গরমে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা ও তরমুজের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হলে আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তরমুজ সম্পর্কে আরো অন্যান্য বিষয় সবগুলো জানতে পারবেন এই আর্টিকেলে।
তরমুজ খাওয়ার ফলে শরীরে যেমন অনেক উপকার হয় ঠিক তেমনি কিছু কিছু অপকার ও হয়। যদি আপনি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
তরমুজ
তরমুজ একটি সুস্বাদু রসালো ফল। এই ফলটি লাল টকটকে হয়ে থাকে। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি আছে তাই গরমে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা অনেক।এক ফালি তরমুজ খেলে শরীর অনেক ঠান্ডা এবং অনেক প্রোটিন পাওয়া যায়। তরমুজের প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি আছে তাই গরমে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
এজন্য বৈশাখ মাসে প্রচন্ড গরমে তরমুজ এর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেড়ে যায়। মানুষ তখন তরমুজ অনেক বেশি খায়। তরমুজে আছে ভিটামিন ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম কোন এসিড ও প্রচুর পরিমাণে পানি এছাড়া বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় উপাদান যা মানুষের শরীরে।
রূপচর্চার জন্য তরমুজ জ এবং খাওয়ার জন্য তরমুজের গুনাগুন অনেক বেশি আছে। গরমে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা ও তরমুজ চাষ পদ্ধতি মানুষ জানতে চায় কেন না গরমে তরমুজের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি হয়ে যায় কারণ গরমের মধ্যে মানুষ তরমুজ খায়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন তরমুজ এর মধ্যে এমন কয়েকটি গুণাগুণ আছে যা স্ট্রোক এর মতন সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এবং তরমুজ খেলে শরীরে অনেক পুষ্টি সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পাওয়া যায়। তরমুজে প্রায় ৯২ থেকে ৯৫ শতাংশ পানি থাকায় শরীরে পানি শূন্যতা দূর করে।
তরমুজ এর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
তরমুজের মধ্যে অনেক পুষ্টি রয়েছে যা মানব দেহে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তরমুজের পুষ্টিগুণ নিচে লেখা হলো
- প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা তরমুজে রয়েছে
- ৯৫ থেকে ৯২ শতাংশ পানি।
- আস ০.২ গ্রাম।
- আমিষ ০.৫ গ্রাম।
- চর্বি ০.২ গ্রাম।
- ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম।
- আইরন ৭.৯ মিলিগ্রাম।
- কার্বোহাইড্রেট ৩.৫ গ্রাম।
- ফসফরাস ১২ মিলিগ্রাম।
- ক্যালরি ১৫ থেকে ১৬ মিলিগ্রাম।
- নিয়াসিন ০.২ মিলিগ্রাম।
তরমুজ খাওয়ার অনেকগুলো উপকারিতা আছে সেগুলো হল-
- ছাড়াও তরমুজ শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
- তরমুজ আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী তরমুজ আমাদের ত্বককে সতেজ রাখে।
- তরমুজ এর মধ্যে ক্যালোর পরিমাণ কম থাকার জন্য শরীরের ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
- গরমের মধ্যে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে তরমুজ।
- হার্টের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিতে তরমুজ সাহায্য করে নিয়মিত তরমুজ খেলে হার্ডিষ্টকের ঝুঁকি কমে যায়।
- তরমুজ এর মধ্যে অনেক পানি থাকার জন্য মানুষের শরীরে পানির অভাব দূর করে।
তরমুজ খাওয়ার অপকারিতা
