OrdinaryITPostAd

তুঁত ফল খাওয়ার উপকারিতা ও তুঁত ফল চাষ পদ্ধতি

তুঁত ফল খাওয়ার উপকারিতা ও তুঁত ফল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকেরই সঠিক ধারণা নাই। তাই তুঁত ফল খাওয়ার উপকারিতা এবং তুঁত ফল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
তুত ফল খাওয়ার উপকারিতা

তুঁত ফল অনেক বেশি উপকারী এবং স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিন্তু বর্তমান সময়ে প্রায় বিলুপ্ত এই ফলটি।শুধুমাত্র রেশম পোকার জন্য এই গাছ চাষ করা হয়। তবে আজকের আর্টিকেলটি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে তুঁত ফল খাওয়ার উপকারিতা ও তুঁত ফল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জানতে পারবেন।

তুঁত ফল কি

করানো করোনা কালীন সময়ে য়ে মানুষ সুস্থ থাকার জন্য তুত ফল খেত। এই ফল অনেক উপকারী এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ।তুত ফল খেলে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন সহ বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই থেকে দূরে থাকা যায়। তুত ফলকে মালবেরি বলা হয়। এই ফলটি অনেক গুণ সম্পন্ন এই ফলের গাছ অনেক সুন্দর হয়।

তুত ফলকে বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ বলা হয় এই উদ্ভিদ অনেক বছর বেঁচে থাকে যার উচ্চতা হয় ৪০ থেকে ৬০ ফুট এর মধ্যে। এই ফলগুলি অসম্ভব সুন্দর হয়। এই ফল মানুষ বাড়ির ছাদে অথবা ঘরের বেলকোণীতে লাগায়।

তুত ফল দেখতে কালো রঙের হয় তবে প্রথমে সাদা এবং পরে কমলা এবং ধীরে ধীরে কালো রং অথবা বেগুনি রঙে পরিণত হয় সেই অসম্ভব সুন্দর ফল। এই ফলটি কিন্তু অনেক বেশি সুস্বাদু। তোর গাছের বাকল দিয়ে কাগজ তৈরি হয়। এজন্য ফল যেমন উপকারী এর সাথে সাথে গাছের বাকুল অনেক বেশি উপকারী এবং প্রয়োজনীয়।

তুত ফল এর আদি নিবাস চীনে। তবে বাংলাদেশ ভারত এশিয়া আফ্রিকা ইউরোপ আমেরিকা বিভিন্ন স্থানে তুত ফল চাষ হয়ে থাকে মূলত বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলে তুত ফল এর চাষ হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের মধ্যে রাজশাহীতে বেশি চাষ করা হয়।

কারণ যেখানে বাংলাদেশের রেশম চাষ উন্নয়ন বোর্ড অবস্থিত এছাড়া উত্তরাঞ্চলে পৃথিবীতে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মাটিতে তুত ফল বেশি সুস্বাদু হয়।তুত গাছের পাতা রেশন গুটিপোকার অনেক বেশি পছন্দ এই জন্য এই গাছে রেশম পোকা উৎপন্ন হয়।

তুঁত ফলের পুষ্টিগুণ

এই ফলটি অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি ফল তুত ফল একটি ফ্যাট বিহীন ফল এতে সোডিয়াম ক্যালসিয়াম আয়রন ম্যাগনেসিয়াম জিংক ভিটামিন এ ছাড়াও আরো অনেক ধরনের প্রয়োজন উপাদান আছে। এছাড়াও অনেক প্রয়োজনীয় উপাদান আছে তুত ফল এর মধ্যে

এখন তুত ফল কিসমিস এর মতন শুকনো করেও খাওয়া যায়। তাজা তুত ফলে ৮৫% পানি থাকে এবং ১৫০ গ্রাম তুত ফলে। এছাড়াও তুত ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক বেশি উপকারি এর কারণ হলই তুত ফল রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়। যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক বেশি ভালো একটি দিক।

এছাড়াও তুত ফল চুল ঝলমলে রাখতে শরীরের মেদ কমাতে ওজন কমাতে ক্যান্সার ও হৃদরোগ ঝুঁকি এরাতে অনেক বেশি উপকারী।তুত ফলে অ্যান্টিঅক্সাইড থাকার কারণে উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও এর কোন জুড়ি নেই।

