে কমলার খোসার কুচি মিশিয়ে পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খেলে বা গড়গড়া করলে কাশি ভালো হয়।

কমলার বিচি খাওয়ার উপকারিতা

কমলা লেবু শীতকালে অনেক বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। এবং এই সময় দাম একটু কম থাকায়। সব ধরনের মানুষ এই ফল খেতে পারে। তাই কমলালেবু খাওয়ার সময় আমরা বিচিগুলো ফেলে দিই। কিন্তু কমলা লেবুর বিচি অনেক উপকারী। তাই কমলালেবুর বিচি খাওয়ার উপকারিতা দেওয়া হল-
  • কমলা লেবু বিচিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা আমাদের শরীরকে ভেতর থেকে টক্সিন করতে সাহায্য করে। এবং শরীরকে বিভিন্ন অসুখের হাত থেকে সুস্থ রাখে।
  • কমলালেবুর বিচিতে থাকা উপাদান পালমিটিক, ওলেইক এবং লিনোলেইক এর এসিডিক উপাদান শরীরে শীত কম লাগতে সাহায্য করে।
  • কমলালেবুর বীজের তেল অনেক ভালো কন্ডিশনিং হিসাবে কাজ করে। এই বীজের তেল স্ক্যাল্পে মেসেজ করলে মাথার রক্ত সঞ্চালন করতে সাহায্য করে।
  • কমলালেবুর বীজের এই তেল খুবই ভালো ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেকোনো মেশিনের কঠিন দাগ তুলতে এই বীজের তেল ব্যবহার করা হয়।
  • কমলালেবুর বীজের তেলে অতিমাত্রায় সুগন্ধ থাকায় এই তেল কেক বানানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ডেজার্ট তৈরিতে কমলা লেবুর বীজের তেল ব্যবহার করা হয়।
  • এমনকি ঘরের দুর্গন্ধ দূর করতে এই তেল ব্যবহার করা হয়।

গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার নিয়ম

গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। গর্ভাবস্থায় ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। তাই এ সময় কমলা খাওয়া অনেক ভাল। গর্ভাবস্থায় কমলা খেলে বাচ্চার মস্তিষ্ক গঠন করতে সাহায্য করে থাকে। গর্ভাবস্থায় কমলা খাবার নিয়ম বিস্তারিত দেওয়া হল-

  • প্রতিদিন সালাদের সঙ্গে কয়েক কোয়া কমলা খাওয়া যায়।
  • আবার অন্যান্য ফলের সাথে মিশিয়ে ফ্রুট সালাদ হিসেবে খাওয়া যায়।
  • কমলার খোসা ছাড়িয়ে কমলার গুলো একসাথে জুস করে খাওয়া যায়।
  • এমনকি কমলার খোসা ছাড়িয়ে প্লেটে রেখে তার উপরে কিছুটা চিনি উপরে ছড়িয়ে মাইক্রোওভেনে ব্রেক করে খাওয়া যায়।
  • এছাড়াও কমলা বিকালে নাস্তার সাথে হিসাবে ফ্রুট হিসেবে খাওয়া যায়।

শিশুদের কমলা খাওয়া উপকারিত

শিশুদের জন্য কমলা অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি ফল। কমলাতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিন সি রয়েছে যা একটি শিশু সারা দিনের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করতে পারে তাই কমলা খাওয়া শিশুদের জন্য অনেক বেশি উপকারী। শিশুর কমলা খাওয়ার উপকারিতা গুলো হল-
  • কমলালেবু শিশুর ভিটামিন সি এর এবং খনিজের চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। কমলা লেবুতে ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে যা শিশুর সারাদিনের চাহিদা পূরণ করে থাকে।
  • বাচ্চারা বেশিরভাগ সময় বদহজমের স্বীকার হয়ে থাকে। আর নিয়মিত কমলা খেলে বদহজম হয়। আর কমলা পাচনতন্ত্রকে সক্রিয় করতে সাহায্য করে।
  • কমলা লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে যা বাচ্চার হাড় গঠনে সাহায্য করে থাকে। এবং নিয়মিত কমলা খাওয়ার ফলে বাচ্চার হার ও জয়েন্ট মজবুত হয় এবং শিশুদের রিকেটস রোগ থেকে রক্ষা করে।
  • শিশুরা অল্পতেই সর্দি কাশি ইত্যাদি সমস্যায় ভোগে। কিন্তু কমলালেবুতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা বাচ্চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকি। এবং সর্দি কাশি দূরে রাখতে সাহায্য করে। 
  • শিশুদের ডায়রিয়া জনিত সমস্যায় কমলার রস শরীরকে সুস্থ করতে এবং শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া পানি পূরণে সাহায্য করে। কমলার রস শিশুর জন্য অনেক বেশি উপকারী। তবে রসগুলো ভালো করে আঁশ গুলোকে ছেকে খাওয়াতে হবে। 

