অল্প পুজিতে ১৫ টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া
আপনি কি ঘরে বসে অল্প পুঁজিতে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কিভাবে অল্প পুঁজিতে মাসে বিশ হাজার টাকা ঘরে বসে আয় করা যায় এবং খুব সহজেই করবেন তা জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
অনেকেই ভাবছেন কিভাবে ইনকাম করতে হবে কিন্তু পারছেন না তাই অল্প পুজিতে ঘরে বসে বিশ হাজার টাকা আয় করতে এই আর্টিকেলটি আপনাকে অনেক উপকৃত করবে। তাই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
অল্প পুঁজি থেকে লাভজনক ব্যবসা
পৃথিবীতে অনেক মানুষ রয়েছে যারা চাকরি পছন্দ করেন কেননা চাকরি মানে পরের হুকুম মেনে চলা তাদের ইচ্ছামত কাজ করা তাই অল্প পুজিতে পনেরটি লাভজনক ব্যবসার উপায় নিজের দেওয়া হলো
১. অনলাইনে কোর্স বিক্রি।
২. অনলাইনে ই কমার্সের ব্যবসা।
৩. ঘরোয়া খাবার তৈরি করে অনলাইনে ডেলিভারি দেওয়া।
৪. কসমেটিক পণ্যের ব্যবসা।
৫. কাপড় বিক্রির ব্যবসা।
৬. ব্যবহৃত মোবাইল থেকে ইনকাম।
৭. আচার তৈরি করে বিক্রি করে।
৮. ফসলের ব্যবসা।
৯. নতুন মোবাইল ফোন বিক্রি করা।
১০. কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ঠিক করার ব্যবসা।
১১. আর্টিকেল রাইটিং এর মাধ্যমে ইনকাম।
১২. কনটেন্ট ক্রিয়েটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করা।
১৩. বিভিন্ন খাবারের ব্যবসা।
১৪. ফারমেসের ব্যবসা।
১৫. মোবাইল ঠিক করার ব্যবসা।
এই ধরনের ব্যবসা গুলোর মাধ্যমে অল্প পুঁজিতে লাভজনক হওয়া যায়। মানুষ বর্তমান সময়ে ব্যবসা করতে বেশি পছন্দ করে তাই এই সকল ব্যবসা গুলো থেকে খুব সহজে উন্নতি করা যায়।
ঘরোয়া খাবারের হোম ডেলিভারি
বাড়িতে থাকা উপকরণ দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করে অনলাইনের মাধ্যমে সেই খাবারের ছবি পোস্ট করে ডেলিভারি দেওয়া এটি একটি লাভজনক ব্যবসা ১৫টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে ঘরোয়া খাবারের হোম ডেলিভারি দেওয়া এটি একটি অন্যতম ব্যবসা। শুধুমাত্র কয়েকটি উপায় অবলম্বন করে এই ব্যবসা থেকে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব সেগুলো নিচে দেওয়া হল।
প্রাথমিক খরচ- এই ব্যবসা শুরু করতে হলে সর্বনিম্ন বিশ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পুঁজি দরকার কেননা ঘরোয়া খাবারের ডেলিভারি দেওয়ার জন্য খাবার তৈরির অনেকগুলো সরঞ্জাম কিনতে হবে লাইসেন্স তৈরি করতে হবে প্যাকেজিং এবং ডেলিভারি পার্টনারশিপ ইত্যাদি দরকার।
গড় লাভ-অল্প পুজিতে ১৫ টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া ঘরোয়া খাবার ডেলিভারি দেওয়া একটি অন্যতম ব্যবসা এ ব্যবসা থেকে প্রতি মাসে ৬০০০০ থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব অর্থাৎ প্রতি বছরে 6 লক্ষ থেকে 13 লক্ষ 80 হাজার টাকা ইনকাম হয়।
এই ব্যবসা গৃহিণী সহ যুবকরা করতে পারবে অল্প পুজিতে ১৫ টি লাভজনক ব্যবসা মধ্যে একটি করতে ইচ্ছুক তারাও এ ব্যবসাটি করতে পারবে শুধুমাত্র কিছু উপায় অবলম্বন করতে হয়। এই ব্যবসাটি খুবই প্রচলিত এবং লাভজনক কেননা মানুষ এখন বাইরের খাবার খেতে বেশি পছন্দ করে।
