ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ১৫ টি ঘরোয়া উপায় জানুন
ঠোঁটের সৌন্দর্য একজন মানুষের আকর্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই প্রতিটি মানুষই ঠোঁটের সৌন্দর্য রক্ষার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে থাকে। তাই আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ঘরোয়া উপায়ে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার বিভিন্ন উপায় বিস্তারিত আলোচনা করব।
বিভিন্ন কারণে ঠোঁট কালো হয়ে থাকে। অতিরিক্ত ধূমপান বা কসমেটিক, এলার্জি ইত্যাদি কারণে ঠোঁট কালো হয়ে থাকে। তাই ঘরোয়া উপায় ঠোঁটের কালো দাগ দূর করা এবং ঠোঁট গোলাপি মসৃণ রাখতে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ঠোঁট কালো হওয়ার কারণ
প্রতিটি মানুষই চাই নরম তুলতুলে গোলাপি ঠোঁট পেতে। বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটি মেয়ে এবং ছেলেরাও গোলাপি ঠোঁটের আশা করে। তবে বিভিন্ন কারণে মানুষের ঠোট কালো হয় যার ফলে মুখের সৌন্দর্য অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়।
বিভিন্ন কারণে মানুষের কালো হতে পারে যেমন কর্মজীবনে অতিরিক্ত ব্যস্ততা, নিম্নমানের কসমেটিক, আবহাওয়ার পরিবর্তন, বাতাসের অতিরিক্ত আদ্রতা , তামাক সেবন , শারীরিক অসুস্থতা আরো হতে পারে অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে এছাড়াও কেমোথেরাপি এবং অতিরিক্ত ফলোরাইট এর কারণেও ঠোঁট কালো হয়।
অনেক মানুষ ঠোঁট কালো হওয়া নিয়ে কোন চিন্তাই করে না। কিন্তু এই ঠোঁট কালো হওয়ার মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে বড় কোনো কারণ। অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে ঠোঁট কালো হওয়া তবে ভিটামিনের অভাবে ঠোঁট কালো হতে পারে।
ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ১৫টি ঘরোয়া উপায়
কোন পরিশ্রম ছাড়াই বাড়িতে বসেই কিছু ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করা যায়। এবং পাওয়া যায় নরম তুলতুলে গোলাপি ঠোঁট। ঠোঁট গোলাপি করার জন্য দামি কোন কসমেটিক এর প্রয়োজন হয় না । বাড়িতে থাকা সাধারণ উপকরণ দিয়ে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করা সম্ভব হয়। সেগুলো নিচে লিখা হলো-
টুথপেস্টঃ ঘুমানোর আগে সকালে একবার ব্রাশ করে তো ব্রাশ করার সময় সামান্য একটু টুথপেস্ট হতে প্রলেপ করে নিতে হবে ব্রাশ করা শেষ হলে ব্রাশ দিয়ে হালকা করে ঠোঁটটা ঘষে নিতে হবে। এজন্য অবশ্যই ব্রাশটিকে নরম হতে হবে এবং ঠোঁটটা হালকা করে পরিস্কার করতে হবে।প্রতিদিন রাত্রে ঘুমানোর আগে ঠোঁটগুলোকে কিছুক্ষণ মেসেজ করতে হবে।
লেবুর রস ও বাদাম তেলঃ মেসেজ করার সময় সামান্য লেবুর রস বাদাম তেলের সঙ্গে যুক্ত করা যেতে পারে এর ফলে খুব ভালো উপকার হবে ঠোটের জন্য।
লেবুর রস ও মধুঃএছাড়াও ঘুমানোর আগে লেবুর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখলে খুব ভালো উপকার হয়। এর ফলে ফলে কালো চামড়া উঠে যায় এবং নরম তুলতুলে গোলাপি ঠোট হয়।
পুদিনা পাতার রসঃ পুদিনা পাতা ঠোঁটের জন্য খুবই উপকারী তাই পুদিনা পাতার রস ঠোঁটে লাগালে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়।
