OrdinaryITPostAd

Doxicap 100 Mg এর কাজ কি - খাওয়ার নিয়ম ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

Doxicap একটি অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ। Doxicap ঔষধ অ্যান্টিবায়োটিক সংক্রমণ সারাতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই আজকের আর্টিকেলে Doxicap 100 mg এর কাজ কি এবং খাওয়ার নিয়ম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সহ সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করব।
ডস্কিক্যাপ

Doxicap মূলত ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এটি মূত্রনালী, ফুসফুস, চোখ এবং আরো অন্যান্য সমস্যা নিরাময়ে কাজ করে থাকে। Doxicap ব্রনের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে। তাই  Doxicap সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।

Doxicap এর কাজ কি

ডক্সিক্যাপ একটি এন্টিবায়োটিক এবং জীবানু প্রতিরোধী ঔষধ। যেহেতু এটি জীবানু প্রতিরোধে ঔষধ তাই এটি জীবাণু কোষের ভেতরে প্রোটিন উৎপাদনে বাধা প্রদান করে থাকে। ডক্সিক্যাপ ঔষধের প্রধান উপাদান ডক্সিসাইক্লিন হাইড্রোক্লোরাইড।

এ ওষুধের দাম অনেক কম তাই সহজে মানুষ কিনতে পারে। শরীরের রোগ সম্পূর্ণভাবে ভালো না হওয়া পর্যন্ত এ অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধটি ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত খেতে হবে। তবে অবশ্যই খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ডস্কিক্যাপ-এর-কাজ
ডক্সিকাপ এন্টিবায়োটিক ওষুধটি যে সকল রোগের ক্ষেত্রে কাজ করে তা হল-
  • বিভিন্ন ধরনের নিউমোনিয়া রোগে।
  • ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের ক্ষেত্রে।
  • সাইনোসাইটিস এর চিকিৎসায়।
  • ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে এটি কাজ করে।
  • মূত্রনালী সমস্যায়।
  • চোখ দিয়ে পানি পড়লে।
  • ব্রণ বের হলে।
  • ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন ধরনের রোগে।
  • গলা ব্যথা করলে।
  • কলেরা হলে।
  • রিকেটসিয়াল পক্স হলে।
  • ফোড়া ও গনোরিয়া হলে।
  • বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগে।

Doxicap কিভাবে কাজ করে

ডাইসাইক্লিক হাইড্রোক্লোরাইড এর অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ টি মূলত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ক্ষমতাকে রোধ করে এবং প্রতিরোধ করে। এটি ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টিকারী ছিদ্র রোগ বালাইকে ধ্বংস করে ফেলে। ডক্সিসাইক্লিন হাইড্রোক্লোরাইড ওষুধটি হলো আধা টেটাসাইক্লিন অ্যান্টিবায়োটিক।

এটি মূলত টেট্রাসাইক্লিন ওষুধের অনুরূপ বর্ণালী সৃষ্টি করে যা জীবাণু ধ্বংসের ক্ষেত্রে কাজ করে থাকে। তবে কিছু ব্যতিক্রমী রয়েছে যেগুলো এর বিরুদ্ধে কাজ করে না সেগুলো হলঃ কো- পটিয়াস মিরাবিলিস ক্লেবি সিলার এবং কয়েকটি গ্রাম নেগেটিভ স্টন।

ডাইসাইক্লিনের সংবিধানশীলতা বেশি। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া গুলো ৭০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশ মধ্যে ডক্সি সাইটোলিন এর সংবিধানশীলতা বেশি কাজ করে। ত্বকের সংবেদনশীলতার ক্ষেত্রে বেশি ভূমিকা পালন করেন।

ডক্সিক্যাপ ঔষুধ দিন মূল কাজ হলো দেহের জীবাণুগুলোকে ধ্বংস করে ফেলা। সেজন্য এই ওষুধটি বেশি ব্যবহৃত হয় এবং দাম কম হওয়ার কারণে মানুষ বেশি ব্যবহার করে। কারণ এর কোন ক্ষতিকর দিক নেই।

