সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ জেনে নিই
সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ জেনে নিই
রসুন আমাদের দৈনন্দিন খাবারের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা অনেক। তাই আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
রসুন আমরা রান্নায় এবং কাঁচা হিসেবেও খেয়ে থাকি। রসুন স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটি খাবার।রসুনে থাকা এলিসিন নামক উপাদান ক্যান্সার সহ অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।তাই রসুনের উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ ও কার্যকারিতা সকল বিষয় সম্পর্কে আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবো।
রসুনের পরিচিতি
রসুন এলিয়াম স্যাটিভাম গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। রসুন মসলা এবং ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। রসুন মহাঔষধ হিসেবে পরিচিত। এজন্য রসুনকে গরিবের পেলিসিলিন বলা হয়ে থাকে। এটি হৃদপিণ্ড এবং রক্ত সংবহনতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
রসুন অ্যালিসিন নামক রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা তৈরি। অ্যালিসিন রসুনের গন্ধ তৈরি করে থাকে। এবং কেমিক্যাল এর মাধ্যমে রসুন দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করার মাধ্যমে গন্ধহীন করে রাখা যায়। এটি সাধারণ সর্দি কাশি সারাতে সাহায্য করে। এবং উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে।
রসুনের পুষ্টিগুণ ও উপাদান
রসুনের পুষ্টি উপাদান এবং বায়োএকটিভ যৌগ রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। রসুন ভেষজ ঔষধি হিসেবে প্রাচীনকাল থেকে প্রচলিত হয়ে আসছে। এছাড়া আধুনিক গবেষণায় রসুনের উপকারিতা ও কার্যকারিতা অনেক বেশি বলে প্রমাণিত হয়েছে।
একটি ৩ গ্রাম রসুনের পুষ্টিগুণ হল-
- ক্যালোরি- ৫ কিলোক্যালোরি
- কার্বোহাইড্রেট- ১ গ্রাম
- ফাইবার-০.১ গ্রাম
- প্রোটিন- ০.২ গ্রাম
- ম্যাঙ্গানিজ- ০.০৬ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন বি৬-০.০৪ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন সি- ০.৯ মিলিগ্রাম
- ক্যালসিয়াম-৫ মিলিগ্রাম
রসুন খাওয়ার উপকারিতা
রসুন খাওয়ার উপকারিতা অনেক। অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ রসুন স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার। এটি বিভিন্ন অসুখ থাকে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। রসুন খাওয়ার উপকারিতা দেওয়া হল-
প্রদাহ কমাতেঃ প্রদাহ কমাতে রসুন শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে। রসুন অসুস্থতার ভুড়ি কমাতে সাহায্য করে নিয়মিত রসুন খেলে প্রদাহজনিত বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে থাকে।
সুনয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস তৈরি করতেঃ রসুন নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখতে সাহায্য করে। রসুনের তৈরি খাবার যেকোনো খাবারের স্বাদ অনেক গুন বাড়িয়ে দেয়। যা খাদ্য স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এবং রসুনের অল্প পরিমাণে চর্বি থাকায় ও ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
রক্তের লিপিড কমাতেঃ রসুন রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করে। এবং ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে রসুনের সাথে অলিভ অয়েল মিশ্রণ করে খেলে বেশি কার্যকর হয়।
স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতেঃ রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাতে এবং বিভিন্ন স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। এবং শরীরকে বিভিন্ন অসুখের হাত থেকে সুস্থ রাখে।
কার্ডিও ভার্সকুলার রোগের ঝুঁকি কমাতেঃ রসনে থাকা উপাদান ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখি যা শরীরে স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেঃ রসুনের থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে এবং শরীরকে বিভিন্ন অসুখের হাত থেকে রক্ষা বলে থাকে।
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করেঃ নিয়মিত সকালে খালি পেটে রসুন খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়তে সাহায্য করে। রসুনে থাকা উপাদান নিউরাল টিস্যু গুলোকে উদ্দীপ্ত করতে সাহায্য করে ফলে রসুন খেলে মস্তিষ্কে গঠন বৃদ্ধি পায় এবং স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে।।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতেঃ রসুন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। নিয়মিত রসুনের রস খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ধমনী এবং শিরাগুলো স্বাভাবিক রেখে শরীরকে সুস্থ রাখে।