তরমুজ তো অনেক গুনসম্পন্ন একটি ফল এটি খাবার ফলে ক্ষতি বা অপকার হয় এটা অনেকেই বিশ্বাস করতে চায় না। এজন্য অবশ্যই জানতে হবে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা ও তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে তরমুজ খাওয়া উচিত তাহলে তোরমুজ এর কোন সমস্যাই মানবদেহে ক্ষতি করতে পারবে না শুধুমাত্র উপকারগুলোই পাওয়া যাবে তরমুজ খাওয়ার পর। তাই আমাদের তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
অতিরিক্ত তরমুজ খেলে গ্যাস্ট্রিক পেট ফাঁপা সহ হজমে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।যেহেতু তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি আছে তাই অতিরিক্ত তরমুজ খেলে শরীরে পানি বৃদ্ধি পাবে এবং সোডিয়াম কমে যাবে এতে করে শরীরে সোডিয়ামের ঘাটতি দেখা দেবে।
তোরমুজ যেহেতু মিষ্টি জাতীয় ফল এজন্য যদি ডায়াবেটিস রোগীরা তরমুজ বেশি পরিমাণে খায় তাহলে তাদের শরীরে সুগার বেড়ে যাবে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়ম মেনে তরমুজ খাওয়া উচিত তাদের সমস্যা হবে না তরমুজ খেলে।
তরমুজ খেলে যেমন কিডনি লিভার এর সমস্যা দূর হয় ঠিক তেমনি অতিরিক্ত তরমুজ খেলে তরমুজে থাকা অতিরিক্ত পানি কিডনি লিভার এর সমস্যা করতে পারে তাই অবশ্যই সাবধান নিয়ম অনুযায়ী তরমুজ খাওয়া উচিত। তাহলে কিডনি লিভার সুস্থ থাকবে এবং কোন সমস্যা সৃষ্টি হবে না।
আমাদের অবশ্যই জানতে হবে গরমে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা ও তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তাহলে আমরা গরমের সময় কি পরিমানে তরমুজ খাব এবং কিভাবে তরমুজ চাষ করবো এটি খুব সহজে জানতে পারো এবং নিজেরাই তরমুজ চাষ করতে পারবো কোন ঝামেলা ছাড়াই তাহলে আমরা ভেজালমুক্ত তরমুজ খেতে পারব।
নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে তরমুজ ভেজাল মুক্ত খাবার জন্য আমাদের অবশ্যই জানতে হবে গরমে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা ও তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে। অনেকেই আবার তরমুজের উপকারিতা সম্পর্কে জানার পর খাওয়া থেকে দূরে থাকবে এমনটা করলে কিন্তু হবে না নিয়ম মেনে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে তরমুজ খেতে হবে।
তরমুজের বীজ খাওয়ার উপকারিতা
শুধুমাত্র কি তরমুজ থেকে অনেক পুষ্টিকর উপাদান পাওয়া যায় এমনটা কিন্তু না তরমুজের বীজ থেকেও অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান পাওয়া যায় যা শরীরে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই জানে না যে তরমুজের বীজ খাওয়া যায়।
তাই শুধু তারা তরমুজ খেয়ে বীজগুলো এবং খোসা ফেলে দেয় কেউ তরমুজ এর বীজ খায় তাহলে তাহলে তার শরীরের অনেক উপকার পাওয়া যাবে। হাস্যকর ভাবে অনেকেই আছে যারা আলসেমের জন্য তরমুজের বীজ বেঁচে খেতে চান না।
আলসেমি করে তোরমুজ বীজ সহ খেয়ে ফেলে। শুধুমাত্র তারা নিজের অজান্তে শরীরের অনেক উপকার করে থাকে তরমুজ এর বীজ খেয়ে। অনেকেই আবার তরমুজের বীজ খাওয়া পছন্দ করে না এবং উল্টাপাল্টা সব ধরনের কথাবার্তা বলে।
তরমুজের বীজ খাওয়ার পর আমাদের শরীরের যেসব উপকার করে তা হল-
- তরমুজের বীজ খাওয়ার ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
- তরমুজের বীজ চুল নখ ত্বক চোখ দাঁত এর জন্য অনেক উপকারী।
- তরমুজের বীজ খাদ্য পরিপাকে এবং হজমে সাহায্য করে।
- তরমুজের বীজ মানবদেহে হার্টের সমস্যা দূর করে।
যদি কেউ নিয়মিত তরমুজ এবং তরমুজ এর বীজ খায় তাহলে তার শরীরে অনেক ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে। তাই আমরা যখন তরমুজ খাই তখন তার বীজগুলো ফেলে না দেওয়ার চেষ্টা করব তাহলে নিজের অজান্তেই অনেকগুলো সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
তরমুজ খাওয়ার সঠিক সময়