Doxicap খাওয়ার সঠিক পরিমাপ

এই ওষুধটি মূলত ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবী ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণ নিরাময় করতে ব্যবহৃত হয়। এটি প্রতিদিন ১০০ মিলিগ্রামে নেয়া উচিত। এটি মূলত প্রতি ৬ ঘন্টায় ৫০০ মিলিগ্রাম সর্বোচ্চ নেওয়া যেতে পারে।

প্রত্যেকটি ওষুধ খাওয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। এ নিয়ম মেনেই যে কোন ওষুধ খেতে হয় তা না হলে আমাদের জীবনের ঝুঁকি হতে পারে। যেকোনো ধরনের ওষুধ খাওয়া যেমন নিয়ম রয়েছে ঠিক তেমনি ডক্সিক্যাপ খাওয়ার নিয়ম রয়েছে।

ডক্সিক্যাপ ঔষধ খাওয়ার নিয়ম গুলি নিম্নরূপ-
  • বিভিন্ন শরীরে রোগ নিরাময়ের জন্য ডক্সিক্যাপ ওষুধ অনেক উপকারই।
  • ডক্সিক্যাপ সাধারণত দিনে ২ বার খাওয়া যায়।
  • ডক্সিক্যাপ ওষুধ দিয়ে খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই পেট ভরে পর্যাপ্ত খাবার খেতে হবে।
  • এটি প্রতিদিন সকাল ও রাতের বেলা করে খেতে হয়।
  • তবে খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
  • প্রথম ডোজে ২০০ মিলিগ্রাম ওষুধ সেবন করতে হবে।
  • এরপর রোগ ভালো না হলে  ৭ থেকে ১০ দিন দৈনিক ১০০ মিলিগ্রাম গ্রহন করতে হবে।
  • এর বেশি ওষুধের প্রয়োজন হলে ডক্টরের পরামর্শ নিতে হবে।

Doxicap কিসের ঔষধ

আমরা সাধারণত ওষুধ সেবন করি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে। তাই প্রত্যেকটি ডাক্তারের উচিত রোগীর কথা ভালোমতো শুনে ঔষধ  সেবনের পরামর্শ দেওয়া। কারণ ওষুধ সেবনের ধরন ঠিক না থাকলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

ডক্সিক্যাপ ঔষধ টি যে সকল রোগের ঔষধ সেগুলো নিম্নরূপঃ

রেসপীরেটরি ট্রাক্ট ইনফেকশনঃ এটি নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, সাইনোসাইটি্‌শ, ব্রংকাইটিস, টনসিলাইটীশ।

গ্যাসটোইনটেস্টাইনাল ইনফেকশনঃ কলেরা, ট্রাভেলার্স, ট্রাভেলার্স, ডায়রিয়া, শীগেলা, পেটে ব্যথা এবং তীব্র অন্ত্র।

শ্বাসনালীর সংক্রমণঃ শ্বাসনালীর প্রদাহ, নিউমোনিয়া, টনসিল এবং শ্বাসনালির বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ডক্সিক্যাপ খাওয়া হয়।

যৌনরোগ সমস্যাইঃ জটিল মূত্রনালী, এন্ড সারভিকাল, মালদারে সংক্রমণ, গনোরিয়া রোগ, পেলভিক প্রদাহ জনিত রোগ, সিফিলিস, সিস্টাইটীশ ইত্যাদি রোগে ডক্সিক্যাপ ওষুধটি সেবন করা হয়।

অন্যান্য সংক্রমণ রোগেঃ সেলাইটিস ব্রণ এবং কিউ ফিভার রোগে, ভেনেরিমার, পীড়ীটাকোশীশে  চিকিৎসক এ ডক্সিক্যাপ ঔষধটি বেশি ব্যবহার করেন।

Doxicap খাওয়ার নিয়ম

যে কোন ওষুধ নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত। ঔষধ নিয়ম মেনে না খাওয়া কারণে অনেক সময় বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এই ক্ষেত্রে অনেক সময় রোগীর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই যেকোন ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই নিয়ম মেনে খেতে হবে।

