OrdinaryITPostAd

অতিরিক্ত ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার উপকারিতা - দই চিড়ার পুষ্টিগুণ

 অতিরিক্ত ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার উপকারিতা - দই চিড়ার পুষ্টিগুণ

টক দই খুবই পরিচিত একটি খাবার। এবং টক দই ও দই চিড়া খেতে আমরা অনেকেই পছন্দ করি। কিন্তু এর সঠিক পুষ্টিগুণ অনেকেই জানিনা। তাই অতিরিক্ত ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার উপকারিতা এবং দই চিড়ার পুষ্টিগুণ সহ সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে। 

অতিরিক্ত ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। নিয়মিত টক দই খেলে ওজন কমানো সম্ভব। এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখতে দই চিড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। যা খেলে পেট ভালো থাকে। টক দই এবং দই চিড়া খাওয়ার নিয়ম, কিভাবে খেতে হবে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো এই পোস্টে।

টক-দইয়ের পুষ্টিগুণ

টক দইয়ে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি১২, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি। টক দই প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ একটি খাবার। যা পেটের নানা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে খনিজ উপাদান ও ভালো ব্যাকটেরিয়া যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

টক দই খাওয়ার উপকারিতা

টক দই এবং দই চিড়া দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার। এসব খাবার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এবং শরীরকে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। টক দই খাওয়ার উপকারিতা দেওয়া হলো-

ওজন কমাতেঃ ওজন কমাতে টক দই সুপার ফুড হিসেবে কাজ করে। টক দই স্বাস্থ্যকর খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি শরীরে দ্রুত কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। যা ওজন কমাতে এবং স্ট্রোক ও হৃদপিণ্ডের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

আগে প্রতিটা বাড়িতে দই পাতা অভ্যাস ছিল। এবং মানুষ নিয়মিত ঘরোয়া ভাবেই দই বানিয়ে খেত যা শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখত। কিন্তু বর্তমানে এর পরিমাণ অনেক কমে গেছে। বাড়িতে পাতা দইয়ের গুনাগুন অনেক বেশি।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেঃ কোষ্ঠকাঠিন্য খুবই শারীরিক বড় সমস্যা। যারা এই সমস্যায় ভোগে শুধু তারাই জানে যে এই সমস্যা কতটা কষ্টএর। নিয়মিত টক দই খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। এবং টক দই করুন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

দই খেলে হজম ভালো হয়। দই মানসিক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও টক দই অনেক উপকার করে। সহজেই তারা সব খাবার খেয়ে হজম করতে পারে। টক দই স্বাস্থ্যের জন্য  উপকারী একটি খাবার। যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

বদহজম দূর করতেঃ অতিরিক্ত তেল ভাজাপোড়া মসলাযুক্ত খাবার ইত্যাদি খাওয়ার ফলে অনেকেরই বদহজমের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা দূর করতে টক দই খুবই কার্যকারী ভূমিকা রাখুন। টক দইয়ে থাকা ফার্মেন্টেড এনজাইম খাবার হজম করতে সহায়তা করে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেঃ নিয়মিত টক দই খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে। ফলে শরীরে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। টক দইয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করার পর রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। এগুলো আসলে উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এগুলো  
সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

হার্ট ভালো রাখতেঃ দই হার্টের মধ্যে কোলেস্টেরল হওয়া থেকে রক্ষা করে। তাই নিয়মিত দুপুরে খাওয়ার পরে দই খেলে হাট ভালো থাকে। এবং কার্ডিওভাসকুলার সম্পর্কিত অসুখ দূরে থাকে।

দাঁত মজবুত করতেঃ টক দই দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে। কারণ টক দই ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় টক দই হার ও দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে। ৩০ বছরের পর হাড় ক্ষয় হতে থাকে। কিন্তু দইয়ের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় এবং রাত গঠনে সাহায্যকারী করে।

দ্রুত ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম

দ্রুত ওজন কমাতে টক দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ। ওজন কমাতে অনেকে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে থাকে। দ্রুত ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম নিচে দেওয়া হল-

সালাদ হিসেবেঃ টমেটো কুচি, পেঁয়াজ কুচি, জিরা গুড়া, কাঁচামরিচ কুচি, চাট মসলা এবং বেশি করে টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে সালাদ বানিয়ে খেলে দ্রুত ওজন কমবে।

চিয়া বীজের সাথে টক দইঃ ওজন কমাতে চিয়া বীজ খুবই উপকারী একটি খাবার। ওজন কমাতে ডায়েট খাবারে চিয়া বীজ থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আইরন, পটাশিয়াম, লবন, ওমেগা ফ্যাটি এসিড  এবং ভিটামিন সি রয়েছে। টক দইয়ের সঙ্গে চিয়া বীজ মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে খাওয়া যায়।

