ওমানের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ - ওমানে টাকার মান কত
অনেক বাংলাদেশীই আছে যারা ওমানে কাজের জন্য যেতে চাই কিন্তু ওমানের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে পেতে হয় এবং ওমানের টাকার মান কত জানেন না। তাই আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে ওমানের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং ওমানের টাকার মান কত সকল বিষয় বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ওমানে বাংলাদেশীদের জন্য কাজের সুযোগ বেশি থাকায় ওমানে ওয়ার্ক পারমিট কাজের জন্য অনেকেই যায়। ওমানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কি কি লাগে এবং ওমানের টাকার মান কত জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ওমানের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বেশিরভাগ মানুষ দেশ-বিদেশে ছুটছে কাজের সন্ধানে। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষজন ওমানের ভিসার জন্য আবেদন করছেন। কারণ তাদের ওমানের ভিসা প্রয়োজন। তবে অনেকেই জানে না কিভাবে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়।
পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের মানুষ রয়েছে যারা সবাই ভিন্ন ভিন্ন কাজ করে থাকে। পৃথিবীতে মানুষ যেমন ভিন্ন কারো সাথে কারোর যেমন মিল নেই ঠিক তেমনি কাজের দিক থেকেও সকলের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে। কেউ নিজের বেশি কাজ করছে আবার কেউ কাজের জন্য দেশ-বিদেশে চলছে।
প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে কোন কিছু চাহিদা থাক না থাক কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি। কাজে তাগিদে বা জীবিকা নির্বাহ করার জন্য নিজ দেশ ছেড়ে বা নিজের মাতৃভূমিকে ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি জমাচ্ছে।
ওমানের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদনের নিয়মাবলীঃ
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য প্রথমে একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং এর মেয়াদ হতে হবে ছয় মাস কমপক্ষে
- তারপর নির্বাচন করতে হবে যে কোন ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করবেন।
- এরপর ভিসার জন্য যে সকল তথ্য দরকার তা দিতে হবে।
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ফি প্রদান করতে হবে।
- ভিসার অ্যাপ্লিকেশনটি ট্রাক করতে হবে।
- তারপর ভিসার জন্য একটি মেডিকেল টেস্ট দিতে হবে।
- সকল তথ্য ঠিক থাকে তাহলে কোম্পানি থেকে ভিসা প্রদান করা হবে।
ওমানের টাকার মান কত
কর্মসূত্রে মানুষজন এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাই। প্রত্যেকটি দেশের টাকার মান আলাদা আলাদা। ওমানের মুদ্রার নাম রিয়াল। ওমানের টাকার মান বাংলাদেশি টাকার ২৮৫.০২৫ টাকা। আমরা যখন এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাই তখন যে দেশে যাই সে দেশের সাথে টাকা এক্সচেঞ্জ করে থাকে।
শুধুমাত্র আমরা যে কাজের সন্ধানের জন্য দেশ-বিদেশে যায় তা নয় অনেকে এমন আছেন যারা দেশ ভ্রমণ করার জন্য এবং দেশের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য অন্যান্য দেশে পাড়ি দিয়ে থাকেন। তবে যে কাজের জন্যই আমরা যাই না কেন টাকা এক্সচেঞ্জ করতে হবে।
তবে বেশিরভাগ মানুষই কাজে সন্তানের জন্য যাই। তবে টাকা এক্সচেঞ্জ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে যে দেশের জন্য টাকা এক্সচেঞ্জ করা হবে বা টাকা এক্সচেঞ্জ করে নিব সে টাকা ঠিকমতো পাচ্ছে কিনা। ভুল হলে পরবর্তীতে সমস্যা দেখা দিবে।
ওমানের টাকার মান থেকে বাংলাদেশের টাকার মানঃ
- ১ রিয়াল=৩১১.27 টাকা
- ১০ রিয়াল=৩,১১২.৭ টাকা
