OrdinaryITPostAd

কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম


কাঁচা ছোলা স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকার তা অনেকেই জানে না। তাই আজকের এই আর্টিকেলে কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম পুষ্টিগুণ ইত্যাদি সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করব। পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ছোলা-খাওয়ার-উপকারিতা

ছোলা মানুষ বিভিন্নভাবে খেয়ে থাকে। কাঁচা সকালে খালি পেটে ভিজিয়ে খায় আবার অনেকে রান্না করে সিদ্ধ ছোলা খাই আবার অনেকে ভাজা হিসেবে খেয়ে থাকেন। কিন্তু কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। তাই কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা ও খাবার নিয়ম জানুন।

কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা

আমরা অনেকেই কাঁচা ছোলা খাই কিন্তু কাঁচা ছোলা খাওয়ার কি উপকারিতা রয়েছে এবং আমরা কেন খাই সে সকল বিষয়ে আমরা অনেকেই জানিনা।  তাই আজকে আমরা জানবো কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম কি। 
ছোলা-খাওয়ার-উপকারিতা

ছোলাতে তিনটি জিনিস থাকে এগুলো হল প্রোটিন, ভিটামিন ও ফাইবার। প্রতি গ্রাম ছোলাই আমিষ থাকে ১৮ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট থাকে ৬৫ গ্রাম, ফ্যাট থাকে ৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম থাকে ২০০ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন থাকে ১৯২ মাইক্রগ্রাম।

কাঁচা ছোলা প্রচুর পরিমাণে কমপ্লেক্স থাকে এজন্য কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা সব থেকে বেশি যা আমাদের দেহের জন্য পুষ্টি যোগায়। কাঁচা ছোলা আমাদের হজম করতে সাহায্য করে এবং শরীরের শর্করা শোষণ করতে সহায়তা করে।
আবার এটি চুলের গুনাগুন ঠিক রাখতেও সহায়তা করে কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন এ বি জিংক এবং ম্যাঙ্গানিজ এছাড়াও গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রেও ছোলা খুবই উপকারী তাই গর্ভবতীদের উচিত প্রতিদিন সকালে একটু হলেও কাঁচা ছোলা খাওয়া।

আবার কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে তার সাথে একটু আদা নিয়ে খেলে এটি ওষুধের মত কাজ করে এটি আমাদের শরীরে আমিষ এবং এন্টিবায়োটিক ঔষধ হিসেবে কাজ করে। কারণ প্রত্যেকটি মানুষের দেহের জন্য আমিসের প্রয়োজন কারণ এটি আমাদেরকে অনেক শক্তিশালী করে।

কাঁচা ছোলা খাওয়ার নিয়ম

কাঁচা ছোলাতে ফাইবার সহ অনেক ধরনের প্রোটিন থাকে যা আমাদের দেহের গুণাগুণ সম্পন্ন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। ছোলা বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় তবে যেভাবেই ছোলা খাওয়া হোক না কেন ছোলার পুষ্টি পাওয়া যাবে।

কাঁচা ছোলা কিংবা অন্যান্য যে সকল ভাবে ছোলা খাওয়া যায় তার কয়েকটি নিয়ম নিম্নরূপঃ
  • ছোলা খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই দেখতে হবে ছোলাতে কোন পোকা আছে কিনা।
  • এরপর কাঁচা ছোলা খেলে ছোলাটিকে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
  • ছোলাটিকে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে।
  • এমন ভাবে ভিজাতে হবে যেন ভিজার পরিমান ৬ থেকে ৭ ঘন্টা হয়।
  • সকালে খালি পেটে ছোলা খাওয়া খুবই উপকারী।
  • তবে এত বেশি ছোলা খাওয়া যাবেনা যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
  • নির্দিষ্ট পরিমাণ ভিজিয়ে সেটা খেতে হবে।
  • আমরা সর্বোচ্চ ১ মুঠ ছোলা খেতে পারব।
  • ১ মুঠ ছোলা আমাদের শরীরের জন্য যথেষ্ট উপকারী।

