OrdinaryITPostAd

চীনে স্টুডেন্ট ভিসা খরচ কত ২০২৪ - চীনে স্টুডেন্ট ভিসা পেতে কি IELTS লাগে

আপনি কি বিদেশে গিয়ে পড়াশোনার কথা ভাবছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। চীনের স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত এবং চীনে স্টুডেন্ট ভিসা পেতে IELTS লাগে কিনা সকল বিষয় বিস্তারিত জানতে পারবেন আর্টিকেলটির মাধ্যমে।

চীনের-স্টুডেন্ট-ভিসা

ইউরোপ ছাড়াও এশিয়ার মধ্যে উন্নত পড়াশোনার জন্য চীন অনেক বেশি এগিয়ে। ফলে পড়াশোনার জন্য চীনকে আমরা নিঃসন্দেহে বেছে নিতে পারি। তাই চীনে স্টুডেন্ট ভিসা পেতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

চীন

চীন হল পূর্ব এশিয়ার একটি বিশাল রাষ্ট্র। এই দেশটি পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ যার জনের সংখ্যা ১৪১ কোটি প্রায়। এই বিশাল জনবহুল দেশটির রাজধানী হলো বেইজিন। এই দেশটির ভাষা হল চৈনিক তিব্বতীয় ভাষা উক্ত ভাষাটি চীন রাষ্ট্রে বেশি প্রচলিত।
  • তিন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য লেখা হল-
  • এই দেশটির রাজধানী বেইজিং।
  • দেশটির রাষ্ট্রীয় নাম পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না।
  • এই দেশটির জনসংখ্যা 141 কোটি প্রাই।
  • এই দেশটির মধ্যে প্রচলিত কয়েকটি ভাষা রয়েছে-মান্দারিন চীনা, মঙ্গলীয়, তিব্বতীয়, বুয়াং সহ অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষা।
বর্তমান সময়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে চীন অনেক উন্নত তাই পৃথিবী অনেক শিক্ষার্থী চীনে পড়াশোনা করার স্বপ্ন দেখে থাকে। চীন পূর্ব এশিয়ার একটি বিশাল রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্রতে অনেক সুন্দর তবে সেখানে প্রতি বছর বহু শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য যাই।

সভ্যতা শিক্ষা ও সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে চীন অনেক এগিয়ে আছে এজন্য বহু মানুষ চিনে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে বিশেষ করে প্রায় অনেক শিক্ষার্থী চিনে পড়াশোনা করার সুযোগ পেতে চায়। অর্থসামাজিক দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে চীন।

চিনে রয়েছে এশিয়ার অন্যতম বিদ্যাপীঠ পিংকি ইউনিভার্সিটি ওয়ার্ল্ড ইউ এস। এই বিদ্যাপীঠটি ১৭ তম রেংকিং এ রয়েছে। এবং সিংহয়া ইউনিভার্সিটির ২৫ নম্বর রেংকিং এর রয়েছে ও বেইজিং ইউনিভার্সিটি ৪৪ নম্বর রেংকিং এ রয়েছে।

চীনে পড়াশোনা করার ন্যূনতম যোগ্যতা

চীনে পড়াশোনা নিয়ন্ত্রণ হয় চেনাই এডুকেশন বোর্ড দ্বারা। চীনে দুই ধরনের এডুকেশন বোর্ড রয়েছে একটি হল ইংলিশ মিডিয়াম আরেকটি হল চাইনিজ মিডিয়াম। এক্ষেত্রে বিদেশী ছাত্ররা দুই ধরনের পড়াশোনায় চালিয়ে যেতে পারবে।

চীনের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর ১০০০ বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে রয়েছে সেগুলি সর্বদা বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান করে আসছে। চীন দেশের সরকার-জাপান ,ফ্রান্স।

ইউরোপ বা আমেরিকার মত চীনে পড়াশোনা করতে IELTS,GRE,GMAT,SAT,ACT,কিংবা TOFFIL জাতীয় কোন পরীক্ষায় বসতে হয় না। যেহেতু চিনে পরীক্ষার পাস মার্ক ৬০% তাই ৬০%বেশি মার্ক পেলে চিনে যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন করার সুযোগ থাকে।

