ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে পড়াশোনা বা ভ্রমণের জন্য যাওয়ার কথা ভাবছেন ? তাহলে আজকে আর্টিকেলটি আপনার জন্য। ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশগুলো এবং সুবিধা সহ সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হলো এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে।
ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে ভ্রমণের সুবিধার কারণে সহজেই যে কোন দেশে নাগরিক সেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে যেতে পারে। নতুন করে রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া যুক্ত হওয়ায় বর্তমানে সেনজেনভুক্ত দেশের সংখ্যা ২৯ টি। সেনজেনভুক্ত দেশগুলো ও ভ্রমণের সকল বিষয় জানতে পারবেন পুরো আর্টিকেলটি পড়ে।
সেনজেন ভুক্ত দেশ কি
সেনজেন অঞ্চল বলতে সেই সকল বোঝানো হয় যা ২৯ টি ইউরোপীয় দেশ যারা নিজেদের অভ্যন্তরীণ বর্ডার তুলে দিয়ে মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য সীমাবদ্ধতা দূর করেছে। নাগরিকদের মধ্যে সম্প্রীতি তৈরি করা এবং বাইরে সীমানা নিয়ন্ত্রণ করা এই সেনজেন অঞ্চলের প্রধান উদ্দেশ্যে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশিরভাগ বেশি এই অঞ্চলে আওতাভুক্ত। আর এই সুবিধার জন্য যে কোন মানুষ সহজেই বর্ডার নিয়ন্ত্রণ এবং বড় ধরনের নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই সেনজন অঞ্চলের দেশগুলো সহজে ভ্রমণ করতে পারে। তবে তবে ভারত থেকে ভ্রমণ করলে, সেনজেন ভুক্ত দেশগুলো সর্বোচ্চ ৯০ দিনের থাকার অনুমতি দিতে পারে। তবে এই বিষয়গুলো ভিসার প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে।
ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত নতুন দেশ-২০২৪
দীর্ঘ ১৩ বছর পর সেনজেন এলাকায় যুক্ত হল নতুন দুটি দেশ যা হলো রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া । ১৯৮৫ সালে ইউরোপীয় অর্থনৈতিক গোষ্ঠীর ৫ সদস্য প্রথমত এই অঞ্চল গড়তে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ।দেশগুলো হল-ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, জার্মানি, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েন বলেছেন, এটি রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া উভয় দেশের জন্য একটি বড় সাফল্য। সবচেয়ে ঐতিহাসিক মুহূর্ত এটি সেনজেন এলাকার জন্য। বিশ্বের অবাধ চলাচলের জন্য বৃহত্তম এলাকা হলো সেনজেন। আমরা একটি শক্তিশালী আরো ঐক্যবদ্ধ ইউরোপ তৈরি করেছি যা আমাদের সকল নাগরিকদের জন্য প্রয়োজন।
বর্তমানে সেনজেন এর সংখ্যা ২৯ টি। ২৭ টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যের মধ্য ২৫টি সেনজেনের অন্তর্ভুক্ত দেশ এর মধ্যে সেনজেনের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো হলো সুইজারল্যান্ড নরওয়ে আইসল্যান্ড। ১৯৯৫ সালে ইউরোপের কয়েকটি দেশ নিয়ে সেনজেন অঞ্চল গঠিত।
সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা-২০২৪
সেনজেন এলাকা ২৯ টি দেশ নিয়ে গঠিত যা মূলত মেইনল্যান্ড ইউরোপ কভার করে। তবে এর মধ্যে কিছু ব্যতিক্রম দেশও রয়েছে । এই দেশগুলোর মধ্যে যেমন কিছু সুবিধা রয়েছে তেমনি অসুবিধা আছে । এই দেশগুলি নিচে তালিকাভুক্ত করা হলো-
জার্মানি
জার্মানির জনসংখ্যা ৮৪ মিলিয়ন যা ১৪ই জুন ১৯৮৫ সালে সেনজেন চুক্তি স্বাক্ষর করেন। জার্মানির পশ্চিম এবং মধ্যে ইউরোপ অবস্থিত। যার পূর্ব সীমান্তে রয়েছে পোল্যান্ড এবং চেক রিপাবলিক আর উত্তরে রয়েছে ডেনমার্ক। মধ্য ইউরোপের মোট নয় টি দেশের সীমান্ত রয়েছে।
অস্ট্রিয়া
১৯৯৫ সালে অস্ট্রিয়া সেনজেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এটি একটি স্থলবেষ্টিত দেশ যা ইউরোপের মধ্যে ৪ . ৯ মিলিয়ন জনগোষ্ঠী নিয়ে গঠিত। অস্ট্রিয়া ৪ টি দেশের সীমান্ত দিয়ে ঘেরা যা সেন্ট্রাল ইউরোপে অবস্থিত।
পর্তুগাল
পর্তুগাল এর জনসংখ্যা ১০.১ মিলিয়নের কাছাকাছি প্রায় যা ২৫ জুন ১৯৯১ সালে সেনজেনে চুক্তি স্বাক্ষর করে। পর্তুগাল মূলত সেনজনের জোনে পরে এবং তার সীমানায় পরে স্পেন।
পোল্যান্ড
এটির জনসংখ্যা প্রায় ৩৭.৪ মিলিয়ন যা মধ্য ইউরোপে অবস্থিত। এটি ১৬ এপ্রিল ২০০৩-এ সেনজনের চুক্তি স্বাক্ষর করে।
চেক রিপাবলিক
২০১৬ সাল অনুযায়ী এর জনসংখ্যা ১০.৭ মিলিয়ন রয়েছে। এটি ১৬ এপ্রিল ২০০৩ এ সেনজেনে চুক্তি স্বাক্ষর করে। এটি ইউরোপের দেশ গুলির মধ্যে একটি। এ দেশটি মূলত জার্মানি পোল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে অবস্থিত।।
ইতালি
এটি মূলত সুইজারল্যান্ড ফ্রান্স ভ্যাটিকান সিটি অস্ট্রিয়া এবং সানমারিনো দেশগুলো দ্বারা সীমাবদ্ধ। এ দেশটিতে প্রায়ই ৬০.২ মিলিয়ন মানুষ বাস করে।, এটি ২৭ নভেম্বর ১৯৯০ সালে চুক্তি স্বাক্ষর করে। ভূমধ্যসাগরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত দেশগুলির মধ্যে ইতালি একটি।
লুক্সেমবার্গ
এর জনসংখ্যা ৬৫০,৮৪৭ জন। এটি ১৪ জুন ১৯৮৫ সালের সেনজেনে চুক্তি স্বাক্ষর করে।
এস্তোনিয়া
এটি ৩ টি বালটিক রাজ্য দ্বারা সীমাবদ্ধ যা উত্তর-পূর্ব ইউরোপের একটি দেশ। এখানে প্রায় ১.৩ মিলিয়ন মানুষ বাস করে।২০০৩সাল এ ১৬ এপ্রিল সেনজেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এটি দক্ষিণে লাটভীয়া , পশ্চিমে বালটিক সাগর, উত্তরে ফিনল্যান্ড উপসাগর এবং পূর্বে পিপাস হ্রদ ও রাশিয়া এটিকে ঘিরে রেখেছে।
স্পেন
এর জনসংখ্যা ৪৬.৭ মিলিয়ন.২৫ জুন ১৯৯১ সালে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এর উত্তর সীমানায় রয়েছে ফ্রান্স এবং বিসকে উপসাগর রয়েছে।
লাটভীয়া
