আমেরিকার ভিসা পাওয়ার সহজ উপায়-২০২৪
আমেরিকা বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রের মধ্যে একটি। তাই আমেরিকাতে যাওয়ার স্বপ্ন অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু আমেরিকার ভিসা পাওয়ার জন্য অনেকগুলো কাজ করতে হয়। আর আমেরিকার ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় গুলো বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে।
তবে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক চাইলেই আমেরিকা যেতে পারে না। কারণ আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা ইত্যাদি পাওয়ার জন্য কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। তাই আমেরিকার ভিসা সহজে পাওয়ার উপায় সহ বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আমেরিকার ভিসা আবেদন করার উপায়
পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী সুন্দর দেশ হলো আমেরিকা। প্রায় সকল মানুষই আমেরিকায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে থাকে। আমেরিকার ভিসা পাওয়া আগে অনেক কঠিন থাকলেও বর্তমান সময়ে খুব সহজ হয়ে উঠেছে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে। প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ যেকোনো বিশেষ প্রয়োজনে আমেরিকা যাওয়ার জন্য ভিসা পাওয়ার উদ্দেশ্যে অনলাইনে আবেদন করেছে।
আমেরিকার ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় হচ্ছে প্রথমে অনলাইন ইমিগ্রান্ট ভিসা ইলেকট্রনিক অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ডিএস-১৬০ ফর্ম পূরণ করতে হবে। পাসপোর্ট সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজ সমূহ সহকারে উক্ত ফর্মটি পূরণ করতে হবে নির্ভুলভাবে। আমেরিকা ভিজিট করার কমপক্ষে দুই মাস আগে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
ডিএস -১৬০ ফর্মটি পূরণ করা খুব কঠিন কাজ না। বিএস ১৬০ ফরটি পূরণ করতে প্রথমে নিজের সম্পর্কে বিগত পাঁচ বছরের গুরুত্বপূর্ণ কাজের তথ্য সমূহ উল্লেখ করতে হবে।, যেই তথ্যগুলো ফর্মে দেওয়া হবে সেই তথ্যগুলোর একটি কপি নিজের কাছে রাখতে হবে কেননা ইন্টারভিউ এর সময় এই তথ্যগুলো কাজে লাগে।
আমেরিকায় আপনি যে কাজের জন্য যাবেন সে বিষয়টি বিস্তারিত উল্লেখ করতে হবে। কার বাসায় থাকবেন তার নাম ঠিকানা সহ তার সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু লিখতে হবে। কোন হোটেলে থাকলে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত লিখতে হবে সেই ফর্মটিতে।
আবেদন করার সময় আপনার ফটোগ্রাফির সফট কপি প্রয়োজন হবে। এই সফট কপি বানানোর জন্য মাত্র পাঁচ ডলার খরচ হবে। এই ভাবেই আপনি আপনার ভিসার অ্যাপ্লিকেশন ফর্মটি পূরণ করতে পারবেন। সমস্ত কাজ শেষ হলে আপনাকে একটি কনফারমেশন পেজ পাবেন। সেই পেজটি আপনাকে প্রিন্ট আউট করে নিতে হবে।
আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
পৃথিবীর প্রায় সকল মানুষের স্বপ্নের দেশ হিসেবে আমেরিকার রয়েছে কারণ সেখানে রয়েছে বিশাল অর্থনীতি উন্নত জীবনযাত্রার মান এবং অফুরন্ত কর্মসংস্থান আরো রয়েছে উদ্যোক্তাদের জন্য অনুকূল পরিবেশ এগুলোই মূলত মানুষকে বেশি আকর্ষণ করে।
শিক্ষা ব্যবস্থাও আমেরিকার অনেক উন্নত এই জন্য প্রায় অনেক শিক্ষার্থী আমেরিকা যাওয়ার স্বপ্ন দেখে থাকে। আমেরিকায় রয়েছে পৃথিবীর সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রচুর উন্নত এবং রয়েছে গবেষণার জন্য অফুরন্ত সুযোগ এগুলো হলো শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ এর বিষয় আমেরিকার প্রতি।