তবে ৮০% বেশি মার্ক পেলে স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ থাকে। তবে ডিপ্লোমা করছে আবেদন করতে প্রয়োজন হয় ৪.৪৩ পয়েন্ট । এবং ব্যাচেলার এ আবেদন করতে এসএসসি ও এইচএসসি দুইটি মিলিয়ে ৮.০০ থাকতে হবে তবেই চীনের কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করার সুযোগ থাকবে।

মাস্টার্স এ আবেদন করতে থাকা লাগবে ৩.২০ পয়েন্ট এবং পিএইচডি প্রোগ্রামে আবেদন করার জন্য প্রয়োজন ৩.৪০ পয়েন্ট এর সাথে থাকা লাগবে পাবলিস্ট রিসার্চ পেপার। তবে প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির আবেদন করার যোগ্যতা চেঞ্জ হয়। তাই সবটা জেনে থাকা উচিত-বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনার থেকে কি চাইছে।

চিনে স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করার নিয়ম

যদি কেউ চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা করতে চাই তাহলে প্রথমেই সেখানকার খরচ সম্পর্কে জানতে হবে। আরও জানতে হবে জিন সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু। চীনে যাওয়ার জন্য যেটি গুরুত্বপূর্ণ তার সম্পর্কেও জানা দরকার । নিচে চিনে যাওয়ার স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করার উপায় বর্ণনা করা হলো-
চীনে-স্টুডেন্ট-ভিসা-আবেদন-করার-নিয়ম
  • ভিসা আবেদনের প্রিন্ট কপি অনলাইন থেকে নিতে হবে। 
  • চিনে যাওয়ার ভিসা আবেদন করার কনফারমেশন লেটার এর ফটোকপি।
  • এপয়েন্টমেন্ট কনফার্মেশন লেটার এর ফটোকপি।
  • সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড যুক্ত দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • এডমিশন লেটার এর ফটোকপি, অথবা আগের সেকশন এর শিক্ষার্থীর জন্য প্রিন্ট কপি বা ফটোকপি দরকার।
  • বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুমতি পত্র।
  • নতুন এবং পুরাতন পাসপোর্ট এর ফটোকপি এবং তিনার ভিসার রেসিডেন্ট পারমিটের ফটোকপি।
  • শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয় পত্র সহ পুলিশ ভেরিফিকেশন এর প্রমাণ পত্র।
  • শিক্ষার্থীর পূর্ববর্তী ক্লাসের সার্টিফিকেট এর ফটোকপি।
  • টিকা সনদ এর কিউআর কোড সহ দুই পৃষ্ঠার সার্টিফিকেট।

বাংলাদেশ থেকে চীনে স্টুডেন্ট ভিসার খরচ

বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য চিনে যায়। বর্তমান যুগে পড়াশোনার জন্য চীন খুবই বিখ্যাত। চীনের শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই উন্নত এবং সুশৃংখল, তাই পড়াশোনার জন্য শিক্ষার্থীরা চীনকে সর্বপ্রথমে বেছে নেয়। স্টুডেন্ট ভিসার খরচ নিচে লেখা হলোঃ

চীনের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ব্যাচেলার খরচ প্রতিমাসের ২০ থেকে ৪০ হাজার ইউ ওয়ান। যেটি বাংলাদেশের টাকা অনুযায়ী ৩ লাক্ষ ২৮ হাজার টাকার কাছাকাছি থেকে ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৪০৭ টাকা পর্যন্ত। আবেদন ফি সহ গড়ে প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ ইউ ওয়ান খরচ হয়। যা বাংলাদেশি টাকা অনুযায়ী ৬০০০ থেকে ৯০০০ পর্যন্ত হয়।

জীবনযাত্রার দিক থেকে বেইজিং সাংহাই শহরগুলো বেশি ব্যয়বহুল। তবে শিক্ষার মান খুবই উন্নত। তবে সেখানকার চেংরু, হাড়ভা্‌ এবং বিয়াং শহর গুলো খুবই সাশ্রয়ী। তাই পড়াশোনার জন্য চীনে গেলে এই শহরগুলোতে থাকা ভালো।

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য চীনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্কলারশিপ প্রোগ্রাম। এর মধ্যে অন্যতম হলো চাইনিজ গভারমেন্ট স্কলারশিপ প্রোগ্রাম। চাইনিজ স্কলারশিপ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর জন্য পড়াশোনার খরচ অনেক অংশে কমে যায়।

চাইনিজ গভারমেন্ট স্কলারশিপ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয় চাইনিজ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর মাধ্যমে। এই প্রোগ্রাম স্নাতক স্নাতকোত্তর এবং ডক্টর আল্ল প্রকল্পকে উদ্দেশ্য করে চাইনিজ গভারমেন্ট স্কলারশিপ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।