দুধের সর ও ডালিমের রসঃদুধের সরের সাথে ডালিমের রস মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁটের রং গোলাপি হয় এবং ঠোঁটের কালো মরা চামড়া উঠে যায়। দুধের সরের না থাকলে সামান্য ঘি মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে এতেও ভালো ফল পাওয়া যায়।
চিনি ও অলিভ অয়েলঃসামান্য চিনির সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে স্টাভ করলে ভালো ফল পাওয়া যায় এতে নরম তুলতুলে গোলাপি ঠোঁট হয়।
পেট্রোলিয়াম জেলিঃ পেট্রোলিয়াম জেলি ঠোঁটের জন্য খুবই উপকারী তাই শুধু শীতকাল নয় সারা বছরই পেট্রোলিয়াম জেলি ঠোঁটে ব্যবহার করা যায়।
লিপবামঃ বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই ঠোঁটে লিপবাম দিতে দিতে হবে কারণ মানুষের ত্বকের মতোই ঠোঁট কিছুটা তেল উৎপন্ন করে তাই লিপবাম ব্যবহার করা খুবই উপকারী।
পালং শাকের রসঃ পালং শাকের রস ঠোঁটের জন্য খুবই উপকারী এর ফলে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করা যায়।
পুদিনা পাতার রসঃ পুদিনা পাতার রস ঠোটে লাগালে ঠোটের কালো দাগ থেকে রেহায় পাওয়া যায়।
টমেটো পেস্টঃ টমেটো রস করে ঠোঁটে সহ মুখে না গেলে ভালো ফল পাওয়া যায় টমেটোর রস ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
শশার রসঃ শসার রস ত্বকের জন্য খুবই উপকারী শসার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা ত্বকের জন্য খুবই ভালো শসার রস ঠোঁটে লাগালে ঠোঁটের রং সুন্দর হয়।
গোলাপের পাপড়ির রসঃ গোলাপের পাপড়ি ঠোঁটে লাগালে গোলাপের পাপড়ির মতন রং ঠোঁটে আসে তাই গোলাপের পাপড়ি রস করে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করে গোলাপি ঠোঁট হয়ে ওঠে।
বাদামের তেলঃ বাদাম কে পেস্ট করে ঠোঁটে লাগালে খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়। তাই ঠোঁট থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য। বাদামের তেল ঠোঁটে লাগালে ঠোঁটের রং সুন্দর হয়ে যায়।
ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার প্রাকৃতিক উপায়
ঠোঁট শরীরের এমন একটা অংশ যা মানুষের সৌন্দর্যেরএক ভাগ। ত্বকের ক্ষেত্রে যেমন আলাদা যত্নের প্রয়োজন হয় ঠিক তেমনি ঠোটের জন্য আলাদা যত্ন লাগে। যদি ঠোঁটের যত্ন না করা হয় তাহলে ঠোঁটের রং নষ্ট হয়ে যায় এবং কালো কুচকুচে হয়ে যায়।
তাই প্রতিদিন অবশ্য ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে তা না হলে মানুষের সুন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। ঠোঁটের যত্নে তেমন কোন খরচ হয় না ঘরোয়া কিছু উপায়ে ঠোঁটের যত্ন নেওয়া হয়। বাড়িতে থাকা সামান্য উপকরণ দিয়েই ঠোঁটের রং পরিবর্তন করা যায় এবং নরম তুলতুলা গুলোকে ঠোঁট পাওয়া যায়।
যেমন বাড়িতে ফ্রিজে থাকা বরফ হতে পারে একটি উপকরণ এর মানে হলো যখন তোর অতিরিক্ত কালো হয়ে যায় তখন ঠোঁটে বড় ঘষলে চামড়া নরম হয় এবং ঠোঁটের রং কালো থাকে না। অনেকেই বাড়িতে থাকা এই বরফের গুন সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখেনা।
বাড়িতে থাকা দুধের সর দিয়ে ঠোঁটের রং পরিবর্তন করা যায়। সবার বাড়িতে দূর থাকে দুধের সর এর সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে এবং এই পেজ দিয়ে ঠোঁটে ক্লাব করলে ঠোঁটের রং পরিবর্তন হবে। এবং প্রমাণ মিলবে হাতেনাতে।
