মালয়েশিয়ার ভিসা পাওয়ার সহজ উপায়-২০২৪
বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়া যেতে চাই। আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। আজকের আর্টিকেলে মালয়েশিয়ার ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় সহ বিস্তারিত আলোচনা করব। পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
মালয়েশিয়ায় ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই সরকারিভাবে চেষ্টা করতে হবে। কারণ বিভিন্ন দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা পাওয়ার চেষ্টা করলে অনেক সময় টাকা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই মালয়েশিয়া ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় গুলো জেনে নিন আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে।
মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়া দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার একটি দেশ। মালোশিয়ার রাজধানী শহর কুয়ালালামপুর। ফেডারেল সরকারের রাজধানী হল পুত্রজায়া। এই দেশটি চীন সাগর দ্বারা আবদ্ধ। মালয়েশিয়ার মোট আয়তন ৩,২৯,৮৪৫ বর্গ কিলোমিটার।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মালয়েশিয়া দেশটি দুইভাগে বিভক্ত। দেশ দুইটি হল-
- মালোশিয়া উপদ্বীপ
- পূর্ব মালয়েশিয়া
গত কয়েক দশকে এ দেশটিতে অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নের দিকে ধাবিত হয়েছে। এ শহর জুড়ে অনেক অঞ্চল রয়েছে। মালয়েশিয়া উপদ্বীপের মধ্যে তিনটি সহ রয়েছে এগুলো হলঃ পশ্চিম উপকূল, পূর্ব উপকূল এবং জহর।
মালয়েশিয়া উপদ্বীপের জোহর যে অঞ্চলটি রয়েছে সে অঞ্চলটিতে মূলত প্রচুর পরিমাণে পাম তেল উৎপন্ন হয় এবং কাজ ওয়ে সেতুর মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে যাতায়াত করা যায়। পূর্ব মালয়েশিয়ারও বেশ কিছু অঞ্চল রয়েছে যেখানে কিছু না কিছু উৎপন্ন হয়।
মালোশিয়ার বেশ কয়টি শহর রয়েছে এগুলো হলোঃ কুয়ালালামপুর, জর্জ টাউন, মালাক্কা, জোহর বাহারু, কুয়ানতান, কোটা কিনাবালু, কুচিং ও মিরি। এর মধ্যে কুয়ালালামপুর মালয়েশিয়ার রাজধানী। এ রাজধানী শহরটি মালয়েশিয়ার জনপ্রিয় শহর।
মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রকারের ভিসা
মালয়েশিয়ার ভিসা ধরন অনেক রকম হয়ে থাকে যেমনঃ মালয়েশিয়ার এন্ট্রি ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, এমপ্লয়মেন্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা এবং মেডিকেল ভিসা। এ ভিসা গুলোর পদ্ধতি নিম্নরূপ-
মালয়েশিয়ার স্টুডেন্ট ভিসাঃ প্রতিটি দেশেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তেমনি মালয়েশিয়াতে বেশ কিছু বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি রয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও অন্যান্য প্রায় বেশিরভাগ বেশি উচ্চশিক্ষার জন্য মালয়েশিয়া যাই। এ ভিসা হতে ২০-২৫ দিন সময় লাগে। পড়াশোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত মেয়াদ থাকবে।
