প্রাকৃতিক সুপার ফুড স্পিরুলিনা বা সামুদ্রিক শৈবালের উপকারিতা জানুন
প্রাকৃতিক সুপার ফুড স্পিরুলিনা বা সামুদ্রিক শৈবালের উপকারিতা জানুন
প্রাকৃতিক সুপার ফুড স্পিরুলিনা বা সামুদ্রিক শৈবাল এ সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। কিন্তু অতি পুষ্টিকর এই খাদ্য স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তাই আজকে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে প্রাকৃতিক সুপার ফুড স্পিরুলিনা বা সামুদ্রিক শৈবালের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
প্রাকৃতিক সুপার ফুড স্পিরুলিনা বা সামুদ্রিক শৈবাল সমুদ্রের একটি উদ্ভিদ। প্রধানত এটি একটি শৈবালের নাম। সবুজ এই শৈবাল প্রাকৃতিক পুষ্টিগুনে ভরপুর। এজন্য একে প্রাকৃতিক সুপার ফুড বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। স্পিরুলিনা বা সামুদ্রিক শৈবাল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি উদ্ভিদ।
স্পিরুলিনা বা সামুদ্রিক শৈবাল
স্পিরুলিনা একটি সামুদ্রিক সবুজ শৈবাল। স্পিরুলিনা মূলত পানিতে জন্মায়। স্পিরুলিনা নামটি নেয়া হয়েছে ল্যাটিন শব্দ SPIRA থেকে। যার অর্থ সর্পিলাকার বা পাকানো। কারণ এটি সর্পিলাকার বা পাকানো হয়ে থাকে। এটি সাধারণত সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি সঞ্চয় করে থাকে। স্পিরুলিনা সবজি হিসাবে খাওয়া যায়। এবং স্পিরুলিনাতে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
স্পিরুলিনা বা সামুদ্রিক শৈবালের পুষ্টিগুণ ও উপাদান
স্পিরুলিনা একটি অধিক পুষ্টি সমৃদ্ধ খাওয়ার হওয়া এটি যেকোনো মানুষের জন্য একটি আদর্শ খাবার। যেকোন অসুস্থ রোগীর জন্য খুবই ভালো পুষ্টি দায়ক খাবার হিসেবে কাজ করে। স্পিরুলিনাতে রয়েছে প্রোটিন ৬০-৭০% যার বেশিরভাগই এসেনশিয়াল এমাইনো এসিড দিয়ে গঠিত।
কার্বোহাইড্রেট ১৫% হিসেবে থাকে গ্লাইকোজেন। এবং ফ্যাট রয়েছে ৫-৮% যা এসেনসিয়াল গামা এসিড রয়েছে। এছাড়াও মিনারেলের মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, এবং সেলিনিয়াম। এছাড়াও ভিটামিন এর মধ্যে রয়েছে, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন বি১২।
আর ন্যাচারাল পিগমেন্টের মধ্যে রয়েছে, ক্লোরোফিল, জ্যান্তফিল, বিটা-ক্যারোটিন, এবং ফাইটোসায়ানিন উল্লেখযোগ্য। স্পিরুলিনাতে থাকা এত উপাদান অসুস্থ রোগীকেও সহজে সারিয়ে তুলতে পারে। স্পিরুলিনা অত্যন্ত পুষ্টিকর প্রাকৃতিক সুপার ফুড।
স্পিরুলিনা বা সামুদ্রিক শৈবালকে সুপার ফুড বলার কারণ
স্পিরুলিনাতে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকায় একে সুপারফুড বলা হয়। স্পিরুলিনাকে সুপারফুড বলার কারণ হলো এতে মাছ এবং গরুর মাংসের তুলনায় ৩ গুণ বেশি প্রোটিন আছে এবং ডিমের তুলনায় ৬ গুণ বেশি প্রোটিন রয়েছে। সয়াবিনের তুলনায় ২ গুণ বেশি মিনারেল রয়েছে।
আটার চেয়ে ৪ গুণ বেশি ফাইবার বা আশ রয়েছে। এতে গাজরের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি এবং পালং শাকের তুলনায় ৪০ গুন বেশি ক্যারোটিন রয়েছে। এবং দুধের তুলনায় ১০ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম রয়েছে।
এছাড়াও পালং শাকের তুলনায় ৬৫ গুণ আয়রন রয়েছে এবং গরুর মাংসের তুলনায় ৩০ গুণের বেশি আয়রন রয়েছে। অধিক পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার এটি। তাই স্পিরুলিনাকে সুপার ফুড বলা হয়ে থাকে।
স্পিরুলিনা বা সামুদ্রিক শৈবালের উপকারিতা
স্পিরুলিনা সমুদ্রের প্রাকৃতিক শৈবাল। এবং এই সামুদ্রিক শৈবাল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী কিন্তু এই স্পিরুলিনা বা সামুদ্রিক শৈবাল হিসেবে এখনো অনেকে চিনে না। এবং এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। স্পিরুলিনা বা সামুদ্রিক শৈবালের উপকারিতা নিচে দেওয়া হল-