ভিটামিন সি পরিমাণ মোটেই কম নয় সেসঙ্গে রয়েছে কিছুটা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন এ আরো আছে খনিজ পটাশিয়াম আয়রন ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এবং রাস্তা তাই কোস্টকানিস্তের মধ্য কঠিন পরীক্ষা থেকেও রক্ষা করে এই ফল।

এক কথায় বলা যায় ঔষধ ছাড়া রোগ নিরাময় করতে এই এক বিস্ময়কর সুস্বাদু ফল। এবং আমাদের অবশ্যই বিস্তারিত জানা উচিত তুত ফল খাওয়ার উপকারিতা ও তুত ফল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে। কেননা তুত ফল যেমন অনেক বেশি উপকারী ঠিক তেমনি এর গাছ থেকে তৈরি হয় রেশম পোকা যা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সিক্ল এর জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

তুঁত ফল খাওয়ার উপকারিতা

তুত ফল অনেক উপকারী কেননা এই ফল মানব দেহে অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে। তুত ফল সম্পর্কে আমরা যদি বিস্তারিত জানতে চাই তাহলে আমাদের আগে জানতে হবে তুত ফল খাওয়ার উপকারিতা ও তুত ফল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে।

তুত ফল খাওয়ার উপকারিতা ও চাষ পদ্ধতি

এছাড়াও বিশেষজ্ঞগণ বলে যে ফল কাঁচা অবস্থায় এবং রস করে খাওয়া যায় তা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী হয় এমনই এক ঔষধে গুণসম্পন্ন একটি ফল হল মালবেরি,সাদাতুত, এছাড়াও ছাড়াও সাহতুত, বলে। 

এই ফল শরীরে আহার মজবুত করতে সাহায্য করে এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এই ফল খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে এবং শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে। তুত ফল ডায়াবেটিস প্রতিরোধে অনেক বেশি কার্যকরী।

এই ফল অনেক উপকারী হওয়া সত্ত্বেও তার কোন সংগ্রহ বা সংরক্ষণ করার জন্য কোন প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করে না বর্তমান সরকার। তবে কয়েক বছর আগে রাস্তার দুই পাশে তুত গাছ লাগানো হতো বিভিন্ন কারণবশত এই গাছ পরবর্তীতে কেটে ফেলা হয়। এর কারণে ক্রমাগত তুত ফল এর দেখা পাওয়া কমে যাচ্ছে।

প্রচণ্ড প্রকার ভাবে বিলুপ্ত হচ্ছে এই ফল তবে যদি গাছ সংরক্ষণ করা হয় তাহলে সকলেরই উপকার হবে। দিনাজপুরে বেশি তুত ফল চাষ করা হতো যা একশ আঠারো জমিতে দুধ নাচ চাষ করা হতো। এবং এই দুধ গাছ থেকে রেশম পোকা উৎপন্ন হয় যা বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী সিল্ক এর জন্য অনেক বেশি জরুরি।

শুধুমাত্র রেশম পোকা উৎপাদন করার জন্য এই গাছ লাগানো হয় এবং এই গাছের যত্ন নেওয়া হয়। তবে এই ফলের অনেক বেশি সুস্বাদু এবং অনেক গুন সম্পন্ন জানে না দুধ ফল এর গুনাগুন সম্পর্কে। এইজন্য তুত ফল সম্পর্কে মানুষ এত বেশি নীল আগ্রহ প্রকাশ করে।

তুঁত ফল খাওয়ার অপকারিতা

তুত ফল যেমন অনেক বেশি উপকারী ঠিক তেমনি অতিমাত্রায় এই ফল খেলে অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে মানব শরীরে। তাই অতিমাত্রায় কোন কিছুই ভালো না অবশ্যই নিয়ম মেনে এই ফলটি খেতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত তাহলে কোন প্রকার সমস্যা হবে না।

দেখা যায় অনেকের কিডনির সমস্যা থাকলে এই ফল খাওয়ার পরে সমস্যা আরো বেশি বেড়ে যায় তাই তাদের কিডনির সমস্যা আছে তাদের তুত ফল এড়িয়ে চলাই উচিত কেন না যদি তারা এই ফল খায় তাহলে তাদের সমস্যা আরো বেশি বেড়ে যাবে।