এর জনসংখ্যা প্রায় ১.৮ মিলিয়ন এটি ২০০৩ সাল এ ১৬ এপ্রিল চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এর দক্ষিণ সীমান্তে লিথুয়ানিয়া, উত্তর অঞ্চলে এস্তোনিয়া, পূর্বে রাশিয়া এবং দক্ষিণে বেলারুস।
লাথুয়ানিয়া
লাথুনিয়ার জনসংখ্যা প্রায় 2 .৯ মিলিয়ন। লাথুনিয়া ২০০৩ সালে ১৬ই এপ্রিল সেনজেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এর দক্ষিণ সীমানায় প্রোল্যান্ড এবং উত্তরে লাটভিয়া পূর্ব ও দক্ষিণে বেলারুশ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে কালিনীনগ্রাদ ও ব্লাস্ট রয়েছে।
ফিনল্যান্ড
ফিনল্যান্ড এর জনসংখ্যা ৫.৫ মিলিয়ন প্রায় ১৯৯৬ সালে ১৬ই ডিসেম্বর সেনজেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এই দেশটির পশ্চিম সীমানায় সুইডেন উত্তরে নরওয়ে এবং পূর্বে রাশিয়া রয়েছে।
ডেনমার্ক
ডেনমার্ক এর জনসংখ্যা ৫.৪ মিলিয়ন এর কাছাকাছি এই দেশটি ১৯৯৬ সালে ১৬ই ডিসেম্বর সেনজেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। জুটল্যান্ড এর উপদ্বীপ জুড়ে ডেনমার্ক অবস্থিত । যা মহাদেশীয় ইউরোপের কেন্দ্র থেকে উত্তর দিকে অবস্থিত।
আইসল্যান্ড
আইসল্যান্ড এর জনসংখ্যা ৩৭৬, ২৪৮ জন। এই দেশটি ১৯৯৬ সালের ১৬ই ডিসেম্বর সেনজেনচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। আইসল্যান্ড এর উত্তর দিকে আটলান্টিক মহাসাগর অবস্থিত।
স্লোভাকিয়া
স্লোভাকিআর জনসংখ্যা ৫.৫ মিলিয়ন প্রায় স্লোভাকিয়া ২০০৩ সালে ১৬ই এপ্রিল সেনজেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এর পূর্ব সীমান্তে ইউক্রেন উত্তরে প্রল্যান্ড দক্ষিণে চেক রিপাবলিক। দক্ষিণ পশ্চিমে অস্ট্রিয়া এবং দক্ষিণে হাঙ্গেরি রয়েছে। এই দেশটি মধ্য ইউরোপের স্থল বেষ্টিত একটি দেশ।
স্লোভেনিয়া
এই দেশটি ২০০৩ সালের ১৬ এপ্রিল সেনজেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। স্লোভেনিয়ার জনসংখ্যা প্রায় ২ মিলিয়ন। ইতালির উত্তর সীমান্তে অস্ট্রিয়া এবং উত্তরে স্লোভেনিয়া এর দক্ষিণ পূর্বে ক্রোয়েশিয়া এবং উত্তর পূর্বে হাঙ্গেরি রয়েছে।
সুইজারল্যান্ড
সুইজারল্যান্ড ২০০৪ সালে ২৭ শে অক্টোবর সেনজেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এর পশ্চিমে ফ্রান্স দক্ষিণে ইতালি পশ্চিমে অস্ট্রিয়া ও লিচেস্টাইন অবস্থিত ও এর উত্তরে জার্মানি দ্বারা বেষ্টিত।
মাল্টা
এই দেশটি ২০০৩ সালের ১৬ এপ্রিল সেনজেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। উক্ত দেশের জনসংখ্যা ৪৪৪,৪০৯জন ।
হাঙ্গেরি
এই দেশটি ২০০৩ সালের ১৬ এপ্রিল সেনজেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। হাঙ্গেরি জনসংখ্যা ৯.৬ মিলিয়ন।এই দেশটি মধ্য ইউরোপে অবস্থিত হাঙ্গেরি সেনজেন দেশের মধ্যে অন্যতম।
ফ্রান্স
