কোয়েল পাখি পালনের পদ্ধতি এবং কোয়েল পাখি পালনের অর্থনৈতিক গুরুত্ব
যারা পাখি প্রেমী এবং কোয়েল পাখি পালনের কথা ভাবছেন? আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য।আজকের আর্টিকেলে কোয়েল পাখি পালনের পদ্ধতি এবং কোয়েল পাখি পালনের অর্থনৈতিক গুরুত্বসহ সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করব। পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কোয়েল পাখি পালন একটি লাভজনক উদ্যোগ। এবং কোয়েল পাখি খুব সহজেই পালন করা যাই বলে কোয়েল পাখি পালনের পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকেই আগ্রহী হয়ে থাকে। এবং কোয়েল পাখি পালন অর্থনৈতিক ভাবে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আজকের আর্টিকেলে কোয়েল পাখি পালনের পদ্ধতি সম্পর্কে জানাবো।
কোয়েল পাখি
কোয়েল পাখি প্রথমত জাপানে পাওয়া যেত। তবে বর্তমানে ১৭ থেকে ১৮ জাতের কোয়েল পাখি রয়েছে পৃথিবীতে। মানুষ অনেক শখ করে কোয়েল পাখি পালন করছে। এই পাখি খুব সহজে পোষ মানে এজন্য এই পাখি পালনের তেমন কোন ঝামেলা নেই। কোয়েল পাখি পালনের জন্য তেমন কোন খরচ হয় না মানুষ খুব সহজেই কোয়েল পাখি খাচায় করে পালন করতে পারে।
ফাড়াও, ইংলিশ হুয়া, ম্যানজেরিয়ান গোল্ডেন ব্রিটিশ রেঞ্জ, এসব জাতের কোয়েল পাখি বেশি ডিম দেয় । তবে আমেরিকান বব ওয়াইট, ও ইন্ডিয়ান কোয়েল গোশতের জন্য বেশি প্রসিদ্ধ। এই জাতের কোয়েল পাখি গুলো মাংস ও ডিম দুটোই ভালো দেয় তাই এই জাতের বইয়ের পাখিগুলো পালন করলে বেশি লাভবান হওয়া যায়।
কোয়েল পাখি পালনের সঠিক নিয়ম
কোয়েল পাখি পালনের জন্য প্রথমে কোয়েল পাখির খাঁচা নির্বাচন করতে হবে এই খাঁজাগুলো বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন লেয়ার খাঁচা, বিয়ারিং খাচা, ইত্যাদি তবে অল্প জায়গায় কোয়েল পাখি পালন করতে হলে বেটারি পদ্ধতিতে পালন করা যেতে পারে। বাংলাদেশের পালনের জন্য দুই ধরনের কোয়েল পাখি আছে সেগুলো হলো-
- লেয়ার কোয়েল
- বয়লার কোয়েল
কোয়েল পাখি পালনের জন্য নির্দিষ্ট কোন সময়ের প্রয়োজন হয় না বছরে যে কোন সময় যেকোনো এই পাখিটি পালন করা যেতে পারে। কোয়েল পাখি পালনের জন্য বেশি শ্রম ও অর্থের প্রয়োজন হয় না। এই পাখিটি খুব সহজেই পৌষ মানে এজন্য বেশি ঝামেলা হয়।
কোয়েল পাখি পালনের সুবিধা
কোয়েল পাখি পালনের পদ্ধতি অনেক সহজ এবং অর্থনৈতিক ভাবে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই অনেকেই কোয়েল পাখি পালন করার আগ্রহ প্রকাশ করে। কোয়েল পাখি পালনের কিছু সুবিধা রয়েছে সেগুলো নিচে দেওয়া হল-
- কোয়েল পাখি খুব তাড়াতাড়ি বড় হয় ৬থেকে ৭ সপ্তাহের মধ্যে ডিম দেওয়া শুরু করে এবং এই পাখিটি এক বছরে ২৫০ থেকে ২৬০ টি ডিম দিয়ে থাকে।
- একটি মুরগির জায়গায় ৮থেকে ১০ টি কোয়েল পাখি পালন করা যায়।
- কোয়েল পাখির অসুখ খুব কম