মালয়েশিয়ার এন্ট্রি ভিসাঃ অন্যান্য দেশগুলোতে ভ্রমণ করার জন্য আলাদা করে ভিসা করতে হয় কিন্তু মানুষের যাওয়ার জন্য এন্টি ভিসা যথেষ্ট। এ ভিসার মাধ্যমে যেকোনো দেশের নাগরিক মালয়েশিয়া ভ্রমন করতে পারবেন। এ ভিসা করতে সময় লাগে ৫ থেকে ১০ দিনের মতো।
মালয়েশিয়ার এমপ্লয়মেন্ট ভিসাঃ বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ এ ভিসার মাধ্যমে কাজের সন্ধানে চলেছে মালয়েশিয়াতে। এ ভিসা হতে সময় লাগে অনেকদিন।এ ভিসা পেতে সময় লাগে ১ মাস। মালয়েশিয়াতে এ ভিসার মেয়াদকাল ২ থেকে ৪ বছর।
মালয়েশিয়ার বিজনেস ভিসাঃ বেশিরভাগ মানুষ বিজনেস ভিসা চাই এজন্য এ ভিসার চাহিদা অনেক বেশি তবে ভিসা করতে বেশি সময় লাগে না। কমপক্ষে ১০ দিন লাগে ভিসা পেতে।এ ভিসার মেয়াদকাল
১-৩ মাস।
মালয়েশিয়ার মেডিকেল ভিসাঃ এ ভিসাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ বেশিরভাগ মানুষ অসুস্থতার জন্য চিকিৎসা নিতে মালয়েশিয়া যায়। এ ভিসা প্রসেসিং হতে মাত্র ২ থেকে ৩ দিন লাগে।এ মাধ্যমে অসুস্থ রোগীরা অনেক দিন যাবত মালয়েশিয়াতে চিকিৎসা করাতে পারেন।
মালয়েশিয়া ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
মালয়েশিয়া এমন একটি দেশ যেখানে ভিসা সহজে পাওয়া যায়। শুধুমাত্র মালয়েশিয়াতে অনেক সহজ উপায় ভিসা পাওয়া সম্ভব। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ কাজের সন্ধানে ছুটে চলেছে মালয়েশিয়াতে।
শুধু কাজের জন্য বা জীবিকা নির্বাহ করার জন্য যে যাচ্ছে তা কিন্তু নয় এর বাইরে এমন অনেক মানুষ আছে যারা চিকিৎসার জন্য, বিভিন্ন কোম্পানিতে বিজনেস করার জন্য, দেশ ভ্রমণ করার জন্য, উচ্চ শিক্ষার লাভ করার জন্য এবং চিকিৎসা নেওয়ার জন্য।
প্রত্যেকটি মানুষের জীবনেই কোন না কোন প্রয়োজনে এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে হয়। কিন্তু যাওয়ার জন্য আমাদের একটি নির্দিষ্ট ভিসার প্রয়োজন হয়। আর এ ভিসা করার জন্য যে সকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন সেগুলো নিম্নরুপ-
- বৈধ ডিজিটাল পাসপোর্ট লাগবে।
- যে ভিসা করবে তার পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
- যে দেশে বাস করে সে দেশের নাগরিকত্ব সনদপত্র।
- ব্যক্তির ডিজিটাল জন্ম সনদপত্র।
- করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার ডোসের ফরম।
- ব্যক্তি যদি স্টুডেন্ট হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর সার্টিফিকেট।
- স্টুডেন্ট ভিসা হলে মটিভেশনাল লেটার লাগবে।
- বিজনেস ভিসা হলে বিজনেস সংক্রান্ত সকল তথ্য লাগবে।
- মেডিকেল ভিসা হলে দেশে দেখানো ডাক্তার এর রিপোর্ট।
মালয়েশিয়ার ভিসা করতে কত টাকা লাগে
মালয়েশিয়া দেশটিতে যাবার জন্য ভিসা করতে কত টাকা লাগে তা জানা দরকার। কারণ টাকার পরিমাণ না জানলে পরবর্তীতে সমস্যা হয়। এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা মালয়েশিয়া যেতে চান কিন্তু তার কাছে যাবার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা নেই।