- ১০০ রিয়াল=৩১,১২৭ টাকা
- ১০০০ রিয়াল=৩,১১,২৭০ টাকা
- ১০,০০০ রিয়াল=৩১,১২,৭০০ টাকা
ওমানের ভিসার দাম-২০২৪
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান। বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ প্রতিবছর টুরিস্ট এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে পারি জমাচ্ছে। ওমানের সরকার চুক্তির ভিত্তিতে প্রতিবছর শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকেন।
তাই ওমানে যাওয়ার আগে আমাদের জানতে হবে ওমানের পারমিট ভিসার দাম কত এবং এ দেশটি কেমন এবং এ দেশটির বর্তমান অবস্থা কেমন সবকিছু জানতে হবে। অনেকেই ভিসা দাম জানার জন্য বিভিন্ন ভিসা প্রতিষ্ঠানে যাই। কিন্তু এগুলো বাড়িতে বসে অনলাইনে জানা যাই।
ইন্টারনেটে সার্চ করলে আমরা জানতে পারবো ওমানের বিচার দাম কত এবং কি কি কাগজপত্র লাগবে এবং এর পাশাপাশি আরো জানতে পারবো ওমানে যাওয়ার জন্য কতটুকু যোগ্যতা লাগবে। কারণ বর্তমান যুগ অনলাইনের যুগ।
আরও পড়ুনঃ আমেরিকার ভিসা পাওয়ার সহজ উপায়-২০২৪
ওমানের ভিসার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে তাই আগের বছরের তুলনাই ভিসার দামও বেড়েছে। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন এজেন্সি এর সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে এবং আর্থিক দিক থেকে লাভবান হচ্ছে। একটি ভিসা তৈরি করা হবে এর কাজের ধরনের ওপর।
প্রতিটি কাজের জন্য ৩০০০০০ থেকে ৫০০০০০ টাকা পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়। ওমানের একেকটি ভিসার খরচ এক এক রকম। যেমন স্টুডেন্ট ভিসা এক রকম দাম এবং টুরিস্ট ভিসা এক রকম দাম আবার কাজের জন্য ভিসা অন্যরকম দাম।
ওমানের কাজের বেতন-২০২৪
পৃথিবীর কোন দেশেই প্রথম কর্মরত অবস্থায় বেশি অর্থ আয় করা সম্ভব না। ওমানে গিয়ে নতুন অবস্থায় যেকোন কাজের বেতন ২৫০০০ থেকে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আবার কোন ব্যক্তি যদি সে কাজ এ অনেক দক্ষ হয় তাহলে প্রথম অবস্থাতে ৬০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকা হয়।
ওমানের কাজের চাহিদা অনুযায়ী এবং কাজের দক্ষতা অনুযায়ী বেতন কমবেশি হয়ে থাকে। ওমানে এমন কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো চাহিদা বেশি। কিন্তু সেসব কাজে দক্ষ থাকতে হবে তবেই আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে।
ওমানের কয়েকটি কাজের বেতন নিম্নরুপঃ
সুপার মার্কেটঃ ওমানে এ কাজের চাহিদা বেশি হলেও বেতন কমবেশি হয়ে থাকে। এর বেতন ওমানের টাকার ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়।
ইলেকট্রিশিয়ানঃ ওমানে এ কাজের চাহিদা অনেক বেশি তাই এর বেতন অনেক বেশি তবে এ কাজের যোগ্যতা এবং দক্ষতা থাকতে হবে। এ কাজের বেতন ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয় তবে এর বেশি অর্থ আয় করতে চাইলে ওভারটাইম করতে হবে।
ওয়েটারঃ এই কাজের চাহিদা তেমনটা নয় বলে এর বেতন ওমানের টাকার ১০০-১৫০ রিয়াল যা বাংলাদেশির টাকার ২৫,৫৪৮ হাজার থেকে ৪২,৮২২ হাজার টাকা হয়। এ কাজ যে কোন ধরনের রেস্টুরেন্টে হতে পারে।
ড্রাইভিংঃ ওমেনে সব ধরনের কাজের চাহিদা বেশি। ড্রাইভিং এর ওমেনের টাকা অনুযায়ী ১৫০-২০০ রিয়াল যা বাংলাদেশের টাকার ৪০,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকা।
ক্লিনারঃ এই ক্লিনার এর কাজ যে কোন ধরনের হতে পারে যেমন রাস্তা ক্লিনার, রেস্টুরেন্ট ক্লিনার, বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান ক্লিনার। এর বেতন জন্য ওমানের টাকা অনুযায়ী ৯০-১২০ রিয়াল যা বাংলাদেশি টাকার ২৫,২৪৩-৩৪,২৫৮ টাকা।
ওমানে কোন কাজের চাহিদা বেশি