- ১৭ থেকে ১৮ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়।
- কোয়েল পাখি খুব কম খরচে পালন করা যায়। এবং খুব সহজেই পালন করা যায়।
- বাংলাদেশের আবহাওয়া অনুযায়ী কোয়েল পাখি খুব সহজেই পালন করা সম্ভব।
- কোয়েল পাখির ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি এবং কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম থাকে।
- কোয়েল পাখির ওজনের তুলনায় ডিমের পরিমাণ বেশি ।
কোয়েল পাখির বাসস্থান
কোয়েল পাখি পালনের জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নিতে হয় না হাঁস মুরগি যেমন খুব সহজেই পালন করা যায় ঠিক তেমনি কোয়েল পাখিও খুব সহজেই পালন করা যেতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখা উচিত অন্যান্য পাখির পাশাপাশের জন্য যেমন আলো বাতাস খুবই প্রয়োজন ঠিক তেমনি কোয়েল পাখির বাসস্থানের জায়গায় যেন আলো বাতাস সবার পরিমাণে থাকতে পারে সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
খাঁচার মধ্যে কোয়েল পাখি পালন করতে হলে একটির ওপর আরেকটি খাঁচা রেখে অল্প জায়গায় অনেকগুলো কোয়েল পাখি পালন করা যেতে পারে। সর্বোচ্চ ১৩০ থেকে ১৫০ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য এবং ৬০ থেকে ১০০ সেন্টিমিটার প্রস্থ এবং ৪০ থেকে ৬০ সেন্টিমিটার উচ্চতা বিশিষ্ট খাচা ব্যবহার করা যেতে পারে কোয়েল পাখি পালনের জন্য।
এমন ধরনের খাঁচার মধ্যে ৬০ থেকে ১০০ টি কোয়েল পাখি পালন করা যায়। তবে খাজা গুলোর ঘনত্ব একটু বেশি হওয়া উচিত যেন কোয়েল পাখি সেই ফাঁক দিয়ে গলা বা মাথা বাইরে বের না করে। কোয়েল পাখির খাবার ও পানির সুব্যবস্থা খাঁচার মধ্যে করতে হবে। আরও একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরী খাবার বা পানির পাত্র যেন খাঁচার মধ্যে উল্টে না যায় কারণ খাবার ও পানির পাত্র উল্টে গেলে খাঁচাটা ভিজে যেতে পারে।
কোয়েল পাখির খাঁচায় এমন জায়গায় রাখতে হবে যেখানে বৃষ্টির পানি না পড়ে কোয়েল পাখির খাজা হেটে যেতে পারে এবং খাজাটে এমন জায়গায় রাখতে হবে যেখানে আলো ও বাতাস সমান পরিমাণে থাকে। খুব ভালো থাকে কোয়েল পাখির খাঁচা যদি শুকনো জায়গায় থাকে তাহলে কোয়েল পাখি স্বাস্থ্য ও ডিম দুটোরই মান ভালো থাকে।
ভেজা বা স্যাঁতসাঁতে জায়গায়া কোয়েল পাখির বসবাসের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। বাচ্চা কোয়েল পাখির জন্য অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয়। মুরগি বা হাঁস পালনের জন্য যেমন অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন ঠিক তেমনি কোয়েল পাখি পালনের জন্য যত্নের প্রয়োজন রয়েছে। তবে ১০০ টি মুরগির জায়গায় ১০০০ থেকে ১২০০ টি কোয়েল পাখি পালন করা যায়।
কোয়েল পাখির জন্য প্রয়োজনীয় খাবার