প্রাপ্তবয়স্ক যেকোন মানুষ Doxicap 100 mg ওষুধ খেতে পারবে। এবং Doxicap 100 mg ওষুধটি দুইবার খাবার নিয়ম সকালে এবং রাতে। এভাবে ৭-১০ দিন এই ওষুধ খেতে হবে। এছাড়া শারীরিক পরিস্থিতি অনুযায়ী ডোজ কমবেশি হতে পারে। 

আর ওষুধ খামার আগে অবশ্যই খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ পর ওষুধ খেতে হবে। এছাড়াও ওষুধ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। এবং ডাক্তার যেভাবে বা যে নিয়মে ওষুধ খেতে পরামর্শ দেয় সেভাবেই খেতে হবে।

ওষুধ খাওয়ার নিয়ম যেমন ডক্টর বলে দেয় ঠিক তেমনি রোগীকেও নিয়ম মানতে হবে। নিয়ম না মেনে ওষুধ খেয়ে কোন প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের দোষ দেওয়াটা বৃথা। কারণ রোগের ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারকে এবং ডাক্তারের পরামর্শকে মেনে চলতে হবে।

তবে গর্ভবতীর ক্ষেত্রে ঔষধ খাওয়া যাবে না। যদিও কোন প্রয়োজন হয় তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনভাবেই ওষুধ সেবন করা যাবে না। যদি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন করে থাকে কোন গর্ভবতী তাহলে তার ভ্রুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

doxicap ক্যাপসুলের উপকারিতা

প্রত্যেকটি মানুষই জীবনে সুস্থ থাকতে চাই। কোন মানুষই চাই না তার শরীরে কোন রোগ আক্রমণ করুক কারণ সুস্থতা প্রত্যেকটা মানুষই কামনা করে। সেজন্য আমাদের শরীরে কোন রোগ বালাই আক্রমণ করলে আমরা উপকার পাওয়ার জন্যই ওষুধ সেবন করি। 

ডক্সিক্যাপ ক্যাপসুল এর উপকারিতা গুলো হলঃ
  • এটি মাইক্রোপ্লাজমা যুক্ত।
  • স্পাইরোচেট যুক্ত।
  • গ্রাম নেগেটিভ।
  • গ্রাম পজিটিভ।
  • রিকেটসিয়া যুক্ত।
  • মাইক্রো ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে।
  • গনোরিয়া রোগে ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
  • সিফিলিস রোগের ক্ষেত্রে কার্যকর।
  • এটি দেহের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে।
  •  ব্যাকটেরিয়া কোষের ভেতরের প্রোটিন সিনথেসিস বন্ধ করে দেয়।
  • দেহের রোগবালাই দ্রুত দূর করতে বেশি সক্ষম।

doxicap ক্যাপসুল এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

যেকোনো কিছুর ব্যবহারের ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম মেনে না চললে সেটির অবশ্যই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে। আপনি যদি কোন ঔষধ ঠিক মত কিংবা নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবহার না করেন তাহলে অবশ্যই এর বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখাবে।

ঔষধের উপকারিতার পাশাপাশি ক্ষতিকর দিক রয়েছে। ঔষধ খেলে বা সেবন করলে দেহের রোগবালাই যেমন দ্রুত সেরে যায় ঠিক তেমনি বেশি ওষুধ গ্রহণ করলে শরীরের ক্ষতি ও হয়। তাই আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে যেন কোন খারাপ লক্ষণ না দেখা দেয়।

ডক্সিক্যাপ ঔষধ গ্রহণ করলে বা সেবনের নিয়ম কানুন না জানার কারণে যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো দেখা দিবে সেগুলো নিম্নরূপ-
  • অ্যানিমিয়ার সমস্যা হতে পারে।
  • বমি বমি ভাব লাগতে পারে এবং হতেও পারে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে গ্যাস ফর্ম করতে পারে।
  • বুকে জ্বালাপোড়া হতে পারে।
  • খাবার নালিতে আলসার হতে পারে।
  • ডায়রিয়াজনিত সমস্যা লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
  • দেহে বিভিন্ন ধরনের লাল ফুসকুড়ি হতে পারে।
  • দেহে চর্মরোগ হতে পারে।
  • মুখে ব্রণ দেখা দিতে পারে।
  • ত্বকে এলার্জি থাকলে সে সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
  • মাথা ব্যথা করতে পারে।
  • অতিরিক্ত ঔষধ গ্রহণের কারণে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।
  • দৃষ্টিশক্তি সমস্যা হতে পারে।
  • দাঁতের মাড়ি ফুলে যেতে পারে।