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ কাজের সন্ধানে ছুটে চলেছে ওমেনে। প্রতিটি মানুষের জীবনে কোন কিছুর চাহিদা থাকুক বা না থাকুক কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি কারণ প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে জীবিকা নির্বাহ করা প্রয়োজন।
ওমেনে এমন অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে। কারণ যে সকল কাজের বেতন বেশি সে সকল কাজের চাহিদা বেশি সেটা হোক দেশ-বিদেশ বা নিজের মাতৃভূমিতে।
যদি কোন একটা মানুষের যেকোনো একটি কাজের অনেক বেশি দক্ষতা থাকে এবং সে কাজের জন্য তারা যথেষ্ট যোগ্যতা থাকে তবে সে ব্যক্তি অবশ্যই সে কাজের জন্য আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবেন। কারণ ওমেনে প্রতিটি কাজের বেতন অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি।
ওমেনের যে সকল কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো হলঃ
- মেকানিক এর কাজ।
- ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজ।
- রংমিস্ত্রি এর কাজ।
- এসি টেকনিশিয়ান এর কাজ।
- প্লাম্বার এর কাজ।
- রাজমিস্ত্রি এর কাজ।
- রেস্টুরেন্ট এর কাজ।
- কনস্ট্রাকশন এর কাজ।
- কৃষিকাজ এর কাজ।
- লেবারের কাজ।
- ফোরম্যান ইঞ্জিনিয়ার এর কাজ।
- ওয়েল্ডিং এর কাজ।
- ইলেকট্রিক্যাল মেশিন এর কাজ।
- ওয়েটার এর কাজ।
- ক্লিনার এর কাজ।
ওমানে যেতে কি কি লাগে
কোন একটি দেশে যেতে হলে সে দেশের যে নিয়ম কানুন রয়েছে সেগুলো মেনেই সে দেশে যেতে হবে। সেজন্য জানতে হবে ওমানে যেতে কি কাগজপত্র লাগে। ভিসা সাধারণত অনেক ক্যাটাগরির হয় যেমন-
টুরিস্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।
ওমানে যেতে যে সকল কাগজপত্র লাগে সেগুলো নিম্নরূপঃ
- রঙিন পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি।
- ভিসা আবেদন ফরম সাথে করে নিয়ে যেতে হবে।
- নিজস্ব ব্যাংকের স্টেটমেন্ট থাকতে হবে।
- বাবা-মার এনআইডি কার্ডের কপি থাকতে হবে।
- করোনা ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর কপি।
- ১৮ বছর সম্পূর্ণ হলে জন্ম নিবন্ধন কপি এবং এর বেশি হলে এনআইডি কার্ড এর কপি লাগবে।
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট।
- জব অফার লেটার নিয়ে যেতে হবে।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র।
- কাজের দক্ষতার প্রমাণপত্র।
- বিমানের টিকিট নিয়ে যেতে হবে।
- পাসপোর্ট নিয়ে যেতে হবে
ওমানে যেতে কত টাকা লাগে
ওমানে যেতে কত টাকা লাগে এটি একটি সাধারণ প্রশ্ন। অনেকের মনে আকাঙ্ক্ষা থাকে যে দেশটিতে যাব সেখানে যাওয়ার জন্য কত টাকা লাগবে। এমন অনেক মানুষ আছে যারা বর্তমানে ওমানে কাজের উদ্দেশ্যে হোক বা পড়াশোনার উদ্দেশ্যে হোক কিন্তু জানে না যে ওমানে যেতে কত টাকা লাগবে।
যদি কোন এজেন্সি বা কোন দালালের মাধ্যমে যেতে চান তাহলে ওমানে যেতে অনেক টাকা খরচ হবে। কিন্তু আপনার ভিসার ক্যাটাগরির অনুযায়ী নির্ভর করবে যে দেশটিতে যেতে কত টাকা লাগবে। কারণ সব ভিসার দাম এক নয় এক একটি ভিসার দাম একেক রকম।
বর্তমানে ওমানের ভিসার দাম ২ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা মত খরচ। কিন্তু ভিসা অনেক ক্যাটাগরির হয়ে থাকে। অনেকে ফ্যামিলি নিয়ে ট্যুরে যায় সে ক্ষেত্রে খরচ পড়বে ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার এর মত। আবার যারা স্টুডেন্ট ভিসা করবে তাদের জন্য খরচ ৪০-৫০ হাজার টাকা।
আবার অনেক ক্ষেত্রে এমন হয় যে কাজ অনুযায়ী ভিসা করা যায়। যেমনঃআপনি যদি ওমানের বাগানের কাজের জন্য ভিসা করেন তাহলে এর খরচ হবে ১,১০,০০০ টাকা এবং যদি কোন কোম্পানির জন্য ভিসা করা হয় সেক্ষেত্রে ১,৬০,০০০-২,০০,০০০ টাকা খরচ হবে।