ফলের সঙ্গেঃ বিভিন্ন ফল শরীরের ওজন কমাতে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিভিন্ন রকমের ফল কেটে টক দের সাথে খেলে দ্রুত ওজন কমবে এবং শরীর সুস্থ থাকবে। যেমন আপেল, কিউ, কলা, পেয়ারা, ডালিম, তরমুজ একসঙ্গে মিশিয়ে একটি আদর্শ খাবার বানিয়ে খেতে হবে।

দই ও গ্রানোলাঃ গ্রানোলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যা পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। দইয়ের সঙ্গে গ্রানোলা লো-ক্যালোরিযুক্ত স্বাস্থ্যকর খাবার। সুগার ফ্রি, লো-ফ্যাট, এবং কম চিনি যুক্ত গ্রানোলা খাওয়া সবচেয়ে ভালো।

বাদামের সঙ্গে দইঃ দইয়ের সঙ্গে খেজুর, আখরোট এবং অন্যান্য ড্রাই স ফ্রুট স খেতে হবে। ড্রাই ফ্রুট স এবং বাদামের প্রচুর পরিমাণে ফাইবার প্রোটিন এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা অতিরিক্ত ফ্যাট ও ক্যালরি ঝরাতে সাহায্য করে।

ইফতারে দই-চিড়া খাওয়ার উপকারিতা

সারাদিন সারাদিন রোজা রাখার পর শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। তাই ক্লান্ত হয়ে পড়া শরীরে সতেজতা আনতে দই চিড়া খুবই উপকারী একটি খাবার। এবং দই চিড়া খেলে হজম শক্তি ঠিক থাকে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়। তবে ইফতারের মিষ্টি দইয়ের চেয়ে টক দই বেশি উপকারী।
শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং শক্তি জগতে প্রোটিন ও শতকরা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। আর পেট ঠান্ডা করে এবং পানির অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে। চিড়ায় পাশের পরিমাণ অনেক কম থাকে যা ডায়রিয়া, আলসার, বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

দই চিড়া ইফতারের সারা দিনে ক্লান্তি এবং ক্ষুধা মেটাতে সাহায্য করে। এবং শরীরকে ঠান্ডা করে পানির অভাব দূর করে থাকে। তাই ইফতারে ভাজাপোড়া খাবার না খেয়ে পুষ্টিকর দই চিড়া খেলে শরীর সুস্থ থাকবে এবং সারাদিনের শক্তি পূরণ করতে সাহায্য করবে।

দই-চিড়া বানানোর নিয়ম

দই চিড়া এমন একটি খাবার যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ইফতারে এই খাবারটি খেলে সারাদিনের ঘাটতি শক্তি পূরণ করতে সাহায্য করে। দই চিড়া বানানোর নিয়ম দেওয়া হল-

দই চিড়া বানানোর উপকরণ-

  • দুধ ১ লিটার
  • টক দই ১০০ গ্রাম
  • কলা ১ টি
  • ভেজা চিড়া ১/২ কাপ 
  • নারকেল করানো আধা কাপ
  • লেবুর রস আধা চা চামচ
  • পাকা আমের টুকরো
  • কিসমিস ৪/৫ টি
  • লবণ স্বাদমতো
  • সামান্য এলাচ গুঁড়ো
  • চিনি বা গুড় পরিমানমত
দই চিড়া বানানোর পদ্ধতি-
  • প্রথমে একটি পাত্রে দুধ নিতে হবে। এরপর স্টক দই, চিনি ও লবণ দিয়ে ১০-১৫ মিনিট নেড়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
  • এবার মিশ্রণটি ছেকে অন্য পাত্রে ঢালতে হবে। তারপর গরম কোন জায়গায় ২-৩ ঘন্টা রেখে দিতে হবে।
  • এরপর পাত্রটি ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিতে হবে। এবার ভালো করে চিরা গুলো ধুয়ে নিতে হবে। ফ্রিজ থেকে বের করে দুধের মিশ্রণে শিরা গুলো মিশিয়ে আবার ফ্রিজে এক ঘন্টা রেখে দিতে হবে।
  • এক ঘন্টা পর ফ্রিজ থেকে বের করে দই চিড়া খেতে হবে।

সকালে খালি পেটে টক দই খাওয়ার উপকারিতা

স্বাস্থ্যসম্মত খাবার দিয়ে সকাল শুরু করতে চাইলে টক দইয়ের বিকল্প নাই। টক দই খুবই স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর একটি খাবার। এবং ওজন কমাতে টক দই খুবই উপকারী। সকালে খালি পেটে টক দই খাওয়ার উপকারিতা নিচে দেওয়া হল-
  • দই পুষ্টিগুনের ভরা একটি খাবার। এতে  ক্যালসিয়াম,  প্রোটিন,  ভিটামিন,  পটাশিয়াম,  ম্যাগনেসিয়ামের মত প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এই পুষ্টিগুলো শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • প্রবায়োটিক সমৃদ্ধ টক দই খেয়ে দিন শুরু করলে হজম প্রক্রিয়া ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এবং পেট খোলা বা ডায়রিয়ার মত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ঘরে
  • যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাই তাদের জন্য টক দই খুবই প্রয়োজনীয় একটি খাবার। এতে উপস্থিত দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। ফলে অতিরিক্ত খাবারের প্রয়োজন হয় না। তাই দ্রুত ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • টক দই রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। সেই সঙ্গে লিভার সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। বইয়ের মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, জিংক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • হাড় মজবুত করতে টক দই খুবই উপকারী। এক কাপ টক দই ২৭৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। তাই প্রতিদিন সকালে এক কাপ দই খেলে ভার মজবুত থাকবে। এটি হাড় কে মজবুত করবে এবং হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