এমন অনেকে আছে যাদের এই ফলে এলার্জি আছে তারা যদি এই ফল খায় নিজের অজান্তেই তাহলে অনেক বড় সমস্যা মুখে পড়তে পারি তাই অবশ্যই খাওয়ার আগে যাচাই করে নেওয়া উচিত এবং তথ্য ফল এর উপকারিতা জানার পর এই ফল খেয়ে নেওয়া উচিত নয় অবশ্যই ভেবে চিন্তে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

মানুষের শরীরে অনেক সমস্যায় দূর করে এই দুধ ফল ঠিক তেমনি যারা অনেক ধরনের সমস্যায় ভুগছেন তাদের অবশ্যই এই ফল খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত কেন না এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকার কারণে অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে রোগীদের।

তাই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এই ফল খাওয়া উচিত যারা বিভিন্ন ধরনের রোগ আক্রান্ত আছেন নিয়মিত সুস্থ মানুষ যদি উৎপল খায় তাহলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এবং শরীর সুস্থ থাকবে তবে যারা অসুস্থ তাদেরকে ক্ষেত্রে আলাদা বিষয় তারা যদি এই ফল খায় তাহলে তাদের শরীর আরো বেশি ক্ষতি হতে পারে।

তুঁত ফলের দাম 

বর্তমানে তুত ফল অনেক দামি বাংলাদেশে আগের মত তুত চাষ হয় না। এটাই হচ্ছে এই ফলের উচ্চ দামের মূল কারণ। টুথ ফল অনেক উপকারী একটি ফল এই ফলের জুস করে খেলে অনেক সুস্বাদু হয় এবং অনেক গুণ অনেক পুষ্টি পাওয়া যায়।

কোরিয়া দেশে তুত ফলের জুস অনেক বেশি বিখ্যাত তবে বাংলাদেশে এই ফলের দাম অনেক বেশি তুত ফল খাওয়ার উপকারিতা মানুষ জানলে অবশ্যই এই গাছ বেশি বেশি লাগাবে। এবং যখন অনেক বেশি হবে এই গাছ তখন নিশ্চয়ই এই ফলের দাম কমে যাবে।

বর্তমান বাজার অনুযায়ী প্রতি কেজি তুথ ফলের দাম ১০০০ থেকে ২ হাজার টাকা। ৫ কেজি তুত ফলের দাম ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয় এবং ১০ কেজি তুত ফলের দাম ১ লাখ থেকে ২ লাখ হয়। তবে খানিকটা কম বেশি হতে পারে।

এই ফল অনেক বেশি বোন সম্পন্ন ভাবা সত্ত্বেও বাংলাদেশে এই ফল শুধুমাত্র ফল খাওয়ার জন্য চাষ করা হয় না এই ফলের গাছ চাষ করা হয় শুধুমাত্র রেশম পোকার জন্য। কারণ হলো রেশম পোকার প্রিয় খাদ্য হলো তুত গাছের পাতা। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সহ আরো অনেক দেশে তুত ফল চাষ করা হয়।

বাংলাদেশ একটি গাছের চারার দাম ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত হয় যা অনেক বেশি। এই মাল বেরি গাছের চারার দাম অনেক বেশি হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের মানুষের মনে অনেক আগ্রহ এই ফলের গাছ চাষ করার তাই অনেকেই বাড়ির ছাদে এই গাছ একটি করে লাগিয়ে রাখে।

রেশম চাষে তুঁত

রেশম চাষে তুত গাছ অনেক বেশি উপকারী রেশন চাষের জন্য প্রথমে রেশন প্রকার ডিম পাওয়ার পর তার যত্ন করতে হবে উৎপাদন করার জন্য তুত গাছের পাতা এবং কীটপতঙ্গ। রেশম পোকার শুঁয়োপোকা একটি দীর্ঘ অবিচ্ছিন্ন তন্তু বা ফিলামেন্ট তৈরি করে।