এই ব্যবসা করার নিয়ম
১.প্রথমে একটি নির্দিষ্ট খাবারের আইটেম সিলেক্ট করতে হবে। তবে প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে বর্তমান সময়ে মানুষ কেমন ধরনের খাবার পছন্দ করে এবং কোন খাবার খেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে সেই খাবার আইটেম সিলেক্ট করা উচিত।
২. কম দামে মানসম্মত খাবার গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। কারণ দাম কম হলে সকল প্রকার মানুষের সেই খাবারটি খেতে চাইবে এবং যদি উন্নত মানের খাবার পায় তাহলে তো কথাই নেই। ভালো খাবার পেলে গ্রাহকদের চাহিদা আরো বাড়বে সেই খাবারের প্রতি।
৩. খাবারের স্বাদের দিকে পরিপূর্ণভাবে লক্ষ্য রাখা কারণ অল্প পুজিতে ১৫ টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে ঘরোয়া খাবার হোম ডেলিভারি দেওয়া একটি অন্যতম ব্যবসা সেই ব্যবসায়ী খাবারের স্বাদ যদি খারাপ হয় তাহলে লাভ করা সম্ভব নয় তাই প্রথমে খাবারের স্বাদের দিকে ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
৪. ঘরোয়া খাবার প্রচলিত করার জন্য মার্কেটিং করা উচিত তাহলে লোকজন সেই খাবার সম্পর্কে জানতে পারবে মার্কেটিং করার কয়েকটি মাধ্যম হল ফেসবুক, টিক টক, ইত্যাদি আরো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষের কাছে সেই খাবারের গুনাগুন পৌঁছে দেওয়া যায়।
৫. ডেলিভারির ক্ষেত্রে নজর দেওয়া কেননা আপনি ভাল খাবার তৈরি করলেন এবং আপনার ডেলিভারি ম্যান সময় মত গ্রাহকের কাছে খাবারটি পৌঁছে দিতে পারল না এতে সফলতা পাওয়া অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে।
৬. ঘরোয়া খাবার তৈরি করে অন্যান্য কোম্পানির কাছে বিক্রি করা একটি সহজ উপায় বর্তমান সময়ে অনেকগুলো কোম্পানি রয়েছে যারা আপনার কাছ থেকে ঘরোয়া খাবার কিনে হোম ডেলিভারি দিতে পারে এমন একটি প্রচলিত কোম্পানি হচ্ছে ফুড পান্ডা।
কাপড়ের ব্যবসা
অল্প পুঁজিতে১৫টি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়ার মধ্যে কাপড়ের ব্যবসা একটি অন্যতম ব্যবসা। এই ব্যবসা টি করতে হলে চার থেকে দশ লাখ টাকা হাতে রাখা ভালো কাপড়ের ব্যবসা থেকে ১০০% উন্নতি করা সম্ভব কেননা বাংলাদেশের মানুষ তাদের পোষাক সম্পর্কে সচেতন তারা নিত্য নতুন ডিজাইন এর পোশাক পছন্দ করে।
তাতের কাপড় বেশি চলছে বর্তমান সময়ে তাই কাপড়ের ব্যবসা করতে হলে তাদের কাপড় রাখা খুবই ভালো। আরও চাইলে থান কাপড় রাখতে পারবেন। এটাই সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার তবে অল্প সময়ে লাভবান হতে চাইলে সব ধরনের পোশাক আশাক রাখা উত্তম।
বর্তমান সময়ে কাপড়ের চাহিদা এতটাই বেশি যে পুরান ঢাকায় দশ থেকে পনেরো হাজার কাপড়ের দোকান রয়েছে তাও সেখানে প্রচুর পরিমাণে ভিড় দেখা যায়।কাপড়ের ব্যবসা করতে চাইলে আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট রাখতে পারবেন সেগুলো হল-বোরখার কাপড়, গজ কাপড্ ,শাড়ি,থ্রী পিস, পর্দার কাপড্, শার্ট প্যান্ট, ইত্যাদি।
এই ধরনের ব্যবসা করতে হলে আপনাকে প্রথমে কম দামে কাপড়গুলো ক্রয় করতে হবে এবং সেগুলো পড়ে সাধ্যমত লাভ রেখে গ্রাহকদের কাছে নিতে পারবেন। এ ছাড়াও চাইলে অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করতে পারবেন।