যেহেতু তরমুজের প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে এজন্য নির্দিষ্ট একটি সময় আছে যখন এই তরমুজ ফল খেলে কোন প্রকার ক্ষতি হবে না শরীরে। অনেকেই আবার বিকেলে নাস্তায় তরমুজ খায় এটি একটি বড় ভুল কেননা তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকাই এটি যদি বিকেলে খাওয়া হয় তাহলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।
তরমুজ সম্পর্কে জানার আগে প্রথমে জানতে হবে গরমে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা যদি তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা ও তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে থাকি তাহলে কখন তরমুজ খাওয়া উচিত এটিও খুব সহজে জানতে পারবো।
তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকার জন্য এটি সকালে নাস্তা পরপরই খাওয়া উচিত এর কারণ হচ্ছে তরমুজ সকালে খেলে ঠান্ডা লাগার কোন সুযোগ থাকে না এবং খুব ভালোভাবে হজম হয়ে যায় তাই সকালে নাস্তান পরপরই তরমুজ খাওয়া উচিত।
অনেকেই আবার রাত্রে তরমুজ খায় এর ফলে সারারাত শরীরের মধ্যে তরমুজ থাকে এবং গ্যাস্ট্রিক পেট ফাঁপার মত সমস্যা হতে পারে এজন্য অবশ্যই রাত্রে তরমুজ খাওয়া উচিত না রাত্রে তরমুজ খেলে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তাই অবশ্যই দিনের বেলায় রোধ থাকে থাকতে সেই সময় তরমুজ খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণ।
অতিরিক্ত তরমুজ খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন দৈনিক অর্থাৎ সারা দিনে ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রাম তরমুজ খাওয়া উচিত তাহলে শরীরে কোন প্রকার ক্ষতি হবে না এর বেশি খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
তরমুজ চাষ
তরমুজ একটি সুস্বাদু এবং গুণসম্পন্ন ফল হল তরমুজ এখন চাষ কলা অনেক সহজ এবং ঝামেলা মুক্ত।গরমে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা ও তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই জানা উচিত। বর্তমান সময়ে অনেক জায়গায় তরমুজ চাষ করা হচ্ছে কেননা তরমুজের চাহিদা অনেক বেশি বেড়ে গেছে।
মানুষ তরমুজ চাষ সম্পকে অনেক বেশি সচেতন হয়েছে কারণ বর্তমান সময়ের তরমুজ এর চাহিদা অনেক বেশি এজন্য মানুষ তরমুজ চাষ করতে বেশি পছন্দ করছে এতে অনেক লাভ করছে মানুষ। তরমুজ অনেক সুস্বাদু এবং উপকারী ফল তবে তরমুজের যে শুধুমাত্র উপকার আছে এমনটা কিন্তু না তরমুজ অপকার ও আছে।
তরমুজ যেমন মানব দেহে অনেক সমস্যা সমাধান করে ঠিক তেমনি তরমুজ মানবদেহে অনেক সমস্যা সৃষ্টি ও করে। তাই বেশি পরিমাণে তরমুজ খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে আমাদের অবশ্যই তরমুজ পর্যাপ্ত পরিমাণ খেতে হবে এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী জানা যায় ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম এবং সর্বোচ্চ পাঁচশ গ্রাম তোরমুজ মোট দৈনিক খাওয়া যায়।
অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে মানবদেহে অনেক সমস্যা হয় খুব সহজে চাষিরা তরমুজ চাষ করতে পারে তরমুজ চাষে খুব বেশি একটা ঝামেলা হয় না শুধুমাত্র একটু যত্ন নিলেই তরমুজ চাষ করা যায়। সারা বছর গাছের যত্ন নিতে হয় না তরমুজ চাষ করার জন্য। প্রথমেই বীজ থেকে চারা রোপন করার জন্য ছোট্ট একটি জায়গায় গোবর এবং বালি মিশিয়ে তিন থেকে চারটি বজ পুঁতে দিতে হবে।
বেজ থেকে চারা গজাতে ৩০ থেকে ৪০ দিন সময় লাগে এরপর চারা গজানো হয়ে গেলে সেখান থেকে বড় জায়গায় চারা তুলে রোপন করতে হবে। এতে গাছ ভালো হয় তরমুজ গাছে অত বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না কারণ তরমুজ গাছে বিভিন্ন প্রকার আক্রমণ খুবই কম হয়। চাষীদের জন্য এটি বড় একটি পাওয়া।
তরমুজ চাষে জায়গা নির্বাচন