সকালে খালি পেটে কাঁচা ছোলা খাওয়ার নিয়ম

সকালে খালি পেটে কাঁচা ছোলা খাওয়া অনেক বেশি উপকার দেয়। আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে আমিষ প্রোটিন ফাইবার কার্বোহাইড্রেট ও ভিটামিনের প্রয়োজন আর এগুলো সব কয়টি থাকে ছোলার মধ্যে ছোলা খাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

রাতে ঘুমানোর পূর্বে এক মুড কাঁচা ছোলা নিয়ে এরপর একটি পাত্রে ছোলা টি রেখে অল্প একটু পানি দিয়ে ভিজিয়ে ঢেকে রাখতে হবে সারা রাত। এর পরের দিন সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে ভেজানো ছোলা ভেজানো ছোলা খেতে হবে।

কাঁচা ছোলার জায়গায় সিদ্ধ ছোলা খাওয়া যাবে এতে কোন সমস্যা নেই কারণ ছোলা সিদ্ধ হোক কিংবা কাঁচা হোক কিংবা রান্না করা হোক পুষ্টিগুণ কমবে না। তবে কাঁচা ছোলা পুষ্টিগুণ সব থেকে বেশি। এটি খেলে প্রোটিনের ঘাটতিও পূরণ হয়।

এটি আমাদের শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন গুলোকে দূর করে দেয়। এটি আইরনসমৃদ্ধ বলে আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সহায়তা করে। ভেজানো কালো ছোলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা আমাদের পরিপাকতন্ত্রে কাজ করে।

এটি আমাদের শরীরের রক্তের শর্করা কমিয়ে দেয়। পরবর্তীতে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশি উপকারী কারণ এটি ডায়াবেটিস রোগীর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। কাঁচা ছোলা শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে এছাড়াও আমাদের চুল ও ত্বকের জন্য খাওয়া দরকার।

প্রতিদিন কাঁচা ছোলা খেলে কি হয়

প্রতিদিন কাঁচা ছোলা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। প্রতিদিন কাঁচা ছোলা খাওয়ার গুনাগুন গুলো নিম্নরূপঃ

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করেঃ ভেজানো ছোলাতে থাকে আমিষ প্রোটিন কমপ্লেক্স ফাইবার ভিটামিন ও কার্বোহাইড্রেট। এটি আমাদের হজম প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং শর্করার মাত্রা বাড়ায়। এটি রক্তের মাত্রা ঠিক রাখে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

ওজন কমায়ঃ পুষ্টিগুণে ভরপুর ভেজানো ছোলা। ছোলাই ক্যালরি কম থাকে। আবার এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকার কারণে এটি দীর্ঘক্ষণ সময়ে আমাদের পেটকে ভরিয়ে রাখে যার ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে ছোলা খেলেও মোটা হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।

হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ানোঃ কাঁচা ছোলাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে সহায়তা করে।  আমাদের অনেকের শরীরের হিমোগ্লোবিন কম থাকে বলে আমরা অনেক অসুস্থ হয়ে যাই। তাই আমাদের উচিত হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর জন্য কাঁচা ছোলা খাওয়া।

চুল ভালো রাখাঃ কাঁচা ছোলা খেলে আমাদের চুল অনেক মজবুত থাকে। চুল ভালো রাখার জন্য ভিটামিন এ ,বি৬, জিং ও ম্যাগানিজের দরকার। আর এই সবগুলো প্রোটিন এবং ভিটামিন ছোলার মধ্যে থাকে এজন্য চুল ভালো রাখার জন্য এবং চুলের পুষ্টিগুণ ঠিক রাখার জন্য ছোলা খাওয়া দরকার।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতেঃ এটি এমন একটি সমস্যা যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর এরপর আমাদের হার্ট অ্যাটাক ও হতে পারে। ছোলাতে ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম এবং খনিজের মতো উপাদানগুলো থাকে যা আমাদের শরীরের চর্বি গুলোকে সরিয়ে দেয়।