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেঃ স্পিরুলিনাতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিন মিনারেল সঠিক মাত্রায় রয়েছে যা শরীরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিভিন্ন অসুখ থাকে শরীরকে সুস্থ রাখে। এবং অসুস্থ রোগীকেও দ্রুত সারাতে সাহায্য করে থাকে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করতেঃ স্পিরুলিনা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখে। স্পিরুলিনা হজম শক্তি নিয়ন্ত্রণে রেখে শরীরে খাদ্যের চাহিদা সঠিক মাত্রাই রাখতে সহায়তা করে।
নিয়মিত স্পিরুলিনা খাওয়ার ফলে পেট ভালো থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেঃ স্পিরুলিনা শরীরে ভিটামিন ও প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এবং উচ্চ রক্তচাপে ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
দেহে শক্তি বাড়াতেঃ অনেক সময় শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায়। এবং কাজ করার কোন শক্তি থাকে না। এমন অবস্থায় এক চামচ স্পিরুলিনা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এবং শরীরে কাজ করার শক্তি জোগাতে সহায়তা করে থাকে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেঃ স্পিরুলিনা হৃদরোগের যদি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ স্পিরুলিনা এমন একটি খাবার যেখানে প্রোটিনের এবং সকল ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে এবং অতিরিক্ত ফ্যাট ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
হার্ট ও ফুসফুস ভালো রাখতেঃ স্পিরুলিনা এমন একটি খাবার যা অতিরিক্ত ফ্যাট বা কোলেস্টেরল কমিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট ও ফুসফুস কে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত ওজন কমাতেঃ স্পিরুলিনা অধিক পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার হওয়ায় এইখানে। সব রকম ভিটামিন এর চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। এবং সব ধরনের ভিটামিন পরিমাণ মতো থাকায় স্পিরুলিনা খাওয়ার পরে কোনরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। বা শরীরের অতিরিক্ত মেদ বা ভুড়ি কমাতে সাহায্য করে।
হাড় ও মাংসপেশি গঠনেঃস্পিরুলিনাতে থাকা ক্যালসিয়াম দেহের হাড় ও মাংসপেশি গঠনে সাহায্যে করে থাকে। এবং হার ক্ষয় রোধে সাহায্য করে থাকে।
ত্বকের যত্নেঃ স্পিরুলিনা ত্বকের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্পিরুলিনাতে যে পরিমাণ ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা দেহের ভেতর থেকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এবং ত্বককে লাবণ্যময় করে তোলে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেঃ স্পিরুলিনা রাখতে গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা গ্লুকোজের মাত্রা কে বাড়তে দেয় না। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখে রোগীকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
রক্তস্বল্পতা পূরণেঃ স্পিরুলিনাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। যা রক্তস্বল্পতা পূরণে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও এতে অ্যামাইনো এসিড সহ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে। যা দেহের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতেঃ স্পিরুলিনাতে ভিটামিন এ এবং মিনারের ও খনিজ পরিমাণ বেশি থাকায় এটি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। এবং দৃষ্টিশক্তি দীর্ঘ সময় সচল রাখে। চোখের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
