পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এবং এই ফলটি সারা বছর সহজলভ্য হাতের নাগালে পাওয়া যায়। যা সব ধরনের মানুষ খেতে পারে। এবং পেয়ারা অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল তাই ভিটামিন সি যুক্ত পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে পারবেন এই আর্টিকেলটি পড়ে।
পেয়ারার পুষ্টিগুণ ও উপাদান
পেয়ার পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী চারটি কমলালেবুর মধ্যে যে ধরনের গুনাগুন রয়েছে তা একটি পেয়ারার মধ্যে পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে বলা যায় কমলালেবুর থেকে একটি পেয়ারা অনেক বেশি গুণ সম্পন্ন। অনেক অনেক বিশেষজ্ঞরা মতামত প্রকাশ করেন যে একটি পেয়ারার মধ্যে চারটি আপেল ও চারটি কমলালেবুর সমান পুষ্টিগুণ রয়েছে।
পেয়ারার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এছাড়াও পেয়ারার মধ্যে ভিটামিন পানি ফাইবার এছাড়াও অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে। আমরা অনেকেই ভিটামিন সি যুক্ত পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জানতে চাই।
১০০ গ্রাম পেয়ারের মধ্যে ১৮০ গ্রাম ভিটামিন সি রয়েছে ।পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে।ফলটি ঠান্ডা কাশির পথ তাছাড়া শ্বাসতন্ত্র গলা ফুসফুসকে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়। রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে তাই হার্টের রোগীরা পেয়ারা খেতে পারে নিশ্চিন্তে।
পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ আছে যার দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং যাদের কোষ্ঠকাঠিষ্ঠ সমস্যা আছে তারা পাকা পেয়ারা খেতে পারে তাহলে তাদের সমস্যা দূর হবে। এবং আরাম পাবে তাই পেয়ারা খেলে মানুষের অনেক ধরনের সমস্যা সমাধান হয়।
ডায়াবেটিস ক্যান্সার প্রোস্টেট ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে পেয়ারা। পেয়ারের ডায়রিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এবং নিয়মিত পেয়ারা খেলে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায় । এর কারণ হলো পেয়ারার মধ্যে ব্যাকটেরিয়াল সাথে লড়াই করার ক্ষমতা আছে।
পেয়ারা খাওয়ার সঠিক সময়
বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী পেয়ারা খাবার একটি সঠিক নিয়ম আছে এবং সময়ও। বিশেষজ্ঞ মতামত দেন যে চেহারা খাওয়ার সঠিক সময় হল সকালের নাস্তা করার এক থেকে দেড় ঘন্টা পরে। কারণ এই সময়ে যদি পেয়ারা খাওয়া হয় তাহলে শরীরে কোন প্রকার ক্ষতি হবে না।
পেয়ারা যদি বিকালে খাই কেউ তাহলে তার হজমে গন্ডগোল হবে এবং কোন ভালো ফলাফল পাবে না কেউ যদি দুপুরে খাবারের পর পেয়ারা খায় পেটের সমস্ত গন্ডগোল দূর হবে। এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকবে আর কেউ যদি সন্ধার পরে পেয়ারা খায় তাহলে তার পেটে সমস্যা আরো বেড়ে যাবে এর কারণ হলো পেয়ারা হজমে বাধা দেয়।
অনেক বিশেষজ্ঞ মতামত দেন পেয়ারা খাবার সঠিক সময় হলেও দুপুরের খাবার খাওয়ার এক ঘন্টা আগে। এছাড়াও পেয়ারা বিকেলে খাওয়া গেলে কোন সমস্যা হয় না কিন্তু সন্ধ্যার পরে পেয়ারা খেলে অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
কেউ পেয়ারা রাত্রে খায় তাহলে তার তো সমস্যা কারণ পেয়ারা রাত্রে খেলে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা থাকে এবং জ্বর ও আসতে পারে। তাই কোনমতেই রাত্রে বা সন্ধ্যার পরে পেয়ারা খাওয়া যাবে না এতে অনেক ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়।