ছোলা খেলে কি মোটা হয়

কাঁচা ছোলাতে খুবই কম পরিমাণে ক্যালরি থাকে। আর এটি আমাদের মূলত দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করাতে এটি সবথেকে বেশি ভূমিকা পালন করে। যদি আমরা দেহের ওজন বাড়াতে চাই তাহলে আমাদের প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি জাতীয় খাবার খেতে হবে।

আমরা যারা অতনেক স্বাস্থ্যবান এবং আমাদের স্বার্থের কারণে অনেকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে যারা স্বাস্থ্য কমাতে চায় বা শরীরের মেদ কমাতে চায় তাদেরকে বেশি পরিমাণে কাঁচা ছোলা খেতে হবে তাহলে শরীরের খারাপ ছবিগুলো ঝরে যাবে।
কাঁচা ছোলা আমাদের পেশি সুগঠিত করে। শরীর কে ভালো রাখতে কাঁচা ছোলার সাথে ক্যালরি ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। তবে কেউ যদি মনে করে মোটা হতে চাই খেজুর ও কলা জাতীয় এসব খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে কারণ এগুলোর মধ্যে একটু বেশি ক্যালরি থাকে। 

আমিসের প্রধান উৎস হল পুষ্টিকর এবং ক্যালরিযুক্ত খাবার। সাধারণত মাছ-মাংসের যে পরিমাণে আমিষ থাকে ঠিক সে পরিমাণে কাঁচা ছোলাতেও থাকে। তাই মোটা হওয়ার জন্য খাদ্য তালিকাতে একটু হলেও ছোলা রাখতে হবে।  

ছোলাতে আমিষ প্রোটিন ফ্যাট ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ম্যাঙ্গানিজ ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। তাই কাঁচা ছোলা খাওয়ার পরে এর প্রত্যেকটি ভিটামিন ই নিজ নিজ কাজ করে এবং আমাদের শরীরকে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

গর্ভাবস্থায় কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় অনেক ধরনের প্রায় সমস্যায় হয়ে থাকে। এই সময় আমাদের অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয় কারণ এই সময়টা আমাদের জন্য অনেক ঝুঁকিপূর্ণ একটি সময়। তাই এই সময়ে আমাদের কিভাবে খাবার খাওয়া উচিত এবং কি নিয়ম কারণ মানতে হবে তা গুরুত্ব দেয়া উচিত।

গর্ভাবস্থায় কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা গুলো হলঃ 
  • ছোলা গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে।
  • এ অবস্থায় মায়ের খাবার ও স্বাস্থ্যের প্রতি বাড়তি যত্ন নিতে হবে।
  • এ সময়ে মায়ের শরীরের জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ লবণের প্রয়োজন।
  • পুষ্টির অভাব রাখা যাবে না এর ফলে ভ্রূণ সমস্যা হতে পারে।
  • শিশুর অক্সিজেন পরিবহনের জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণে আয়রনের প্রয়োজন যা শুধুমাত্র ছোলাতে থাকে।
  • ছোলা গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখে।
  • গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে সঠিক পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি হয় না আর এই ইনসুলিন তৈরির জন্য ছোলা খাওয়া দরকার।
  • গর্ভাবস্থায় শর্করার মাত্রা ঠিক রাখার জন্য ছোলা খেতে হবে।
  • এটি ভ্রুনের নিউরাল টিউব সমস্যার ঝুঁকি কমায়।
  • এটি মায়েদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
  • ছোলার প্রোটিন ভ্রুণের বৃদ্ধি ও বিকাশে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
  • তবে মা যদি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় তবে ছোলা খাওয়া যাবেনা।
  • আবার ছোলা থেকে যদি এলার্জি হয় তবে ছোলা খাওয়া যাবেনা।
  • গর্ব অবস্থায় নিয়মিত ছোলা খাওয়ার ফলে যদি পেট খারাপ হয় তবে ছোলা না খাওয়াই উত্তম।
  • ছোলা গর্ভকালীন মায়েদের শারীরিক সুস্থতা ও শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  • ছোলা গর্ভস্থ শিশুর পুষ্টি উপাদানে সহায়তা করে।
  • গর্ভকালীন সময়ে বুক জ্বালাপোড়া ও এসিডিটির সমস্যা হলে ছোলা খেতে হবে।
  • ছোলাতে যে পরিমাণে পুষ্টি থাকে তা শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে ভূমিকা রাখে।
  • ছোলাতে ক্যালসিয়াম থাকার কারণে শিশুর হাড় গঠনে কাজ করে।
  • সর্বোপরি ছোলা এমন একটি শক্তিশালী খাবার যা গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই উপকারী।

