OrdinaryITPostAd

চুলের যত্নে আমলকির উপকারিতা ও ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিই

 চুলের যত্নে আমলকির উপকারিতা ও ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিই

আমলকির কথা অনেকেই জানে। কিন্তু চুলের যত্নে আমলকি উপকারিতা ও ব্যবহারের সম্পর্কে অনেকেই সঠিক জানে না। তাই  চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার ও ব্যবহারের নিয়ম সহ সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে।

চুলের যত্নে আমলকি খুবই উপকারী একটি ফল। এটি চুলের যত্ন ছাড়াও ত্বকের যত্নে এবং শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে থাকে। আমলকি চুল পড়া রোধ করে এবং চুলের খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। চুলার যত্নে আমলকির উপকারিতা বিস্তারিত আলোচনা করব এই আর্টিকেলে।

আমলকির উপকারিতা

আমলকিতে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। আমলকি খেলে শরীরের বিভিন্ন অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।এবং ত্বকের ও চুলের যত্নে আমলকি খুবই উপকারী একটি ফল। তাই আমলকির উপকারিতা হলো-

  • আমলকি চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে। এটি চুলের গোরা মজবুত করতে সাহায্য করে। এবং চুল পড়া রোধ করে চুলকেহ ঘন মজবুত শক্তিশালী করে তুলতে পারে।
  • প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ বা পানির সঙ্গে এক চামচ আমলকির গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে এসিডিটির সমস্যা দূর হয়। নিয়মিত এই খাবারটি খেলে পেট পরিষ্কার থাকে।
  • আমলকি চুল পড়া রোধ করে এবং খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও আমলকি চুল পাকা রোধ করতে সহায়তা করে থাকে।
  • আমলকি নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং পেট ফোলা ভাব, বদ হজম বিভিন্ন পেটের সমস্যা দূর করে থাকে। এছাড়াও আমলকি পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
  • প্রতিদিন সকালে আমলকির রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার হয়। এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা ব্রন, ফুসকুড়ি ইত্যাদি সমস্যা থেকে রক্ষা করে থাকে।
  • আমলকি চোখের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত আমলকি খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। এবং চোখ থেকে পানি পড়া, চোখ চুলকানো ইত্যাদি সমস্যা দূর করে থাকে।
  • নিয়মিত আমল কি খেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং মুখের ভেতরে দাঁত ও মারি ভালো রাখে সাহায্য করে। এবং মুখের ভেতরের ব্যাকটেরিয়া দূর করে মুখের ভেতর পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
  • আমলকির টক এবং তেতো ভাব মুখের রুচি বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন নিয়মিত খাবার আগে আমলকির গুড়ার সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে ক্ষুধা বৃদ্ধি পায় এবং খাবার চাহিদা বেড়ে যায়।
  • আমলকি তে ভিটামিন সি বেশি পরিমাণে থাকায় আমলকি খেলে জ্বর, সর্দি, কাশি সহ বিভিন্ন অসুখ। দূর করতে সাহায্য করে। আমলকি খেলে সারা দিনের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ হয়ে যায়।
  • আমলকিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলে  আমলকি খেলে শরীরকে বিভিন্ন অসুখ থেকে রক্ষা করে। এবং শরীরকে সুস্থ রাখে।
  • আমলকিতে ভিটামিন সি বেশি থাকায় এটি খেলে শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে।
  • আমলকি খেলে শরীরে অ্যাজমা এবং ব্রংকাইটিস প্রতিরোধ করে শরীরকে সুস্থ রাখে।
  • আমলকির রস নিয়মিত চুলের যত্নে ব্যবহার করলে চুলের খুশকি দূর হয়। এবং চুল পড়া রোধ করে চুলকে স্বাস্থ্য উজ্জ্বল মসৃন করে তুলে।
  • আমলকি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ডাক্তারের সাহায্য করে। এবং নিয়মিত আমলকি খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • নিয়মিত আমলকি খেলে দাঁত ও হাড় ভালো থাকে। আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি দাঁত ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং হাড় মজবুত করে।