অনেক মানুষ ঢাকায় পুরান বাজার, গাউছিয়া ,চকবাজার ইত্যাদি জায়গা থেকে পাইকারি দামে অনেক পোশাক কাপড় গজ কাপড় বিছানার চাদর কিনে পরে সেগুলো অনলাইনে ডেলিভারি দেয় এটি খুবই লাভজনক ব্যবসা। এ ব্যবসাটি যেকোনো বয়সের মানুষ চাইলেই করতে পারবে।
ব্যবহৃত মোবাইল থেকে ব্যবসা
পৃথিবীতে অনেক মানুষ রয়েছে যার নিজের শখের মোবাইল কিনতে ব্যবহৃত মোবাইল ব্যবহার করে দিতে দুবার চিন্তা করে না এই সুযোগটি যে কেউই চাইলে কাজে লাগাতে পারবে। এই ব্যবসাটি করার জন্য মাত্র ৫০ হাজার পুঁজি থাকলে সম্ভব।
সেজন্য সেই মানুষের মোবাইলটি অল্প দামে ক্রয় করে বিক্রয় ডট কম নামে অ্যাপসে পোস্ট করলে অনেক গ্রাহক পাওয়া যাবে যারা মোবাইল কিনতে ইচ্ছুক তাদের কাছে ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে অল্প কিছু লাভ রেখে বিক্রয় করা যাই।
অল্প পুঁজিতে ১৫ টি লাভজনকব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে ব্যবহৃত মোবাইল থেকে ব্যবসা একটি খুবই সহজ ব্যবসা এর জন্য একজন ব্যবসায়ীকে প্রথমে পুরাতন অথবা ব্যবহৃত মোবাইল ক্রয় করতে হবে অল্প দামে এবং পরে সে ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে অনলাইনে সেল দিতে হবে।
এ ব্যবসাটি থেকে প্রতিবছর ঘরে ২০ থেকে ৫০ লাখ টাকা ইনকাম করা সম্ভব হয়। এবং ব্যবসা শুরুর পর লাভ আসতে দুই থেকে তিন মাস সময় লাগে। তারপর প্রতিমাসে নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারিত পরিমান থাকলে লাভ করা সম্ভব হয়। কেউ যদি অল্প খুশিতে ছোট ব্যবসার আইডিয়া জানতে চাই তাহলে ব্যবহৃত মোবাইল থেকে ব্যবসা খুবই সহজে এবং অল্প পুজির ব্যবসা।
কসমেটিক পণ্য বিক্রি ব্যবসা
প্রত্যেকটি মেয়েদের কাছে কসমেটিক্স একটি শখের উপকরণ। তাই কসমেটিক পণ্য বিক্রি করলে খুব সহজেই লাভবান হওয়া যায়। বর্তমান সময়ে অল্প পুঁজিতে ১৫টি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়ার মধ্যে কসমেটিক পণ্য বিক্রি করার একটি অন্যতম সহজ ব্যবসা।
এর জন্য প্রথমে কম দামে ভালো মানের কসমেটিক ক্রয় করে সেগুলো অনলাইনে অথবা দোকানের মাধ্যমে সেল দেওয়া। বর্তমান সময়ে মানুষ। অনলাইনে জিনিসপত্র ক্রয় করতে বেশি পছন্দ করে কারণ মানুষ এখন মোবাইলের দিকে বেশি ঝুঁকেছে তাই অনলাইনে সবাইকে কেনাবেচা করতে বেশি পছন্দ করছে।
কসমেটিক পণ্য বিক্রির ব্যবসা যদি অনলাইন এর মাধ্যমে করা যায় তাহলে বেশি লাভবান হওয়া যাবে অল্প সময়ে এর জন্য প্রথমে একটি পেজ খুলতে হবে সেটি হতে পারে ইউটিউব পেজ, আবার হতে পারে ফেসবুক পে্জ, অথবা টিকটক পেজের মাধ্যমে কসমেটিক পণ্য খুব সহজে কেনাবেচা করতে পারবেন।
অল্প দামে ভালো মানের কসমেটিক কিনতে হলে প্রথমে পাইকারি দোকান থেকে প্রোডাক্টগুলো চেনা উচিত ঢাকার পুরান বাজার গাউছিয়া মার্কেট গুলিস্তান এলাকা চকবাজার মার্কেট থেকে অল্প দামে উন্নত মানের কসমেটিক পাওয়া যাবে।
কসমেটিক পণ্য কেনাবেচা করতে হলে খুবই অল্প পরিমাণে পুঁজি থাকা উচিত মাত্র তিন লাখ টাকা থাকলে এই ব্যবসাটি শুরু করা যাবে। এবং এখান থেকে প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খুব সহজে ইনকাম করা যায়।