ভিটামিন সি যুক্ত পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত করে কেও জানে না এজন্য হয়তো পেয়ারা রাত্রে খেয়ে ফেলে তাদের জন্য অনেক বেশি সমস্যা হয় কারণ পেয়ারা যদি রাত্রে কেউ খায় তাহলে তাই শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
অনেকেই আবার পেয়ারা সকালের নাস্তা করে এক থেকে দেড় ঘন্টা পরে খাই তাদের জন্য কোন সমস্যা হয় না কারণ সারাদিনে পেয়ারা হজম হয়ে যায় এবং শরীরে অনেক উপকারে আসে। প্রায় পেয়ারা খাবার সঠিক সময় হল সকালে।
গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
ভিটামিন সি যুক্ত পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জেনে থাকলে নিশ্চয়ই আপনারা জানেন যে গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতাও অনেক আছে। যদি কেউ গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খায় তাহলে তার শরীরে অনেক ধরনের সমস্যা দূর হয়। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে কোলেস্টরং এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এছাড়াও গল্প অবস্থায় রক্তশূন্যতার আরো একটি বড় কারণ হলো আয়রন এর অভাব। নিয়মিত পেয়ারা যদি কেউ গর্ভাবস্থায়ী খায় তাহলে তার আয়রন এর অভাব কিছুটা কমে যায়। এবং আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয়। যদি গর্বঅবস্থায় রক্তশূন্যতা দেখা দেয় তাহলে পেয়ারা খেলে সে সমস্যা থেকে দূর হয়।
এছাড়াও গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খেলে পেশি এবং স্নায়ু রিলাক্সিন করতে সাহায্য করে তাই যদি কেউ নিয়মিত ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ পেয়ারা খায় তাহলে অনেক আরাম পাবে এই অবস্থায়। এছাড়াও পেয়ারার অনেক গুণাগুণ আছে যদি গর্ভাবস্থায় নিয়মিত পেয়ারা খাওয়া হয় তাহলে শরীরে অনেক পুষ্টি পাওয়া যায়।
পেয়ারা যদি নিয়মিত গর্ব অবস্থায় খাওয়া হয় তাহলে মানুষের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং শিশু বিকাশে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত অবস্থায় পেয়ারা খাওয়া উচিত। এছাড়াও কষ্টকানিষ্ঠের মত সমস্যা থেকে আরাম দেয় পেয়ারা।
পেয়ারে থাকা পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম গর্ভাবস্থায় মানবদেহে অনেক সাহায্য করে তাই এই অবস্থায় নিয়মিত একটি করে পেয়ারা খাওয়া উচিত তাহলে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। যেহেতু ভিটামিন সি যুক্ত পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা অনেক আছে।
খালি পেটে পেয়ারা খাওয়া উপকারিতা
প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারার মধ্যে ৩০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায় এছাড়াও এই ফলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ক্যালসিয়াম আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম। তাই যারা পেটের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য তো পেয়ারা অত্যন্ত উপকারী একটি ফল।
পেয়ারা ফাইবারে ফল এজন্য কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ের জন্য এটি একটি আদর্শ ফল। অনেক রোগীরাই এই সমস্যার সমাধান করতে চিকিৎসকের কাছে যান এবং চিকিৎসা তার পরামর্শ হিসেবে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার পরামর্শ দেন।
গ্যাস এবং এসিডিটির সমস্যায় ভুগলে পেয়ারা অনেক বেশি উপকারী হয় কিছু কিছু গবেষণায় জানা গেছে পেরাই থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদপিণ্ডকে ফ্রি রেডিকেল সৃষ্ট ক্ষতি থেকেও রক্ষা করে ভিটামিন সি যুক্ত হওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত সকলের জানা উচিত।