তাই আগে থেকে জানা থাকলে তার যাওয়াটা নির্ভর করবে তার নিজস্ব অর্থের ওপর। মালয়েশিয়ার ভিসা করতে এক একটি ক্যাটাগরির জন্য একেক রকম টাকা লাগে। কারণ ভিসার অনেক ক্যাটাগরি থাকে সেটা হতে পারে স্টুডেন্ট ভিসা কিংবা টুরিস্ট ভিসা।
আরও পড়ুনঃ দুবাই থেকে ইতালি কিভাবে যেতে হবে-২০২৪
শুধুমাত্র ভিসার জন্য যে একটি নির্দিষ্ট না খরচ হবে তা নয়। ভিসা শেষ করার পর যাবতীয় কিছু কাজ থাকে যেগুলো সম্পন্ন করতে আরো বেশ কিছু থাকা লাগবে। মালয়েশিয়ার ভিসা করতে কত টাকা লাগে তা হলোঃ
এমপ্লয়মেন্ট ভিসাঃ এ ভিসা খুব কম মানুষই করে তাই এ ভিসার চাহিদা যেমন কম তেমনি খরচ কম। এ ভিসা করতে টাকা লাগে ১৫০০ থেকে ২০০০ এর মত।
এন্ট্রি ভিসাঃ এ ভিসা করার জন্য খুব একটা টাকা লাগে না। এ ভিসা করতে খরচ লাগে প্রায় ২ হাজারের মতো। তবে কোন কোন সময় কমবেশি হতেও পারে।
বিজনেস ভিসাঃ এ ভিসা প্রসেসিং করতে একটু বেশি খরচ লাগে কারণ বেশিরভাগ মানুষই কাজের সন্ধানে মালয়েশিয়া যান তাই বিজনেস ভিসার চাহিদা ও বেশি। এ ভিসা প্রসেসিং করতে খরচ হয় ৫০০০ থেকে ৬০০০ এর মত।
স্টুডেন্ট ভিসাঃ এ ভিসা করতে ৫০০০ টাকার মতো খরচ হয়। তবে বেশিরভাগ স্টুডেন্ট স্কলারশিপ নিয়ে যাই বলে ফ্রিতে ভিসা পেয়ে যায়।
মেডিকেল ভিসাঃ এ ভিসা প্রসেসিং করতে খরচ লাগে ৫৭২০ টাকা। মেডিকেল ভিসার চাহিদা বেশি। তাই এ ভিসা করতে টাকা বেশি লাগে।
মালয়েশিয়ার ভিসা করার নিয়ম
মালয়েশিয়া ভিসা করার অনেক নিয়ম রয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি কার্যকর নিয়ম হলো অনলাইন ভিসা। বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ হওয়ার কারণে সবকিছুই অনলাইনে হয়ে থাকে। অনলাইন ভিসার নিয়ম গুলো হল-
- প্রথমত ভিসা করার জন্য ভিসা প্রসেসিং চালু করে ভিসার ফর্ম সিলেক্ট করতে হবে এবং ডাউনলোড করতে হবে।
- এরপর ভিসার ফর্মটি পূরণ করে নিতে হবে। পূরণ করার সময় প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিতে হবে।
- সবকিছু অনলাইনে পূরণ করতে হবে কারণ হাতে লেখা কোন কাগজ বা ফর্ম গ্রহণযোগ্য নয়।
- ভিসা করার জন্য যে পার্সোনাল পিন বা পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে সেগুলো নিজের কাছে গোপন রাখতে হবে।
- ভিসা ফর্মটিতে অবশ্যই সঠিক তথ্য দিতে হবে তা না হলে ফরম বাতিল হয়ে যেতে পারে।
- যদি কোন কারনে ভিসা ফর্মে ভুল হয়ে থাকে তাহলে কর্তৃপক্ষ সেটা গ্রহণ করবে না এবং পরবর্তীতে ফেরত দেওয়া হবে।
- ভিসা করার জন্য বায়োমেট্রিক নিজের ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে এবং ছবিও লাগবে।
- সবকিছু তথ্য ঠিক থাকলে ভিসার এপয়েন্টমেন্ট টি অটোমেটিক্যালি বুক হয়ে যাবে।
- এরপর ভিসা অফিস থেকে ইমেইলে একটি কনফার্মেশন মেইল কোড আসবে।
- মেইল করতে নিজের কাছে রেখে দিতে হবে এবং ভিসা কনফার্ম হয়ে যাবে।
মালয়েশিয়ার রিংগিত বাংলাদেশের কত টাকা
প্রতিটি দেশের নিজস্ব মুদ্রার নাম রয়েছে যেমনঃ বাংলাদেশের মুদ্রার নাম টাকা, কুয়েতের মুদ্রার নাম দিনার, ওমেনের মুদ্রার নাম রিয়াল। তেমনি মালয়েশিয়ার নিজস্ব মুদ্রার নাম রয়েছে সেটি হল রিংগিত। মালয়েশিয়ার ১ রিংগিত সমান বাংলাদেশের ২৭ টাকা ২৫ পয়সা।