সিদ্ধ ছোলা খাওয়ার উপকারিতা

কাঁচা ছোলা খাওয়া যেমন উপকার রয়েছে ঠিক তেমনি সিদ্ধ ছোলা খাওয়াও একই পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে। এক কথায় ছোলা যেভাবে খায় না কেন ছোলা পুষ্টিগুণে ভরপুর। সিদ্ধ ছোলা খাওয়ার উপকারিতা গুলো নিম্নরূপঃ
সিদ্ধ-ছোলা-খাওয়ার-উপকারিতা
  • কাঁচা ছোলা খেলে যদি গ্যাস্টিকের সমস্যা হয় তাহলে ছোলা সিদ্ধ করেও খাওয়া যাবে।
  • কাচা ছোলা খেয়ে হজম না হলে সিদ্ধ ছোলা খেতে হবে।
  • ডায়েট কন্ট্রোল করার জন্য ছোলা খেলে অবশ্যই সিদ্ধ করে খেতে হবে না হলে হজম শক্তি কমে যাবে।
  • যারা একেবারে কাঁচা ছোলা খেতে পারেনা তারা অবশ্যই সিদ্ধ ছোলা খাবে।
  • সিদ্ধ ছোলা খেলে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রিত হয়।
  • ছোলাতে থাকা ফাইবার ও প্রোটিন আমাদের ক্ষুদাকে নিয়ন্ত্রণ করে।
  • সিদ্ধ ছোলাতে অনেক ধরনের ক্যালরি থাকে।
  • রান্না করা বা সিদ্ধ ছোলাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর পরিমাণ একটু কম থাকে।
  • সিদ্ধ ছোলা শরীরের বাড়তি পুষ্টি অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • ছোলা সিদ্ধ করে খেলে এর মধ্যে পানি ও অন্যান্য পুষ্টীয় উপাদান থাকে।
  • ছোলা সিদ্ধ করে শুধুমাত্র লবণ দিয়ে মিশ্রিত করেও খাওয়া যাবে।
  • আমরা মুখের স্বাদের জন্য ছোলা রান্না করেও খাই এতে অনেক ময় মসলার প্রয়োজন হয় যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকার তাই আমাদের সিদ্ধ ছোলা খাওয়াই উত্তম।

কাঁচা ছোলা খেলে কি গ্যাস হয়

কাঁচা ছোলা এমন একটি খাবার যা আমাদের শরীরের অনেক গুণাগুণ ঠিক রাখতে শরীরের সঠিক বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি দরকার। তবে এর যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি অনেক ক্ষতিকর দিক রয়েছে। তবে আমরা এমন সাবধানতার সাথে খাব যেন কোন ক্ষতি না হয়।

কাঁচা ছোলা দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের পেটে থাকে যার কারণে আমাদের অনেক দেরিতে ক্ষুধা লাগে আমরা সহজে খুদা অনুভব করতে পারি না। কাঁচা ছোলাতে প্রচুর প্রোটিন ফাইবার ও সুগার থাকার কারণে সমস্যা হতে পারে।