অ্যাথলেটিক কর্ম ক্ষমতা বাড়াতেঃ যারা খেলোয়ার তাদের অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয় এবং অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হয় তাই অ্যাথলেটিক দের নিয়মিত রসুনের রস খেলে শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং বিভিন্ন রকমের স্ট্রেস থেকে দূরে থাকতে পারে।
হাড় মজবুত করতেঃ রসুনে থাকা যৌগ উপাদান হার হার মজবুত করতে সাহায্য করে। এবং শরীরের হার গঠন করে থাকে। রসুনের রস খেলে হাড়ের যেকোনো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এবং যারা হাড়ের পাশে দীর্ঘদিন ভোগে তারা নিয়মিত রসুনের রস বা ওষুধ খেলে দ্রুত সেরে যায়।
সকালে খালি পেটে মধু ও রসুন খাওয়ার উপকারিতা
সকালে খালি পেটে মধু এবং রসুন দুটোই অনেক উপকারী। মধুর মিষ্টি স্বাদ এবং রসুনের ঝাঁঝালো গন্ধ দুই মিলে অনেক স্বাস্থ্যকর একটি উপাদান তৈরি হয়। তবে রসুন রান্নার বদলে কাঁচা খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তাই মধুর সাথে রসুন মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
রসুন খাবারের স্বাদ অনেক গুন বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও রসুন কাঁচা খেলে এর ঔষধি গুনাগুন অনেক বেশি। এবং শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। তবে অবশ্যই নিয়ম মেনে পরিমিত রসুন খেতে হবে। রসুন খেলে উচ্চ রক্তচাপ এবং বিভিন্ন অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
আর মধুতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। মধু শরীরের ভেতর এবং বাহির থেকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া মধু প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় অনেক বেশি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে মধু। মধুতে শর্করা পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাই মধু হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এবং শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।
রসুন ও মধু একসাথে খাওয়ার জন্য প্রথমে তিন চারটি রসুনের কোয়া নিয়ে কুচি কুচি করে কেটে তার সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিতে হবে তারপর প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মধু ও রসুন খেতে হবে। তাহলে সারাদিনের ক্লান্তি দূর হবে। এবং শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করবে এই মধু ও রসুন।
রসুন খাওয়ার নিয়ম
রসুন কাঁচা বা রান্নায় বিভিন্নভাবে খাওয়া হয়ে থাকে। রসুন অতি পুষ্টিকর একটি খাবার যা ভেষজ ঔষধি হিসেবে ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে রসুন কাঁচা খেতে পারলে পুষ্টিগুণ অনেক গুণ বেড়ে যায়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন উপরের খোসা ছাড়িয়ে পানি দিয়ে খেতে পারলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
আবার অনেকে কাঁচা রসুনের তীব্র গন্ধ সহ্য করতে পারেনা। সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন রান্নার সাথে রসুন খেতে হবে। তাছাড়া রসুনের আচার ও বিভিন্ন মুখরোচক খাবার হিসেবে রসুন খেতে পারি। রসুন যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন তা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। রসুন শরীরকে বিভিন্ন অসুখে হাত থেকে রক্ষা করে। এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ত্বকের যত্নে রসুনের উপকারিতা
সুপার ফুডের তালিকায় থাকা রসুন অনেক পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ একটি খাবার। রসুন প্রতিদিনের রান্নায় শুধু ব্যবহার করা হয় তা নয়। রসুন প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়ার উপকারিতাও অনেক। এবং প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় রসুন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
বর্তমানে ত্বকের সমস্যার সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ব্রণের সমস্যা। ব্রণের এই সমস্যা দূর করতে রসুন খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। রসুনের কোয়া নিয়ে ছেঁচে রস বের করে নিয়ে মুখের ত্বকে লাগাতে হবে। এভাবে মুখে লাগিয়ে পাঁচ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
এছাড়াও ত্বকের লোমকূপে ময়লা জমতে জমতে লোমকূপ বড় হয়ে যায়। এই লোমকূপে ময়লা জমতে থাকলে ব্রনের সমস্যা বেশি হয়ে যায় এবং ত্বকের কালো দাগের সৃষ্টি হয়। এই সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য রসুন খুবই উপকারী। একটি রসুনের সাথে অর্ধেক টমেটো নিয়ে পেস্ট করে মুখে ভালো হবে লাগাতে হবে ১০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