চুলের যত্নে আমলকির তেলের উপকারিতা

চুলের যত্নে আমলকি তেলের উপকারিতা বহুগুণ। আমলকির তেল ব্যবহারের ফলে মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। চুলের যত্নে আমলকির তেলের উপকারিতা দেওয়া হল-
  • আমলকি তেল ব্যবহারের ফলে মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এবং উঠে যাওয়া চুল আবার নতুন করে বেবি চুল অনেক বের হয়।
  • আমলকি তেল ব্যবহারের ফলে চুলের গোড়া শক্ত মজবুত করে তোলে। এবং চুলকে স্বাস্থ্য উজ্জ্বল ঝলমলে করে।
  • মাথায় আমল কি তেল মেসেজ করার ফলে মাথায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। ফলে চুলের বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে। এবং অনেক তাড়াতাড়ি চুল বড় হয়। এছাড়াও চুল পাকা রোধ করে।

চুলে আমলকি ব্যবহারের নিয়ম

আমলকি নানাভাবে চুলে ব্যবহার করা যায়। তবে আমলকি শুধু ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে না এর সাথে আরো কিছু প্রাকৃতিক উপাদান যোগ করতে হবে। আমলকির সাথে চুলে প্রাকৃতিক উপাদান আরো কি ব্যবহার করা যায় তা জেনে নিই-

  • আমলকির রসের সাথে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ভালো করে মাথায় মেসেজ করতে হবে। তারপর এক ঘন্টা রেখে ভালো করে শ্যাম্পু করে নিতে হবে।
  • আমলকির রস রস ভালো করে মাথায় মেসেজ করতে হবে তারপর চুলেও লাগাতে হবে এভাবে চুলে মেসেজ করার পর এক ঘণ্টাতে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
  •  কুসুম গরম নারকেল তেলের সঙ্গে আমলকির রস মিশিয়ে ভালো করে মাথায় ও চুলের গোড়ায় মেসেজ করতে হবে এভাবে এক ঘন্টা পর ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

এভাবে আমলকির রস চুলে ব্যবহার করলে চুলের গোড়া শক্ত হবে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। চুল পড়া রোধে আমলকির রস খুবই উপকারী একটি উপাদান।

নতুন চুল গজাতে আমলকির উপকারিতা

আমলকিতে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং ভিটামিন সি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এছাড়াও মাথার রক্ত সঞ্চালন করে থাকে। যা চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে চুলের গোড়া শক্ত করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

ছেলে বা মেয়ে অনেকেরই চুল পড়ে কিন্তু চুল মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তাই সকলে ই চাই সুন্দর চুল। আমলকিতে থাকা নিউট্রিয়েন্টস চুলে কোলাজেন নামক প্রোটিন তৈরি করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। আমলকি খেলেও চুলের গোড়া শক্ত হয়।

চুলের যত্নে আমলকি ও মেথির ব্যবহার

চুলের যত্নে আমলকি ও মেথি উপকারিতা অনেক। চুলের যত্নে আমলকি ও মেথি ব্যবহার করলে চুল মজবুত ও স্বাস্থ্যজ্জল হয়ে ওঠে। আমলকি ও মেথির হেয়ার প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। চুলের যত্নে আমলকী ও মেথির ব্যবহারদেওয়া হল-