যে ব্যাক্তি চাইনিজ গভারমেন্ট স্কলারশিপ পাই তার জন্য চীনে টিউশন ফি থাকা খাওয়া খরচ সহ প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার ইউয়ান দেওয়া হয়। এছাড়াও চীনের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় মেধার উপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়।

চীনের সিংহআ ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ স্বরূপ টিউশন ফি থাকা খাওয়া খরচ সহ প্রায় ৩০০০ ইওয়ান দেই যা বাংলাদেশী টাকা অনুযায়ী ৪৯ হাজার ৩০৮ টাকা হয়।এছাড়াও পিংকিং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বৃত্তি বাবদ ২০০০ইউয়ান সহ থাকা খাওয়া এবং টিউশন ফি দেয়।

চীনে স্টুডেন্ট ভিসা পেতে কি IELTS লাগে

IELTS বলতে International English Language Testing System বোঝায়। ইংরেজি ভাষার দক্ষতা অর্জন পরীক্ষা অনুযায়ী আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি সার্টিফিকেট। এই পরীক্ষাটি মূলত যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি তাদের জন্য না, এই পরীক্ষাটি ইংরেজি ভাষা ব্যতীত অন্য মাতৃভাষা রয়েছে তাদের জন্য অনুষ্ঠত হয়। 

সারা বিশ্বে প্রায় ১৪০ টি দেশে প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে IELTS পরীক্ষা চালু আছে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা যাচাই করা হয়। এ পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের বই, গাইড কোচিং সেন্টার অথবা অনলাইন গাইডার এর মাধ্যমে পড়াশোনা করে এই পরীক্ষাটি দেওয়া যায়।

IELTS পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলার জরুরী সেগুলো নিম্নরূপঃ
  • একটি ভালো গাইড বই অনুসরণ করে পড়াশোনা করা।
  • পরীক্ষার প্রয়োজনে প্রশ্ন সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান বা ধারণা রাখা।
  • প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত শিক্ষকের শরণাপন্ন হওয়া।
  • পূর্ববর্তী বছরে প্রশ্ন সমাধান করার অথবা বিভিন্ন ধরনের অনুশীলনী প্রশ্ন সমাধান করতে হবে।
  • সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে IELTS পরীক্ষায় ভালো ফল অর্জন করা যায়। 

IELTS ছাড়া কিভাবে চীনে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায়

IELTS পরীক্ষা না দিয়ে চীনে যাওয়ার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায় তবে কিছু উপায় রয়েছে সেগুলো অবলম্বন করা জরুরি। তবে এই নিয়মটি চীনের কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রযোজ্য। এই নিয়ম অনুসারে চললে এই পরীক্ষাটি না দিয়েই স্টুডেন্ট পড়াশোনা করতে পারে।

পৃথিবীর মধ্যে চীন হল সবচেয়ে বৃহত্তম জনগণ বহুল একটি রাষ্ট্র। পৃথিবীর মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম জনবহুল রাষ্ট্র হিসেবে চীন রয়েছে। চীনের মধ্যে ২০০০ টির ও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে চীনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং জনবহুল রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। চীনের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে শিক্ষার মান অত্যন্ত ভালো।।

চীনের মধ্যে৫০০ টির ও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে উচ্চ শিক্ষার জন্য যেগুলো একাডেমিক রাঙ্কিং এ রয়েছে। এই দেশটিতে প্রচুর বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এজন্য পৃথিবীর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শিক্ষার দিক থেকে।

IELTS ছাড়া কিভাবে চীনে যাওয়া যাবে

বড় বড় রাষ্ট্র পড়াশোনার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে IELTS পরীক্ষার সার্টিফিকেট দাবি করে।IELTS হলো ইংরেজি ভাষার দক্ষতা অর্জন এর পরীক্ষা। IELTS হলো International English Language Testing System পরীক্ষা।

এই পরীক্ষাটি মূলত ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ স্পিকার দের ভাষা যাচাই এর জন্য অনুষ্ঠিত পরীক্ষা। পৃথিবীর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতই চীনের আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের কাছে IELTS এর মত পরীক্ষার সার্টিফিকেট দাবি করে।