চাউলের ব্যবসা
বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের বা ভাত খেতে পছন্দ করে তাই চাউলের চাহিদাও অনেক বেশি। অল্প পুঁজিতে ১৫ টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে চাউলের ব্যবসা একটি অন্যতম ব্যবসা। এখান থেকে প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা যায়।
চাউলের ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমে উন্নত মানের ধান ক্রয় করে সেগুলোকে সেদ্ধ করে শুকিয়ে প্রক্রিয়াকরনের মাধ্যমে চালের রূপান্তরিত করে সেখান থেকে ব্যবসা শুরু করা যাবে চাউলের ব্যবসা অনলাইনে অথবা দোকানে কিংবা গোডাউনের মাধ্যমেও করা যায়।
প্রথমে চাউলের আড়ত অথবা গোডাউন থেকে পাইকারি দামে উন্নত বারের আনতে হব চাউল বিভিন্ন প্রকারের হয় এজন্য চাউলের ব্যবসায় আসতে হলে চাউল সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখাতে হবে তা না হলে ব্যবসায় বেশি লাভ করা যাবে না। চাউল সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকলে ভালো এবং মন্দ চাউল বাছাই করে বিক্রি করা যায়।
চাউলের ব্যবসা মানুষ দুই ধরনের করতে পারে প্রথমত পাইকারি দ্বিতীয়ত খুচরা হিসেবে দুই প্রকারের ব্যবসার মধ্যেই লাভ রয়েছে কিন্তু খুচরা ভাবে বিক্রি করলে বেশি লাভ ভালো হওয়া যায়। বাংলাদেশের মানুষ বেশি ভালো মানের ভাত খেতে পছন্দ করে তাই উন্নত মানের চাউলের চাহিদা বেশি রয়েছে।
এই ব্যবসা করার জন্য খুব বেশি পুঁজির প্রয়োজন হয় না ৮০ থেকে ১ লাখ টাকার মধ্যেই এই ব্যবসা শুরু করা যায় এবং এখান থেকে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবে যে কোনো মানুষ তবে প্রত্যেকটি ব্যবসার ক্ষেত্রেই গ্রাহকদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে এবং উন্নত মানের প্রোডাক্ট বিক্রি করতে হবে।
আচার তৈরীর ব্যবসা
অল্প পুঁজিতে ১৫ কি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে আচার তৈরির ব্যবসা এটি একটি খুবই সহজ এবং লাভজনক ব্যবসা। কারণ বছরে ১২ মাসের মধ্যে প্রত্যেক মাসে কিছুটা কিছু ফল পাওয়া যায় যা থেকে আচার তৈরি করে বিক্রি করা যাবে।
আচার তৈরীর ব্যবসা চাইলে বাসায় বসে গৃহাও করতে পারবে কারণ আচার তৈরি করা গৃহিনীদের কাছে খুবই সহজ ব্যাপার। অথবা চাইলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও এ ব্যবসাটি করতে পারবে এই ব্যবসাটি করতে হলে অরিজিনাল ফলের আচার তৈরি করতে হবে।
আমেন সময় ের আচার তৈরি করে অনলাইনে অথবা দোকানে আচার বিক্রি করা যায়। বরই এর সময় বড়ই এর আচার তৈরি করা যাবে চাইলে রসুনের আচার তেঁতুলের আচার লেবুর আচার মরিচের আচার সহ অনেক ধরনের আচার তৈরি করে বিক্রি করা যাবে।
এই ব্যবসাটি শুরু করতে হলে দুই থেকে চার লাখ টাকা পুজি থাকা দরকার কেন না আচার তৈরি করা সরঞ্জাম কিনতে হবে লাইসেন্স করতে হবে এবং যার বা পাত্র কিনে সেখানে আচার ভর্তি করে বিক্রি করতে হবে তাই সামান্য পুঁজি থাকলে এ ব্যবসাটি থেকে প্রতিমাসের ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা ইনকাম করা যাবে।