আমেরিকা যেমন ক্রয় মানুষের স্বপ্নের দেশ ঠিক তেমনি আমেরিকায় কিছু জটিলতাও রয়েছে সেগুলো হল দারিদ্রতা বৈষম্য এবং অপরাধ। এগুলো আমেরিকার বাস্তবতা তবুও মানুষ আমেরিকা যাওয়ার স্বপ্ন হারায় না। কেননা সেই দেশে কঠিন পরিশ্রম এর মাধ্যমে নিজের স্বপ্ন পূরণ সম্ভব হয়।
স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
আমেরিকার ভিসা পাওয়া বর্তমান সময়ে অনেকগুলো সহজ উপায় রয়েছে তবে ভিসা পাওয়ার জন্য কিছু যোগ্যতা লাগে শিক্ষার্থীদের জন্য যেসব যোগ্যতা লাগে সেগুলো উল্লেখ করা হলোঃ
- প্রথমেই দরকার হবে আমেরিকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তির লেটার।
- একটি বৈধ পাসপোর্ট।
- ১৪ থেকে ৭৯ বছর বয়সের মধ্যে থাকতে হবে বয়স সীমা।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা সার্টিফিকেট। মেডিকেল রিপোর্ট এর সার্টিফিকেট
- পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা ও জীবনের লক্ষ্য।
- ইংরেজি ভাষার প্রতি দক্ষতার সার্টিফিকেট।
- পড়াশোনার টিউশন কি সেখানকার থাকা খাওয়ার খরচ চালানোর মতো সামর্থ্য এর প্রমাণ ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট, স্পনসার্শিপ চিঠি , ও কলারশিপ।
আমেরিকা ভ্রমণ ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
স্বপ্নের দেশ আমেরিকা, অনেকেই মনে করেন আমেরিকায় ভ্রমন করা খুব কঠিন বিশেষ করে পাসপোর্ট ও ভিসা পাওয়া। তবে বর্তমান সময়ে আমেরিকার ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় রয়েছে।আমেরিকা ভ্রমণ করার জন্য যেসব যোগ্যতা প্রয়োজন হয় তা নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
- ট্রাভেল রেকর্ড এর প্রমাণ পত্র।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- একটি বৈধ পাসপোর্ট।
- মেডিকেল রিপোর্ট
- পুলিশ ভেরিফিকেশন এর সার্টিফিকেট।
- ইংরেজি ভাষার প্রতি দক্ষতার সার্টিফিকেট।
- ভ্রমণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন বয়স থাকে না
আমেরিকার কাজের ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
অফুরন্ত কর্মসংস্থানের জন্য আমেরিকা অনেক মানুষের আকর্ষণের বিষয়। তাই প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ কাজের জন্য আমেরিকা যায়। তবে কাজের উদ্দেশ্যে আমেরিকা যাওয়ার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন কাজের ভিসা । কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য যেসব যোগ্যতা থাকা লাগে তা নিজে দেওয়া হলঃ
- প্রথমে প্রয়োজন হয় একটি বৈধ পাসপোর্ট।
- ইংরেজি ভাষার প্রতি দক্ষতার সার্টিফিকেট।
- আমেরিকার যে কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য অফার লেটার।
- স্কিল সার্টিফিকেট।
- কাজের দক্ষতার প্রমাণপত্র।
- পুলিশ ভেরিফিকেশন এর সার্টিফিকেট।
- মেডিকেল রিপোর্ট ।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট বা এইচএসসির সার্টিফিকেট।
- ১৮ থেকে ২১ বছর বয়স হতে হবে।
ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ভিসার জন্য আবেদন করার বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরি রয়েছে সেগুলোর মধ্যে হল শিক্ষা, চাকরি ও পরিবার।শিক্ষা পরিবার ও চাকরি ক্যাটাগরিতে ভিসা আবেদন করার খুব সহজ উপায় রয়েছে। এমপ্লয়মেন্ট বেজড সীরীজ একটি অন্যতম উপায় আমেরিকার ভিসা পাওয়ার জন্য। তবে নিরদারিত ভাবে চাকুরীর ভিসা পাওয়ার জন্য ই-বি-সীরিজে ১থেকে ৫ ক্যাটাগরিতে আবেদন করা উত্তম।