এছাড়াও যারা পাই লস রোগে ভুগছে তাদের জন্য পেয়ারা অনেক বেশি উপকারী যেহেতু পেয়ারা কোষ্ঠকাঠিন্য পাইলসের প্রধান কারণ তাই খালি পেটে পেয়ারা খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। পেয়ারার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় পেয়ারা আপনার ত্বকের জন্য উপকারী।
ভিটামিন সি যুক্ত পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত হচ্ছে পেয়ারা খাওয়ার আদর্শ হয় হল বিকেলে দুপুরে খাবারের প্রায় এক ঘন্টা পরে। দুপুরে খাবারের কিছুক্ষণ পর পেয়ারা খেলে পেটের সমস্যা উপশম হয়। তাই এই সময় ভাবা উচিত সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই খবর প্রচলিত।
রাতে পেয়ারা খাওয়ার অপকারিতা
অনেক ব্যক্তি আছে যারা রাত্রে পেয়ারা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানেনা।তবে যারা রাত্রে পেয়ারা খায় তাদের অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় ।বিশেষ করে হজমে সমস্যা হয় রাত্রেবেলা পেয়ারা খেলে এইজন্য রাত্রেবেলা খাওয়া একেবারেই উচিত না।
বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী রাত্রেবেলা পেয়ারা খেলে তা হজম হতে বাধা দেয় এবং নিজেও হজম হয় না সেজন্য রাত্রেবেলা বা সন্ধার পরে পেয়ারা বা কোনো যা ধরনের ফল খাওয়া হলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
অনেকে আছে যারা ভিটামিন সি যুক্ত পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানেনা তারা রাত্রে পেয়ারা খেয়ে ফেলে এবং পরে হজমের সমস্যায় ভুগতে থাকে। তাদের জন্য উচিত সন্ধার পরে অথবা রাত্রে খাবারের পরে কোন সময় পেয়ারা না খাওয়া।
পেয়ারা অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল হওয়া সত্বেও এই ফলটি অসময়ে খেলে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা ১০০% বেড়ে যায় তাই রাত্রে এই ফল খাওয়া একদমই উচিত না। অবশ্যই এই ফলটি দিনের বেলায় খেতে হবে।
পেয়ারা সকালে খেলে খুব ভালো উপকার পাওয়া যায় এবং সন্ধ্যার পরে খেলে তার বিপরীতটা ঘটে তাই পেয়ারা সকালে নাস্তা কিছুক্ষণ পরে এবং দুপুরে খাবারের কিছুক্ষণ পরে খেলে কোন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয় না এবং শরীরের অনেক ধরনের উপকার করতে থাকে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
ভিটামিন সি যুক্ত পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে যারা জানেন তাদের জানা উচিত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য পেয়ারা একটি মহা ঔষধ নিয়মিত পেয়ারা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় হয়। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তারা যদি নিয়মিত পেয়ারা খায় তাহলে এই সমস্যা আর থাকবে না
বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী পেয়ারা শুধু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সক্ষম এমনটা না পেয়ারার মধ্যে অনেক গুণাগুণ আছে যা মানব দেহে অনেক ধরনের উপকার করে পেয়ারা খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এছাড়াও আরো অনেক উপকার করে।
নিয়মিত পেয়ারা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় হজম ভালো হয় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে এছাড়া অনেক ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় শুধুমাত্র পেয়ারা ফল খাওয়ার জন্য।