প্রত্যেকটি ব্যবসার ক্ষেত্রে অন্যতম উপায় হলো গ্রাহকদের সাথে ভালো ব্যবহার করা তাদের যতটা সম্ভব খাঁটি প্রোডাক্ট দেওয়া। সাধ্যমত কম দামে প্রোডাক্ট দেওয়া উচিত তাহলে যে কোন ব্যবসা থেকে খুব সহজেই অল্প সময়ে উন্নতি করা যায়।
টি-শার্ট প্রিন্ট করার ব্যবসা
টি শার্ট প্রিন্ট করার ব্যবসা। খুবই সহজ একটি অ্যান্সার প্রথমে এক কালারের টিশার্ট ক্রয় করে সেগুলোকে বিভিন্ন ধরনের প্রিন্ট অথবা জার্সির আকার দিয়ে সেগুলো থেকে ইনকাম করা যায় বর্তমানে অনেক মানুষ আছে যারা টি-শার্ট প্রিন্ট করার ব্যবসা বেছে নিয়েছে এবং দেখে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে।
বর্তমান সময়ে পৃথিবীর অনেক মানুষই টি-শার্ট নিজের ফ্যাশন হিসেবে বেছে নিয়েছে। তাই টি-শার্টের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেখানে যদি উন্নত মানের ডিজাইনার টিশার্ট হয় তাহলে ব্যবসা খুব তাড়াতাড়ি উন্নতি করা যাবে।
অল্প পুজিতে ১৫ টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে টি-শার্ট প্রিন্ট করার ব্যবসা খুবই সহজে একটি কাজ। প্রথমেই একটি সাদা অথবা এক কালার টি-শার্ট ক্রয় করে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন প্রিন্ট করে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করলে খুবই ভালো ইনকাম হবে।
টি শার্ট প্রিন্ট করে অনলাইনে বিক্রি করলে খুব তাড়াতাড়ি বিজনেস বৃদ্ধি পাবে। বর্তমান সময়ে মানুষ মোবাইলের দিকে বেশি আকর্ষণ দেয় এবং অনলাইনে কেনাবেচা করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। তাই ঘরোয়াভাবে টি শার্ট প্রিন্ট করে সেগুলোর ছবি অথবা ভিডিও অনলাইনে পোস্ট করে সেখানে সেল দিলে বেগুন থেকে তিনগুণ লাভ পাওয়া যাবে।
এই ব্যবসাটি শুরু করতে হলে প্রথমে প্রিন্টার মেশিন কিনতে হবে এবং খালি টি-শার্ট রাখতে হবে সেখানে প্রিন্ট করে বিক্রি করা যাবে অনলাইনে অথবা দোকানের মাধ্যমে। তবে অনলাইনে বিক্রি করলে বেশি লাভ পাওয়া যাবে এবং দোকানে বিক্রি করলে দ্বিগুণ লাভ পাওয়া সম্ভব হবে দুটি খুবই ভালো উপায়।
ব্যবসার ক্ষেত্রে মানুষকে যতটা সম্ভব ভালো প্রোডাক্ট দেওয়া এবং সময়মতো প্রোডাক্ট ডেলিভারি দেওয়া খাটি জিনিস দেওয়া এবং গ্রাহকদের সাথে যতটা সম্ভব ভালো ব্যবহার করলে ব্যবসায় দ্রুত উন্নতি করা যাবে।
বিকাশ এজেন্ট ও মোবাইল রিচার্জ এর ব্যবসা
অনলাইনে টাকা লেনদেন করার বড় একটি মাধ্যম হলো বিকাশ এজেন্ট বিকাশের মাধ্যমে খুব সহজেই এক দেশ থেকে আরেক দেশে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে টাকা লেনদেন করা যায় তাই যারা দূরে থাকে তাদের জন্য বিকাশ খুবই কাজের একটি মাধ্যম।
বিকাশ এজেন্ট ও মোবাইল রিচার্জ এর ব্যবসা শুরু করতে খুব বেশি অর্থ লাগে না শুধুমাত্র একটি প্রশিক্ষণ নিতে হয় যেখানে বিকাশ এজেন্টদের বিকাশ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয় এবং মোবাইল রিচার্জ এর কোম্পানি অর্থাৎ গ্রামীনফোন রবি টেলিকক।
ইত্যাদি কোম্পানি থেকে তাদেরকে মোবাইলর রিচার্জ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেয়। শুধুমাত্র এ বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে খেয়াল রাখতে হবে যেন বিকাশ এজেন্ট কোনভাবেই ভুল না করে বিকাশ এজেন্ট এর অনেক প্রতারক রয়েছে যারা মানুষকে খুবই মারাত্মক ভাবে ঠকাচ্ছে।