কমলার খোসার ফেসপ্যাক বানানোর নিয়ম

ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে ঘরে তৈরি ফেসপ্যাকে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকেনা। তাই কমলার খোসার ফেসপ্যাক ত্বকের যত্নে অনেক বেশি উপকারী। তাই ত্বকের যত্নে কমলার খোসার ফেসপ্যাক বানানোর নিয়ম দেওয়া হলো-

কমলার খোসার ফেসপ্যাক

কমলার খোসার ফেসপ্যাক বানানোর জন্য প্রথমে কমলার খোসাকে ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর শুকনো খোসা গুলোকে ভালো করে গুড়ো করে নিতে হবে। এভাবে কমলার খোসার গুড়ো গুলোকে বয়ামে মুখ বন্ধ করে সংরক্ষণ করতে হবে।

কমলার খোসা, নারকেল তেল ও হলুদের ফেসপ্যাক

এক চা চামচ কমলার খোসার গুড়া, এক চা চামচ নারকেল তেল ও এক চিমটি হলুদের গুড়া নিয়ে ভালো করে পেস্ট করে নিতে হবে তারপর মুখে লাগিয়ে 10 মিনিট রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে মাসে দুইবার ব্যবহার করতে হবে।

কমলার খোসার ও অ্যালোভেরা জেল

আধা চা চামচ কমলার খোসা ও এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল একসাথে মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগাতে হবে। এভাবে ১০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাকটি সপ্তাহে এক বার ব্যাবহার করা যাবে।

কমলার খোসা ও গোলাপজল

কমলার খোসা ও গোলাপজল একসাথে মিশিয়ে ভাল করে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর মুখে ভাল করে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। এবার ভাল করে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে সপ্তাহে দুই বার এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করা যাবে। 

কমলার খোসা ও অলিভ অয়েল

কমলার খোসার সঙ্গে অলিভ অয়েল একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তেরি করতে হবে। তারপর কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করতে হবে। তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে। 

কমলা খাওয়ার নিয়ম

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কমলা সকালে ও রাতে খাওয়া একদমই উচিত নয়। কমলা খাওয়ার সঠিক সময় হল খাওয়ার ১ ঘন্টা আগে বা খাবার এক ঘন্টা পরে খেতে হবে। কমালাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। কমলাতে ক্যালসিয়াম ও মিনারেল বেশি থাকায় কমলা ফেলে শরীর সুস্থ থাকে।

কমলায় ভিটামিনের পরিমাণ বেশি থাকায় কমলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার। তবে খাওয়ার এক ঘন্টা আগে খেলে কমলা ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে এবং খাবার এক ঘন্টা পরে খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কমলাই ভিটামিন সি বেশি থাকায় এটি মুখের ঘা ও দাঁত, মাড়ি গঠনে সাহায্য করে। মুখের ভেতরের জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে।

কমলা খাওয়ার অপকারিতা

কমলা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটি ফল। কিন্তু অধিক পরিমাণে কমলা খেলে আবার কিছু অপকারিতা দেখা দিতে পারে। তাই কমলা খাওয়ার অপকারিতা নিচে দেওয়া হলো-

  • গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মহিলাদের ক্ষেত্রে কমলা খাওয়া ভালো হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে সমস্যা হতে পারে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে কমলা খেলে পেট ফোলা বা বদ হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বেশি কমলা খাওয়া উচিত নয়। কারণ বেশি আমরা খেলে পেট ফুলে যেতে পারে।
  • যাদের হার্টবার্নের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কমলা খাওয়া উচিত নয়।
  • যাদের ঠান্ডা লাগা বা কোল্ড এলার্জি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বেশি কমলা খাওয়া যাবে না। কারণ বেশি কমলা খেলে ঠান্ডা লাগা সমস্যা হতে পারে।

পরিশেষে

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কমলা স্বাস্থ্যের জন্য উপকার। এছাড়াও কমলা শুধু স্বাস্থ্য রক্ষায় কাজ করে না। এটি ত্বকের যত্নে অনেক বেশি উপকারী। এবং রূপচর্চায় কমলার খোসার উপকারিতা অনেক। কমলার খোসা ও কমলার বিচি খাওয়ার ও অনেক উপকারিতা রয়েছে।

কমলা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটি খাবার। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। এবং ভিটামিন সি যুক্ত কমলা ত্বকের যত্ন অনেক উপকারী। তাই আজকের এই পোস্টে কমলার উপকারিতা ও ত্বকের যত্নে কমলার উপকারিতা সহ সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। নিয়মিত তথ্যমূলক আরো পোস্ট পেতে www.jarinonline.com ওয়েবসাইটটি ভিজিট করন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url