দেশের নাগরিক যে দেশে বাস করবে সে দেশের মুদ্রা ব্যবহার করতে হবে। তাই কোন ব্যক্তি যদি বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার দেশে বিজনেস করার জন্য কিংবা ভ্রমন করার জন্য যায় তাহলে অবশ্যই তাকে বাংলাদেশের মুদ্রা এক্সচেঞ্জ করে মালয়েশিয়ার মুদ্রা নিয়ে যেতে হবে।
মালয়েশিয়ার টাকা বাংলাদেশের কত টাকা সমান তা নিম্নরূপ-
- ১ রিঙ্গিত=২৪.৯৭৮৫ টাকা
- ১০ রিঙ্গিত=২৪৯.৭৮৫ টাকা
- ১০০ রিঙ্গিত=২,৪৯৭.৮৫ টাকা
- ৫০০ রিঙ্গিত=১২,৪৮৯.৩ টাকা
- ১০০০ রিঙ্গিত=২৪,৯৭৮.৫ টাকা
- ১০,০০০ রিঙ্গিত=২৪৯,৭৮৫ টাকা
মালয়েশিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে
প্রত্যেকটি দেশের জন্য নির্দিষ্ট করে সরকার ব্যবস্থা রয়েছে এবং প্রত্যেকটি দেশেরই আইন কানুন ও নিয়ম-শৃঙ্খলা রয়েছে। প্রত্যেকটি দেশের নাগরিকের কর্তব্য সে দেশের সরকার প্রদত্ত আইন কানুন ও নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলা।
বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর যে সকল মানুষ মালয়েশিয়া যায় তাদের বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর হতে হবে। তবে মালোশিয়াতে কাজের দক্ষতা এবং যোগ্যতা অনুযায়ী কাজের বয়স নির্ধারণ করা হয়। বয়স যেমন হবে কর্মী কাজ তেমনি পাবে।
মালয়েশিয়াতে সাধারণত ২২-৩০ বছর বয়সীদের যেকোনো ধরনের সাধারণ কাজ দেওয়া হয় এবং ২২-২৫ বছর বয়সী কর্মীদের বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানি এবং ড্রাইভিং এ সকল কাজ দেওয়া। এরা তরুণ বলে এদেরকে হালকা কাজ দেওয়া।
সাধারণত মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য তরুণদের ভিসা সহজে করা সম্ভব হয় কারণ মালয়েশিয়া দেশটি তরুণদেরকে বেশি প্রাধান্য দেয়। তবে মালয়েশিয়াতে এমন অনেক কোম্পানি আছে যেগুলোতে বেশি বয়সের মানুষ নেয় না সেজন্য বেশি বয়সী মানুষদের ভিসা দেয় না।
তবে যাদের বয়স অনেক বেশি তারা যদি মনে করে মালয়েশিয়া যাবেন তবে তাদের অন্য প্রসেসে ভিসা দেওয়া যায়। তাদেরকে কলিং ভিসা দেওয়া হয়। মালয়েশিয়াতে কৃষি কাজের চাহিদা বেশি। সেজন্য বয়স নিয়ে চিন্তার কোন বিষয় নেই। দক্ষতা এবং যোগ্যতা থাকলে সবকিছুই সম্ভব।
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত সময় লাগে
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া দূরত্ব ৩৬১৮.৮ কিলোমিটার এবং মাইল অনুযায়ী ২২৪৭ মাইল। এর দূরত্ব অতিক্রম করতে বেশ অনেকটা সময় লাগবে। বিমানের ক্ষেত্রে কিছুটা কম। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া বিমানে যেতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা।
বর্তমানের বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য শুধু মালয়েশিয়া নয় অন্যান্য
দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য ৩ টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং ৮ টি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর রয়েছে। তেমনি মালয়েশিয়াতে যাতায়াতের জন্য ৮ টি বিমানবন্দর আছে।