তবে কিছু বিশেষ উপায়ে IELTS পরীক্ষা না দিয়েই চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পাওয়া যায় সেগুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ

IELTS সার্টিফিকেট না থাকলে তেমন কোনো সমস্যা হয় না তবে একটি সার্টিফিকেট দরকার তাহলে শিক্ষার্থীকে অবশ্যই দেখাতে হবে যে তার আগে ইংরেজি ভাষার দক্ষতা সম্পর্কে সার্টিফিকেট আছে। তাহলেIELTS এর সার্টিফিকেট দরকার হবে না।

এছাড়াও শিক্ষার্থীদের যদি ইংরেজি ভাষার দক্ষতা না থাকে তাহলে প্রশংসা পত্র সম্পর্কে আবেদন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের অফিসিয়াল আবেদন পত্র স্ট্যাব যুক্ত মুদ্রিত কাগজে দেখাতে হবে যে ইংরেজি ভাষা সম্পর্কে দক্ষতা রয়েছে।

চীন এ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেগুলো IELTS ছাড়ায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ দিয়ে থাকে। সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
  • চাংচুন বিশ্ববিদ্যালয় আব সাইন্স টেকনোলজি চাইনা।
  • উত্তরপূর্ব পেট্রোলিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় চায়না।
  • যেজ্যাম ইউনিভার্সিটি অফ চায়না।
  • শান্তউ ইউনিভার্সিটি চাইনা। 
  • চায়না ইউনিভার্সিটি অফ মাইনিং চায়না।
  • নাঞ্জিং ইউনিভার্সিটি অফ science টেকনোলজি চায়না।
  • বেনজিং ইউনিভার্সিটি অফ কেমিক্যাল টেকনোলজি চায়না। 
  • বেইজিং ফরেন ইউনিভার্সিটি ইউনিভার্সিটি চায়না।
  • হ্যাঞ্জু নরমাল ইউনিভার্সিটি চায়না।
  • ঢংদেই ইউনিভার্সিটি চায়না। 

চীনের অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজন

চীনের পড়াশোনা খুবই উন্নত তার প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী বাংলাদেশ থেকে চীনে যায় পড়াশোনা জন্য। চীনে অধ্যায়নত শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু কিছু আবশ্যক প্রয়োজন রয়েছে সেগুলো নিম্নরূপঃ

প্রথমে প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা চীনে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার আগে নিজের সম্পর্কে খোঁজ নিতে হবে যে শিক্ষার্থীর বড় কোনো অসুখ রয়েছে কিনা। শিক্ষার থেকে অবশ্যই নৈতিক গুণাবলী সম্পন্ন হতে  ভদ্র হতে হবে।

চীনের ভাষা সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে অথবা চাইনিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে সেখান থেকে ভাষা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কেননা একটু বেশি পড়াশোনা করতে গেলে সেখানকার ভাষা সম্পর্কে অবশ্যই জানা দরকার।

তবে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় ইংলিশ মিডিয়াম সেগুলোর ক্ষেত্রে চাইনিজ ভাষার প্রয়োজন হয় না ইংলিশ ভাষা সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন এর সার্টিফিকেট থাকতে হবে। তাহলে চীনের ইংলিশ মিডিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করার সুযোগ থাকবে।

শিক্ষার্থীকে দেখাতে হবে যে তার পূর্ববর্তী শিক্ষা ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে হয়েছে। চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন সেগুলো নিম্নরূপঃ 
  • একটি বৈধ বিদেশী পাসপোর্ট।
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফার লেটার।
  • সিনিয়র হাই স্কুল ডিপ্লোমা।
  • একটি ভিসা। 
  • হাই স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সুপারিশ চিঠি।
  • শিক্ষার্থী সম্পর্কে সকল তথ্য সমূহ যেমন তার ঠিকানা বাবা-মার পরিচয় এ ছাড়াও তার পূর্ববর্তী শিক্ষা সম্পর্কে।

বাংলাদেশ থেকে চীনের দূরত্ব

পৃথিবীর মধ্যে চীন একটি অন্যতম রাষ্ট্র। বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভারতের খুবই নিকটে চীন রাষ্ট্রে অবস্থিত প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ বাংলাদেশ থেকে ভারত থেকে বা পুরা পৃথিবী থেকে চেনা যায়। চীনে অনেক মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য অনেক মানুষ উচ্চ শিক্ষার জন্য, অনেকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য আবার অনেকেই ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য চীনে ভ্রমণ করে।
বাংলাদেশ-থেকে-চীনের-দূরত্ব
পৃথিবীর প্রত্যেক প্রান্তের হাজার হাজার মানুষ প্রতিবছর চিনে যায়। চীনে যাওয়ার জন্য অবশ্যই জানা উচিত বাংলাদেশ থেকে চীনের দূরত্ব কতটা। বাংলাদেশ থেকে চীনের দূরত্ব নিচে লেখা হলোঃ