- আমেরিকার ভিসা সহজ উপায়ে পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এর মধ্যে প্রথমেই বলে একটি বৈধ পাসপোর্ট যার মেয়াদ ৬ মাসের বেশি রয়েছে।
- পাসপোর্ট এর মধ্যে অবশ্যই তিনটি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে। পাসপোর্ট এর মধ্যে বেশি খালি পৃষ্ঠা রাখা যাবে না।
- অনলাইনে আবেদন করার সময় পাসপোর্ট এর নাম্বার নির্ভুলভাবে উল্লেখ করতে হবে।
- আবেদন করার সময় আবেদনকারীর নাম ঠিকানা সহ গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য নির্ভুলভাবে দিতে হবে।
- আবেদনকারীর স্ক্যান করা ছবি লাগাতে হবে।
- আবেদনকারীর বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা ইউটিলিটি বিলের সাথে মিল রাখতে হবে।
- আবেদনকারীর পরবর্তী যদি কোন পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলে তা মূল পাসপোর্ট এর সাথে যুক্ত করতে হবে। যদি তা কোন ভাবে হারিয়ে যায় তাহলে জিটি এর কপি যুক্ত করতে হবে।
- আবেদনকারী নির্ধারিত পেশা সম্পর্কে বিস্তারিত আবেদন ফরমে লিখতে হবে।
- আবেদনকারী জন্ম নিবন্ধন নাম্বার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার পাসপোর্ট এর সাথে মিল রাখতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে খরচ
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যাওয়ার বেশ কয়েক ধরনের ভিসা রয়েছে সেগুলো হল-স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা ইত্যাদি। এগুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
স্টুডেন্ট ভিসাঃ পড়াশোনার ক্ষেত্রে আমেরিকা যাওয়ার জন্য প্রথমে সেখানকার পড়াশোনার খরচ সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিতে হবে। কারণ আমেরিকা এমন একটি দেশ যেখানে পড়াশোনার মানসহ সকল কিছু উন্নতমানের।
আমেরিকান এম্বাসি এর তথ্য মতে পড়াশোনার জন্য আমেরিকায় যেতে হলে সাত থেকে আটটি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করা উত্তম। আবেদন করার ৭ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার্থীর কাছে একটি কনফার্মেশন লেটার চলে আসে।
স্টুডেন্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
শিক্ষার্থীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজটি হলো সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট।
শিক্ষার্থীর নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট অথবা তার মা-বাবার ব্যাংক একাউন্টে ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা জমা দেখাতে হবে।
যেহেতু আমেরিকা সবচেয়ে উন্নত মানের একটি দেশ তাই সেখানকার খরচ গুলো মূলত সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। তাই তারা আগে জেনে রাখে যে আপনাদের সেখানকার থাকা খাওয়া এবং পড়াশোনার খরচ চালানোর মতো সামর্থ্য আছে কিনা।
তবে আপনি যদি ১০০% স্কলার্শিপ পেয়ে থাকেন তাহলে আপনার টিউশন ফি লাগবে না। কিন্তু ১০০% স্কলারশিপ এর টাকা যদি না থাকে তাহলে প্রথম টিউশন ফি বাবদ সমস্ত খরচ নেওয়া হবে।
শিক্ষার্থী ভিসার খরচ
যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আবেদন গ্রহণ করে তাই আলাদাভাবে আবেদন খরচ লাগে না। তবে আরো অনেক ক্ষেত্রে প্রচুর টাকা লাগে সেগুলো বর্ণনা করা হলো