আমাদের সকলের উচিত নিয়মিত একটি করে পেয়ারা খাওয়া তবে অতিমাত্রায় কোন কিছুই ভালো না যদি কেউ বেশি পরিমাণে পেয়ারা খায় তাহলে তার হজমের সমস্যা সহ আরো অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে পেটের মধ্যে।
মানুষ ভিটামিন সি যুক্ত পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জানতে চাই এবং পেয়ারার গুনাগুন সম্পর্কে জানার আগ্রহ অনেক বেশি গুণসম্পন্ন একটি ফল এ ফলটি বাংলাদেশের প্রচুর পরিমাণে চাষ করা হয়।
পেয়ারা পাতার উপকারিতা
যাদের হজমে সমস্যা হয় এসিডিটি অথবা গ্যাসের সমস্যা থাকে তারা যদি পেয়ারার পাতা চিবিয়ে খায় তাহলে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে অনায়াসে। তাই শুধুমাত্র পেয়ারা যে অধিক গুন সম্পন্ন এমনটা কিন্তু না পেয়ারার পাতাও সমানভাবে গুণ সম্পন্ন।
পেয়ারা পাতা চিবিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যসহ আরো অনেক ধরনের পেটের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায় তাই অনেকেই আছে যারা পেটের সমস্যায় প্রতিনিয়ত কষ্ট পাচ্ছে তাদের জন্য শুধুমাত্র দুই থেকে তিনটি পেয়ারার পাতা চিবিয়ে খেয়ে নিলেই এ ধরনের সমস্যা থেকে অনায়াসে রেহাই পাবে।
পেয়ারার পাতা ওজন কমাতেও সাহায্য করে আবার যদি কেউ চিবিয়ে খেতে সমস্যা মনে করে তাহলে সে যদি পেয়ারার পাতা চা বানিয়ে খায় তাহলেও অনেক উপকার পাবে নিজের শরীরের মধ্যে। পেয়ারার পাতার মধ্যে অনেক গুণ আছে যা মানুষের অনেক উপকার হয়।
পেয়ারার পাতা মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে যদি কেউ নিয়মিত পেয়ারার পাতা খায় তাহলে তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং নিজের হার্টকে সুস্থ রাখতে পারে।
পেয়ারার পাতা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও কার্যকরী তাই পেয়ারা পাতা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই যদি কেউ নিয়মিত পেয়ারার পাতা চিবিয়ে খায় তাহলে অনেক ধরনের উপকার পাবে।
পেয়ারা খাওয়ার অপকারিতা
পেয়ারার মধ্যে যেমন অনেক ধরনের গুণ আছে ঠিক তেমনি অতিরিক্ত পরিমাণে পেয়ারা খেলে শরীরে অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে যেমন অতিরিক্ত পেয়ারা খেলে শরীরের হজমের সময় শেষ দৃষ্টি হতে পারে এবং গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
রোগীদের ক্ষেত্রে পেয়ারা খাওয়া মারাত্মক হতে পারে কারণ রোগীরা এমনিতেই দুর্বল হয় তার ওপরে যদি তার শরীরে পেয়ারা যায় তাহলে তার হজমে বাধা দিতে পারে এবং পেটের গন্ডগোল শুরু হবে তাই অতিরিক্ত পরিমাণ পেয়ারা খাওয়া একেবারেই উচিত না।
নিয়ম মেনে যদি পেয়ারা খাওয়া হয় তাহলে শরীরের অনেক ধরনের সমস্যা দূর হবে এবং কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হবে না অনেকে আছে যারা একসাথে তিন থেকে না খেয়ে ফেলে তাদের উচিত একবারে একদিনে একটা প্যারায় খাওয়া তাহলে শরীর ভালো থাকবে ।
যদি কারোর কিডনির সমস্যা থাকে তাহলে পেয়ারা খাওয়া একেবারে উচিত হবে না কেননা পেয়ারা খেলে কিডনির সমস্যা আরও বেশি বেড়ে যেতে পারে তাই অবশ্যই দেয়াড়া খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পেয়ারা খাওয়া অতিরিক্ত পরিমাণে একেবারেই উচিত না কেননা রক্তে শরবারের পরিমাণ বাড়ে পেয়ারা খেলে তাই অল্প পরিমাণে পেয়ারা খেলে কোন ধরনের সমস্যা হবে না এবং ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে আর যদি কেউ বেশি পরিমাণে পেয়ারা খায় তাহলে রক্তের শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাবে।
পরিশেষে
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url