বাংলাদেশ বিমানবন্দর থেকে একটি করে ধাপে ধাপে মালয়েশিয়া যেতে যতটুকু সময় লাগে তা হলঃ
- বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট থেকে মালয়েশিয়ার কলালামপুর এয়ারপোর্ট যেতে সময় লাগে ৩ ঘন্টা ৫০ মিনিট।
- বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট থেকে মালয়েশিয়ার কোটা কিনা বালু এয়ারপোর্ট যেতে সময় লাগে ৩ ঘন্টা ৪০ মিনিট।
- বাংলাদেশ শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালয়েশিয়া ল্যাকওই যেতে সময় লাগে ৪ ঘন্টা৩০ মিনিট।
- বাংলাদেশ বিমানবন্দর থেকে মালয়েশিয়া বিমানবন্দর যেতে সময় লাগে ৩ ঘন্টা থেকে ৪ ঘন্টার মত।
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার বিমান ভাড়া কত
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাতায়াতের জন্য বিমানের বিভিন্ন রুট আছে। রুট গুলো হলঃ one way, one stop,two stop,round way ইত্যাদি। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার বিমান ভাড়া কত এ তথ্য জানার জন্য অনলাইনে ঢুকে সার্চ করলেই সকল তথ্য পাওয়া যাবে।
আবার অনলাইনে বিমান ভাড়া পেমেন্ট করা যাবে। bangladesh to malaysia flight ticket price 2024 লিখে সার্চ করলে যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট দেখাবে এবং সেখানে ঢুকে পছন্দ মতো বিমান পছন্দ করা যাবে এবং ভাড়া পেমেন্ট করা যাবে।
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া রুটে চলাচল কৃত বিমান ভাড়া নিম্নরূপঃ
- বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া air asia এর বিমান ভাড়া ২৫০০০ টাকা।
- বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া biman bangladesh এর বিমান ভাড়া ২৭,৩০০ টাকা।
- বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া batik air এর বিমান ভাড়া ৩১,০০০ টাকা।
- বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া air india এর বিমান ভাড়া ৩২,২০০ টাকা।
- বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া us bangla এর বিমান ভাড়া ২৯,৭০০ টাকা।
তাছাড়াও কখনো কখনো এয়ারলাইন্সগুলো ডিসকাউন্ট দিয়ে থাকে সে সময় গুলোতে বিমানের ভাড়া কম থাকে। তখন বিমানের বুকিং আগে থেকে দেওয়া থাকলে ছাড় পাওয়া যায়।
পরিশেষে
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে জানতে পারলাম। বাংলাদেশের নাগরিকেরা প্রতিবছর মালয়েশিয়া ভ্রমন করছেন আবার কেউ জীবিকা নির্বাহ করার জন্য ছুটে চলছে মালয়েশিয়া।
মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে যেতে কত সময় লাগে এবং মালয়েশিয়ার ভিসা পাওয়ার সহজ উপায়, মালয়েশিয়ার ভিসা পেতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে সবকিছু জানতে পারবো আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে। নিয়মিত তথ্যমূলক আরো পোস্ট পেতে www.jarinonline.com ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url