ঘরোয়া উপায় যদি ঠোঁটের রং পরিবর্তন না হয় বা ঠোঁটের কালো দাগ যদি দূর না হয় এক্ষেত্রে চর্মরোগ হিসেবে গণনা করা যাবে না এবং যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। সামান্য ঠোঁটের কালো দাগ হতে পারে বড় কোন রোগের লক্ষণ তাই সাধারণ ভেবে ঘরে বসে থাকা উচিত না দ্রুত চিকিৎসা।নেওয়া আবশ্যক।
ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ঔষধি উপায়
মানুষের মুখে সবচেয়ে সুন্দর অংশ হলো তার ঠোঁট তোর যদি হয় কালো কুচকুচে তাহলে মানুষের সৌন্দর্য অর্ধেকটাই নষ্ট হয়ে যায় দেখতে খুবই বাজে লাগে তবে এই কালো দাগ ঘরোয়া উপায়ে দূর করা সম্ভব হয় কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে কালো হতে পারে বড় কোন রোগের লক্ষণ।
তাই ঠোঁটের কালো দাগ যদি ঘরোয়া উপায় না কমে এক্ষেত্রে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয়। ডাক্তাররা বলেন মানব দেহের প্রতিটা অঙ্গে যেমন এক একটা গ্রন্থে রয়েছে কিন্তু ঠোঁটের আলাদা কোন গ্রন্থি থাকে না এজন্য ঠোঁট বারবার শুকিয়ে যায়।
ঘরোয়া উপায়ে যদি ঠোঁটের কালো দাগ না দূর হয় এক্ষেত্রে বড় রোগের লক্ষণ সম্পর্কে নিজে লেখা হলো-
ওরাল মেলেনেবঃ
ঠোঁটের কালো দাগ হতে পারে বড় অসুখ এর মধ্যে একটি হল ত্বকের ক্যান্সার বা ওরাল মেলানেম ক্যান্সার। এই ক্যান্সার খুবই মারাত্মক। এই ক্যান্সারের প্রধান লক্ষণ হল ঠোঁট কালো কুচকুচি হয়ে যাওয়া।
হাইপার পিগমেন্টেশনঃ
ঠোঁট সহ শরীরের যে কোন অংশে হাইপার পিগমেন্টেশন হতে পারে। এর বিভিন্ন ধরনের কারণ থাকতে পারে যেমন গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন, গভীর কোন ক্ষত, পোকা মাকর এর কামড়, ব্রণ বের হওয়া।
হাইপার পিগমেন্টেশন কমানোর জন্য সানব্লক সমৃদ্ধ লিপবাম ব্যবহার করতে হবে রোদ্রে যাওয়ার আগে। এর ফলে করা রোধ ঠোঁটের বেশি ক্ষতি করতে পারবে না।
নিম্নমানের কসমেটিক এর জন্য ঠোঁটের ক্ষতিঃ
ঠোঁটের কালো দাগ নিম্নমানের কসমেটিক বা লিপস্টিক ব্যবহারের জন্য হতে পারে। নিম্নমানের কসমেটিক ব্যবহার করার জন্য ত্বকের এলার্জির মত বড় সমস্যা হতে পারে। তাই ত্বকের ব্যবহারের জন্য নিম্নমানের কসমেটি বর্জন করতে হয়।
পানি শূন্যতাঃ
শরীরে পানি শূন্যতার জন্য ঠোটের রং কালো হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন অন্তত পক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে এতে শরীর সুস্থ থাকবে এবং ঠোঁট হবে নরম তুলতুলে এবং গোলাপি।
ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ঔষধের নাম
ঠোঁট কালো হওয়ার অন্যতম কয়েকটি কারণ রয়েছে যার মধ্যে প্রথম কারণটি হল অতিরিক্ত ধূমপান। ধূমপানের ফলে ঠোঁটের রং নষ্ট হয়ে যায় এবং কালো কুচকুচে হয়ে যায়। মানুষের চেহারা সৌন্দর্যের অন্যতম কারণ হলো তার নরম তুলতুলের গোলাপি ঠোঁট।
কিন্তু যার ঠোঁট কুচকুচে কালো তাকে দেখতে একদম বিচ্ছিরি লাগে তাই ঘরোয়া উপায়ে যদি ঠোঁটের কালো দাগ না ওঠে তাহলে কিছু ঔষধ আছে যেগুলো ব্যবহারের জন্য ঠোঁটের কালো দাগ অনায়াসে উঠে যায় ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার কয়েকটি ওষুধের নাম নিচে লেখা হলো।