doxicap ক্যাপসুল এর দাম

ডক্সিক্যাপ এই ওষুধ টির বাণিজ্যিক নাম ডক্সিক্যাপ। আমাদের জানা দরকার এই ক্যাপসুলটির দাম কত। এই ক্যাপসুলের জেনেরিক নাম ডক্সিসাইক্লিন। এর ধরন এটি একটি ক্যাপসুল। এটির পরিমাপ ১০০ মিলিগ্রাম এবং ৫০ মিলিগ্রাম।

ওষুধের দাম নির্দিষ্ট করে বলা অনেক কঠিন কারণ যে কোন সময় কম বেশি হয় আজ হয়তো এক দাম আছে কালকে এক টাকা বা দুই টাকা যে বাড়বে না তার কোন নিশ্চয়তা নাই। ডক্সিক্যাপ এই ওষুধটির প্রতি পিচের দাম ২.২০ টাকা। যে কোন ফার্মেসি থেকে এই ওষুধটি কালেক্ট করা যায়।

ডক্সিক্যাপ ওষুধটির চিকিৎসাগত শ্রেণী tetracycline group of drugs. এ ওষুধ এর উৎপাদনকারী global pharmaceuticals, renata limited. এর উপলব্ধ দেশ pakistan, bangladesh. এবং সর্বশেষ সম্পাদনা september 19, 2023 at 7:00 am.

doxicap  ১০০ মিলিগ্রাম এবং ৫০ মিলিগ্রাম ক্যাপসুল এর দাম নিম্নরূপঃ

doxicap ১০০ মিলিগ্রাম এর দামঃ

ইউনিট মূল্যঃ2.20 (10 x 10: 220.00)
স্তিপ মূল্যঃ 22.00 

doxicap ৫০ মিলিগ্রাম এর দামঃ

ইউনিক মূল্যঃ 1.42 (5 x 10: 71.00)
স্তিপ মূল্যঃ 14.20

শিশুদের Doxicap খাওয়া যাবে কিনা

সাধারণত ঔষধ প্রত্যেকটি মানুষই খেয়ে থাকে তবে সবার জন্য একই রকম নিয়ম থাকে না। আমরা এখন জানব শিশুদের ডক্সিক্যাপ ঔষধটি খাওয়া যাবে কিনা এবং খেলে কিভাবে খেতে হবে তার নিয়ম কানুন গুলো জানব।

শিশুদের ক্ষেত্রে ডক্সিক্যাপ ওষুধটি খাওয়া যাবে তবে শিশুর বয়স ওজন সবকিছু বিবেচনা করে ঔষধ খাওয়াতে হবে। কারণ ছোট শিশুদের ঠান্ডা জনিত রোগ বেশি হয়ে থাকে। তাই তাদের ডক্সিক্যাপ ওষুধটি খাওয়া যাবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।

শিশুকে ঔষধ দিতে হবে শিশুর বয়স এবং ওজন অনুযায়ী। তবে বেশিরভাগ ডাক্তার শিশুদের ঔষধ দেন ওজন অনুযায়ী এজন্য শিশুদের ক্ষেত্রে ওজনটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সিরাপ ট্যাবলেট সাপোজিটার যাই হোক না কেন সবকিছুই ওজনের ওপর নির্ভর করবে।

শিশুদের ক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৫৫ মিলিগ্রাম সিরাপ জাতীয় ওষুধের প্রতি কেজি ওজন হিসাব করলে যা আসবে তাকে তিন থেকে চার ভাগ করতে হবে এরপর খাওয়াতে হবে। আবার কোন শিশুর ওজন যদি ১০ কেজি হয় তখন দিনের ওষুধের মাত্রা হবে ৫৫০ মিলিগ্রাম।