ফ্রান্স ১৯৮৫ সালে ১৪ই জুন সেনজেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এদেশের জনসংখ্যা ৬৫.৬ মিলিয়ন এর কাছাকাছি।। ফ্রান্স ইউরোপের পশ্চিম দিকে অবস্থিত। দেশটির উত্তর-পশ্চিম দিকে ইংলিশ চ্যানেল দ্বারা বেষ্টিত। এর পশ্চিমে উপসাগর উত্তরে উত্তরসাগর এবং উত্তরে ইংলিশ চ্যানেল ঘিরে রেখেছে।
বেলজিয়াম
এই দেশটি পশ্চিম ইউরোপে নিম্নভূমি একটি দেশ। দেশটি 19৮৫ সালে ১৪ই জুন সেনজেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন । দেশ টি ফ্রান্, নেদারল্যান্ড, লুকসেম্বার এবং জার্মানি দ্বারা সীমাবদ্ধ। এছাড়াও বেলজিয়াম একটি ফেডারেল রাজ্য যা তিনটি দেশ দ্বারা সীমাবদ্ধ দেশ তিনটি হলো ওআলোনিয়া, ব্রাসেলেস, ডাচ- ভাসি ফ্লান্ডার্স।
গ্রীস
দেশটি ১৯৯২ সালে ৬ নভেম্বর সেনজেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। দেশটিতে ১০. ২ মিলিয়ন জনসংখ্যা বসবাস করে। এই দেশটি ইউরোপ আফ্রিকা এবং এশিয়ার মধ্যে পড়ে।
লিচেস্টাইন
দেশটি ২০০৪ সালে ২৪ শে ফেব্রুয়ারি সেনজেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। দেশটির জনসংখ্যা ৩৪,৩৯৫ জন প্রায়। লিচেস্টাইন মধ্য ইউরোপের একটি দেশ।
নেদারল্যান্ড
নেদারল্যান্ডের জনসংখ্যা ১৭ মিলিয়ন। দেশটির ১৯৮৫ সালে ১৪ই জুন সেনজেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। দেশটির দক্ষিনে বেলজিয়াম পূর্বে জার্মানি উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে উত্তর সাগর রয়েছে।
সুইডেন
সুইডেন ১৯৯৬ সালে ৯ ডিসেম্বর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। দেশটির জনসংখ্যা ১০.২ মিলিয়নের কাছাকাছি। সুইডেন উত্তর ইউরোপের একটি দেশ। ফিনল্যান্ড এবং নরওয়ে এর সীমানায় রয়েছে।
ক্রোয়েশিয়া
এর জনসংখ্যা ৪ মিলিয়নের বেশি এবং এটি সেনজেনের ২৭ তম সদস্য। এটি ১ লা জানুয়ারি ২০২৩ এ চুক্তি স্বাক্ষর করে। এ দেশটি দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত। এর উত্তরে স্লোভেনিয়া এবং হাঙ্গেরি, পূর্বের সাবিয়া ও বস নীয়া , দক্ষিনে মন্টি নিগু এবং পশ্চিমে ক্রোয়েশিয়া।
নরওয়ে
এর উত্তর পূর্বে ফিনল্যান্ড এবং রাশিয়া দ্বারা বেষ্টিত। আবার অন্যদিকে ডেনমার্ক ও রয়েছে। এ দেশটিতে প্রায় ৫.৫ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করে। এটি ১৯ ডিসেম্বর ১৯৯৬ তারিখে সেনজেন চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং ১৮ মে ১৯৯৯ তারিখে দ্বিতীয় চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
রোমানিয়া
এটি মূলত মার্চ মাস থেকে আংশিকভাবে যুক্ত হয়েছে। এটি ২০০৭ সাল থেকে ইউরোপ ইউনিয়নের সদস্য। তবে এটি ভিসামুক্ত সেনজেন অঞ্চলে যুক্ত হতে পারেনি।
বুলগেরিয়া
এটি ২০০৭ সালে সেনজেন অঞ্চলে যুক্ত হয়। এই দেশটিকে প্রাথমিকভাবে ভেটো দিয়েছিল অস্ট্রিয়া। এ দেশটিকে আংশিকভাবে অন্তর্ভুক্ত হতে স্বাগত জানিয়েছে ইউরোপের কমিশন এবং তারা মনে করেন এই দেশ সেনজেন কে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তুলবে।