বিকাশ যেমন খুবই উপকারী একটি অ্যাপস বিপদজনক ও বলা যায় কেননা বিকাশ এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ অনেক ভাবেই প্রতারণার শিকার হচ্ছে। অনেক প্রতারক আছে যারা বিকাশ এজেন্ট নাম নিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে খুবই সুক্ষভাবে প্রতারণা করছে।
মোবাইল রিচার্জ একটি খুবই সহজ ব্যবসা এতে শুধু মোবাইলের কথা বলার জন্য টাকা দিতে হয় সাধারণ প্রশিক্ষণ নিলে যে কোন মানুষ এ ব্যবসাটি থেকে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবে।
বিকাশ এজেন্ট ও মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা করতে কোন পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না।
আর্টিকেল রাইটিং এর মাধ্যমে ইনকাম
আর্টিকেল রাইটিং থেকে খুবই সহজে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা যায় অনেক মানুষ আছে যারা পরিশ্রম করে ইনকাম করতে চায় না এই পেশাটি শুধুমাত্র তাদের জন্য। আর্টিকেল রাইটিং করতে হলে প্রথমে প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার।
এই পেশাতে মানুষ অনলাইনে লেখালেখি করে প্রতিমাসে ডলার ইনকাম করতে পারে। আর্টিকেল রাইটিং করতে হলে প্রথমে একটি ল্যাপটপ এর দরকার হয় অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে আর্টিকেল রাইটিং করা যায়। এখানে প্রতিদিন একটি করে টপিক পোস্ট করতে হবে তাহলে ইনকাম করা যাবে।
অল্প পুজিতে 15 টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে আর্টিকেল রাইটিং বড় একটি বিষয়। এই ব্যবসাটি করতে হলে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যেই এই ব্যবসাটি শুরু করা যায়। সর্ব প্রথমে যে কোন একটি কোচিং সেন্টার থেকে আর্টিকেল রাইটিং সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করে নিতে হবে।
তারপরে নিজস্ব একটি ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লেখালেখি করে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা যাবে। অনেকেই বেছে নিয়েছে আর্টিকেল রাইটিং থেকে ইনকাম।
আর্টিকেল রাইটিং করতে হলে ঘরে বসেই করা যায় দৌড়াদৌড়ির প্রয়োজন হয় না শুধুমাত্র ধৈর্য সহকারে লেখালেখি করতে হবে। এই পেশায় আসতে হলে এক বছর সময় ধৈর্য সহকারে লেখালেখি করতে হবে কারণ এক বছর পর থেকে ইনকাম আসা শুরু হবে। বর্তমানে পড়াশোনার পাশাপাশি অনেক শিক্ষার্থী এই পেশাকে বেছে নিয়েছে।
পরিশেষে
আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে অল্প পুজিতে ১৫ টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া এবং উপায় এছাড়াও কোন ব্যবসা থেকে কেমন লাভ আশা করা যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আজকের পুরো আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন অল্প পুঁজিতে পনেরোতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু। এবং অল্প পুজিতে কিভাবে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা ইনকাম করা যায় সেই সম্পর্কে। প্রতিনিয়ত এমন তথ্যবহুল পোস্ট পেতে www.jarinonline.com পেজটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url