রাতে টক দই খাওয়ার অপকারিতা

টক দই স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার এবং ওজন কমাতে টক দই খুবই উপকারী। কিন্তু রাতে দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। রাতে টক দই খাওয়ার অপকারিতা দেওয়া হল-
  • দই উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধা একটি খাবার। তাই রাতে টক দই খেলে হজম প্রক্রিয়ায় সমস্যা হয়। এবং পেটে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • আর্থাইটিস রোগীদের জন্য রাতে টক দই খাওয়া খুবই ক্ষতিকর। কারণ রাতে টক দই খেলে জয়েন্টে এবং গিটার ব্যাথা অনেক বেড়ে যায়।
  • সর্দি কাশি থাকলে রাতে দই খেলে সর্দি কাশির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। টক দই ঠান্ডা জাতীয় খাবার ফলে রাতে এই খাবারে ঠান্ডার পরিমাণ দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
  • দই দুগ্ধ জাত খাদ্য। ফলে দই থেকে এলার্জির সমস্যা হয়ে থাকে। তাই রাতে দই খেলে এলার্জির সমস্যা বাড়তে পারে। তাই রাতে দই খাওয়া যাবে না।
  • রাতে টক দই খাওয়ার ফলে জ্বর হতে পারে। কারন টক দই ঠান্ডা জাতীয় খাবার। যা খেলে শিশুদের বেশি এ সমস্যা হতে পারে।  

গর্ভাবস্থায় দই খাওয়ার উপকারিতা

দই অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। আর গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন হয়। যা মা ও বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় দই খাওয়ার উপকারিতা দেওয়া হল-
  • দইয়ে রয়েছে শরীরের জন্য উপকারী একটি ব্যাকটেরিয়া। যা কোন খাবার হজম করতে সাহায্য করে। তাই গর্ভাবস্থায় হজমের সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে দই হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
  • দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম মা ও শিশু হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
  • দই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণের রাখতে সাহায্য করে। কিডনি, চোখ, হার্টের সুরক্ষায় দই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি খাবার।
  • রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে দই। ত্বকের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। পিগমেন্টেশন প্রতিরোধ এটি কার্যকর ভূমিকা রাখে।
  • গর্ভাবস্থায় ওজন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। 
  • দই স্ট্রেস হরমোনকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় মানসিক অবস্থা প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হতে থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় দই খাওয়া অত্যন্ত উপকারী।

টক দই খাওয়ার সতর্কতা

টক দই স্বাস্থ্যেকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এবং অতিরিক্ত ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার উপকারিতা অনস্বীকার্য। কিন্তু প্রতিটা জিনিসই অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয় এবং নিয়ম মেনে খেতে হয়। তাই টক দই খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা মেনে খেতে হবে। যেমন-
  • দই গরম করে বা রোদে রেখে খাওয়া যাবে না।
  • সন্ধার পরে বা রাতে টক দই খাওয়া উচিত নয়। এতে হজমের সমস্যা হয়।
  • ফ্রিজ থেকে বের করেই ঠান্ডা দই খাওয়া যাবে না। কারণ দই এমনিতেই ঠান্ডা জাতীয় খাবার। তাই সরাসরি ফ্রিজ থেকে বের করে খেলে ঠান্ডা লাগার ভয় থাকে। কিছুক্ষণ পরে খেতে হবে।
  • সর্দি কাশি বেশি থাকলে দই না খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
  • টক দইয়ের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খাওয়া যাবে না।
  • বাত, হাঁপানি, কিডনি ও এসিডিটির সমস্যা রয়েছে এমন রোগীদের দই খাওয়া উচিত নয়। বা খেলেও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।

পরিশেষে

টক দই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। টক দই খেলে শরীর সুস্থ থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। টক দই ভিটামিনযুক্ত একটি খাবার। টক দই খুবই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ফলে শরীরকে জুতো সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

অতিরিক্ত ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার উপকারিতা। এবং দই চিড়ার খাওয়ার পুষ্টিগুণ সহ টক দই খাওয়ার নিয়ম, টক দই বানানোর নিয়ম সহ সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হলো এ পোস্টের মাধ্যমে। নিয়মিত আরো তথ্যমূলক পোস্ট পেতে www.jarinonline.com ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url