ভার্সিটির ডকুমেন্ট খরচঃ যদি শিক্ষার্থীর ভার্সিটির জন্য স্কলারশিপ থেকে থাকে তাহলে খুব কম খরচে পড়াশোনা করতে পারবে তবে টিউশন ফি আবশ্যক যদি শিক্ষার্থীর স্কলারশিপ না থাকে তাহলে প্রচুর টাকা খরচ হয় প্রায় তিন লক্ষ এর মত। তবে ভার্সিটির ভর্তির জন্য ১০ হাজার টাকা লাগে প্রথম।
পার্সোনাল ডকুমেন্ট এর জন্য খরচঃ পার্সোনাল ডকুমেন্ট হিসেবে প্রায় ৫৫ হাজার টাকা মত আপনার লাগতে পারে শিক্ষার্থী ভিসার পার্সোনাল ডকুমেন্ট হিসেবে।
স্টুডেন্ট ভিসার স্পন্সর খরচঃস্পন্সর এর কাগজপত্র গোছাতে বেশি টাকা লাগে না। তবে প্রায় ১৫ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে। তবে স্পন্সার যদি 24 লাখ টাকার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে না পারে তাহলে তাকে লোন নিতে হবে লোন নিতে প্রায় ৬০ হাজার টাকা খরচ হবে।
আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসার দাম কত
পৃথিবীর সব দেশ থেকেই অনেক মানুষ শখ করে আমেরিকা পড়াশোনার জন্য যায় প্রতিবছর। বর্তমান সময়ে আমেরিকার ভিসা পাওয়ার অনেকগুলো সহজ উপায়ে রয়েছে সে উপায় অবলম্বন করে খুব সহজে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা পড়াশোনা জন্য যাওয়া যায়।
২০২৪ সালে যদি কোন স্টুডেন্ট পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যায় তাহলে সে অন ক্যাম্পাস ছাড়া অন্য কোন কাজ করতে পারবে না। এর মানে হলো সেই ভার্সিটির ক্যান্টিন অথবা অন্য কোন জায়গায় সহকর্মীর সাথে সাহায্য করতে পারবে।
আমেরিকায় মূলত ঘন্টা প্রতি বেতন হিসেব করা হয় একজন স্টুডেন্ট সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করার সুযোগ পাবেন ।এভাবে প্রতি মাসে প্রায় ১২০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়া অন্য কোথাও কাজ করতে গেলে তা অবৈধ বলা হবে।
এভাবে যে টাকা ইনকাম করতে পারবেন তা দিয়ে আপনার থাকা খাওয়ার খরচ চলে যাবে কিন্তু সেই টাকা দিয়ে আপনি টিউশন ফিস দিতে পারবেন না। তবে আরও একটি উপায় আছে যেভাবে ইনকাম করতে পারবেন তা হল কোন রেস্টুরেন্টে কাজ করা ।
কিন্তু আপনি যদি বাইরে কোথাও এলিগ্যাল ভাবে রেস্টুরেন্ট বা অন্য কোথাও কাজ করেন তাতে আপনি ইনকাম করতে পারবেন ঠিকই কিন্তু আপনার পড়াশোনার ক্ষতি হবে। তাই আমেরিকা যাওয়ার আগে এখানকার খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে যাওয়াই ভালো।
আমেরিকার অভিবাসী ভিসা পাওয়ার আবেদন
আমেরিকা পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ মানুষের একটি স্বপ্নের দেশ। বিশাল অর্থনীতি এবং চাকচিক্যময় সৌন্দর্যের দেশ হলো আমেরিকা সেই দেশে যাওয়ার জন্য প্রায় সকলেই স্বপ্ন দেখে থাকে। আমেরিকার যাওয়ার অভিবাসে ভিসা পাওয়ার সহজ উপায়-
অভিবাসী ভিসা দুই ধরনের সেগুলো হল পরিবার ভিত্তিক ভিসা-এবং কাজ বা চাকরির ভিসা। অভিবাসে ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় নিম্নে আলোচনা করা হলো-
অভিবাসী ভিসা পাওয়ার জন্য জরুরী
- আমেরিকার অভিবাসি ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় এর প্রথমে প্রয়োজন কোনো একজন স্পন্সারের। স্পন্সর না থাকলে আপনাকে আবেদন করার জন্য পিটিশন জমা দিতে হবে।
- পিটিশন এর অনুমোদন না হাওয়া পর্যন্ত আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। অনুমোদন হয়ে যাওয়ার পর আপনি অভিবাসী ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করতে হবে বিদেশ মার্কিন কনস্যুলেটর এর মাধ্যমে।