  • মেথি বীজ সারারাত ভিজে রেখে। সকালে মেথি পেস্ট করে নিয়ে ভালো করে মাথায় লাগাতে হবে। এভাবে এক ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে চুল পড়া বন্ধ হবে।
  • মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি একটি স্প্রে বোতলে ভরে তা চুলে স্প্রে করতে হবে তারপর কিছুক্ষণ রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • মেথি ভিজিয়ে রেখে তা পেস্ট করে একটি ডিম এবং এক চামচ আমলকির রস মিশিয়ে ভালো করে প্যাক বানিয়ে এক ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • বাটা মেথির সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস এবং মেথি মিশিয়ে ভালো করে চুলে লাগাতে হবে। তারপর ত্রিশ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এবং চুলে শ্যাম্পু করতে হবে।
  • তিন চা চামচ মেথি গুঁড়ার সঙ্গে নারকেল তেল এবং আমলকির রস মিশিয়ে ভালো করে চুলে লাগিয়ে এক ঘন্টা হেয়ার ক্যাপ দিয়ে দেখে নিতে হবে। তারপর ভালো করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

ত্বকের যত্নে আমলকির ফেসপ্যাক বানানোর নিয়ম

ত্বকের যত্নে আমলকির ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বক অনেক উজ্জ্বল ও মসৃন হয়। এবং ত্বকের  বিভিন্ন দাগ ও বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। ত্বকের যত্নে আমলকির ফেসপ্যাক বানানোর নিয়ম দেওয়া হল-
আমলকি রস এবং পেঁপে

আমলকি এবং পেঁপে দুটোই ত্বকের পিগমেন্টেশন এবং ত্বকের কালচে ছোপদাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। পেঁপে ভালো করে পেস্ট করে নিতে হবে এবং এর সাথে আমলকির রস মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট করে মুখে লাগাতে হবে। মুখে লাগানোর সময় তুলা ব্যবহার করা ভালো। এভাবে ১৫ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে ত্বক উজ্জ্বল এবং মসৃণ হবে।

আমলকি, টক দই এবং মধু

রোদে পোড়া ত্বকে কালচে ও পোড়া দাগ দূর করতে আমলকি খুবই উপকারী একটি ফল। আমলকির সাথে টক দই এবং মধু একসাথে মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক বানাতে হবে। তারপর পুরো মুখে ঘাড়ে এবং গলায় এই ফেসপ্যাক লাগাতে হবে। এবং ২০ মিনিট পর ভালো করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।তাহলে ত্বক উজ্জ্বল এবং লাবণ্যময় হবে। একদিন পরপর এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করা যাবে।

আমলকি, চিনি এবং গোলাপ জল

ত্বকের মরা কোষ দূর করতে আমলকি, চিনি এবং গোলাপজলের ফেসপ্যাক খুবই কার্যকারী। এই ফেসপ্যাক নিয়মিত ব্যবহার করলে তক উজ্জ্বল হবে এবং ত্বকের মরাকোষ গুলো দূর করে ত্বককে লাবণ্যময় করে তুলবে। তাই এই ফেসপ্যাক মুখে লাগিয়ে মেসেজ করতে হবে। এবং মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃন হবে।

আমলকির তেল বানানোর নিয়ম

স্বাস্থ্যের উজ্জ্বল চুলের জন্য আমলকির তেল অনেক উপকারী। নিয়মিত আমলকির তেল ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং চুলের গোড়া শক্ত হয়। এছাড়াও আমলকি তেল খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। আমলকির তেল বানানোর নিয়ম দেওয়া হল-

বাড়িতে আমরা কি তেল বানানোর জন্য এক কাপ চা আমলকির বীজ নিতে হবে। তারপর আমলকিতে পানি না দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর ছেকে ভালো করে রস বের করে নিতে হবে।
একটি প্যানে এক কাপ নারকেল তেল এবং আমলকির বের করা রস একসাথে ভালো করে জ্বাল দিতে হবে। এবং এই তেল লো-হিটে জ্বাল দিতে হবে।
এভাবে ১০-১৫ মিনিট জ্বাল দিতে হবে। তেলের রং বাদামী রঙের হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। এরপর মিশ্রণটি ভালো করে ছেকে একটি কাচের পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে। স্বাস্থ্য উজ্জ্বল ও ঝলমলে চুল পেতে গোসলের ২০ মিনিট আগে এই তেল ব্যবহার করতে হবে।