একটি কোয়েল পাখি প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ গ্রাম খাবার খায়। কোয়েল পাখির তুলনায় একটি হাঁস একদিনে ১৪০ থেকে ১৫০ গ্রাম খাবার এবং একটি মুরগি একদিনে ১১০ থেকে ১২০ গ্রাম খাবার খায়।কোয়েল পাখির বাচ্চা বা বাড়ন্ত কোয়েল পাখি এবং প্রজননের কোয়েল পাখির রেশন খাবার বাজারে খুব সহজে পাওয়া যায় না কোয়েল পাখি রেশনকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় সেগুলো হলো -
স্ট্যাটাস ঃকোয়েল পাখির বয়স শূন্য থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত সময়কে স্ট্যাটাস বলে। এই পর্যায়ে কোয়েল পাখির খাবারের শতকরা ২৭ ভাগ প্রোটিন এবং ২৮০০ কিলো ক্যালরি বিপাকীয় শক্তির প্রয়োজন হয়।
গ্রোয়ারঃ কোয়েল পাখির বয়স চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত সময়কে গ্রোয়ার বলে। এই পর্যায়ে কোয়েল পাখির খাবারের প্রতি কেজি শতকরা ২৩ ভাগ প্রোটিন এবং ২৮০০ কিলোক্যালরি বিপাকীয় শক্তির প্রয়োজন হয়।
লেয়ার ঃ কোয়েল পাখির বয়স ৬ সপ্তাহ থেকে বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত সময় কালকে লেয়ার বলে। এই পর্যায়ে কোয়েল পাখির খাবারের পরিমাণ প্রতি কেজি শতকরা ২২ থেকে ২৩ ভাগ প্রোটিন এবং ২৭০০ গ্রাম কিলোক্যালরি বিপাকীয় শক্তি প্রয়োজন হয়।
কোয়েল পাখির বয়স দুই সপ্তাহ না হওয়া পর্যন্ত ফ্ল্যাট ট্রেতে খাবার দিতে হয় কেননা ফ্ল্যাট ট্রেতে খাবার না দিলে কোয়েল পাখির খেতে অসুবিধা হতে পারে বাচ্চা অবস্থায় কোয়েল পাখিকে ৫ গ্রাম খাবার ফ্ল্যাট ট্রেতে দিতে হবে কোয়েল পাখি আস্তে আস্তে বড় হওয়ার সাথে পাঁচ গ্রাম করে খাবার বাড়িয়ে দিতে হবে।
যখন কোয়েল পাখিটি পূর্ণবয়স্ক হয়ে যাবে তখন কোয়েল পাখিটিকে ২০ থেকে ২৫ গ্রাম খাবার দিতে হবে। এবং কোয়েল পাখি বড় হওয়ার সাথে সাথে পাখিগুলোকে সুষম খাদ্য ও পরিষ্কার পানি দিতে হবে।
সুষম খাদ্যঃ বাড়ন্ত কোয়েল পাখির জন্য সুষম খাদ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাড়ন্ত কোয়েল পাখির খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন সুষম খাদ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে দিতে হবে। সুষম খাদ্য খেলে পাখিগুলোর দৈহিক ওজন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে সুষম খাদ্যগুলো হল শুটকি মাছের গুড়া, তিলের খটি, ঝিনুকের গুড়া এবং খনিজ লবণ।
কোয়েল পাখি কত দিনে ডিম পাড়ে
কোয়েল পাখি একটি নির্দিষ্ট বয়সে ডিম দেওয়া শুরু করে। কোয়েল পাখির বাচ্চা ডিম থেকে বের হওয়ার ৫০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে ডিম দেওয়া শুরু করে। তবে সুষম খাদ্য ও পুষ্টিকর খাবার পেলে কোয়েল পাখি ৩৫ দিনের মধ্যে ডিম দেওয়া শুরু করে, তবে নির্দিষ্ট দিনে মধ্যে কিছু কম বেশি হতে পারে।
কোয়েল পাখি ডিম দেওয়া শুরু করলে প্রতিদিন একটি করে ডিম দেয় মাঝে মধ্যে একদিনে দুইটি ও দিতে পারে তবে প্রায়ই একদিন পরপর একটি করে ডিম দিতে থাকে। কোয়েল পাখির বসবাসের জায়গা খাদ্য এবং পানি যদি সুষম হয় তাহলে প্রতিদিন ডিম দিতে থাকে।