আবার ডাল জাতীয় খাবার যেমন বুট ছোলা সয়াবিন ও অন্যান্য আরো ডাল জাতীয় যেকোনো খাবারই খেলে গ্যাস্টিকের সমস্যা হতে পারে কারণ এগুলো ফ্যাট জাতীয় খাবার। সাধারণত যাদের বেশি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় তাদের সব ধরনের খাবার খেতে অসুবিধা হয়।

অনেকের হজম শক্তি কম আবার অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রয়েছে যারা সহজে খাবার হজম করতে পারেনা তাদের খাবার মেপে মেপে খেতে হয়। খালি পেটে সকালে ছোলা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে কিন্তু গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

আমরা জানতে পারলাম যে ছোলা খেলে আমাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে তবে যারা গ্যাস্ট্রিকের রোগী তারা কাঁচা ছোলা খেতে পারবেন কিন্তু সে ক্ষেত্রে পরিমাণ ঠিক রেখে ছোলা খেতে হবে সর্বোপরি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য খাবার তালিকা ঠিক রাখা উচিত।

ছোলার কয়েকটি ক্ষতিকর দিক

আমরা দৈনন্দিন জীবনে সুস্থ থাকার জন্য অনেক ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। তবে সব খাবারই আমাদের শরীরের জন্য প্রযোজ্য নয়। কিছু কিছু খাবার আছে যা আমাদের শরীর সহজে হজম করতে পারে আবার কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলোতে আমাদের বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।

সব খাবারে যেমন ক্ষতিকর দিক রয়েছে তেমন ছোলার ও ক্ষতিকারক দিক রয়েছে। ছোলার কয়েকটি ক্ষতিকর দিক হলোঃ
  • ছোলা কিডনি আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা সৃষ্টি করে কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে।
  • বেশি ছোলা খেলে পেট ব্যথা অথবা পেট খারাপ হতে পারে।
  • কাঁচা ছোলা ভেজে খাওয়া একদমই ঠিক নয়।
  • যাদের বমির সমস্যা রয়েছে তাদের কাঁচা ছোলা খাওয়া যাবে না।
  • ওজন বেশি হলে ছোলা খাওয়া যাবেনা।
  •  অতিরিক্ত তেল মশলা দিয়ে ছোলা খেলে শরীরের ক্ষতি হবে।
  • অতিরিক্ত ছোলা খেলে হজম শক্তি কমে যায় তাই পরিমাণ মতো খেতে হবে কারণ কিছু গুনাগুন রয়েছে।
  • রক্তের ডায়ালাইসিস এর সমস্যা হতে পারে।
  • শরীরে কিটেনিন ও ইউরিক এসিডের পরিমাণ কমে যেতে পারে।
  • ছোলাতে প্রচুর পরিমাণে পিউরিন থাকে যা আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর।
  • ইউরিক এসিডের পরিমাণ কমে গেলে বাতের সমস্যা হতে পারে।
  • এলার্জির সমস্যা হতে পারে যা শরীরের চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে।
  • শ্বাসকষ্ট ডাইজেশন এর সমস্যা হতে পারে।
  • বেশি ছোলা খাওয়ার কারণে পেট খারাপ হলে ডায়রিয়া হতে পারে।
সর্বোপরি ছোলা খাওয়ার পরে যদি কোন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তবে সে ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই ছোলা খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে বা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ছোলা খেতে হবে। কারণ শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ রাখাটাই আমাদের বড় নেয়ামত। তাই আমরা খাদ্য তালিকা ঠিক রাখবো।

পরিশেষে 

আমরা আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারলাম। কাঁচা ছোলা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খাওয়া যেমন দরকার ঠিক তেমনি পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে খেতে হবে।

এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা কাঁচা ছোলা খেলে কি হয় কাঁচা ছোলা খেলে গ্যাস্টিকের সমস্যা হয় কিনা গর্ভাবস্থায় খাওয়া যাবে কিনা এবং কি কি ক্ষতিকর দিক রয়েছে সবকিছুই জানতে পারলাম। যা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। নিয়মিত আরো তথ্যমূলক পোস্ট পেতে www.jarinonline.com ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url