শরীরের ক্লান্তি দূর করতেঃ স্পিরুলিনা শরীরের ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক চামচ স্পিরুলিনা খেলে শরীরে ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। এবং শরীরে কাজ করার শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। এটি শরীরকে ভেতর থেকে এনার্জি বুস্ট করে থাকে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেঃ স্পিরুলিনা অত্যন্ত পুষ্টিকর ও ভিটামিনযুক্ত খাবার হওয়ায় এটি শরীরের সকল উপাদানের মাত্রা ঠিক রেখে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এবং শরীরে উচ্চ কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ স্পিরুলিনা ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্পিরুলিনাতে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন ও উপাদান ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ কে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এবং স্পিরুলিনাতে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন বিটা-ক্যারোটিন, সেলিমিয়াম, ফেনলিক অ্যাসিড ইত্যাদি
ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
স্পিরুলিনা বা সামুদ্রিক শৈবাল খাওয়ার নিয়ম
স্পিরুলিনাতে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান রয়েছে। এতে মাছ এবং গরুর মাংসের তুলনায় তিনগুণ এবং ডিমের তুলনায় ছয় গুণেরও বেশি প্রোটিন থাকায়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। তবে বিভিন্নভাবে স্পিরুলিনা খাওয়া যায়। তবে সবজি হিসাবে স্পিরুলিনা খাওয়া যায় এবং জুস করে বা বিভিন্ন খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়। স্পিরুলিনা খাওয়ার নিয়ম দেওয়া হল-
- স্পিরুলিনা কোন মেডিসিন নয়। তাই যেকোন সবজি বা যেকোন খাবারের সাথে মিশিয়ে এটি খাওয়া যায়। এবং বিভিন্ন খাবারের সাথে পুষ্টিমান ঠিক রেখে এটি খাওয়া যায়।
- এমনকি স্পিরুলিনা জুস করে বা চায়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়। আবার ভর্তা, তরকারি, শাকসবজি বা সালাদের সাথে সামান্য পরিমাণ মিশিয়ে খাওয়া যায়।
- বাচ্চাদের দুধ বা ভাতের সাথে মিশিয়ে স্পিরুলিনা খাওয়ানো যায়।
- এছাড়া রুটি, আলুভর্তা, নুডুলস, শরবত, হালুয়া ইত্যাদির সাথে মিশিয়ে স্পিরুলিনা খাওয়া যায়।
- আবার অনেকে স্পিরুলিনা পাউডার হিসাবে অন্যান্য খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে না পারলে এটি ক্যাপসুল হিসাবে খাওয়া যায়। স্পিরুলিনা ক্যাপসুল কিনতে পাওয়া যায়।
- দ্রুত ওজন কমাতে প্রতিদিন এক গ্লাস পানিতে ১ চামচ স্পিরুলিনা এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে।
ত্বকের যত্নে স্পিরুলিনা পাউডারের উপকারিতা
স্পিরুলিনা পাউডার প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যেমন ক্যারোটিন, ক্যারোটিনইয়েড, ক্লোরোফিল যা শরীরের ফ্রি রেডিক্যাল গুলোকে নিয়ন্ত্রণ আনতে সাহায্য করে। এবং অক্সিটিভ ত্বকের ক্ষতি কমাতে এবং বার্ধক্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
স্পিরুলিনা পাউডার তোকে গভীর থেকে শোষণ করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের ছিদ্র গুলিতে ময়লা শোষণ করে ত্বককে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। স্পিরুলিনাতে থাকা পলিস্যাকারাইড ত্বকের আদ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ত্বককে ময়েশ্চারাইজিং করে পিগমেন্টেশনের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
স্পিরুলিনা পাউডার ওকে বলি রেখা দূর করতে সাহায্য করে। এবং ত্বকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের বার্ধক্য কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের শিথিলতা ও বলিরেখা দূর করে ত্বককে ভিতর থেকে বিভিন্ন টক্সিক বের করে ত্বককে উজ্জ্বল এবং লাবণ্যময় করে তুলতে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় স্পিরুলিনা বা সামুদ্রিক শৈবাল খাওয়ার উপকারিতা
স্পিরুলিনা খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। এবং এটি সব বয়সে মানুষের জন্য উপকারী। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পুষ্টির প্রয়োজন হয় তাই গর্ব অবস্থায় এই খাবারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এবং গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতা পূরণ করতে সাহায্য করে থাকে। গর্ভাবস্থায় স্পিরুলিনা খাবার উপকারিতা হল-