কোন ফসল চাষ করার আগে সেই ফসল চাষের জন্য উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন করতে হয় এবং সেই ফসল চাষ করার আগে সকলের জানা উচিত গরমে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা ও তরমুজের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত নির্ভুল তথ্য।
যেকোন ফসল সামান্য যত্ন নিলেই সেখান থেকে ভালো উৎপাদন পাওয়া সম্ভব হয় তেমনি তরমুজ চাষ করতে হলে প্রথমে জায়গা নির্বাচন করতে হবে। গ্রামে পরিত্যক্ত জমিতে তরমুজ চাষ করার যায় যেখানে পানি জমে থাকে না শুকনো জমিতে তরমুজ চাষ ভালো হয়।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বাসা বাড়ির ছাদ বাগানে অর্থাৎ বড় বড় বিল্ডিং এর ছাদে তরমুজ চাষ করা হয় অনায়াসে সেখানে অল্পতে পানি জমে থাকে না এবং সামান্য যত্ন নিলে তরমুজ চাষ করা যায়। এছাড়াও পানি জমতে পারে এমন জমির বাদ দিয়ে যেখানে পানি জমতে পারবে না তেমন একটি জায়গায় এছাড়াও উচু জমিতে তরমুজ চাষ ভালো হয়।
তরমুজ চাষের উপযুক্ত সময় হচ্ছে জানুয়ারি শেষের দিকে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে এই সময়ে তরমুজ চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায় তরমুজ যেহেতু ঠান্ডা জাতীয় ফল তাই শীতকালে তরমুজ মানুষ খায় না। এজন্য শীতের শেষে তরমুজ চাষ শুরু করার জন্য বীজ থেকে অনুরোধ করবো বের করতে হয়।
শীতের কালার শেষে যেহেতু হালকা ঠান্ডা থাকে তাই তরমুজের বীজকে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে পানির মধ্যে তারপরে সে বীজকে গোবরের মধ্যে পুঁতে দিতে হবে এছাড়াও মাটির পাত্রে থাকা বালির মধ্যে বীজগুলো রাখলেও সেখান থেকে চারা গজবে বীজ থেকে জানানো যেন সাথে সাথে সেখান থেকে তরমুজ জায়গা মত লাগাতে হবে তাহলে সেই গাছটি অনেক ভালো হবে।
তরমুজের চারা রোপন
বীজ বপন এর থেকে চারা রোপন করে মাদায় লাগালে সেই গাছ ভালো হয়। তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত নির্ভুলভাবে জেনে তারপর তরমুজের চারা রোপণ করতে হয় তরমুজের যারা রোপন করার জন্য ছোট ছোট পলিব্যাগে গোপন কম্পোস্ট ভর্তি করে সেখানে একটি করে বীজ পুঁতে দিতে হবে।
৩০ থেকে ৪০ দিনের চারা এদের মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়টি পাতাযুক্ত গাছকে মাদার পুঁতে দিতে হবে সেখান থেকে তরমুজের গাছ তৈরি হবে। আমাদের অবশ্যই জানা উচিত গরমে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা ও তরমুজের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত।
প্রতি ১ একরে তরমুজ চাষ করার জন্য জমিতে সার প্রয়োগ এর পরিমাণ-
- টিএসপি ৩০ কেজি।
- পটাশ ২৫ কেজি।
- কম্পোস্ট/গোবর ২০০০ কেজি।
- জিপ্সাম ২০ কেজি।
- ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ১০ কেজি।
মাদা তৈরির সময় সার এর পরিমাণ
- ইউরিয়া ২০ গ্রাম।
- ডিএসপি ৪০ গ্রাম।
- পটাশ ২৫ গ্রাম।
- চিলেটের জিংক ৫ গ্রাম।
- সরুবরণ ৫ গ্রাম।
- কারবোপুরাণ ৫ গ্রাম।
আমরা জানি চা চামচে এক চামচ সমান পাঁচ গ্রাম । এইভাবে জমিতে সারগুলো দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে রাখতে হবে। গাছের ফুল ধরার পর ইউরিয়া ৩০ কেজি পটাশ পনেরো কেজি ছোট ছোট রিং করে গাছে দিতে হবে।
গাছের ফল ধরার ১০ থেকে ১৫ দিন পর পর। ইউরিয়া ২৮ কেজি পটাশ পনেরো কেজি করে দিতে হবে বড় বড় লিংক করে। এতে ফলন ভালো হবে এবং সুস্বাদু হবে তরমুজ। আমরা যদি সামান্য একটু যত্ন নিয়ে তরমুজ চাষ পদ্ধতি জেনে থাকে তাহলে অনায়াসে তরমুজ চাষ করতে পারবো।
তরমুজ গাছের পরিচর্যা
তরমুজ চাষ করতে হলে আমাদের অবশ্যই জানতে হবে তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত এবং তরমুজ গাছের পরিচর্যা সম্পর্কে কোন ফসল পরিচয় ছাড়া বেড়ে উঠতে পারে না তাই সে গেছে ভালোভাবে পরিচর্যা করতে হবে গাছে যখন ৮ থেকে ১০ টি পাতা গজায় তখন তখন ৫ থেকে ১০ টি গিট রেখে গাছের মাথা ভেঙে দিতে হবে।