ত্বকের যত্নে আমলকির উপকারিতা

ত্বক ভালো রাখতে ত্বকের যত্নের পাশাপাশি খাবারের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। ত্বকে ভেতর থেকে সুন্দর করতে হলে প্রয়োজনীয় সব খবরই খেতে হবে। এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। আবার ত্বকের যত্নে আমলকি অনেক বেশি উপকারী একটি খাবার। ত্বকের যত্নে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা হলো-

ত্বককে সতেজ ও উজ্জ্বল করতেঃ আমলকিতে ভিটামিন সি এর পরিমাণ বেশি থাকায় এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বকের ফ্রি রেডিকেলের কারণে বিভিন্ন স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে। এবং ত্বককে ভেতর থেকে ভালো রাখতে সাহায্য করে ও অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

কোলাজেন উৎপাদন করতেঃ কোলাজেন ভিটামিন সি ভিটামিন সি সংশ্লেষণ করে। কোলাজেন এক ধরনের প্রোটিন যা ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এবং আমলকি খেলে কোলাজেন উৎপাদন হয়ে থাকে যা ত্বককে সুন্দর করতে সাহায্য করে।

সূর্য থেকে রক্ষা করেঃ আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি সূর্যের ক্ষতিকর বেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। আমলকিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেট রোশনি মাধ্যমে সৃষ্ট ত্বকের ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে থাকে।

পিগমেন্টেশন এবং দাগ কমাতেঃ আমলকিতে থাকা আন্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের কালো দাগ ও  পিগমেন্টেশন দূর করতে সাহায্য করে। আমলকি নিয়মিত খেলে ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর হয়।

আদ্রতা বজায় রাখতেঃ আমলকি থাকা ভিটামিন এবং খনিজ ত্বকের হাইড্রেশন এবং আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে নিয়মিত আমলকি খাওয়ার উপকারিতা অনেক।

আমলকির অপকারিতা

আমলকিতে ভিটামিন সি এর পরিমাণ বেশি থাকায় আমলকি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তবে বেশি মাত্রায় ফেলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমলকি খাওয়ার অপকারিতা হলো-

  • আমলকিতে ভিটামিন সি এর পরিমাণ অনেক বেশি থাকায় বেশি পরিমাণে আমলকি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • যেকোনো ধরনের সার্জারি হলে আমলকি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এবং ব্লাড থ্রিনিং এর ওষুধ খেলে আমলকি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে আমলকি খাওয়া উচিত নয়।
  • বেশি আমলকি খাওয়ার ফলে হার্টের সমস্যা হতে পারে। যাদের হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আমলকি খেতে হবে।
  • আমলকি বেশি পরিমাণে খাওয়ার ফলে পেটে কৃমি হতে পারে। আবার এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও বমি বমি ভাব, পেট ফাঁপা বা ডায়রিয়ার মত সমস্যা হতে পারে।
  • বেশি পরিমাণে আমলকি খাওয়ার ফলে শরীরে তাপমাত্রা কমে যায়। ফলে জ্বর, সর্দি ও কাশি জনিত  সমস্যার সৃষ্টি হয়। 

পরিশেষে

আমলকি ভিটামিন সি যুক্ত একটি খাবার। আমলকিতে কমলার চেয়েও বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আমলকি খেতে তেতো ও কষ জাতীয় হলেও হওয়ার পরে আমলকি খেতে মিষ্টি লাগে। চুলের যত্নে আমলকি অনেক বেশি উপকারী। আবার ত্বকের যত্ন আমলকি খুবই উপকার করে। এবং বিভিন্ন অসুখ থেকে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

আমলকিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।  তাই আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে চুলের যত্নে আমলকির উপকারিতা ত্বকের যত্নে এবং আমলকি খাওয়ার নিয়ম এছাড়াও বেশি পরিমাণে আমলকি খাওয়ার অপকারিতা সহ সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। নিয়মিত তথ্যমূলক আরো পোস্ট পেতে www.jarinonline.com ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url