এটি দিয়ে নিজেকে ঘিরে রেখে তার ককুন তৈরি করে মাথার মধ্যে একটি একক দুটি বৃহৎ গ্রন্থি থেকে তরল মিশন বের হয় পিনিরেট মাথার মধ্যে একটি একক প্রস্থান নল যা বাতাসের সংস্পর্শে এলে শক্ত হয়ে যায় এবং জোড়া ফিলামেন্ট তৈরি করে ভাই বোন একটি প্রোটিন উপাদান দ্বিতীয় জোড়া গ্রন্থি নিঃসৃত হয়।

দ্বিতীয় জোড়া গ্রন্থে মিশ্রিত হয় শ্রীশীন একটি আঠালো পদার্থ। যা দুটি তন্তুকে একসাথে সিমেন্ট করে যেহেতু একটি উদীয়মান মত ককুন অত্যন্ত ভেঙে ফেলবে তাই ফ্রিসালিম পর্যায়ে বাষ্প বা গরম বাতাসের মাধ্যমে ককুনে লার্ভা মারা যায়।

রেশম হল প্রতিটি কোকনের মধ্যে একটি অবিচ্ছিন্ন ফিলামেন্ট যার ব্যবহারযোগ্য দৈর্ঘ্য প্রায় ৬ হাজার থেকে ৯ হাজার মিটার। এবং বাধাইকারি সেনকে নরম করে তারপর ফিলামেন্ট প্রতিটি শনাক্ত করে এবং একই সময় বেশ কয়েকটি খোকন দিয়ে ফিলামেন্ট গুলিকে খুলে বাড়ি করে কখনোই একটি তৈরি করে এদিকে মুক্ত করা হয়।

রেশম পোকার জন্য তুত গাছের পাতা অনেক বেশি উপকারী তাই তুত ফল খাওয়ার উপকারিতা যেমন বেশি, ঠিক তেমনি দূরত্ব গাছের পাতাও অনেক বেশি উপকারী। তাই সকলের উজেব তুতগাছে চাষ করা শুরু করা। এতে করে সকলের ভালো হবে এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সিল্ক এর জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।

তুঁত গাছ

বাংলাদেশে অনেক কৃষক আছে যারা এই ফল চাষ করে। কৃষকদের মতামত অনুযায়ী এই ফল চাষ করার জন্য খুব বেশি পরিশ্রম দরকার হয় না এবং খুব বেশি অর্থের দরকার হয় না। কারণ এই ফলে রোগ বালাই খুবই কম হয়। 
মাত্র ২৫ টি চারা দিয়ে একজন কৃষক তার বালবিরী চাষ শুরু করেন প্রতিটি চালা ৩০০ টাকা দরে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছিলেন তবে তিনি ৩০০ টাকা যারা কিনলেও বর্তমানে তিরিশ টাকা করে বিক্রি করছে প্রতিটি জানা চারার গোলা গুলো পুরাতন নদীর মধ্যে কয়েকদিন চুবিয়ে দেখিয়ে দিল। পরে মাটিতে রোপণ করতে হয় তাহলে গাছ লাগানোর পরের মাসেই ফল পাওয়া যায়।

কৃষকদের মতামত অনুযায়ী মাল বেড়ে যায় করা অত্যন্ত সহজ এবং এদের রোগ বালাই খুবই কম হয়। এছাড়াও কীটনাশক তেমনটা লাগেনা। শুধু জৈব সার দিলেই প্রায় সারা বছর এই ফল পাওয়া যায়। যে বাংলাদেশের দেশী একটি আমদানি নির্ভর ফল তাই বাজারেও এর প্রচুর চাহিদা আছে।

তুঁত চারা উত্তরণের সময় করনীয়ঃ
  • তুত চারা জমিতে রসের পরিমাণ বেশি থাকলে চারা উত্তোলন করা যাবে না।
  • এই চারা উত্তোলনের সময় ও কান্ডের বাকুল অক্ষত রাখতে হবে
  • উত্তোলন করার পর তুত চারা চিকন কমপক্ষে ৯ ইঞ্চি রাখতে হবে।
  • চারার মাদার কাটিং কাটা যাবে না এবং অক্ষত রাখতে হবে।
  • এই চারা উত্তরণের সময় কোদাল ব্যবহার করতে হবে।