এরপর গাছকে যখন বড় হবে তখন আবারো ৮ থেকে ১০ টি গিট রেখে গাছের ডগা ভেঙে দিতে হবে। একটি গিটে একটি করে ফল যথেষ্ট এতে ফলের মান এবং গুণাগুণ অনেক বেশি ভালো থাকে। যদি গাছের প্রতিটি গিটেগিতে ফল হয় তাহলে সে ফলগুলো ভেঙে দিতে হবে এবং একটি গিটের একটি ফল রাখতে হবে।
যেহেতু তরমুজ কিছুটা খরা সহ্য করতে পারে এজন্য অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যেন তরমুজ গাছের গোড়ায় পানি না জমে থাকে । যদি তরমুজ গাছের গোড়ায় পানি জমে তাহলে গাছটি নষ্ট হয়ে যাবে এবং ফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
তরমুজ কত বড় হবে তা নির্ভর করে গাছের ওপর। যদি একটি গাছে তিন থেকে চারটি ফল হয় তাহলে সে তরমুজের আকার অনেক ভালো পাওয়া যাবে এবং যদি একটি গাছে অনেকগুলো তরমুজ হয় তাহলে সেই গেছে ভালো ফলন পাওয়া যায় না কেননা গাছটি অনেকগুলো তরমুজের বৃদ্ধি তৈরি করতে পারে না।
তরমুজ চাষের ক্ষেত্রে একটি গাছে তিন থেকে চারটি ফলই যথেষ্ট এতে করে ফলের গুনাগুন এবং আকার গুলো ভালো থাকে ভুলের চাহিদা অনেক বেশি বেড়ে যায়। মানুষের গরমে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা ও তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে থাকা উচিত। কারণ তরমুজ অনেক উপকারী একটি ফল।
ফসল তোলার সময়
অনেক চাষী আছে যারা ফসল তুলার সময় নির্ধারণ করতে পারে না। ফসল যদি নির্দিষ্ট সময়ে তোলা হয় তাহলে ফসলের গুনাগুন এবং আকার ভালো থাকে তাই নির্দিষ্ট সময় আসল তোলা উচিত । তরমুজ তোলার ক্ষেত্রেও একই ফসল পরিপক্ক টা লাভ করলে তার কয়েকদিনের মধ্যে ফসল গাছ থেকে তুলে নিতে হবে।
ছোট তরমুজ এর ক্ষেত্রে ৫৫ থেকে ৮৮ দিন পর পরিপক্কতা পায় এক্ষেত্রে এই কয়েকদিন তরমুজ জ গাছ থেকে পেরে নিতে হবে। এবং অনেকেই বুঝতে পারে না যে তরমুজ রেখেছে কিনা এক্ষেত্রে তরমুজের গাড়ি আঘাত করলে ঠক ঠক শব্দ যদি হয় তাহলে বোঝা যাবে যে তোরমুজ পরিপক্কতা পেয়েচে।
ফলগুলো পেকে যাওয়ার পর বোটাসহ গাছ থেকে ভেঙে নিতে হবে এতে ফলগুলো ভালো থাকবে তরমুজ যেহেতু দুই ধরনের হয় তাই ছোট তরমুজ এর ক্ষেত্রে ৫৫ থেকে ৮৮ দিনে পেকে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।
বড় জাতের তরমুজ হলে তাদের পাকতে একটু বেশি সময় লাগে এবং যেহেতু তোর মুখ না পাকলে গাছ থেকে পারা যায় না তাই তরমুজ বড় জাতের হলে অনেক বেশি সময় দিতে হয় পরিপক্ক টা পাওয়ার জন্য তাহলে সেখান থেকে কিন্তু মুখগুলো ভালো মান পাওয়া যায়।
বড় তরমুজগুলো পাকার জন্য ৮০ থেকে ৯০ দিন সময় লাগে। এর মধ্যে তরমুজগুলো পরিপক্কতা লাভ করে। যেহেতু তরমুজ নাপাক অবস্থায় পারলে সেগুলো ভালো দাম এবং ভালো না হয় না তাই কিছুদিন অপেক্ষা করার পর কেমন হলো পেকে যাবে এবং কখনো সেগুলো বাজারে বিক্রি করা যায়।
পরিশেষে
গরমে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা ও তরমুজের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা আছে আজকের আর্টিকেলে। আপনারা যদি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে গরমে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা এবং তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পেরেছেন।
শুধুমাত্র তরমুজ থেকে ভালো ফল পাওয়া যায় এমনটা কিন্তু না তরমুজের যেমন উপকারিতা আছে ঠিক তেমনি কিছু অপকারিতা রয়েছে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া আছে। আপনারা যদি প্রতিদিন তথ্যবহুল আর্টিকেল পেতে চান তাহলে ভিজিট করুন www.jarinonline.com পেজটি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url