- অতঃপর আপনাকে মেডিকেল টেস্ট কাজটি সম্পন্ন করতে হবে।
- এবারে সমস্ত কাগজপত্র ঠিকঠাক ভাবে গুছিয়ে রাখতে হবে সময় অনুযায়ী ইন্টারভিউ এর জন্য যেতে হবে।
- আবেদনের অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
অভিবাসী ভিসা পাওয়ার পর করণীয়
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা আমেরিকায় পুরা পৃথিবীর প্রায় ১০ লাখ মানুষ প্রতিবছর গ্রীন কার্ড পেয়ে থাকে। গ্রীন কার্ড হলো এমন একটি কার যদি থাকে তাহলে সেই মানুষকে স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে আমেরিকার মানুষ বা যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ নাগরিকত্ব লাভ করে।
আরও পড়ুনঃ দুবাই থেকে ইতালি কিভাবে যেতে হবে-২০২৪
অভিবাসী ভিসা দুই ধরনের হয়ে থাকে সেগুলো হল-পরিবার ভিত্তিক ভিসা ও কাজ বা চাকরির ভিসা। যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চায় তাদের মধ্যে প্রায় অনেকেই এই দুইটি ভিসার মধ্যে যে কোন একটি ভিসা পাই।
অভিবাসী ভিসা পেয়ে গেলে তারপর আপনাকে অভিবাসী ফি জমা দিতে হবে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে থাকা কর্মকার ের দেওয়ার জন্য সিল করা কাগজ আপনাকে দেওয়া হবে। যেটি আপনাকে আমেরিকার প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে থাকা কর্মকর্তাদের হাতে দিতে হবে।
এরপর আপনার হাতে বা আপনার ইমেইলে চলে আসবে গ্রীন কার্ড নামক সোনার হরিণ যার মাধ্যমে আপনি আমেরিকার নাগরিকত্ব পেতে পারেন।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার দূরত্ব
প্রতিটি মানুষ আমেরিকা যাওয়ার স্বপ্ন দেখে থাকে কেননা আমেরিকা হলো বিশাল সৌন্দর্যময় রাষ্ট্র। সকলেই আমেরিকার চেয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করার স্বপ্ন দেখে থাকে। বর্তমান সময়ে আমেরিকার ভিসা পাওয়ার অনেকগুলো সহজ উপায় রয়েছে।
তবে আমেরিকা যেতে হলে প্রথমে জানতে হবে সেখানকার দূরত্ব বাংলাদেশ থেকে। আরও জানতে হবে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা খরচ হয়। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার দূরত্ব নিচে দেওয়া হল-
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার দূরত্ব হলো১৩২১৯ কিলোমিটার। এবং মাইল হিসেবে৮২১৮.৬৯ মাইল। এবং মিটার হিসেব.১৩২১৯০০০ মিটার।
দূরত্ব বেশি হলেও বিমানে গেলে কোন অসুবিধা হওয়ার সুযোগ থাকে না অনায়াসেই বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়া যায়।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত সময় লাগে
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার দূরত্ব অনেক বেশি। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা বিমানে গেলে খুব কম সময়ে যাওয়া যায়। জাহাজে গেলে পানিপথ দিয়ে অনেক সময় লেগে যায় এতে অনেক অসুবিধা হয়।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা বিমানে গেলে প্রায় ২৩ ঘন্টা ৩৫ মিনিট সময় লাগে। তবে কিছু কিছু সময় ব্যতিক্রম হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা বিমানে সরাসরি যাওয়ার সুযোগ নেই। এটি একটি বড় সমস্যা।