প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে চিনি ঠোঁটের জন্য খুবই ভালো তাই ঠোঁট বেশি কালো হলে চীনের স্ক্রাব করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। এতেও যদি কালো দাগ না কমে তাহলে Scru Cream ব্যবহার করলে অনায়াসে ঠোঁটের কালো দাগ মিশে যায়।
ঠোঁটের ফাটা বর্তমান সময়ে একটি মারাত্মক সমস্যা যা প্রত্যেকে হয়ে থাকে ঠোঁট ফাটা যেন মানুষের যেতেই চায় না শীতকাল শহর গরম কালেও অনেকের ঠোঁট মারাত্মকভাবে ফেটে যায়। এজন্য ঠোঁট ফাটাদূর করার জন্য একটি ওষুধ খুবই উপকারী তা হল Dxn Gano Massage Oil ঠোঁট ফাটা হাত পা ফাটা সবসময় সমাধানে কার্যকরী একটি তেল।
এই তেল ব্যবহার করেও যদি ঠোঁটের কালো দাগ না উঠে তাহলে ভোটের জন্য কালো দাগ দূর করার কার্যকরী একটি মলম হলো ক্লভেট অয়েন্টমেন্ট। এই ঔষধটি দিনে দুইবার ঠোঁটে লাগালে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়।
ধূমপায়ীদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়
অতিরিক্ত ধূমপানের ফলে কালো হয়ে যাওয়ার ঠোঁটের রং পরিবর্তন করা অনেক কঠিন তবে ঠোঁটের
রং পরিবর্তন করতে হলে প্রথমে ধূমপান পরিহার করতে হবে। তবে অনেক মানুষের বংশগত কারণে কুচকুচে কালো হয়ে থাকে যাদের ঠোঁট গোলাপি করা প্রায় অসম্ভব। তবে বংশগত কারণে খুব কালো হলে এই সমস্যাটি প্লাস্টিক সার্জারি করে দূর করা যায়।
সূর্যের ক্ষতিকর রোদ সরাসরি মুখের ওপর পড়লে ঠোঁটের রং এমনিতেই কালো হয়ে যাবে। এছাড়াও ধূমপান হরমোনের কারণ,বংশগত কারণে,এলার্জির কারণে অথবা মদপান, এলকোহল গ্রহণ এর ফলেও ঠোঁটের রং মারাত্মকভাবে কালো হয়ে যেতে পারে।
উপরে উল্লেখিত সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় গুলো নিম্নরূপ-
- এক টুকরো লেবুর ওপরে সামান্য কিছু চিনি ছড়িয়ে ঠোঁটে প্রতিদিন ঘষলে ঠোটের উপরে থাকা মরা চামড়া গুলো উঠে যাবে এবং ঠোট হবে অনেক সুন্দর গোলাপী।
- মধুর সাথে চিনি এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে হতে ১০ মিনিট ধরে স্ক্রাব করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
- ঠোঁটের জন্য ল্যাটট্রিক এসিড খুবই উপকারী তাই দুধ খাওয়ার পর কিছুটা দুধ তুলার সাহায্যে ঠোঁটে কিছুক্ষণ ধরে ঘষলে ঠোঁটে ল্যাটট্রিক এসিড যায় এবং ঠোঁট অনেক সুন্দর গোলাপী এবং নরম তুলতুলে হয়ে যায়।
- গোলাপের পাপড়ি ঠোঁটের জন্য খুবই ভালো এর ফলে পাপড়ির রং হতে কিছুটা আসে তাই গোলাপের পাপড়ি কে মধু এবং দুধ এর সাথে মিশিয়ে ১৫ মিনিট ধরে সেই মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগালে ঠোঁটের রং সুন্দর হবে।
- তুলসী পাতার রস ঠোঁটের জন্য খুবই উপকারী তাই কালো কুচকুচে ঠোঁট থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য তুলসী পাতার রস ঠোঁটে লাগালে ভালো ফল পাওয়া যাবে এবং ঠোঁটের কালো দাগ দূর করা যাবে।
- পালং শাক এর রস ঠোঁটের জন্য খুবই উপকার তাই পালং শাকের রস ঠোঁটে লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়।
- প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই লিপস্টিককে খুব ভালোভাবে উঠিয়ে ফেলতে হবে এবং ঠোঁটে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে রাখতে হবে।