এছাড়াও অন্য যাবতীয় খরচ ও থাকতে পারে যেমনঃ মেডিকেল খরচ ,ফিঙ্গারপ্রিন্ট, প্লেনের টিকিট ভাড়া, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স। এগুলো নিয়ে খরচ আরো বেশি হতে পারে। সবমিলিয়ে ওমানের মত দেশে পাড়ি জামাতে হলে মোটা অংকের অর্থ লাগবে।
ওমানে যেতে কত বছর বয়স লাগে
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে ছুটে চলেছে দেশ-বিদেশে। ওমানে যেতে কত বছর বয়স লাগে সেটা আমাদের জানা দরকার। কারণ প্রতিটি দেশের সরকার একটি নির্দিষ্ট করে বয়স নির্ধারণ করেই দেন।
যে দেশটিতে যাব সে দেশটিতে যাওয়ার পূর্বে আমাদের অবশ্যই জানতে হবে সে দেশটির নিয়ম-কানুন কেমন সে দেশটিতে যেতে হলে সে ব্যক্তির বয়স কেমন হতে হবে এসব কিছু জানতে হবে। কোন ব্যক্তি যদি মনে করে যে ওমানে যাব না হলে সে সহজে যেতে পারবে তা নয়।
আরও পড়ুনঃ ইউরোপীয় সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা-২০২৪
ওমানে যাবার জন্য বয়সটা জানা জরুরী কারণ ভিসা করতে গেলে যদি বয়স ঠিক না দেওয়া হয় তাহলে সে দেশটি ভিসা করতে পারমিশন দিবে না এবং পরবর্তীতে ভিসার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। তাই যে নির্দিষ্ট করা বয়স রয়েছে সেটি জেনে ভিসা করতে হবে।
বর্তমানে ওমানের যাবার জন্য সর্বনিম্ন বয়স লাগবে ২২ বছর। এর বেশি হলে সমস্যা নেই তবে এর কম হওয়া যাবে না। এর কম হলে যদি ভিসা করতে যান তাহলে কোন ওমানের কোম্পানি আপনাকে কোনই ভিসা প্রদান করবে না।
ওমানের ভিসা পেতে এবং ওমানে যেতে কত সময় লাগে
ওমানের ভিসা পেতে এবং যেতে খুব একটা বেশি সময় লাগে না। এমন অনেক মানুষ আছে যে ওমানে সরকারি চাকরির অফার পেলাম সেখানে সে যেতে চায় এবং যার জন্য খুব আগ্রহী কিন্তু সে জানে না যে ভিসা পেতে এবং যেতে কত সময় লাগবে। তাই এগুলো জানতে হবে।
ওমানে কোন চাকরির জন্য ভিসা করলে বা কোন কোম্পানির জন্য ভিসার আবেদন করলে সেটি পেতে কমপক্ষে ৭ দিন সময় লাগবে। আবেদন করার সাত দিনের মধ্যে তারা ভিসা তৈরি করে ফেলে। তবে যদি কোন কর্তৃপক্ষের সমস্যা থাকে তবে এর থেকে বেশি সময় লাগতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে ওমানে যাওয়ার জন্য দুই রকমের ফ্লাইট অফার করা হয় একটি হল ননস্টপ এবং আরেকটি হল স্টোক ওভার। তবে এ দুটি ফ্লাইটের সময় যে এক হবে তা নয় দুইটি ফ্লাইটের টাইম ভিন্ন ভিন্ন এবং যেতেও কমবেশি সময় হয়।
যদি কেউ লোকাল বিমানে করে বাংলাদেশ থেকে ওমানে যাই তবে তা যেতে সময় লাগবে ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা। অনেকেই লোকাল বিমানে যায় আবার কেউ ননস্টপ যায় এবং অনেকেই এয়ারলাইন্সের নির্দিষ্ট সময় থাকে সেখানেও যাওয়া যায়।
ইউ এস বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যে বিমান রয়েছে সেটিতে গেলে ৭ ঘন্টা থেকে ৮ ঘন্টা সময় লাগবে আবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানে করে গেলে ওমানে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৫ ঘন্টা থেকে ৬ ঘন্টা লাগবে। এ দুটো ফ্লাইট নন স্টপ।
পরিশেষে
আমাদের আজকের আর্টিকেলটি হল ওমানের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা-২০২৪ এবং ওমানের টাকার মান কত। যে সকল প্রবাসীরা ওমানে রয়েছেন এবং যে সকল বাংলাদেশী মানুষেরা ওমানে যেতে চান কাজের উদ্দেশ্যে কিংবা ট্যুরে কিংবা পড়াশোনার জন্য তাদের জন্য আজকের এয়ার আর্টিকেল।
আমরা জানতে পারলাম ওমানের ভিসার জন্য কত টাকা লাগে এবং ওমানের ভিসা করতে কি কি কাগজপত্র লাগে, ওমানের টাকার মান কত, ওমানে যেতে কত সময় লাগে এ সকল কিছুই। তাই আমরা যারা বাংলাদেশ থেকে ওমানে জীবিকা নির্বাহ করার জন্য কিংবা দেশ ভ্রমণ করার জন্য যেতে চাই তারা ওমান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। নিয়মিত আরো তথ্যমূলক পোস্ট পেতে www.jarinonline.com ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url