তুঁত চারা রোপন

এই চারা রোপন করার আগে ছায়াযুক্ত জায়গায় খাড়া অবস্থায় সংরক্ষণ করতে হবে। তাহলে চারা রোপনের পর ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। উত্তোলিত চারাগুলো বান্ডেল করে সাথে সাথে গাছের ছায়ায় সোজা করে রাখতে হবে তাহলে গাছগুলো ভালো থাকবে।

চারাগুলো সংরক্ষণ করার সময় অবশ্যই বান্ডেলের চারিপাশে কচুরিপানা অথবা আগাছা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে এবং মাঝে মাঝে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। এই চারা গুলো উত্তোলন করার পর দুই দিনের মধ্যে মাদায় রোপন করতে হবে তাহলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

আমরা অনেকেই তুত ফল চাষ পদ্ধতি জানিনা। আমরা যদি সামান্য একটু মনোযোগ সহকারে আজকে আর্টিকেলটি পড়ি তাহলে বুঝতে পারবো তুত ফল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে। এই ছাড়া রোপনের ১৫ দিন আগে ১.৫ দৈর্ঘ্য এবং১.৫ ফুত  প্রশ্ন এবং১.৫ ভোট উচ্চতা সম্পন্ন গর্ত করতে হবে।

চারা রোপনের জন্য তৈরি কৃত গর্তে দুই কেজি গোবর ২৫ গ্রাম টিএসপি এবং ১৫ গ্রাম ওএমপি সার ঝরঝরে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। এবং লক্ষ্য রাখতে হবে যদি মাটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রস না থাকে তবে সাথে সাথে গর্তে এরকম করতে হবে এবং রোপনের পর পরিমিত মাত্রায় সার প্রয়োগ করতে হবে। 

তুঁত ফল সংগ্রহ

বাংলাদেশের অনেক জায়গায় এই ফল চাষ করা হয়। এবং অনেক চাষীরাই এই ফল চাষ করে অনেক লাভবান হচ্ছে তবে এই ফল চাষ করার পরে ফল সংগ্রহ করার একটি নির্দিষ্ট সময় আছে সেই সময় যদি এই ফল উত্তোলন করা না হয় তাহলে তা নষ্ট হয়ে যায়। এবং গাছ থেকে এমনিতেই ঝরে পড়ে।
তুত ফল সংগ্রহ
যখনই দেখা যাবে গাছের তুঁত ফল গুলো কমলা রং ধারণ করেছে এবং হালকা হালকা কালো রঙের কাছাকাছি এসেছে ঠিক সেই সময় এই ফল গাছ থেকে পেরে নেওয়া উচিত। তাহলে পুষ্টিমান এবং গুনাগুন ভালো থাকবে দেখতে ভালো লাগবে।
যদি বেশি পেকে যায় ফলগুলো তাহলে গাছ থেকে সংগ্রহ করা মুশকিল হয়ে যাবে এবং অনেক ফল নষ্ট হয়ে যাবে সময় থাকতেই এই ফল গাছ থেকে সংগ্রহ করা উচিত। ফল সংগ্রহ করে ধুয়ে তারপর বাজারজাত করতে হয়।

মানুষ এই রসালো তুঁত ফল খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে টক মিষ্টি থাকায় আরো বেশি আকর্ষণ মানুষের এই ফলের প্রতি। যদি কেউ নিয়মিত এই ফল খায় তাহলে তা শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তাই সকলের জানা উচিত তো তুত ফল খাওয়ার উপকারিতা তুত ফল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে।

পরিশেষে

তুঁত ফল খাওয়ার উপকারিতা ও তুঁত ফল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আছে আজকের আর্টিকেলে। আপনি যদি আজকের আর্টিকেল শুরুতে বিশেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন তুত ফল খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা চাষ পদ্ধতি এছাড়াও আরো অনেক তথ্য।

বর্তমান সময়ে বিলুপ্তপ্রায় এই গুনসম্পন্ন ফল।চাষীদের এই ফল চাষ করার জন্য উৎসাহিত করা উচিত এছাড়াও আজকের আর্টিকেলে অনেক তথ্য দেওয়া আছে তুঁত ফল খাওয়ার উপকারিতা ও তুত ফল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে প্রতিদিন এমন তথ্যবহুল আর্টিকেল পেতে ভিজিট                                                করুন  www.jarinonline.com পেজটি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url