- স্পিরুলিনায় ভিটামিন বি১২ এর সকল উপাদান রয়েছে। যা শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে সাহায্য করে। এবং শিশু কে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
- স্পিরুলিনা রক্তস্বল্পতা পূরণে সহায়তা করে। কারণ গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত রক্তের প্রয়োজন হয়। যা গর্ভবতী মা ও বাচ্চার জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। স্পিরুলিনা তা পূরণে সহায়তা করে।
- স্পিরুলিনাতে থাকা ক্যালসিয়াম শিশুর হাড় গঠনে সাহায্য করে। এটিতে থাকা ক্যালসিয়াম মাংসপেশি গঠন করে। এবং গর্ভবতী মায়ের শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে।
- স্পিরুলিনা গর্ভবতী মায়ের বাচ্চা দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এবং বাচ্চার দুধ খাওয়ার মাধ্যমে বাচ্চার ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে।
- স্পিরুলিনা গর্ভাবস্থায় বাচ্চার হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে।
স্পিরুলিনা পাউডারের দাম
স্পিরুলিনা বা সবুজ শৈবাল সম্পর্কে এখনো অনেক মানুষের জানা নাই। এখনো অনেকেই আছে যে স্পিরুলিনা সম্পর্কে জানেই না। আর এই খাবারটি অতিমাত্রায় সকলের কাছে পরিচিত না হওয়ার কারণ এটি সকলের হাতের নাগালে পাওয়া যায় না। কিন্তু অধিক পুষ্টি সমৃদ্ধ এই খাবারটি পুষ্টিবিদদের কাছে একটি আদর্শ খাবার হিসেবে পরিচিত।
স্পিরুলিনা পাউডার প্রতি ৬০ গ্রাম ওজনের দাম ৯৯০ টাকা বা তার থেকে একটু বেশি লাগতে পারে।তবে বিভিন্ন অনলাইন পেজে অর্গানিক স্পিরুলিনা পাউডার পাওয়া যায়। তারা সারা বাংলাদেশ হোম ডেলিভারির মাধ্যমেও স্পিরুলিনা পাউডার কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠিয়ে থাকে। বা বিভিন্ন সুপার শপে স্পিরুলিনা পাউডার পাওয়া যায়।
স্পিরুলিনা বা সবুজ শৈবাল ক্যাপসুলের উপকারিতা
অনেকেই আছে স্পিরুলিনা বা সবুজ শৈবাল পাউডার হিসেবে খেতে পারেনা। আবার অনেক সময় সবজি বা জুস হিসেবেও খেতে সমস্যা হয়। সে ক্ষেত্রে স্পিরুলিনা ক্যাপসুল হিসেবে খাওয়া যায়।স্পিরুলিনা ক্যাপসুলের উপকারিতা দেওয়া হল-
- স্পিরুলিনার প্রায় ৬০ শতাংশ আমিষ যা মানুষের শরীরের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে। স্পিরুলিনা ক্যাপসুল মানুষের দেহের আমিষের চাহিদা পূরণ করে থাকে।
- স্পিরুলিনা ক্যাপসুল দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং শরীরকে বিভিন্ন অসুখের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- স্পিরুলিনা ক্যাপসুল দুগ্ধ দানকারী মায়ের জন্য অনেক বেশি জরুরী। কারণ এই ক্যাপসুল শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে এবং বাচ্চাকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- স্পিরুলিনা ক্যাপসুলের থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের ভেতর থেকে ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে সাহায্য করে। দেহের বিভিন্ন টক্সিক দূর করতে সাহায্য করে।
পরিশেষে
স্পিরুলিনা প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া সবচেয়ে বেশি পুষ্টিকর একটি খাবার। যাকে আমরা প্রাকৃতিক সুপার ফুড হিসেবে বলতে পারি। প্রাকৃতিক সুপারফুড স্পিরুলিনার উপকারিতা অনেক বেশি। স্পিরুলিনা ভিটামিন বি১২ এর একটি ভালো উৎস। এবং মিনারেল, আয়রন সহ সকল ভিটামিন রক্তস্বল্পতা পূরণে সহায়তা করে থাকে।
প্রাকৃতিক সুপার ফুড স্পিরুলিনা বা সবুজ শৈবালের উপকারিতা, পুষ্টিগুন,উপাদান এবং স্পিরুলিনার কাজ সহ সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হলো এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। আশা করি স্পিরুলিনার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ভালো ধারণা পেয়েছেন। নিয়মিত বিভিন্ন তথ্যমূলক আরো পোস্ট পেতে www.jarinonline.com ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url