একটি কোয়েল পাখি এক বছরে ২০০ থেকে ৩০০ টি ডিম দিয়ে থাকে। তবে এই ডিম দেওয়া পুরোটাই নির্ভর করে তার আবাসস্থল এর উপর। কোয়েল পাখির ডিমে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। কোয়েল পাখির ডিম দেওয়ার সময় সুষম খাদ্য দিতে হবে।
কোয়েল পাখির ডিম প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি করে থাকলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি পাওয়া যায়।
কোয়েল পাখির বাচ্চা ফুটানোর পদ্ধতি
প্রাকৃতিক পর্যায়ে এবং কৃত্রিম পর্যায় দুটি পদ্ধতিতে কোয়েল পাখির বাচ্চা ফোটানো সম্ভব।
কোয়েল পাখি প্রাকৃতিক উপায়ে বাচ্চা ফুটাতে পারে না। কারণ কোয়েল পাখি ডিমে তা দেয় না প্রাকৃতিক পর্যায়ে বাচ্চা ফুটাতে হলে প্রয়োজন হয় কুচে মুরগির। কুঁচে মুরগি তখন কোয়েল পাখির ডিম গুলোকে তা দিয়ে বাচ্চা বের করে। বাচ্চা ফুটানোর জন্য কৃত্রিম পর্যায়ে কোয়েল পাখি ফুরানো সহজ। কোয়েল পাখির ডিম কৃত্রিম উপায়ে ফোটানোর জন্য প্রথম ১৫ দিন সেটিং ট্রেতে এবং বাকি তিন দিন হেচারে দিতে হয় । সেটিং ট্রেতে থাকা অবস্থায় দুই থেকে চার ঘন্টা পর পর ডিম টার্নিং করতে হয় না হলে ডিমের মধ্যে থাকা ভ্রুন ডিমের গায়ে লেগে যেতে পারে। ডিম বসানোর ১৮ দিনের মধ্যে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হবে।
কোয়েল পাখির ব্রুডিং
ডিম থেকে বের হওয়া মাত্র কোয়েল পাখির ওজন ৬ থেকে ৭ গ্রাম হয়ে থাকে। এই সময় সামান্য ভুল হলে কোয়েল পাখির ডিম ও দৈহিক ওজনের উপর পরে তাই এই সময় কোয়েল পাখির বাচ্চাগুলোকে সঠিকভাবে বড় করার জন্য কোয়েল পাখি পালনের পদ্ধতি জানতে হবে এবং যত্ন সহকারে রাখতে হবে।
কোয়েলের বাচ্চা ইনকুলেটরে ফুটার ২৪ ঘন্টার পর ব্রুডিং ঘরে এনে এম্বাভিট ডলিট পানির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে এবং গ্লুকোজ দিতে হবে পরপর তিনদিন পর্যন্ত। তিন দিন হয়ে গেলে পাখির বাচ্চা গুলোকে সাধারণ খাবার দেওয়া যেতে পারে।
বাচ্চা গুলোকে খাবার দেওয়ার প্রথম দিন থেকে খবরের কাগজ বিছিয়ে তার ওপর খাবার ছিটিয়ে দিতে হবে এবং প্রতিদিন খবরের কাগজগুলো পাল্টে দিতে হবে। আরো একটি বিষয় খেয়াল রাখা উচিত পাখিগুলো যেন সুস্থ পরিবেশে থাকতে পারে ।
পাখিগুলোর বয়স এক সপ্তাহ হয়ে গেলে পাখিগুলোকে খাবার দেওয়ার জন্য ফ্ল্যাট ট্রে অথবা খাবার পাত্রে খাবার দেওয়া যেতে পারে। পানির পাত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখা দরকার যেন পানির পাত্রে কোন পাখি পড়ে না যায় প্রয়োজনে পানির ভিতরে কয়েক টুকরা পাথর দিয়ে রাখা যেতে পারে। এবং খাবার পাত্র পানির পাত্র দুটোই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
কোয়েল পাখির স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা
কোয়েল পাখি সুস্থ রাখতে চাইলে কোয়েল পাখি পালনের পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে হবে।কবুতরের যেমন খুব কম রোগ বালাই হয় ঠিক তেমনি কোয়েল পাখিরও অসুখ খুব কম হয়। তাহলে কোয়েল পাখির জন্য ডাক্তারি পরামর্শ নিতে হবে । দ্রুত কোয়েল পাখি গুলোকে থেকে আলাদা সরিয়ে নিতে হবে তা না হলে ভালো কোয়েল পাখিগুলো অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।
সাধারণত কোয়েল পাখি অসুস্থ হয় খাচায় সাথে সাথে জায়গা থাকলে অথবা ময়লা থাকলে। মারা যায় তাহলে সে কোয়েল পাখি গুলো পুতে ফেলতে হবে অথবা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। কোয়েল পাখির অসুখ-বিসুখ এর মধ্যে আমাশয় হলো অন্যতম অসুখ।
কোয়েল পাখি স্বাস্থ্য শুকিয়ে যায় ঘন পায়খানা করে এছাড়াও কোয়েল পাখি খাবার খেতে অনীহা দেখায়। এই সময় কয়েল পাখিকে আম্বাচীন জাতীয় ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। কোয়েল পাখিকে সুস্থ রাখার জন্য তাদের বাসস্থান শুকনা রাখতে হবে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখতে হবে নোংরা জায়গায় কোয়েল পাখির অসুখ-বিসুখ বেশি হয়।
কোয়েল পাখিকে শুকনো জায়গায় রাখতে হবে এবং সুষম খাদ্য দিতে হবে তার খাঁচা গুলোকে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো বাতাসের স্থানে রাখতে হবে তাহলে কয়েকবারের অসুখ বিসুখ হবে না। এবং মাংস ও ডিম দুটোই ভালো পাওয়া যাবে ।
ডিম পাড়া কোয়েল পাখিকে 3.5% ক্যালসিয়াম যুক্ত খাদ্য দিতে হবে। কোয়েল পাখির খাবার হিসেবে নিম্নমানের খাবার দেওয়া উচিত নয় কেননা নিম্নমানের খাবার দিলে কোয়েল পাখির আমাশয় ছাড়াও অন্যান্য রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় তাই কোয়েল পাখিকে সুষম খাদ্য ও উচ্চমানের খাবার দেওয়া উচিত।
পরিশেষে
বর্তমানে কোয়েল পাখি পালন অত্যন্ত লাভজনক কারণ কোয়েল পাখি পালনের পদ্ধতি অনেক সহজ এবং কোয়েল পাখি পালনের বাড়তি ঝামেলা নেই। এছাড়া কোয়েল পাখি পালনের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক বেশি। খুব কম খরচে অনেকগুলো কোয়েল পাখি একসাথে খাচায় পালন করা যেতে পারে।
কোয়েল পাখির মাংস অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টি সম্পন্ন এছাড়াও একটি কোয়েল পাখি সারা বছরে ২৫০ থেকে ৩০০ ডিম দিয়ে থাকে। কোয়েল পাখির ডিমও অনেক পুষ্টিকর। সামান্য একটু যত্ন নিলেই অল্প জায়গায় অনেকগুলো কোয়েল পাখি পালন করে লাভবান হওয়া সম্ভব। বর্তমানে অনেকেই কোয়েল পাখি পালন এর ব্যবসা করে অনেকে অর্থ উপার্জন করছে।
বর্তমানে অনেকেই কোয়েল পাখি পালনের দিকে ঝুকছে। তাই আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে কোয়েল পাখি পালনের পদ্ধতি এবং কোয়েল পাখি পালনের অর্থনৈতিক গুরুত্বসহ সকল বিষয় বিস্তারিত জানালাম। তথ্যমূলক আরো পোস্ট পেতে www.jarinonline.com ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url