সাধারণত ঔষধের এক চামচ সমান ১২৫ মিলিগ্রাম ওষুধ হয়। সে অনুযায়ী হিসাব করলে দিনে চারবার হয়। আবার যদি তিন ঘন্টা বা তার বেশি সময় পর খাওয়াতে হয় তবে দেড় চামচ করে খেতে হবে। অর্থাৎ শিশুর ওজন যত কম বেশি হবে ওষুধের মাত্রা ঠিক তেমনটাই হবে।

গর্ভাবস্থায় Doxicap খাওয়া যাবে কিনা

গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ সেবন করার নিয়ম নেই। কারণ গর্ভাবস্থা এমন একটি অবস্থা যে এ সময়ে শরীরের ভেতরে আরও একটি ভ্রুণ তৈরি হয়। সেজন্য কোন ওষুধ গ্রহণ করার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।
র্গভাবস্থায়-ডস্কিক্যাপ
কোন গর্ভবতী গর্ভাবস্থায় কোন প্রকার ওষুধ সেবন করতে পারবেনা যদি কোন দরকার হয় বা অনেক অসুস্থতার সম্মুখীন হয় তবে ডক্টরে পরামর্শ অনুযায়ী খেতে পারবেন। যদি নিজে থেকে কোন ওষুধ খেয়ে থাকে তাহলে মৃত্যুর ঝুঁকি হতে পারে।

এই সময় একটি ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে যে কোন উপায়ে সাবধানতা অবলম্বন না করলে গর্ভবতীর এবং দেহে বেড়ে ওঠা শিশুর সমস্যা হতে পারে। আবার ভ্রুন ও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই গর্ভবতী মহিলাদের উচিত সর্ব অবস্থায় সাবধানতা অবলম্বন করা। 

গর্ভাবস্থায় সামান্য অসুস্থতা বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ এই সময় দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম থাকে এবং শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায়। তবে অসুস্থতা সুস্থ করার জন্য ওষুধ সেবন করলেও এমন কিছু ঔষধ রয়েছে যা দেহের জন্য এবং শিশুর জন্য ক্ষতি হতে পারে।

এমন অনেক ওষুধ রয়েছে যা সেবন করলে গর্ভের সন্তানের বেড়ে ওঠাতে বাধা সৃষ্টি করে এমনকি কখনো কখনো বিকলাঙ্গ হয়ে যায়। এতে সন্তান প্রতিবন্ধী হতে পারে। আবার গর্ভবতী সন্তান জন্ম দিতে যে মৃত্যু হতে পারে। তাই সাবধানতা মেনে চলা অত্যন্ত জরুরী এই সময় এ। 

doxicap ক্যাপশন সম্পর্কিত সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQS)

প্রশ্নঃ ডক্সিক্যাপ ১০০ মিলিগ্রাম ঔষধ টি কোন কোম্পানি বাজারজাত করে?
উত্তরঃ রেনেটা লিমিটেড।

প্রশ্নঃ ডক্সিক্যাপ ১০০ মিলিগ্রাম ঔষধটির থেরাপিউটিক ক্লাস কি?
উত্তরঃ Tetracyclin Group Of Drugs

প্রশ্ন: প্রতি পিচ ১০০ মিলিগ্রাম এর দাম কত?
উত্তর: প্রতি পিচ beklo 10 mg এর দাম 2.20 টাকা

পরিশেষে

ডক্সিক্যাপ এমন একটি মেডিসিন বা ক্যাপসুল যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী আবার অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিও করে। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম ডক্সিক্যাপ ঔষধের যাবতীয় সকল তথ্য।

এ আর্টিকেল পড়ে আমরা জানতে পারবো ডক্সিক্যাপ এর কাজ কি এটি কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় এবং ডক্সিক্যাপ খাওয়ার উপকারিতা ডক্সিক্যাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এটি শিশুদের জন্য এবং গর্ভবতী নারীদের জন্য প্রযোজ্য কিনা তাও জানতে পারবা এবং সর্বশেষে ডক্সিক্যাপ  সম্পর্কিত সাধারণ জিজ্ঞাসা এ সকল কিছু জানতে পারবো আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। নিয়মিত আরো তথ্যমূলক পোস্ট পেতে  www.jarinonline.com ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।


























এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url