গ্লোবাল ম্যাপের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে চীনের দূরত্ব ৫৫৩৭.৪ কিলোমিটার এবং৪৭৭৩ মাইল প্রায়। বাংলাদেশ থেকে চীনে সরাসরি জল বা স্থলপথে যাওয়া সম্ভব না তাই চিনে যেতে হলে অবশ্যই বিমানে যেতে হয়।

যেহেতু বাংলাদেশ থেকে চিনে বিমানে যাওয়ায় একমাত্র উপায় এক্ষেত্রে চীনের দূরত্ব কম হয়। বাংলাদেশ থেকে চিনে বিমানে গেলে দূরত্ব ১১৭৬.৯৭ মাইল এবং ১৮৯৪.১৬কিলোমিটার। রুট প্লানার এর তথ্য অনুযায়ী জানা যায় বাংলাদেশ থেকে চীনের সবচেয়ে কম দূরত্ব হলো ২১৩৭মাইল এবং  ৩৪৩৯.১৫ কিলোমিটার।

বাংলাদেশ থেকে চীনে যেতে কত সময় লাগে

চীন বাংলাদেশ থেকে অনেকটা কাছের রাষ্ট্র। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি চীনে যাওয়ার জল বা স্থলপথে কোন রাস্তা নেই।তাই বাংলাদেশ থেকে সরাসরি চিনে যাওয়ার একমাত্র উপায় হল বিমানে বা আকাশ পথে যাওয়া।

যেহেতু আকাশ পথ ছাড়া যাওয়ার কোন রাস্তা নেই এটি একটি বড় সুবিধা হল বাংলাদেশ থেকে চিনে যাওয়ার খুব অল্প সময় লাগে। এজন্য বাংলাদেশ থেকে চিনে যাওয়ার তিনটি এয়ার লাইনস রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম এয়ার লাইন্স হলো হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বাংলাদেশ থেকে চীনে যাওয়া সম্ভব। সেখান থেকে বিমানে চীনে যেতে মাত্র ৩ ঘন্টা ৪৭ মিনিট সময় লাগে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে। যেমন আবহাওয়া খারাপ হলে আকাশ পথে বিমান চলাচল সম্ভব না এক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন হয়।

তবে বেশিরভাগ সময় খুব সহজে বাংলাদেশ থেকে চিনে যাওয়া যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুয়াংজু বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চায়না। এই পথে বাংলাদেশ থেকে চীনে  যেতে খুব কম খরচ হয়।হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুয়াংজু বাইয়ুন রুটের টিকিটের মূল্য৩৬,৯৩৭ টাকা হয়। যা অন্যান্য রুটের টিকিটের মূল্য থেকে কম।

বাংলাদেশ থেকে জেনে যাওয়ার খরচ মূলত তার রুটের ওপর নির্ভর করে। রুটের উপর নির্ভর করে বাংলাদেশ থেকে চিনে যাওয়ার খরচ ভিন্ন ভিন্ন হয়। তবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুয়াংজু বায়ুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চায়না এই রুটের টিকিটের মূল্য অন্যের টিকিটের থেকে কম।

পরিশেষে

আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানতে পেরেছেন চীনে স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত-চীনে স্টুডেন্ট ভিসা পেতে কী IELTSলাগে। আরো জানতে পেরেছেন বাংলাদেশ থেকে চীনের স্টুডেন্ট ভিসার কাগজপত্র খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যসমূহ। এই আর্টিকেলটির মধ্যে আরো রয়েছে চিনা অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।

আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আরো জানতে পেরেছেন বাংলাদেশ থেকে চীনের দূরত্ব, বাংলাদেশ থেকে চিনে যেতে কত খরচ হয়।IELTS পরীক্ষা না দিয়েই চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়ন করা সম্ভব সে সম্পর্কে তথ্য রয়েছে।প্রতিনিয়ত তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে ভিজিট করুন www.jarinonline.com ওয়েবসাইটটি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url