আপনি যে বিমানে বা ফ্লাইটের দিতে চান তার টিকেটে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার সময় উল্লেখ করা থাকবে তাই সময় নিয়ে কোন চিন্তা করার সুযোগ থাকে না। নির্ধারিত সময়ে যাওয়া যা। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়ে যায়।
আরেকটি মজার বিষয় হল বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার সময় আপনার বিমানটি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি দুবাই গিয়ে থামবে সেখানে কয়েক ঘন্টা বিশ্রাম নিতে পারবেন। তারপর সরাসরি দুবাই থেকে আমেরিকা যাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার বিমান ভাড়া
পৃথিবীর প্রায় সকল মানুষ আমেরিকা যাওয়ার সেখানে থাকার স্বপ্ন দেখে থাকে বর্তমান সময়ে আমেরিকার ভিসা পাওয়া খুব সহজ হয়ে উঠেছে। তবে সেখানে যেতে হলে প্রথমে জানতে হবে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা দূরত্ব, সময় এবং বিমান ভাড়া সম্পর্কে।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার বিমান ভাড়া সম্পর্কে নিজে লেখা হলো-
- ১৬০০ থেকে ১৮০০ ডলার খরচ হয় বাংলাদেশ থেকে ওয়াশিংটন বিমানে যেতে।
- ১৭০০ থেকে ১৯০০ ডলার খরচ হয় বাংলাদেশ থেকে নিউস্টন।
- ১৭০০ থেকে ১৯০০ ডলার খরচ হয় বাংলাদেশ থেকে লস এঞ্জেলস বিমানে যেতে।
- ১৫০০ থেকে ২০০০ ডলার খরচ হয় বাংলাদেশ থেকে বোস্টন বিমানে যেতে।
- ১৮০০ থেকে ১৯০০ ডলার খরচ হয় বাংলাদেশ থেকে ডলাস বিমানে যেতে ।
- ১৪০০ থেকে ১৬০০ ডলার খরচ হয় বাংলাদেশ থেকে নিউ ইয়র্ক বিমানে যেতে।
- ১৫০০ থেকে ২০০০ ডলার খরচ হয় বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সিস্কো যেতে।
- ২১০০ থেকে ২৩০০ ডলার খরচ হয় বাংলাদেশ থেকে সিয়াটন বিমানে যেতে।
- ১৪০০ থেকে ১৬৫০ ডলার খরচ হয় বাংলাদেশ থেকে শিকাগো বিমানে যেতে।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার সময়ের পার্থক্য
আমেরিকা যাওয়ার স্বপ্ন কে না দেখে। ছোট থেকে বড় সকলে আমেরিকা যাওয়ার স্বপ্ন দেখে থাকে। আগেকার সময় আমেরিকা যাওয়া শুধু স্বপ্নই হতো তবে বর্তমান সময়ে আমেরিকার ভিসা পাওয়ার অনেকগুলো সহজ উপায় রয়েছে।
যেহেতু বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা অনেকটা দূরে তাই বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার সময় অনেকটা পার্থক্য রয়েছে। কেননা পৃথিবীতে গোলাকার পৃথিবীর এক প্রান্তে বাংলাদেশ হলে অন্য প্রান্তে রয়েছে আমেরিকা ।
এক প্রান্তে দিন হলে অন্য প্রান্তে রাত। কারণ বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার সময়ের পার্থক্য প্রায় ১০ ঘন্টার। এর মানে হলো বাংলাদেশ থেকে ১০ ঘন্টা এগিয়ে থাকে আমেরিকার সময়। ধরা যাক বাংলাদেশে আজ মঙ্গলবার সময় সকাল ৫ঃ৩১। তাহলে আমেরিকার সময় অনুযায়ী হবে সন্ধ্যা ৭ঃ৩১।
পরিশেষে
আমেরিকা অনেকের কাছে স্বপ্নের দেশ যেখানে সুযোগ সুবিধার কোন অভাব নেই। সেটা হতে পারে কাজের সুযোগ পড়াশোনার সুযোগ অথবা গবেষণার সুযোগ। তবে সর্বপ্রথমে আমেরিকা যাওয়ার যোগ্যতা থাকা দরকার। বর্তমান সময়ে আমেরিকার ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় রয়েছে।
আমেরিকার ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত সকল বিষয় আলোচনা করলাম আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। আশা করি, আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবেন। নিয়মিত আরোও তথ্যমূলক পোস্ট পেতে www.jarinonline.com ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url