- পেট্রোলিয়াম জেলি ভোটের জন্য খুবই উপকারী তাই শুধু শীতকালে নয় সারা বছরই পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে ঠোঁট সুন্দর থাকে। পেট্রোলিয়াম জেলি ঠোঁটের ফাটা দূর করতে সাহায্য করে এবং ঠোঁটকে সবসময় নরম রাখে।
- শসার রস ঠোঁটের জন্য খুবই ভালো তাই শসা যদি রস করা না যায় তাহলে শসার টুকরা ঠোঁটে ঘসলেও ভালো ফল পাওয়া যায়।
- টমেটো পেস্ট ঠোঁটের জন্য এবং ত্বকের জন্য খুবই ভালো তাই পুরা মুখে টমেটোর পেস্ট এবং ঠোঁটে লাগিয়ে এক ঘন্টা রাখলে খুব ভালো ফল পাওয়া যাবে।
লিপবাম কি
লিব্বাম হলো তৈলাক্ত একটি মলম যা ঠোঁটকে সারাক্ষণ সুরক্ষা দেয় এটি ব্যবহারের ফলে ঠোঁটের রং সুন্দর হয় এবং ঠোঁটফাটা দূর হয়। লিপবাম তৈরিতে মোম এর মত পদার্থ দেওয়া থাকে বলে ঠোঁটের সাথে খুব সুন্দর ভাবে লেগে থাকে এজন্য লিপ বাম ব্যবহার করলে ঠোঁট দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।
লিপবাম ঠোঁটকে শুধু শুষ্ক থেকে রেহাই দেয় না ঠোঁটকে অনেক সুন্দর রাখে ঠোঁটকে অনেক সমস্যা দূর করতে ঔষধের ন্যায় কাজ করে। লিপবাম ব্যবহার করলে ঠোঁট ফাটা দূর হয় ঠোঁটের এলার্জির সমস্যা থাকলে তা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
শুধু তাই নয় মানুষের ত্বককে করা রোধ যেমন ক্ষতি করে ঠিক তেমনি রোদের জন্য ঠোঁটেরও ক্ষতি হয় এই ক্ষতি রোধ করতে লিপ বাম খুবই কাজ করে। লিপবাম ব্যবহার করলে তোর শুকিয়ে যাওয়া সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায় এবং ঠোঁটের অনেক সমস্যার ক্ষেত্রে প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করে লিপবাম।
লিপবামের প্রকারভেদ ঃ লিপবাম কয়েক প্রকারের হয়ে থাকে কারণ সবার ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো ভিন্ন হতে পারে তাই সমস্যা অনুযায়ী লিপবামনেক ধরনের হয়ে থাকে।কয়েক প্রকার লিখবাম এর নাম নিচে লেখা হলোঃ
- অ্যালোভেরা লিববাম।
- রং বিহীন লিপবাম।
- রঙিন লিপবাম।
- গোলাপের তৈরি লিপবাম।
- শসার তৈরি লিপবাম।
- মধু এবং বাদাম যুক্ত লিপবাম।
ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার লিপবাম
মানুষের চেহারার সবচেয়ে সুন্দর অংশ হলো তার ঠোঁট তা ঠোঁট যদি হয় তাহলে দেখতে খুবই বাজে লাগে এমন অবস্থায় ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করেও ঠোঁটের কালো দাগ দূর করা যায় তবে অনেক ক্ষেত্র সময় ঘরোয়া উপায়ে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করা সম্ভব হয় না।
ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য প্রয়োজন হয় কিছু ঔষধ যার মাধ্যমে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করা যায় এবং ঠোঁটকে সুন্দর একটি রূপ দেওয়া সম্ভব নয়। এমন কয়েকটি লিপবাম এর নাম নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
নিউট্রোজেনা লিপবাম-এই লিপবাম টি ঠোঁটের জন্য অনেক ভালো কাজ করে এ জন্য অনেক মানুষ এই লিপবাম টি ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছে।
ফরেস্ট এসেনশিয়াল লিপবাম-এই লিপবাম টি ঠোঁটকে অনেক সুন্দের করে এবং ঠোঁটকে নরম তুলতুলে করে যদিও এই লিপবাম টির দাম একটু বেশি তাও এই লিপবাম ঠোঁটের জন্য অনেক ভালো। এর মধ্যে রয়েছে গোলাপের পাপড়ির নির্ভেজাল রস।