সেনজেন ভুক্ত দেশের মানচিত্র
সেনজেন ভুক্ত দেশের মানচিত্র নিচে দেওয়া হলো-
ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত দেশের সুবিধা- ২০২৪
সেনজেন দেশের অনেক সুবিধা রয়েছে। এই সুবিধা গুলোর মধ্যে কিছু সুবিধা বেশি গুরুত্বপূর্ণ যা আমাদের অনেক কাজের জন্য প্রয়োজন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু সুবিধা হল;
এক ভিসাই ২৯ দেশ ভ্রমণঃ সেনজেন ভিসা থাকলে আমরা ২৯ টি সেনজেনভুক্ত দেশে ৯০ দিন বা তারও বেশি ভ্রমণ করতে পারব।
কম ঝামেলায় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ: একবার সেনজেন ভিসা পেলে অতি সহজে সেনজেন এলাকার মধ্যে এক দেশ থেকে অন্য দেশে সহজে যেতে পারবো কোন পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণ ছাড়া।
দীর্ঘ সময় ভ্রমণ এর সুবিধা: সেনজেন ভিসা ৯০ দিনের জন্য বৈধ যা দীর্ঘসময় ভ্রমণের জন্য যথেষ্ট। এর ফলে আমরা দেশগুলোর সুন্দর্য ভ্রমণ করে উপভোগ করতে পারবো।
বিভিন্ন কাজের সুযোগ: এ ভিসা থাকলে আমরা যে কোন দেশের সহজে যে কোন কাজ করতে পারবো। এর জন্য আলাদা কোন ভিসার প্রয়োজন হবে না।
শিক্ষাক্ষেত্রে সুবিধা: এ ভিসা থাকলে সেনজেনভুক্ত যে কোন দেশে আমরা পড়াশোনা করতে পারব। যা আমাদের বিভিন্ন দেশ থেকে উচ্চশিক্ষা ডিগ্রি পেতে সাহায্য করবে।
বসবাসের ক্ষেত্রে সুযোগ: এ ভিসা থাকলে সেনজেনভুক্ত দেশের স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য আবেদন করতে পারব। এতে করে নতুন দেশে আমরা নতুন জীবন শুরু করার সুযোগ পাবো।
স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ: এ ভিসা থাকলে সেনজেনভুক্ত যেকোনো দেশে আমরা জরুরী সেবা পাব যা আমাদের জন্য অনেক উপকারি।
এই সুযোগ-সুবিধা গুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে যে সেনজেনভুক্ত দেশের ভিসা থাকলে আমরা যে কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাব যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কোন না কোন কাজের জন্য প্রয়োজনীয়।
পরিশেষে
ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশগুলো যে কোন দেশের নাগরিকের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে একটি ভিসার মাধ্যমে যাওয়া যায়। এবং বর্ডার পার হওয়ার তেমন কোনো ঝামেলা থাকে না। তাই যে কোন দেশে নাগরিক সহজেই সেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে যেতে পারে।
বর্তমানে সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকায় ২৯ টি দেশ রয়েছে। তাই সেনজেনভুক্ত দেশগুলো সম্পর্কে ও সকল বিষয় বিস্তারিত জানতে পারবেন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। নিয়মিত তথ্যমূলক আরো পোস্ট পেতে www.jarinonlin.com ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url