অনেকের এলার্জির সমস্যার কারণে শরীরের লাল দাগ এবং ফুসকুড়ি লেখা যায়। এই লাল দাগ এবং পোস্ট করি দূর করতে রসুন খুবই উপকারী। যেসব জায়গায় লালদাগ ও ফুসকুড়ি দেখা দিয়েছে সেখানে রসুন বেটে রস করে লাগাতে হবে তাহলে লাল দাগ দূর হবে এবং জ্বালাপোড়া কমে যাবে।
গর্ভাবস্থায় রসুন খাওয়ার উপকারিতা
রসুনের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেলস, ভিটামিন এবং নিউট্রেন। এবং রসুনে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা শরীরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। রসুন রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এবং হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
রসুন গর্ভাবস্থায় খাওয়া গেলেও খুবই পরিমিত ও নিয়ম মেনে খেতে হবে। অতিরিক্ত পরিমাণে রসুন খেলে রক্ত পাতলা হয়ে যায়। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে রসুন খাওয়া যাবেনা। এবং গর্ভাবস্থায় কাঁচা রসুন চিবিয়ে না খাওয়া খাওয়া উচিত। এবং অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।
শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষায় রসুন খাওয়ার উপকারিতা
সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি সেটা সবার ক্ষেত্রে। শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষায় রসুন খুবই উপকারী একটি খাবার। শিশুদের স্বাস্থ্য রক্ষায় রসুন খাওয়ার উপকারিতা দেওয়া হল-
সর্দি-কাশিতেঃ সাধারণ সর্দি-কাশিতে শিশুদের রসুন খুবই উপকারী। রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। এবং সাধারণ সর্দি কাশি সারাতে সরিষার তেলের সাথে রসুন ব্যবহার করলে সর্দি কাশি সেরে যাই।
অন্ত্রের কিট ও পোকামাকড় থেকে রক্ষায়ঃ বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কিট বা কৃমি পাকস্থলীতে বাসা বাঁধে। এবং অন্ত্রে গিয়ে ডিম পাড়ে সেক্ষেত্রে শিশুদের এসব কিট থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য রসুন খুবই উপকারী একটি খাবার।
হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতেঃ হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে রসুন খুবই উপকারী। শিশুদের ক্ষেত্রে ছোট থেকেই রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে ভবিষ্যতে উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। রসুন শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেঃ শিশুর রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করার জন্য রসুন খুবই প্রয়োজনীয় একটি খাবার। রসুন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন অসুখের হাত থেকে শিশুকে রক্ষা করে থাকে।
রসুনের অপকারিতা
রসুন একটি সুপার ফুড জাতীয় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি খাবার। সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেলে শরীর থেকে অনেক অসুখ দূর হয়ে যায়। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে বা নিয়ম মেনে না খেলে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই রসুন খাওয়ার অপকারিতা নিচে দেওয়া হল-
- খালি পেটে রসুন খেলে অনেকের ডায়রিয়া হতে পারে।
- অতিরিক্ত রসুন খেলে রক্তে ঘনত্ব কমে যেতে পারে। যারা অ্যাসফিরিন, ওয়ারফিরিন জাতীয় ওষুধ খাই তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণে রসুন খাওয়া ঠিক নয়। এতে করে রক্তের ঘনত্ব পাতলা হয়ে যায়।
- এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, অতিরিক্ত রসুন খেলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে এবং শরীরের ঘাম বেশি পরিমাণে বের হয়ে যায়।
- আবার খালি পেটে প্রথম খেলে বমি ভাব ও বুক জ্বালাপোড়া হতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পরিমাণে রসুন খেলে প্রসব বেদনা দেখা দিতে পারে বা রক্তক্ষরণ হতে পারে।
- স্তন্য দানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণে রসুন খেলে দুধের স্বাদ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।
পরিশেষে
রসুন অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়ার ফলে অনেক অসুখ থেকে দূরে থাকা যায়। বিভিন্ন তরকারিতে রান্নার স্বাদ বাড়াতে রসুন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রাচীনকাল থেকে রসুন অত্যন্ত পুষ্টিকর ভেষজ ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রসুন বা রসুনের অন্য কোন উপাদান থাকা প্রয়োজন।
রসুন স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী খাবার বলে রসুনকে সুপার ফুড হিসেবে বলা হয়ে থাকে। তাই এই আর্টিকেলের মাধ্যমে রসুনের পুষ্টিগুণ এবং রসুন খেলে কি কি উপকার হতে পারে এবং ত্বকের যত্নে রসুনের উপকারিতা সহ সকল বিষয় জানতে পারবেন এই আর্টিকেলটি পড়ে। তাই নিয়মিত বিভিন্ন তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে www.jarinonline.com ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url