বায়টিক লিপবামঃ ঠোটের কালো দাগ দূর করার জন্য এই লিপবামটি খুবই ভালো কাজ করে। এর মধ্যে রয়েছে মাল্টিভিটামিন এবং ফলের পুষ্টি যা ঠোঁটের হারিয়ে যাওয়া রঙকে ১০০ ভাগ ফিরে পেতে কাজ করে।
কিলফে লিপবামঃএই লিপবাম টি ঠোঁটকে অনেক পুষ্টি দান করে এজন্ন কিলফে লিপবাম অনেক মানুষ ব্যবহার করে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছএ।এই লিপবাম টি ঠোঁটকে মশ্চারাইজ করে এবং ঠোঁট ফাটা রোধ করে।
ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্ষেত্রে সতর্কতা
বিভিন্ন কারণে ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে ঘরোয়া কিছু উপায়ে কালো দাগ দূর করা সম্ভব। ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে কিছু নিয় ছি ছিম মেনে চলতে হয় সেগুলো নিম্নরুপঃ
- চা ও কফি অতিরিক্ত গরম এবং ঘন ঘন পান করলে ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে। তাই চা ও কফি অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।
- ঠোঁট কালো হওয়ার প্রধান কারণ অতিরিক্ত ধূমপান ধূমপানের কারণে মানুষের ঠোঁট কুচকুচে কালো হয়ে যায়।
- শরীরের পানি শুন্য বা পানির অভাব থাকলে ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে তাই দিনে অন্ততপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হয় এতে শরীর ও ঠোঁট দুটোই ভালো থাকে।
- প্রায় অনেক মানুষ ঠোঁটকে সুন্দর করতে অনেক গাঢ় রংয়ের লিপস্টিক ব্যবহার করে এই লিপস্টিক ব্যবহারের ফলে ঠোঁটকে সুন্দর দেখায় থেকে কিন্তু ঠোটের ভেতরে অনেক ক্ষতি করে ফেলে এবং ঠোঁটকে কালো কুচকুচে করে দেয় এই গারো রঙের লিপস্টিক। তাই এই লিপস্টিক অবশ্যই বর্জন করতে হবে।
- ঠোঁটকে বারবার জিভ দিয়ে ভেজানো যাবে না এতেও ঠোঁটে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি করে এবং ঠোঁটের রং কালো হয়ে যায়।
- সূর্যের কড়া রোদ সরাসরি ঠোঁটে পরলে ঠোঁট অবশ্যই কালো হয়ে যায় এবং ঠোঁটের আসল রং নষ্ট হয়ে যায় তাই অবশ্যই বাইরে গেলে উচ্চ মানের সানস্ক্রিম লোশন ব্যবহার করতে হবে এতে ত্বক ঠোঁট ও দুটো ভালো থাকবে।
- প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি থাকতে হবে শাকসবজি শরীরের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে যা মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী।
পরিশেষে
বিভিন্নভাবে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করা যায়। তবে প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া উপায় ঠোঁটের কালো দাগ দূর করা সবচেয়ে উত্তম। কারণ বাইরের বিভিন্ন কৃত্রিম প্রসাধনীর মাধ্যমে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে গেলে অনেক সময় আরো বেশি ঠোঁট কালো হয়ে যায় বা ঠোঁটের ক্ষতি হয়।
ঠোঁট গোলাপি ও মসৃণ করতে ও ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে ঘরোয়া উপায় কিভাবে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করবেন বিস্তারিত জানতে পারবেন আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে। এবং ঠোঁট গোলাপি করার বিভিন্ন লিপবামের নামও জানতে পারবেন। বিভিন্ন তথ্য মূলক আরো আর্টিকেল পেতে নিয়মিত www.jarinonline.com ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url